নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মেয়র প্রার্থী নির্ধারণে দোটানায় পড়েছেন। দলটি আজ মঙ্গলবার প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য চরমোনাই ময়দানে ঘটা করে ২ হাজার লোকের ইফতার মাহফিলের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল।
কিন্তু গতকাল সোমবার রাতে ‘অনিবার্য কারণ’ উল্লেখ করে হাতপাখা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী ঈদের পর ঘোষণার নোটিশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রার্থী নির্ধারণে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল সিটিতে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলের নায়েবে আমির ও নগর সভাপতি মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এবং জেলা সভাপতি এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়েরের কথা শোনা যাচ্ছিল। এ জন্য নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁরা ভোটারও হয়েছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শোনা যাচ্ছে দুজনই বেঁকে বসেছেন প্রার্থী হতে।
এর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহম্মাদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দেব এটাই আমাদের চিন্তা। প্রার্থী ঘোষণা না করলেও চূড়ান্তর মতোই। জনগণের ভোটে কিন্তু বর্তমান মেয়র নির্বাচিত হননি। আসন্ন সিটি নির্বাচনটি সরকার স্বচ্ছ দেখাতে পারলে, সামনের জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া থেকে এক ধাপ আগাবে।’
জানা গেছে, এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের এর আগে ২০০৮ সালে বরগুনা-২ আসনে এমপি প্রার্থী ছিলেন। তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে ২০১১ এবং ২০১৬ সালে চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান করা হয়।
এছাহাক মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, আবুল খায়েরের আক্ষেপ বারবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট স্থানে না রাখায় সিটি নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা আশা বেশ ক্ষীণ।
জানতে চাইলে জেলা সভাপতি এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, ‘আমি সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে মোটেই প্রস্তুত নই। আমাদের বিরাট একটি অংশ নায়েবে আমিরকে মেয়র প্রার্থী চাচ্ছেন। চরমোনাই থেকে ঘোষণা দেওয়াটা সঠিক হবে না।’
আবুল খায়ের আরও বলেন, ‘নায়েবে আমির সংসদ নির্বাচন করেছেন। তাই সিটি নির্বাচন করলে তা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত হবে কি না তাও দেখার বিষয়। তা ছাড়া নায়েবে আমির জাতীয় রাজনীতি করেন। সিটি নির্বাচন তো স্থানীয় নির্বাচন।’
এদিকে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীরা চাচ্ছেন নায়েবে আমির ও নগর সভাপতি মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমকে। কিন্তু নায়েবে আমির দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রভাবশালী নেতা। বরিশাল-৫ (সদর) আসনে ২০০১, ২০০৮, ২০১৮ সালে এমপি প্রার্থী ছিলেন তিনি। এ অবস্থায় তিনি মেয়র প্রার্থী হলে স্থানীয় নির্বাচনে যদি হেরে যান, তা হবে দলের জন্য বড় বিপর্যয়। তাই নিজের প্রেস্টিজ ইস্যু মাথায় রেখে প্রার্থী হতে দোটানায় রয়েছেন ফয়জুল করিমও।
এ প্রসঙ্গে দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আ.লীগ প্রার্থী দিয়েছে। অন্যরা কী করছেন তাও দেখছি। তা ছাড়া আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী আবুল খায়ের রাজি হচ্ছেন না। এমনকি আমাকে মেয়র প্রার্থী হতে প্রেশার ক্রিয়েট করছেন। এসব কারণে প্রার্থিতা ঘোষণা স্থগিত করেছি।’
এমপি প্রার্থী ছিলেন এ কারণেই কি প্রার্থী হতে চান না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণ আছে। কারণের তো শেষ নাই!
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে। কারণ তৃণমূলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। নগরে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি রিজার্ভ ভোট আছে আমাদের। একজন বিশিষ্ট বক্তা ও সংগঠক হিসেবে নায়েবে আমির মেয়র প্রার্থী হলে বিসিসি ভোটের হিসাবই পাল্টে যাবে।’
এ ব্যাপারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার বাদ আসর। কিন্তু এখন ঈদ, কর্মীরা ব্যস্ত। সবকিছু বিবেচনায় সময়টা সঠিক ছিল না।
গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, ‘নায়েবে আমির ফয়জুল করিমের প্রতি নগরের জনগণের চাহিদা বেশি। ওনাকে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। উনি দলেরও সেকেন্ড ম্যান। কিন্তু এটি স্থানীয় নির্বাচন এবং উনি জাতীয় নেতা। তাঁকে নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আমরা বড় কিছু ভাবছি।’
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মেয়র প্রার্থী নির্ধারণে দোটানায় পড়েছেন। দলটি আজ মঙ্গলবার প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য চরমোনাই ময়দানে ঘটা করে ২ হাজার লোকের ইফতার মাহফিলের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল।
কিন্তু গতকাল সোমবার রাতে ‘অনিবার্য কারণ’ উল্লেখ করে হাতপাখা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী ঈদের পর ঘোষণার নোটিশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রার্থী নির্ধারণে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল সিটিতে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলের নায়েবে আমির ও নগর সভাপতি মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এবং জেলা সভাপতি এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়েরের কথা শোনা যাচ্ছিল। এ জন্য নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁরা ভোটারও হয়েছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শোনা যাচ্ছে দুজনই বেঁকে বসেছেন প্রার্থী হতে।
এর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহম্মাদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দেব এটাই আমাদের চিন্তা। প্রার্থী ঘোষণা না করলেও চূড়ান্তর মতোই। জনগণের ভোটে কিন্তু বর্তমান মেয়র নির্বাচিত হননি। আসন্ন সিটি নির্বাচনটি সরকার স্বচ্ছ দেখাতে পারলে, সামনের জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া থেকে এক ধাপ আগাবে।’
জানা গেছে, এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের এর আগে ২০০৮ সালে বরগুনা-২ আসনে এমপি প্রার্থী ছিলেন। তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে ২০১১ এবং ২০১৬ সালে চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান করা হয়।
এছাহাক মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, আবুল খায়েরের আক্ষেপ বারবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট স্থানে না রাখায় সিটি নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সফলতা আশা বেশ ক্ষীণ।
জানতে চাইলে জেলা সভাপতি এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, ‘আমি সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে মোটেই প্রস্তুত নই। আমাদের বিরাট একটি অংশ নায়েবে আমিরকে মেয়র প্রার্থী চাচ্ছেন। চরমোনাই থেকে ঘোষণা দেওয়াটা সঠিক হবে না।’
আবুল খায়ের আরও বলেন, ‘নায়েবে আমির সংসদ নির্বাচন করেছেন। তাই সিটি নির্বাচন করলে তা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত হবে কি না তাও দেখার বিষয়। তা ছাড়া নায়েবে আমির জাতীয় রাজনীতি করেন। সিটি নির্বাচন তো স্থানীয় নির্বাচন।’
এদিকে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীরা চাচ্ছেন নায়েবে আমির ও নগর সভাপতি মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমকে। কিন্তু নায়েবে আমির দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রভাবশালী নেতা। বরিশাল-৫ (সদর) আসনে ২০০১, ২০০৮, ২০১৮ সালে এমপি প্রার্থী ছিলেন তিনি। এ অবস্থায় তিনি মেয়র প্রার্থী হলে স্থানীয় নির্বাচনে যদি হেরে যান, তা হবে দলের জন্য বড় বিপর্যয়। তাই নিজের প্রেস্টিজ ইস্যু মাথায় রেখে প্রার্থী হতে দোটানায় রয়েছেন ফয়জুল করিমও।
এ প্রসঙ্গে দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আ.লীগ প্রার্থী দিয়েছে। অন্যরা কী করছেন তাও দেখছি। তা ছাড়া আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী আবুল খায়ের রাজি হচ্ছেন না। এমনকি আমাকে মেয়র প্রার্থী হতে প্রেশার ক্রিয়েট করছেন। এসব কারণে প্রার্থিতা ঘোষণা স্থগিত করেছি।’
এমপি প্রার্থী ছিলেন এ কারণেই কি প্রার্থী হতে চান না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণ আছে। কারণের তো শেষ নাই!
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে। কারণ তৃণমূলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। নগরে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি রিজার্ভ ভোট আছে আমাদের। একজন বিশিষ্ট বক্তা ও সংগঠক হিসেবে নায়েবে আমির মেয়র প্রার্থী হলে বিসিসি ভোটের হিসাবই পাল্টে যাবে।’
এ ব্যাপারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার বাদ আসর। কিন্তু এখন ঈদ, কর্মীরা ব্যস্ত। সবকিছু বিবেচনায় সময়টা সঠিক ছিল না।
গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, ‘নায়েবে আমির ফয়জুল করিমের প্রতি নগরের জনগণের চাহিদা বেশি। ওনাকে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। উনি দলেরও সেকেন্ড ম্যান। কিন্তু এটি স্থানীয় নির্বাচন এবং উনি জাতীয় নেতা। তাঁকে নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আমরা বড় কিছু ভাবছি।’
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ঘরের মধ্যে মো. সোহাগ মৃধা (৩০) নামে এক যুবকের লাশ মিলেছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃধা বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নামমাত্র মূল্যে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে। এখানে গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। একটি ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে এক কাপ চায়ের দামে অর্থাৎ মাত্র ১০ টাকায়।
৫ মিনিট আগেঅর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগের মধ্য দিয়েই দেশ ছেড়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন। গতকাল রোববার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন তিনি।
৮ মিনিট আগেঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কামারখোলা ফ্লাইওভারসংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে এক মধ্যবয়সী অজ্ঞাত পুরুষের খুলিবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার (৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস মরদেহটি উদ্ধার করে।
১৭ মিনিট আগে