প্রতিনিধি
তালতলী (বরগুনা): একহাতে ঝুলি, অন্য হাতে লাঠিতে ভর দিয়ে সরাসরি ইউএনওর কক্ষে ঢুকে পড়েন জাবেদা বেগম (৭৩)। ঢুকেই ঝুলিতে থাকা ১৬ টাকা বের করে ইউএনওর টেবিলে রেখে বলেন—একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড চাই। ১১ বছর ধরে ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানসহ অনেকের কাছে ধরনা দিয়েছেন তিনি। কার্ড পেতে মেম্বর-চেয়ারম্যান তাঁর কাছে ৫-১০ হাজার টাকা চেয়েছেন। কিন্তু যার পেটই চলে না তিনি পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দেবেন কী করে! তাই কার্ডও পাওয়া হয়নি। অবশেষে সাহস করে সরাসরি ইউএনওর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন জাবেদা বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায়। বৃদ্ধার এ কাণ্ডের পর ইউএনও কায়সার হোসেন খোঁজখবর নেন। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, জাবেদা বেগম তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের সোবাহান পাড়া গ্রামের মৃত আলতাফ মল্লিকের স্ত্রী। ৭৩ বছর বয়সী এ বিধবা নিতান্ত দরিদ্র। এক ছেলে শারীরিকভাবে অক্ষম। অন্য ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তাঁর। বয়স্ক ভাতার কার্ড চাইতে যাওয়ার দিনও না খেয়েই ছিলেন। পরিচয় ও অবস্থা নিশ্চিত হয়ে জাবেদাকে সামনে রেখেই উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে ফোন করে বৃদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দেন। দুই মিনিটের মধ্যে জাবেদার নাম বয়স্ক ভাতার এমআইএসসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ইউএনও কায়সার জাবেদা বেগমের হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন। কার্ড পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা। জাবেদা বেগম বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়া করি, ইউএনও স্যার যেন অনেক বড় হয়। স্যারের জন্য আমি বয়স্ক ভাতার কার্ড পেয়েছি। আজ আমি অনেক খুশি।
গত রোববার এ নিয়ে ফেসবুকে একটি বিস্তারিত লেখা পোস্ট দেন ইউএনও। এরপরই বিষয়টি জানা যায়। পোস্টে ইউএনও কায়সার হোসেন লেখেন, দুঃখী মানুষের হাসি মনে হয় সবচেয়ে সুন্দর হয়। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে এলোমেলো শব্দে দোয়া করেছেন যেন আল্লাহ আমাকে আরও বড় করেন। তখন থেকে ভাবছি, ইশ! যদি এই দোয়াটা না করে আমাকে আল্লাহ যেন ক্ষমা করে দেন, এই দোয়াটা করতেন! বড় হয়ে কী লাভ! বড় হতে চাই না, ক্ষমাপ্রাপ্ত হতে চাই। জাবেদা বেগমের বয়স্ক ভাতার কার্ডটির ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।
তালতলী (বরগুনা): একহাতে ঝুলি, অন্য হাতে লাঠিতে ভর দিয়ে সরাসরি ইউএনওর কক্ষে ঢুকে পড়েন জাবেদা বেগম (৭৩)। ঢুকেই ঝুলিতে থাকা ১৬ টাকা বের করে ইউএনওর টেবিলে রেখে বলেন—একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড চাই। ১১ বছর ধরে ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানসহ অনেকের কাছে ধরনা দিয়েছেন তিনি। কার্ড পেতে মেম্বর-চেয়ারম্যান তাঁর কাছে ৫-১০ হাজার টাকা চেয়েছেন। কিন্তু যার পেটই চলে না তিনি পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দেবেন কী করে! তাই কার্ডও পাওয়া হয়নি। অবশেষে সাহস করে সরাসরি ইউএনওর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন জাবেদা বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায়। বৃদ্ধার এ কাণ্ডের পর ইউএনও কায়সার হোসেন খোঁজখবর নেন। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, জাবেদা বেগম তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের সোবাহান পাড়া গ্রামের মৃত আলতাফ মল্লিকের স্ত্রী। ৭৩ বছর বয়সী এ বিধবা নিতান্ত দরিদ্র। এক ছেলে শারীরিকভাবে অক্ষম। অন্য ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তাঁর। বয়স্ক ভাতার কার্ড চাইতে যাওয়ার দিনও না খেয়েই ছিলেন। পরিচয় ও অবস্থা নিশ্চিত হয়ে জাবেদাকে সামনে রেখেই উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে ফোন করে বৃদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দেন। দুই মিনিটের মধ্যে জাবেদার নাম বয়স্ক ভাতার এমআইএসসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ইউএনও কায়সার জাবেদা বেগমের হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন। কার্ড পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা। জাবেদা বেগম বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়া করি, ইউএনও স্যার যেন অনেক বড় হয়। স্যারের জন্য আমি বয়স্ক ভাতার কার্ড পেয়েছি। আজ আমি অনেক খুশি।
গত রোববার এ নিয়ে ফেসবুকে একটি বিস্তারিত লেখা পোস্ট দেন ইউএনও। এরপরই বিষয়টি জানা যায়। পোস্টে ইউএনও কায়সার হোসেন লেখেন, দুঃখী মানুষের হাসি মনে হয় সবচেয়ে সুন্দর হয়। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে এলোমেলো শব্দে দোয়া করেছেন যেন আল্লাহ আমাকে আরও বড় করেন। তখন থেকে ভাবছি, ইশ! যদি এই দোয়াটা না করে আমাকে আল্লাহ যেন ক্ষমা করে দেন, এই দোয়াটা করতেন! বড় হয়ে কী লাভ! বড় হতে চাই না, ক্ষমাপ্রাপ্ত হতে চাই। জাবেদা বেগমের বয়স্ক ভাতার কার্ডটির ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।
রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পলিথিন কারখানায় সারা দিন পলিথিন তৈরির পর রাতের আঁধারে বস্তায় ভরে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একবার সিলগালার পরও গোপনে পলিথিন তৈরি করা হতো। ফের সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
৭ মিনিট আগেআগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা থেকে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার রাত ১২টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণার সময় এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন।
১২ মিনিট আগেএখন থেকে ১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইছ উদ্দিন। একই সময় উপদেষ্টার দিকে বোতল ছুড়ে মারা শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারে বিরত থাকতেও বলেছেন তিনি।
২৫ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশে...
৩০ মিনিট আগে