Ajker Patrika

সেই ইন্দোনেশিয়ান তরুণী ও বাংলাদেশি যুবকের অ্যাফিডেভিট সম্পন্ন, বিয়ে বৃহস্পতিবার 

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩, ১৯: ৫০
সেই ইন্দোনেশিয়ান তরুণী ও বাংলাদেশি যুবকের অ্যাফিডেভিট সম্পন্ন, বিয়ে বৃহস্পতিবার 

দীর্ঘ ৬ বছর অপেক্ষার পর পটুয়াখালীর বাউফলের মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে বিয়ের আগামীকাল বৃহস্পতিবার পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশে ফিরে আজ বুধবার পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এ তথ্য জানান তাঁরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও ইমরানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল-আমিন হোসেন।

অ্যাডভোকেট আল-আমিন জানান, ২০১৬ সালে ইমরানের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার এই তরুণীর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। ২০১৭ সালে তরুণী বাংলাদেশে এলেও বাংলাদেশি আইনে তরুণীর বিয়ের বয়স না হওয়ায় তিনি আবারও ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে যান। তবে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশ এসে আজ দুপুরে আদালতের বিচারক আসিকুর রহমানের সামনে ইমরান হোসেন (২৫) ও নিকি উল ফিয়ার (২৩) বিয়ের অ্যাফিডেভিট সম্পন্ন হয়।

পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অ্যাফিডেভিট সম্পন্নের পর ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া ও বাংলাদেশি যুবক মো. ইমরান হোসেন

জানা গেছে, ইমরান জেলার বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। এ ছাড়া নিকি উল ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ইমরানের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে।

এ বিষয়ে ইমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিকির সঙ্গে আমার ২০১৭ সাল থেকে প্রেমের সম্পর্ক। ওই সময়ে আমাদের বয়স না হওয়ায় বিয়ে করতে না পারলেও আজ আমরা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আগামীকাল আমাদের পারিবারিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। আমাদের দাম্পত্য জীবনের জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইল।’

ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের সম্মতিতে এই বিয়ে হচ্ছে এবং তাঁরাই বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আজকে আমি অনেক খুশি, বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমি সারা জীবন বাংলাদেশ থেকে যাব।’

ইমরানের মা মোসা. বীথি আক্তার বলেন, ‘নিকি এর আগে যখন এসেছিল তখন আমার ছেলে এবং নিকির বিয়ের বয়স হয়নি। যেহেতু সে অন্য একটি দেশের মেয়ে দুইবার আমাদের কাছে বিয়ের জন্য এসেছে আমার কাছে বিষয়টি ভালো লেগেছে। নিকির পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের সম্মতিতে আমরা ছোট পরিসরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত