Ajker Patrika

লঞ্চে সন্তান প্রসব, আজীবন ভাড়া ফ্রি

ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১: ১৮
লঞ্চে সন্তান প্রসব, আজীবন ভাড়া ফ্রি

ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ভোলামুখী একটি লঞ্চে সন্তান প্রসব করেছেন সুরাইয়া খাতুন নামের এক নারী। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেহেন্দীগঞ্জের কালীগঞ্জের কাছাকাছি মেঘনা নদীর মধ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চ আল ওয়ালিদ-৯-এ  ঘটনাটি ঘটে। ওই শিশুর ও তার পুরো পরিবার আজীবন এই কোম্পানির লঞ্চে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবে বলে ঘোষণা দেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে সদরঘাট থেকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ আল ওয়ালিদ-৯-এ ওঠেন মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা নারী সুরাইয়া খাতুন। লঞ্চে তাঁর সঙ্গে কেউ ছিলেন না। একাই ডেকে বসেছিলেন। স্বামী ইউনুস তাঁকে লঞ্চে উঠিয়ে দিয়ে যান।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চটি কালীগঞ্জের কাছাকাছি এসে পৌঁছালে প্রসবব্যথা ওঠে সুরাইয়া খাতুনের। খবর পেয়ে লঞ্চের স্টাফরা দুই নারী যাত্রীর সহযোগিতায় তাঁকে লঞ্চের একটি কেবিনে নিয়ে যান। সেখানে রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে সুরাইয়া খাতুন এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।

লঞ্চের ম্যানেজার মিজানুর রহমান শিশুটির নাম রাখেন বিবি মরিয়ম। লঞ্চটি ভোলার ইলিশাঘাটে পৌঁছালে লঞ্চের ম্যানেজার পাঁচ কেজি মিষ্টি কিনে লঞ্চে থাকা সব যাত্রীকে খাওয়ান। পাশাপাশি ওই শিশু ও তার পুরো পরিবার আজীবন এই কোম্পানির লঞ্চে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবে বলে ঘোষণা দেন।

আল ওয়ালিদ-৯ লঞ্চের ইলিশাঘাটের সুপারভাইজর নূর নবী বলেন, ‘সুরাইয়া খাতুনের কালীগঞ্জে নামার কথা ছিল; কিন্তু আমরা তাঁকে ভোলার ইলিশাঘাটে নিয়ে আসি। এরপর ইলিশাঘাটে একজন চিকিৎসক নিয়ে প্রসূতি ও সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুটির পরীক্ষা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে লঞ্চটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে কালীগঞ্জ ঘাটে গিয়ে পৌঁছালে সেখানে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ঘাটে সুরাইয়া খাতুনের শাশুড়ি ও ননদ মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

সুপারভাইজর নূর নবী  আরও জানান, আল ওয়ালিদ-৯ লঞ্চে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ায় সবাই খুব খুশি হয়েছেন। ওই লঞ্চে আজীবনের জন্য ওই শিশুর পুরো পরিবারের ভাড়া ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত