কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দেশের সবচেয়ে বড় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুতায়নেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উপজেলায় বিরাজ করছে সাজসাজ রব। রঙিন হয়ে উঠেছে কলাপাড়া। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রর প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো। নৌকার তোরণে সাজানো হয়েছে সড়কের বিভিন্ন স্থান। সিক্স লেন সড়কের প্রধান ফটকে নির্মাণ করা হয়েছে বর্ণিল গেট। এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরের সড়কগুলোও সাজানো হয়েছে রংবেরঙের পতাকায়। শেষ হয়েছে সভাস্থলের প্যান্ডেল সাজানোর কাজ। এ ছাড়া শেখ জামাল, শেখ কামাল ও শেখ রাসেল সেতু বর্ণিল আলোয় সজ্জিত করা হয়েছে। কুয়াকাটা পৌরসভাও সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। পৌর শহরের খাস পুকুর থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত করা হয়েছে আলোকসজ্জা। এ ছাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সাঁটানো হয়েছে নেতা-কর্মীদের ফেস্টুন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের প্রথম অংশে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট (মোট ১৩২০) মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে; যা সর্বাধুনিক আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ হয়েছে কেন্দ্রটি। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অত্যাধুনিক ঢাকনাযুক্ত কোলডোম ব্যবহার করেছে, যার কারণে পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। পাশাপাশি প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আরও ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান; যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এতে করে জাতীয় গ্রিডে পায়রা থেকে মোট ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।
পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই বছর প্রধানমন্ত্রীকে কোথাও তেমন যেতে দেখিনি। এর মধ্যে ২১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আসতে যাচ্ছেন। আসলে পটুয়াখালীতে নির্মিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও মেগা প্রকল্পগুলো প্রধানমন্ত্রীর একক চেষ্টাই হয়েছে। তাই তাঁর এ আগমনকে স্বাগত জানাই।’
পটুয়াখালীর পায়রার বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা বলেন, ‘২০২০ সালের ১৫ মে থেকে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে। আর ওই বছরের ডিসেম্বরে দুটি ইউনিটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা লাভ করে। তবে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ না হওয়ায় এখন একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। তবে এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ জাতীয় গ্রিডে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পুরোটাই সরবরাহ করা যাবে।’
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তার মধ্যে কোভিড প্রটোকলও রয়েছে। মাঠে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা বাহিনীসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীতে আসবেন। তিনি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। এ সময় সুধীজনের সঙ্গে এক মতবিনিময়ও করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
দেশের সবচেয়ে বড় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুতায়নেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উপজেলায় বিরাজ করছে সাজসাজ রব। রঙিন হয়ে উঠেছে কলাপাড়া। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রর প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো। নৌকার তোরণে সাজানো হয়েছে সড়কের বিভিন্ন স্থান। সিক্স লেন সড়কের প্রধান ফটকে নির্মাণ করা হয়েছে বর্ণিল গেট। এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরের সড়কগুলোও সাজানো হয়েছে রংবেরঙের পতাকায়। শেষ হয়েছে সভাস্থলের প্যান্ডেল সাজানোর কাজ। এ ছাড়া শেখ জামাল, শেখ কামাল ও শেখ রাসেল সেতু বর্ণিল আলোয় সজ্জিত করা হয়েছে। কুয়াকাটা পৌরসভাও সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। পৌর শহরের খাস পুকুর থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত করা হয়েছে আলোকসজ্জা। এ ছাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সাঁটানো হয়েছে নেতা-কর্মীদের ফেস্টুন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের প্রথম অংশে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট (মোট ১৩২০) মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে; যা সর্বাধুনিক আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ হয়েছে কেন্দ্রটি। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অত্যাধুনিক ঢাকনাযুক্ত কোলডোম ব্যবহার করেছে, যার কারণে পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। পাশাপাশি প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আরও ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান; যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এতে করে জাতীয় গ্রিডে পায়রা থেকে মোট ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।
পটুয়াখালী পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই বছর প্রধানমন্ত্রীকে কোথাও তেমন যেতে দেখিনি। এর মধ্যে ২১ তারিখ প্রধানমন্ত্রী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আসতে যাচ্ছেন। আসলে পটুয়াখালীতে নির্মিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও মেগা প্রকল্পগুলো প্রধানমন্ত্রীর একক চেষ্টাই হয়েছে। তাই তাঁর এ আগমনকে স্বাগত জানাই।’
পটুয়াখালীর পায়রার বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা বলেন, ‘২০২০ সালের ১৫ মে থেকে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে। আর ওই বছরের ডিসেম্বরে দুটি ইউনিটে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা লাভ করে। তবে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ না হওয়ায় এখন একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। তবে এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ জাতীয় গ্রিডে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পুরোটাই সরবরাহ করা যাবে।’
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তার মধ্যে কোভিড প্রটোকলও রয়েছে। মাঠে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা বাহিনীসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীতে আসবেন। তিনি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন। এ সময় সুধীজনের সঙ্গে এক মতবিনিময়ও করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। গত আট মাসে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার এসব ঘটনায় পর্যালোচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এসব হত্যাকাণ্ডে একই গ্যাং জড়িত।
৪ ঘণ্টা আগেমেয়াদ শেষের প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুরে দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দুধকুমারের তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী ম্যানেজারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের টাকা নিয়ে...
৪ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে বসানো হয়েছে হাট-বাজার। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার পরিবেশ। খেলাধুলার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটিতে যাওয়া-আসা করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের।
৪ ঘণ্টা আগেবালুমহাল হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়নি; তবে দিব্যি নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ শতাধিক ট্রাক মাটি উঠছে পাড় থেকে। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই মাটি ও বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় ইউএনওর বাসায় ককটেল ফোটানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে