Ajker Patrika

এলজিইডি'র ঘুষের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

রুদ্র রুহান, বরগুনা
এলজিইডি'র ঘুষের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়, ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ‘ঘুষ’ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এলজিইডি'র একজনকে চাকরিচ্যুত ও দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা হলেন-বরগুনার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ফোরম্যান মো. জিয়াউর রহমান। এ ছাড়া বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন-এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান এবং এলজিইডির আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক মো. হুমায়ুন কবির। 

গতকাল শনিবার এলজিইডি বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ওয়ার্কশপ ইনচার্জ মো. জিয়াউর রহমানের ঘুষ নেওয়ার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিডিওটি জুন মাসে ধারণ করা। ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আগে ভাই মাল (টাকা) দিয়ে কথা বলেন।’ ভিডিওতে জিয়াউর রহমানকে গুনে গুনে ঘুষের টাকা নিতে দেখা যায়। পাশাপাশি পুকুর ও খাল খনন (আইপিসিপি) প্রকল্পের অধীনে ওই দপ্তরের কর্মকর্তাকে কত শতাংশ ঘুষ দিতে হয়, তা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বুঝিয়ে বলতে শোনা যায় তাঁকে। এ সময় তিনি (জিয়াউর) সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বলেন, প্রকল্প পরিচালক বাবদ ২২ হাজার টাকা, নির্বাহী প্রকৌশলীকে ২ শতাংশ অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা এবং এসও নজরুল ইসলামের জন্য তিনি ১৩ হাজার টাকা কেটে রেখেছেন। আর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের জন্য নির্ধারিত টাকা তাঁদের হাতে দিয়ে আসতে বলেন তিনি। 

গত ১৮ জুলাই ধারণ করা আরও একটি  ভিডিওতে দেখা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান একটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে  ঘুষ আদায় করছেন। 

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বরগুনার আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের আরও একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হিসাবরক্ষক মো. হুমায়ুন কবির অফিসকক্ষে ধূমপানরত অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘টাকা দিতে হবে, টাকা না দিলে কোনো বিল দেওয়া যাবে না। এ টাকা আমি একা খাই না। আপনারা টাকা কম দিলে আমি কি আমার পকেটের টাকা দিয়ে স্যারদের দেব।’ 

এর আগে ঘুষ লেনদেনকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জের ধরে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান এবং একজন সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার মো. ফরহাদ জোমাদ্দারের বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে প্রকাশ্য মারামারি ও ধস্তাধস্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তোলে। 

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ধস্তাধস্তির সময় উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান এবং ঠিকাদার মো. ফরহাদ জোমাদ্দার একে অপরকে ‘সুদখোর’ এবং ‘ঘুষখোর’ বলে গালি দিয়ে কিল ঘুষি মারছেন এবং মাটিতে পড়েও তারা ধস্তাধস্তি করছেন। 

এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বরগুনার অধীনে আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ২০২০ সালের ২৮ জুলাই ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩টি লোহার সেতু সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি বরগুনা। ওই দরপত্র অনুয়ায়ী সেতু নেই এমন কোথাও নতুন করে সেতু নির্মাণের সুযোগ নেই। অথচ দরপত্রে উল্লেখিত ৩৩টি সেতুর মধ্যে একটি সেতুর বাস্তবে কোনো সন্ধান মেলেনি। চারটি বাঁশের সাঁকোকে সেতু দেখিয়ে তা সংস্কারের জন্য ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় এলজিইডি। 

এ ঘটনায় এলজিইডি বরগুনার অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভৌতিক সেতু নিয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই ভৌতিক দরপত্রটি বাতিল করতে বাধ্য হয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। 

ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের অভিযোগ, বরগুনার এলজিইডি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারেরা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ উন্নয়নকর্মী। সরকারের সব উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করে থাকি। দিন–রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে, পকেটের টাকা খরচ করে সরকারের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করি। অথচ সেই কাজ বাস্তবায়নের পর বিল তুলতে গিয়ে ঘাটে ঘাটে আমাদের কড়ায়-গন্ডায় ঘুষের পার্সেন্ট গুনতে হয়।’ 

অপর একজন ঠিকাদার বলেন, ‘কাজ পেতে হলে ঘুষ দিতে হয়, ওয়ার্ক অর্ডার পেতে ঘুষ দিতে হয়, কাজ বাস্তবায়নের সময় তদারকি কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়, এরপর বিল পাওয়ার আগে হিসাবরক্ষকসহ অফিস সহকারী, উপসহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী, এমনকি প্রকল্প পরিচালকসহ ঘাটে ঘাটে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এসব কারণে ঠিকাদারি পেশা থেকে এখন সরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।’ 

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে এলজিইডির বরগুনা কার্যালয়ের ওয়ার্কশপ ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আমি ফরিদপুরে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। আমি শিগগিরই অফিসে আসব এবং এসে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলব।’ তবে তিনি কবে অফিসে আসবেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আসব শিগগিরই।’ 

জানতে চাইলে বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আপনি কোন ভিডিওর কথা বলছেন, তা আমি অবগত নই। ভিডিওতে যে টাকা দেখানো হয়েছে, ওই টাকা আমার ঈদের বেতন এবং বোনাসের টাকা। ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ 

বরগুনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস কে আরিফুল ইসলাম বলেন, টাকা গ্রহণের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেননি। 

জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘ঘুষ–দুর্নীতির এমন চিত্র কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ–দুর্নীতির কারণেই আমাদের দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’ 

সচেতন নাগরিক কমিটি  বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি আইনজীবী আনিসুর রহমান বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সারা দেশের স্থানীয় উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অগ্রণী। এখানকার অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দৌরাত্ম্যে শুধু সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে তা নয়, সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনে রাসিকে অচলাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর নগর ভবনের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর নগর ভবনের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন। আজ বুধবার সকাল থেকেও সারা দিন প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর ফলে কোনো সেবাগ্রহীতা কিংবা রাসিকের শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।

আজ সকালের দিকে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এতে প্রতিটি বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশই পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মচারী। তাঁরা কর্মবিরতি শুরু করায় ইতিমধ্যে ‘পরিচ্ছন্ন নগরী’ হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ীভাবে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের বেশি। এসব শ্রমিকের প্রতিদিনের নির্ধারিত মজুরি ৬০০ টাকা হলেও বাস্তবে পাচ্ছেন ৪৮৪ টাকা করে। এ ছাড়া কোনো দিন কাজে অনুপস্থিত থাকলে তাঁরা বেতন-ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।

তাঁরা বলছেন, গত জানুয়ারিতে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৭৫০ টাকা ও অদক্ষ শ্রমিকদের ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু রাসিক এখনো সেটি বাস্তবায়ন করেনি।

প্রধান ফটক অবরোধ রেখে সমাবেশ চলাকালে বক্তারা বলেন, সব শ্রমিক-কর্মচারীর মাসিক বেতন ন্যূনতম ২২ হাজার ৫০০ টাকা করতে হবে। মাসের তিন তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত উৎসব ভাতাও চালু করতে হবে। কোনো শ্রমিককে বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না; যদি কোনো অনিয়ম ঘটে, তবে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে। চাকরি স্থায়ী করতে হবে এবং চাকরি শেষ হলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।

পরিবহন শাখার গাড়িচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পর রাসিক প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। রাসিকের সচিব ছিলেন ওই কমিটির প্রধান। কমিটির শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও গত তিন মাসে কোনো বৈঠক হয়নি। ফলে বেতনও বাড়েনি।

পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ভ্যানচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চার মাস আগে ভ্যানে আবর্জনা তুলতে গিয়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ পায়ে ঢুকে যায়। তিন মাস চিকিৎসা নিতে হয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন চিকিৎসা ব্যয় দেয়নি, বরং কাজ করতে না পারায় বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে আমি চরম অসহায় অবস্থায় আছি।’

করপোরেশনের প্রবেশদ্বারে শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে আজ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আহমদ আল মঈন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর ঈ সাঈদ, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা সিটি ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সেবাগ্রহীতারা। আগের দিন শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনের বাইরে একটি সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে এ দিন তাঁরা অফিসেই আসেননি।

এ বিষয়ে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে তাঁরা বেশ কিছু বেআইনি দাবি তুলেছেন। সবকিছু আইনের মধ্যেই করা হবে। তাঁদের আন্দোলনে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। তাঁদের নেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পেছনে কারও ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত মাদ্রাসাশিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত মাদ্রাসাশিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাঁদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

আহত শিক্ষকেরা হলেন নজরুল ইসলাম (৫৫), ওসমান গনি (৩৫), আব্দুল জলিল (৪৫), মাসুদ আলম (৬০), আহমদ আলী (৪৫), রুহুল আমিন (৪৫), আব্দুল হাদী (৩২), রেজাউল ইসলাম (৩৫), শাহ আলম (৫৫), নুরুল ইসলাম (৫০), মো. শাহাবুদ্দিন (৩০), মোরশেদ আলম (৪৫), রুবিনা আক্তার (৩৮), আরিফুর রহমান(৩৫), আজিজুলহক (৩৫), কুলসুম আক্তার (৩৫), শাহ আলম (৪৫), আব্দুস সালামসহ (৪১) অনেকে।

ঢামেকে আহত কয়েকজন শিক্ষক জানান, তাঁরা ১৭ দিন ধরে প্রেসক্লাবে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করছিলেন। আজকে দুপুরে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন। এতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক আহত হন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, প্রেসক্লাব এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর বলেন, দুপরের দিকে শিক্ষকেরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের পাশে সচিবালয়ের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রী আটক

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামে স্বামী হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। নিহত আব্দুল করীম (২৫) উপজেলার নন্দলালপুর গ্রামের নবী মণ্ডলের ছেলে।

সরেজমিনে জানা যায়, এক মাস আগে নন্দলালপুর গ্রামের নবী মণ্ডলের ছেলে আব্দুল করীম সাঁথিয়া উপজেলার বাঐটোলা গ্রামের হাচেন আলীর মেয়ে তানজিলা খাতুনকে বিয়ে করেন। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তানজিলা তাঁর স্বামীকে ওষুধ খাওয়ান। এর কিছুক্ষণ পরেই পেটে জালাপোড়া শুরু হলে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রথমে স্থানীয় নূরজাহান হাসপাতাল, পরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা নবী মণ্ডল বলেন, ‘রাতে আমার ছেলেকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর কথা বলে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। এরপর পেটে ব্যথা শুরু হয়। নুরজাহান হাসপাতালের ডাক্তার দেখার পরে খাজা ইউনুস হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। সেখানে নিয়ে গেলে আমার ছেলে মারা যায়।’

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী বলেন, এখনো কোনো মামলা হয়নি। গৃহবধূকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেট্রোরেল নিরাপত্তা বিধি মেনেই চলছে: ডিএমটিসিএল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর জনপ্রিয় গণপরিবহন মেট্রোরেল নিরাপত্তাসংক্রান্ত সব বিধিবিধান মেনেই চলাচল করছে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

আজ বুধবার ডিএমটিসিএল পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেট্রোরেল সম্পূর্ণ নিরাপদভাবে চলাচল করছে। যাত্রীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

রাজধানীর ফার্মগেটে গত রোববার মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে একজন পথচারীর মৃত্যু ও দুজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় এবং পরিদর্শনের পর পুনরায় চালু করা হয়।

ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা দুর্ঘটনার কারণ শনাক্ত ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের সুপারিশ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত