মনোতোষ হাওলাদার, বরগুনা
বরগুনার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় প্রতিদিন সংরক্ষিত বনভূমির শত শত গাছপালা কেটে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই চলছে অবৈধ সব করাতকল। গড়ে উঠছে শত শত ঘরবাড়ি। সহস্রাধিক গাছ কেটে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বনের ভেতর করা হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। গহিন বনের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে মাছের ঘের, কৃষি প্রকল্প, গবাদিপশুর খামার। চলছে মাদক কারবার। আর এর সবই হচ্ছে বন বিভাগকে ম্যানেজ করে।
জানা গেছে, নদী ও সাগরতীরবর্তী বনাঞ্চলের হাজার হাজার গাছ কেটে অবৈধভাবে সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে চলছে খুটাজাল-বাণিজ্য। আর এসব বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে খোদ বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম এবং সহকারী বন সংরক্ষক ও বরগুনা অঞ্চলের রেঞ্জার আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। সরেজমিন পরিদর্শনে বন বিভাগের এমন নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে। খোদ বন বিভাগের কর্মচারীদের অভিযোগ, আখতারুজ্জামান বরগুনায় যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলের অনিয়ম-দুর্নীতি বেড়ে গেছে। তিনি প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা মাসোহারা নেন অবৈধ করাতকল থেকে শুরু করে মাছের ঘের, বসতবাড়ি এমনকি মাছ ধরার ট্রলারের দরিদ্র জেলেদের কাছ থেকেও।
করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা, ২০১২ অনুযায়ী সব লাইসেন্স প্রদানের এখতিয়ার বন বিভাগের। সেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত বা অন্য যেকোনো ধরনের সরকারি বন ভূমির সীমানা হইতে ন্যূনতম ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন করাত কল স্থাপন করা যাবে না।’ অথচ ১০ কিলোমিটার তো দূরের কথা, বনভূমির দু-তিন শ গজের মধ্যে রয়েছে এমন করাতকলের সংখ্যা শুধু বরগুনা জেলায় হবে অন্তত ২৫টি। পটুয়াখালী ও বরগুনা বন অঞ্চল মিলিয়ে এই সংখ্যা হবে অর্ধশতাধিক। এসব করাতকল থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত মাসোহারা নেন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সরেজমিন বরগুনার কুমিরমারা, গোড়াপদ্মা ও নিশানবাড়িয়ার বনভূমি ঘুরে দেখা গেছে, কোটি টাকার ভুয়া প্রকল্পে বনের ভেতর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা। বরগুনা সদরের নলটোনা ইউনিয়নের বঙ্গোপসাগর-তীরবর্তী কুমিরমারা বনভূমির গহিনে কুমিরমারা খালের মৌজায় দেখা গেছে, বন বিভাগের সহস্রাধিক গাছ কেটে নির্মাণ করা হয়েছে ১৫ ফুট প্রশস্ত কাঁচা সড়ক। আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বশেষ এমপি গোলাম সরোয়ার টুকুর আমলে গত বছর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সড়কটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের অব্যাহত প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখেও বন্ধ হয়নি সে সড়ক নির্মাণের কাজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন সাবেক ইউপি সদস্য বলেন, ‘সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে ভুয়া প্রকল্পের অধীনে। এলাকাবাসীসহ তিনি তখন এ কাজে বাধা দেন। কিন্তু তা কেউ শোনেনি। তিনি আরও বলেন, বন বিভাগ এ বিষয়ে কোনো আপত্তি দেয়নি; বরং ওই ভুয়া প্রকল্পের ঠিকাদারের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছে বলে আমরা শুনেছি।’
কুমিরমারা গ্রামের বেড়িবাঁধ থেকে শুরু হয়ে বন বিভাগের সহস্রাধিক গাছ কেটে বনভূমি উজাড় করে সংরক্ষিত বনের গহিনে চলে গেছে নবনির্মিত দীর্ঘ একটি কাঁচা সড়ক। সড়কটি ধরে কুমিরমারা খালের মৌজায় গিয়ে দেখা গেছে, মাটি কাটার এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা সারি সারি মাছের ঘের, কৃষি প্রকল্প এবং টিনের তৈরি ঘরবাড়ি। স্থানীয় গ্রামবাসীর শত শত গবাদিপশুর নির্বিঘ্ন চারণভূমি সেখানে। কুমিরমারা বনভূমির পাশেই গোড়াপদ্মা বনভূমি। যেখানে জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি ডাকবাংলো করা হয়েছে। এর পাশ দিয়েই বনের শত শত গাছ কেটে বনের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে মাটির সড়ক। বছর দুই আগে নির্মিত এই সড়কের অধিকাংশই জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে বিলীন হয়ে গেছে। বন বিভাগের উদাসীনতায় বেশির ভাগ সময়ে স্থানীয় মাদক কারবারিদের মাদক সেবন ও বাণিজ্যের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে এসব গহিন বনভূমি। কুমিরমারা বনভূমির পরেই নিশানবাড়িয়ার সংরক্ষিত বন। এখানেই বন উজাড় করে বানানো হয়েছে শতাধিক বসতবাড়ি, মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার।
জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নে সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে মাছের ঘের করা হয়েছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে; বিশেষ করে বরগুনার আমতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের সীমানায় কুয়াকাটা মহাসড়ক-সংলগ্ন বাইপাস এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমি উজাড় করে মাছের ঘের এবং বসতবাড়ি বানানোর মহোৎসব দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী স্থানীয়দের অভিযোগ, সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত এবং সামাজিক বনায়ন সংরক্ষণে বন বিভাগের একটি প্রকল্পের নাম সুফল প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে চলছে নজিরবিহীন অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা। বনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এমন সুবিধাভোগী বাছাই করা হয়েছে উৎকোচ নিয়ে। এতে বাদ পড়েছে বনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৃত সুবিধাভোগীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা অঞ্চলের রেঞ্জার আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলো মিথ্যা।’ এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় সামাজিক বন বিভাগের উপবন সংরক্ষক মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘বনের জমি দখল কিংবা বনের মধ্যে কোনো ধরনের করাতকল স্থাপন করা আইনত দণ্ডনীয়। আমাদের কোনো কর্মকর্তা এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় প্রতিদিন সংরক্ষিত বনভূমির শত শত গাছপালা কেটে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই চলছে অবৈধ সব করাতকল। গড়ে উঠছে শত শত ঘরবাড়ি। সহস্রাধিক গাছ কেটে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বনের ভেতর করা হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। গহিন বনের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে মাছের ঘের, কৃষি প্রকল্প, গবাদিপশুর খামার। চলছে মাদক কারবার। আর এর সবই হচ্ছে বন বিভাগকে ম্যানেজ করে।
জানা গেছে, নদী ও সাগরতীরবর্তী বনাঞ্চলের হাজার হাজার গাছ কেটে অবৈধভাবে সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে চলছে খুটাজাল-বাণিজ্য। আর এসব বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে খোদ বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম এবং সহকারী বন সংরক্ষক ও বরগুনা অঞ্চলের রেঞ্জার আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। সরেজমিন পরিদর্শনে বন বিভাগের এমন নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে। খোদ বন বিভাগের কর্মচারীদের অভিযোগ, আখতারুজ্জামান বরগুনায় যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলের অনিয়ম-দুর্নীতি বেড়ে গেছে। তিনি প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা মাসোহারা নেন অবৈধ করাতকল থেকে শুরু করে মাছের ঘের, বসতবাড়ি এমনকি মাছ ধরার ট্রলারের দরিদ্র জেলেদের কাছ থেকেও।
করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা, ২০১২ অনুযায়ী সব লাইসেন্স প্রদানের এখতিয়ার বন বিভাগের। সেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত বা অন্য যেকোনো ধরনের সরকারি বন ভূমির সীমানা হইতে ন্যূনতম ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন করাত কল স্থাপন করা যাবে না।’ অথচ ১০ কিলোমিটার তো দূরের কথা, বনভূমির দু-তিন শ গজের মধ্যে রয়েছে এমন করাতকলের সংখ্যা শুধু বরগুনা জেলায় হবে অন্তত ২৫টি। পটুয়াখালী ও বরগুনা বন অঞ্চল মিলিয়ে এই সংখ্যা হবে অর্ধশতাধিক। এসব করাতকল থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত মাসোহারা নেন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সরেজমিন বরগুনার কুমিরমারা, গোড়াপদ্মা ও নিশানবাড়িয়ার বনভূমি ঘুরে দেখা গেছে, কোটি টাকার ভুয়া প্রকল্পে বনের ভেতর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা। বরগুনা সদরের নলটোনা ইউনিয়নের বঙ্গোপসাগর-তীরবর্তী কুমিরমারা বনভূমির গহিনে কুমিরমারা খালের মৌজায় দেখা গেছে, বন বিভাগের সহস্রাধিক গাছ কেটে নির্মাণ করা হয়েছে ১৫ ফুট প্রশস্ত কাঁচা সড়ক। আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বশেষ এমপি গোলাম সরোয়ার টুকুর আমলে গত বছর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সড়কটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের অব্যাহত প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখেও বন্ধ হয়নি সে সড়ক নির্মাণের কাজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন সাবেক ইউপি সদস্য বলেন, ‘সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে ভুয়া প্রকল্পের অধীনে। এলাকাবাসীসহ তিনি তখন এ কাজে বাধা দেন। কিন্তু তা কেউ শোনেনি। তিনি আরও বলেন, বন বিভাগ এ বিষয়ে কোনো আপত্তি দেয়নি; বরং ওই ভুয়া প্রকল্পের ঠিকাদারের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছে বলে আমরা শুনেছি।’
কুমিরমারা গ্রামের বেড়িবাঁধ থেকে শুরু হয়ে বন বিভাগের সহস্রাধিক গাছ কেটে বনভূমি উজাড় করে সংরক্ষিত বনের গহিনে চলে গেছে নবনির্মিত দীর্ঘ একটি কাঁচা সড়ক। সড়কটি ধরে কুমিরমারা খালের মৌজায় গিয়ে দেখা গেছে, মাটি কাটার এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা সারি সারি মাছের ঘের, কৃষি প্রকল্প এবং টিনের তৈরি ঘরবাড়ি। স্থানীয় গ্রামবাসীর শত শত গবাদিপশুর নির্বিঘ্ন চারণভূমি সেখানে। কুমিরমারা বনভূমির পাশেই গোড়াপদ্মা বনভূমি। যেখানে জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি ডাকবাংলো করা হয়েছে। এর পাশ দিয়েই বনের শত শত গাছ কেটে বনের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে মাটির সড়ক। বছর দুই আগে নির্মিত এই সড়কের অধিকাংশই জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে বিলীন হয়ে গেছে। বন বিভাগের উদাসীনতায় বেশির ভাগ সময়ে স্থানীয় মাদক কারবারিদের মাদক সেবন ও বাণিজ্যের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে এসব গহিন বনভূমি। কুমিরমারা বনভূমির পরেই নিশানবাড়িয়ার সংরক্ষিত বন। এখানেই বন উজাড় করে বানানো হয়েছে শতাধিক বসতবাড়ি, মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার।
জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নে সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে মাছের ঘের করা হয়েছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে; বিশেষ করে বরগুনার আমতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের সীমানায় কুয়াকাটা মহাসড়ক-সংলগ্ন বাইপাস এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমি উজাড় করে মাছের ঘের এবং বসতবাড়ি বানানোর মহোৎসব দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী স্থানীয়দের অভিযোগ, সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত এবং সামাজিক বনায়ন সংরক্ষণে বন বিভাগের একটি প্রকল্পের নাম সুফল প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে চলছে নজিরবিহীন অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা। বনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এমন সুবিধাভোগী বাছাই করা হয়েছে উৎকোচ নিয়ে। এতে বাদ পড়েছে বনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৃত সুবিধাভোগীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা অঞ্চলের রেঞ্জার আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলো মিথ্যা।’ এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় সামাজিক বন বিভাগের উপবন সংরক্ষক মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘বনের জমি দখল কিংবা বনের মধ্যে কোনো ধরনের করাতকল স্থাপন করা আইনত দণ্ডনীয়। আমাদের কোনো কর্মকর্তা এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মনোতোষ হাওলাদার, বরগুনা
বরগুনার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় প্রতিদিন সংরক্ষিত বনভূমির শত শত গাছপালা কেটে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই চলছে অবৈধ সব করাতকল। গড়ে উঠছে শত শত ঘরবাড়ি। সহস্রাধিক গাছ কেটে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বনের ভেতর করা হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। গহিন বনের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে মাছের ঘের, কৃষি প্রকল্প, গবাদিপশুর খামার। চলছে মাদক কারবার। আর এর সবই হচ্ছে বন বিভাগকে ম্যানেজ করে।
জানা গেছে, নদী ও সাগরতীরবর্তী বনাঞ্চলের হাজার হাজার গাছ কেটে অবৈধভাবে সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে চলছে খুটাজাল-বাণিজ্য। আর এসব বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে খোদ বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম এবং সহকারী বন সংরক্ষক ও বরগুনা অঞ্চলের রেঞ্জার আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। সরেজমিন পরিদর্শনে বন বিভাগের এমন নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে। খোদ বন বিভাগের কর্মচারীদের অভিযোগ, আখতারুজ্জামান বরগুনায় যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলের অনিয়ম-দুর্নীতি বেড়ে গেছে। তিনি প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা মাসোহারা নেন অবৈধ করাতকল থেকে শুরু করে মাছের ঘের, বসতবাড়ি এমনকি মাছ ধরার ট্রলারের দরিদ্র জেলেদের কাছ থেকেও।
করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা, ২০১২ অনুযায়ী সব লাইসেন্স প্রদানের এখতিয়ার বন বিভাগের। সেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত বা অন্য যেকোনো ধরনের সরকারি বন ভূমির সীমানা হইতে ন্যূনতম ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন করাত কল স্থাপন করা যাবে না।’ অথচ ১০ কিলোমিটার তো দূরের কথা, বনভূমির দু-তিন শ গজের মধ্যে রয়েছে এমন করাতকলের সংখ্যা শুধু বরগুনা জেলায় হবে অন্তত ২৫টি। পটুয়াখালী ও বরগুনা বন অঞ্চল মিলিয়ে এই সংখ্যা হবে অর্ধশতাধিক। এসব করাতকল থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত মাসোহারা নেন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সরেজমিন বরগুনার কুমিরমারা, গোড়াপদ্মা ও নিশানবাড়িয়ার বনভূমি ঘুরে দেখা গেছে, কোটি টাকার ভুয়া প্রকল্পে বনের ভেতর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা। বরগুনা সদরের নলটোনা ইউনিয়নের বঙ্গোপসাগর-তীরবর্তী কুমিরমারা বনভূমির গহিনে কুমিরমারা খালের মৌজায় দেখা গেছে, বন বিভাগের সহস্রাধিক গাছ কেটে নির্মাণ করা হয়েছে ১৫ ফুট প্রশস্ত কাঁচা সড়ক। আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বশেষ এমপি গোলাম সরোয়ার টুকুর আমলে গত বছর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সড়কটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের অব্যাহত প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখেও বন্ধ হয়নি সে সড়ক নির্মাণের কাজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন সাবেক ইউপি সদস্য বলেন, ‘সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে ভুয়া প্রকল্পের অধীনে। এলাকাবাসীসহ তিনি তখন এ কাজে বাধা দেন। কিন্তু তা কেউ শোনেনি। তিনি আরও বলেন, বন বিভাগ এ বিষয়ে কোনো আপত্তি দেয়নি; বরং ওই ভুয়া প্রকল্পের ঠিকাদারের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছে বলে আমরা শুনেছি।’
কুমিরমারা গ্রামের বেড়িবাঁধ থেকে শুরু হয়ে বন বিভাগের সহস্রাধিক গাছ কেটে বনভূমি উজাড় করে সংরক্ষিত বনের গহিনে চলে গেছে নবনির্মিত দীর্ঘ একটি কাঁচা সড়ক। সড়কটি ধরে কুমিরমারা খালের মৌজায় গিয়ে দেখা গেছে, মাটি কাটার এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা সারি সারি মাছের ঘের, কৃষি প্রকল্প এবং টিনের তৈরি ঘরবাড়ি। স্থানীয় গ্রামবাসীর শত শত গবাদিপশুর নির্বিঘ্ন চারণভূমি সেখানে। কুমিরমারা বনভূমির পাশেই গোড়াপদ্মা বনভূমি। যেখানে জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি ডাকবাংলো করা হয়েছে। এর পাশ দিয়েই বনের শত শত গাছ কেটে বনের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে মাটির সড়ক। বছর দুই আগে নির্মিত এই সড়কের অধিকাংশই জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে বিলীন হয়ে গেছে। বন বিভাগের উদাসীনতায় বেশির ভাগ সময়ে স্থানীয় মাদক কারবারিদের মাদক সেবন ও বাণিজ্যের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে এসব গহিন বনভূমি। কুমিরমারা বনভূমির পরেই নিশানবাড়িয়ার সংরক্ষিত বন। এখানেই বন উজাড় করে বানানো হয়েছে শতাধিক বসতবাড়ি, মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার।
জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নে সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে মাছের ঘের করা হয়েছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে; বিশেষ করে বরগুনার আমতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের সীমানায় কুয়াকাটা মহাসড়ক-সংলগ্ন বাইপাস এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমি উজাড় করে মাছের ঘের এবং বসতবাড়ি বানানোর মহোৎসব দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী স্থানীয়দের অভিযোগ, সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত এবং সামাজিক বনায়ন সংরক্ষণে বন বিভাগের একটি প্রকল্পের নাম সুফল প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে চলছে নজিরবিহীন অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা। বনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এমন সুবিধাভোগী বাছাই করা হয়েছে উৎকোচ নিয়ে। এতে বাদ পড়েছে বনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৃত সুবিধাভোগীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা অঞ্চলের রেঞ্জার আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলো মিথ্যা।’ এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় সামাজিক বন বিভাগের উপবন সংরক্ষক মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘বনের জমি দখল কিংবা বনের মধ্যে কোনো ধরনের করাতকল স্থাপন করা আইনত দণ্ডনীয়। আমাদের কোনো কর্মকর্তা এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় প্রতিদিন সংরক্ষিত বনভূমির শত শত গাছপালা কেটে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই চলছে অবৈধ সব করাতকল। গড়ে উঠছে শত শত ঘরবাড়ি। সহস্রাধিক গাছ কেটে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বনের ভেতর করা হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। গহিন বনের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে মাছের ঘের, কৃষি প্রকল্প, গবাদিপশুর খামার। চলছে মাদক কারবার। আর এর সবই হচ্ছে বন বিভাগকে ম্যানেজ করে।
জানা গেছে, নদী ও সাগরতীরবর্তী বনাঞ্চলের হাজার হাজার গাছ কেটে অবৈধভাবে সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে চলছে খুটাজাল-বাণিজ্য। আর এসব বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে খোদ বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. সফিকুল ইসলাম এবং সহকারী বন সংরক্ষক ও বরগুনা অঞ্চলের রেঞ্জার আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। সরেজমিন পরিদর্শনে বন বিভাগের এমন নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে। খোদ বন বিভাগের কর্মচারীদের অভিযোগ, আখতারুজ্জামান বরগুনায় যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলের অনিয়ম-দুর্নীতি বেড়ে গেছে। তিনি প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা মাসোহারা নেন অবৈধ করাতকল থেকে শুরু করে মাছের ঘের, বসতবাড়ি এমনকি মাছ ধরার ট্রলারের দরিদ্র জেলেদের কাছ থেকেও।
করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা, ২০১২ অনুযায়ী সব লাইসেন্স প্রদানের এখতিয়ার বন বিভাগের। সেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত বা অন্য যেকোনো ধরনের সরকারি বন ভূমির সীমানা হইতে ন্যূনতম ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন করাত কল স্থাপন করা যাবে না।’ অথচ ১০ কিলোমিটার তো দূরের কথা, বনভূমির দু-তিন শ গজের মধ্যে রয়েছে এমন করাতকলের সংখ্যা শুধু বরগুনা জেলায় হবে অন্তত ২৫টি। পটুয়াখালী ও বরগুনা বন অঞ্চল মিলিয়ে এই সংখ্যা হবে অর্ধশতাধিক। এসব করাতকল থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত মাসোহারা নেন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সরেজমিন বরগুনার কুমিরমারা, গোড়াপদ্মা ও নিশানবাড়িয়ার বনভূমি ঘুরে দেখা গেছে, কোটি টাকার ভুয়া প্রকল্পে বনের ভেতর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা। বরগুনা সদরের নলটোনা ইউনিয়নের বঙ্গোপসাগর-তীরবর্তী কুমিরমারা বনভূমির গহিনে কুমিরমারা খালের মৌজায় দেখা গেছে, বন বিভাগের সহস্রাধিক গাছ কেটে নির্মাণ করা হয়েছে ১৫ ফুট প্রশস্ত কাঁচা সড়ক। আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বশেষ এমপি গোলাম সরোয়ার টুকুর আমলে গত বছর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে সড়কটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের অব্যাহত প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখেও বন্ধ হয়নি সে সড়ক নির্মাণের কাজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন সাবেক ইউপি সদস্য বলেন, ‘সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে ভুয়া প্রকল্পের অধীনে। এলাকাবাসীসহ তিনি তখন এ কাজে বাধা দেন। কিন্তু তা কেউ শোনেনি। তিনি আরও বলেন, বন বিভাগ এ বিষয়ে কোনো আপত্তি দেয়নি; বরং ওই ভুয়া প্রকল্পের ঠিকাদারের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছে বলে আমরা শুনেছি।’
কুমিরমারা গ্রামের বেড়িবাঁধ থেকে শুরু হয়ে বন বিভাগের সহস্রাধিক গাছ কেটে বনভূমি উজাড় করে সংরক্ষিত বনের গহিনে চলে গেছে নবনির্মিত দীর্ঘ একটি কাঁচা সড়ক। সড়কটি ধরে কুমিরমারা খালের মৌজায় গিয়ে দেখা গেছে, মাটি কাটার এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা সারি সারি মাছের ঘের, কৃষি প্রকল্প এবং টিনের তৈরি ঘরবাড়ি। স্থানীয় গ্রামবাসীর শত শত গবাদিপশুর নির্বিঘ্ন চারণভূমি সেখানে। কুমিরমারা বনভূমির পাশেই গোড়াপদ্মা বনভূমি। যেখানে জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি ডাকবাংলো করা হয়েছে। এর পাশ দিয়েই বনের শত শত গাছ কেটে বনের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে মাটির সড়ক। বছর দুই আগে নির্মিত এই সড়কের অধিকাংশই জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে বিলীন হয়ে গেছে। বন বিভাগের উদাসীনতায় বেশির ভাগ সময়ে স্থানীয় মাদক কারবারিদের মাদক সেবন ও বাণিজ্যের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে এসব গহিন বনভূমি। কুমিরমারা বনভূমির পরেই নিশানবাড়িয়ার সংরক্ষিত বন। এখানেই বন উজাড় করে বানানো হয়েছে শতাধিক বসতবাড়ি, মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার।
জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নে সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে মাছের ঘের করা হয়েছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে বরগুনা জেলার আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে; বিশেষ করে বরগুনার আমতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের সীমানায় কুয়াকাটা মহাসড়ক-সংলগ্ন বাইপাস এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমি উজাড় করে মাছের ঘের এবং বসতবাড়ি বানানোর মহোৎসব দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী স্থানীয়দের অভিযোগ, সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত এবং সামাজিক বনায়ন সংরক্ষণে বন বিভাগের একটি প্রকল্পের নাম সুফল প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে চলছে নজিরবিহীন অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা। বনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এমন সুবিধাভোগী বাছাই করা হয়েছে উৎকোচ নিয়ে। এতে বাদ পড়েছে বনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৃত সুবিধাভোগীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা অঞ্চলের রেঞ্জার আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলো মিথ্যা।’ এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় সামাজিক বন বিভাগের উপবন সংরক্ষক মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘বনের জমি দখল কিংবা বনের মধ্যে কোনো ধরনের করাতকল স্থাপন করা আইনত দণ্ডনীয়। আমাদের কোনো কর্মকর্তা এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরের মাদারগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ৩৫ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১৩টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। চলাচল ও কৃষিপণ্য পরিবহনে এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ১৯৯০ সালের এক ভয়াবহ বন্যার পর, যখন যমুনার ভাঙনে গ্রামগুলো উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সক্ষমতা বাড়ানো ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও বাস্তবে তা এখন গলার কাঁটা হয়েছে। নিম্নমানের উপকরণ সরবরাহের ফলে শুরুতেই এসব ডিজিটাল ল্যাব মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিণত হয়েছে ই-বর্জ্যে। অথচ এসব ল্যাব পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সরকারিভাবে নিয়মিত মাসিক বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ল্যাবে কাজ না থাকায় তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব ল্যাব স্থাপনে এই উপজেলায় সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা জলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট পুরোনো সংস্করণের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, এলিইডি টিভি, হোয়াইটবোর্ড, রাউটার, ইন্টারনেট, ট্যাব, সার্ভার সিস্টেমসহ যাবতীয় হার্ডওয়ার ও ফার্নিচার সরবরাহ করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা মানহীন পণ্য সরবরাহ করে এসব ল্যাব থেকে দুই থেকে তিন কোটি টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌর সদরের তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার। অবশিষ্ট সাতটি স্কুল, চারটি কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। সরেজমিনে অধিকাংশ ডিজিটাল ল্যাবের করুণ দশা দেখা গেছে।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এখানে স্থাপিত ‘স্কুল অব ফিউচার’ কার্যত বন্ধ। প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম জানান, অপারেটর না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ। টেকনিশিয়ান চেয়ে বারবার আইসিটি অধিদপ্তরে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি।
নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ল্যাবের ৩০টি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সম্পূর্ণ অচল এবং ল্যাবটি এখন ই-বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনছারী বলেন, নিম্নমানের সরঞ্জামের কারণে ল্যাবটি অচল হয়ে পড়েছে।
গুল্টা বাজার শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজে ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ থেকে সাতটি কম্পিউটার উধাও। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও তাঁর নিকটজনেরা এসব ল্যাপটপ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন।
অন্যান্য ল্যাবের অবস্থাও এই তিন ল্যাবের মতো। তবে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কয়েকটি কম্পিউটার এখনো সচল রয়েছে। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর ল্যাবের কক্ষটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ল্যাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৪টি শর্ত প্রযোজ্য থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। মূলত সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যরা নিয়মকানুন অমান্য করে তাঁদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিও লেটার দিয়েছেন এবং সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ঠিক কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিটি ল্যাব স্থাপনে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই হিসাবে তাড়াশের ১৮টি ল্যাবে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অভিযোগ করেন, ল্যাবগুলোর সমস্যার বিষয়ে বারবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরে আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। উপজেলা আইসিটি অফিসারের কার্যালয় থেকে সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ল্যাব পরিদর্শনের প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ল্যাব প্রতিষ্ঠার সময় বরাদ্দ বা সরঞ্জামের মান সম্পর্কে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা এগুলো ফেলে রাখেন। যার ফলে তা একদিন অচল হয়ে যায়। তাঁর মতে, দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করে বিশেষজ্ঞ দ্বারা ল্যাবগুলো নিয়মিত সার্ভিস করা না গেলে সরকারের আইসিটি শিক্ষা প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এ এস এম লোকমান কোনো তথ্য দিতে পারেননি এবং আগের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সক্ষমতা বাড়ানো ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও বাস্তবে তা এখন গলার কাঁটা হয়েছে। নিম্নমানের উপকরণ সরবরাহের ফলে শুরুতেই এসব ডিজিটাল ল্যাব মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিণত হয়েছে ই-বর্জ্যে। অথচ এসব ল্যাব পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সরকারিভাবে নিয়মিত মাসিক বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ল্যাবে কাজ না থাকায় তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব ল্যাব স্থাপনে এই উপজেলায় সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা জলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট পুরোনো সংস্করণের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, এলিইডি টিভি, হোয়াইটবোর্ড, রাউটার, ইন্টারনেট, ট্যাব, সার্ভার সিস্টেমসহ যাবতীয় হার্ডওয়ার ও ফার্নিচার সরবরাহ করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা মানহীন পণ্য সরবরাহ করে এসব ল্যাব থেকে দুই থেকে তিন কোটি টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌর সদরের তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার। অবশিষ্ট সাতটি স্কুল, চারটি কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। সরেজমিনে অধিকাংশ ডিজিটাল ল্যাবের করুণ দশা দেখা গেছে।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এখানে স্থাপিত ‘স্কুল অব ফিউচার’ কার্যত বন্ধ। প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম জানান, অপারেটর না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ। টেকনিশিয়ান চেয়ে বারবার আইসিটি অধিদপ্তরে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি।
নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ল্যাবের ৩০টি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সম্পূর্ণ অচল এবং ল্যাবটি এখন ই-বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনছারী বলেন, নিম্নমানের সরঞ্জামের কারণে ল্যাবটি অচল হয়ে পড়েছে।
গুল্টা বাজার শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজে ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ থেকে সাতটি কম্পিউটার উধাও। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও তাঁর নিকটজনেরা এসব ল্যাপটপ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন।
অন্যান্য ল্যাবের অবস্থাও এই তিন ল্যাবের মতো। তবে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কয়েকটি কম্পিউটার এখনো সচল রয়েছে। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর ল্যাবের কক্ষটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ল্যাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৪টি শর্ত প্রযোজ্য থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। মূলত সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যরা নিয়মকানুন অমান্য করে তাঁদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিও লেটার দিয়েছেন এবং সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ঠিক কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিটি ল্যাব স্থাপনে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই হিসাবে তাড়াশের ১৮টি ল্যাবে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অভিযোগ করেন, ল্যাবগুলোর সমস্যার বিষয়ে বারবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরে আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। উপজেলা আইসিটি অফিসারের কার্যালয় থেকে সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ল্যাব পরিদর্শনের প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ল্যাব প্রতিষ্ঠার সময় বরাদ্দ বা সরঞ্জামের মান সম্পর্কে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা এগুলো ফেলে রাখেন। যার ফলে তা একদিন অচল হয়ে যায়। তাঁর মতে, দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করে বিশেষজ্ঞ দ্বারা ল্যাবগুলো নিয়মিত সার্ভিস করা না গেলে সরকারের আইসিটি শিক্ষা প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এ এস এম লোকমান কোনো তথ্য দিতে পারেননি এবং আগের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
বরগুনার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় প্রতিদিন সংরক্ষিত বনভূমির শত শত গাছপালা কেটে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই চলছে অবৈধ সব করাতকল। গড়ে উঠছে শত শত ঘরবাড়ি। সহস্রাধিক গাছ কেটে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বনের ভেতর করা হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। গহিন বনের ভে
২৭ জুলাই ২০২৫রাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরের মাদারগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ৩৫ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১৩টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। চলাচল ও কৃষিপণ্য পরিবহনে এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ১৯৯০ সালের এক ভয়াবহ বন্যার পর, যখন যমুনার ভাঙনে গ্রামগুলো উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে বেলা পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্দিকুরের ছোট ভাই মো. ওয়াহিদ জানান, সিদ্দিকুর পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনটির পঞ্চম তলায় ইলেকট্রিকের কাজ করছিলেন। কাজ করার সময় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। সহকর্মীরা স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ভবন থেকে কীভাবে পড়ে গেছেন সিদ্দিকুর, তা জানেন না ওয়াহিদ।
সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সখীপুর থানার কালিকাকন্দি গ্রামে। তাঁর বাবা আব্দুস সাত্তার। সিদ্দিকুর স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কদমতলীর জনতাবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
রাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে বেলা পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্দিকুরের ছোট ভাই মো. ওয়াহিদ জানান, সিদ্দিকুর পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনটির পঞ্চম তলায় ইলেকট্রিকের কাজ করছিলেন। কাজ করার সময় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। সহকর্মীরা স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ভবন থেকে কীভাবে পড়ে গেছেন সিদ্দিকুর, তা জানেন না ওয়াহিদ।
সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সখীপুর থানার কালিকাকন্দি গ্রামে। তাঁর বাবা আব্দুস সাত্তার। সিদ্দিকুর স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কদমতলীর জনতাবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বরগুনার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় প্রতিদিন সংরক্ষিত বনভূমির শত শত গাছপালা কেটে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই চলছে অবৈধ সব করাতকল। গড়ে উঠছে শত শত ঘরবাড়ি। সহস্রাধিক গাছ কেটে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বনের ভেতর করা হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। গহিন বনের ভে
২৭ জুলাই ২০২৫সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরের মাদারগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ৩৫ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১৩টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। চলাচল ও কৃষিপণ্য পরিবহনে এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ১৯৯০ সালের এক ভয়াবহ বন্যার পর, যখন যমুনার ভাঙনে গ্রামগুলো উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাফিজুর রহমান রাস্তা পারাপারের সময় একটি গরুবোঝাই নছিমন গাড়ি তাঁকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নছিমনটি থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ,
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাফিজুর রহমান রাস্তা পারাপারের সময় একটি গরুবোঝাই নছিমন গাড়ি তাঁকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নছিমনটি থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ,
বরগুনার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় প্রতিদিন সংরক্ষিত বনভূমির শত শত গাছপালা কেটে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই চলছে অবৈধ সব করাতকল। গড়ে উঠছে শত শত ঘরবাড়ি। সহস্রাধিক গাছ কেটে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বনের ভেতর করা হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। গহিন বনের ভে
২৭ জুলাই ২০২৫সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেজামালপুরের মাদারগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ৩৫ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১৩টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। চলাচল ও কৃষিপণ্য পরিবহনে এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ১৯৯০ সালের এক ভয়াবহ বন্যার পর, যখন যমুনার ভাঙনে গ্রামগুলো উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরের মাদারগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ৩৫ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১৩টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। চলাচল ও কৃষিপণ্য পরিবহনে এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ১৯৯০ সালের এক ভয়াবহ বন্যার পর, যখন যমুনার ভাঙনে গ্রামগুলো উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে নির্মিত নড়বড়ে বাঁশ ও কাঠের সেতুটিই এখন এই এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
১৯৯০ সালের বন্যায় যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে জামালপুরের মাদারগঞ্জের বালিজুড়ী ইউনিয়নের নাংলাসহ ১৩টি গ্রাম উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই ভাঙনে যমুনার শাখা নদী বড় নদীতে পরিণত হয়, যা পারাপারের জন্য কোনো পাকা সেতু নির্মিত হয়নি।
সেতুবিহীন এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের নাংলা, নাদাগাড়ী, পশ্চিম সুখনগরী এবং জোড়খালী ইউনিয়নের ফুলজোড়, কাইজের চর, আতামারীর বাসিন্দারা। এ ছাড়া বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ী ও বোহাইল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষও এই পথে যাতায়াত করে।
নাংলা গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী আলতাফুর রহমান জানান, ১৯৯০ সালের ভাঙনে যমুনার শাখা নদী বড় নদীতে পরিণত হয়। এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম আর চাঁদা তুলে বাঁশ-কাঠের এই সেতু তৈরি করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। চরাঞ্চলের কৃষক ফসল—মরিচ, পেঁয়াজ, আলু, পাট সঠিক দামে বাজারে বিক্রি করতে পারেন না। যোগাযোগব্যবস্থার সমস্যার কারণে ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
পশ্চিম সুখনগরী গ্রামের মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘৩৫ বছরেও সেতু হয়নি। মনে হয় মাদারগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র থেকে আমরা বাদ পড়ে যাচ্ছি। সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। সাতবার ভোট দিয়েও স্থানীয় এমপির নজরে আসেনি এই দুর্ভোগ। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে, অনেক কোমলমতি শিশু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে সেতু পার হতে ভয় পায়।’
নাদাগাড়ী গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া জানান, জামালপুরের শেষ সীমান্ত, গাইবান্ধা জেলা এবং বগুড়ার হাজার হাজার মানুষ এই পথ ব্যবহার করে, কিন্তু ৩৫ বছরেও এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়নি, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে বেইলি ব্রিজ করার সুযোগ নেই। তবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে।
এলাকাবাসীর জোর দাবি, দ্রুত একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হলে দীর্ঘদিনের অসহনীয় দুর্ভোগের অবসান হবে।
জামালপুরের মাদারগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ৩৫ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ১৩টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। চলাচল ও কৃষিপণ্য পরিবহনে এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ১৯৯০ সালের এক ভয়াবহ বন্যার পর, যখন যমুনার ভাঙনে গ্রামগুলো উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে নির্মিত নড়বড়ে বাঁশ ও কাঠের সেতুটিই এখন এই এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
১৯৯০ সালের বন্যায় যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে জামালপুরের মাদারগঞ্জের বালিজুড়ী ইউনিয়নের নাংলাসহ ১৩টি গ্রাম উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই ভাঙনে যমুনার শাখা নদী বড় নদীতে পরিণত হয়, যা পারাপারের জন্য কোনো পাকা সেতু নির্মিত হয়নি।
সেতুবিহীন এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের নাংলা, নাদাগাড়ী, পশ্চিম সুখনগরী এবং জোড়খালী ইউনিয়নের ফুলজোড়, কাইজের চর, আতামারীর বাসিন্দারা। এ ছাড়া বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ী ও বোহাইল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষও এই পথে যাতায়াত করে।
নাংলা গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী আলতাফুর রহমান জানান, ১৯৯০ সালের ভাঙনে যমুনার শাখা নদী বড় নদীতে পরিণত হয়। এলাকার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম আর চাঁদা তুলে বাঁশ-কাঠের এই সেতু তৈরি করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। চরাঞ্চলের কৃষক ফসল—মরিচ, পেঁয়াজ, আলু, পাট সঠিক দামে বাজারে বিক্রি করতে পারেন না। যোগাযোগব্যবস্থার সমস্যার কারণে ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
পশ্চিম সুখনগরী গ্রামের মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘৩৫ বছরেও সেতু হয়নি। মনে হয় মাদারগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র থেকে আমরা বাদ পড়ে যাচ্ছি। সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। সাতবার ভোট দিয়েও স্থানীয় এমপির নজরে আসেনি এই দুর্ভোগ। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে, অনেক কোমলমতি শিশু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে সেতু পার হতে ভয় পায়।’
নাদাগাড়ী গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া জানান, জামালপুরের শেষ সীমান্ত, গাইবান্ধা জেলা এবং বগুড়ার হাজার হাজার মানুষ এই পথ ব্যবহার করে, কিন্তু ৩৫ বছরেও এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়নি, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে বেইলি ব্রিজ করার সুযোগ নেই। তবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে।
এলাকাবাসীর জোর দাবি, দ্রুত একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হলে দীর্ঘদিনের অসহনীয় দুর্ভোগের অবসান হবে।
বরগুনার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় প্রতিদিন সংরক্ষিত বনভূমির শত শত গাছপালা কেটে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই চলছে অবৈধ সব করাতকল। গড়ে উঠছে শত শত ঘরবাড়ি। সহস্রাধিক গাছ কেটে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বনের ভেতর করা হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। গহিন বনের ভে
২৭ জুলাই ২০২৫সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরুবোঝাই নছিমনের চাপায় হাফিজুর রহমান (৩৭) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারিতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান তাড়াশ দক্ষিণপাড়ার রবিউল করিমের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে