মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেরপুর
মনোহরী ও মুদী দোকানে ঝুলছে সাদা পলিথিনে মোড়ানো চিপসের প্যাকেট। গায়ে লেখা নেই কোনো কোম্পানির নাম। প্যাকেটের ভেতরে চিপসের সঙ্গে আছে ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার চকচকে জাল নোট। বোঝার উপায়ই নেই এটি আসল না নকল। শুধু টাকার গায়ে লাল হরফে ছোট করে লেখা আছে 'নমুনা টাকা'। শিশু পণ্যের মধ্য দিয়ে দিয়ে মেহেরপুরে এভাবেই জাল টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি চক্র।
মেহেরপুরের গাংনীর কুঞ্জনগর গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম। গত সোমবার তিনি বামুন্দি হাটে পাট বিক্রি করেন দশ হাজার টাকায়। বাড়ি ফিরে ওই টাকার মধ্যে 'নমুনা টাকা' লেখা ৫০০ টাকার চকচকে দুটি নোট খুঁজে পান। তিনি বাড়ির পাশেই এক চায়ের দোকানে গিয়ে নিশ্চিত হোন নোটগুলো নকল। একই সমস্যায় গাংনী কাথুলী ইউনিয়নের ধলা গ্রামের সবজি বিক্রেতা মনিরুল আলম। তাঁর আয় করা ১৫ হাজার টাকার মধ্যে পেয়েছেন তিনটি ৫০০ টাকা এবং একটি ১০০০ টাকার একই ধরনের জাল নোট।
শুধু গ্রাম নয়, মেহেরপুর শহরেও মিলছে এই ধরনের নতুন ও চকচকে জাল নোট। শহরের মুদি ব্যবসায়ী হারুণ আলী জানান, এই জাল নোটের কারণে এখন বেশি টাকার কিছু বিক্রি করলে ভালো করে নোট যাচাই করতে হচ্ছে। কারণ গত ৩ মাসে ৫টি জাল নোট পেয়ে তিনি ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাজারে নতুন আসা এক চিপসের প্যাকেটের মাধ্যমেই মেহেরপুরে ছড়িয়ে পড়ছে এই জাল টাকা। মেহেরপুরের সকল মুদি ও মনোহারী দোকানে বিক্রি হচ্ছে এ জাতীয় গুটি চিপস। প্যাকেটের গায়ে লেখা নেই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম। এ ছাড়া অনুপস্থিত পণ্যের মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ ও বিএসটিআই এর অনুমোদন। একটা বড় প্যাকেটের ভেতর ২০টি ছোট প্যাকেট। প্রতি প্যাকেটের ভেতরে আছে ২০টি করে ৫০০ অথবা ১০০০ টাকার অবিকল নতুন নোট। শুধু টাকার গায়ে লাল হরফে ছোট করে লেখা আছে 'নমুনা টাকা'।
মেহেরপুর শহরের বিভিন্ন দোকান সহ কাজিপুর ও হাড়াভাঙ্গা বাজারের রাজিয়া স্টোর, স্বপন স্টোর, পাতা স্টোরে ব্যাপক হারে পাওয়া যাচ্ছে এসব চিপস। দোকানিরা জানান, বাজারে প্রচলিত চিপসের মধ্যে এটাই সবচেয়ে কম দামের। প্রতিটি চিপস ৩ টাকায় কিনে ৫-৭ টাকায় বিক্রি করছেন তাঁরা। তা ছাড়া প্যাকেটের ভেতরে নতুন টাকা থাকার বিষয়টি শিশুদের আকর্ষণ বাড়িয়েছে। তাই শিশুরা এই চিপস বেশি কিনছে। তারা বলছেন, চিপসের প্যাকেটে কোথা থেকে আসে এটা তাঁরা জানে না। একজন হকার বাইরে থেকে এসে একদিন অর্ডার নিয়ে যান। পরের দিন অন্যজন এসে মালামাল দিয়ে যান।
একটি চক্র বাজারে জাল টাকা ছড়ানোর জন্য শিশুদের পছন্দের কিছু পণ্যকে ব্যবহার করে প্রতারণার নতুন ফাঁদ সৃষ্টি করার বিষয়ে মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম জামি আজকের পত্রিকাকে জানান, শিশুদের চিপসের ভেতর অবিকল টাকা ব্যবহার বিষয়টি পুলিশের নজরে এসেছে। অনেকে তাঁদের কাছে এমন শিশুখাদ্য বিক্রি বন্ধে অভিযোগ করেছে। ইতিমধ্যে জাল টাকাসহ চিপস বিক্রির অপরাধে কয়েকজন মুদি ও মনোহারী ব্যবসায়ীকে আটক করে পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জাল টাকা ছাপানোর রুট বের করতে এই চিপস সরবরাহকারী ব্যবসায়ী চক্রটিকে ধরার চেষ্টায় আছে।
তবে বিএসটিআইর অনুমোদন ছাড়া খাবার রাখায় বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএসটিআই অনুমোদনবিহীন এই সব ভাজাপোড়া খাবার শিশুদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর। এসব খাবার যাতে বাজারজাত করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।
মনোহরী ও মুদী দোকানে ঝুলছে সাদা পলিথিনে মোড়ানো চিপসের প্যাকেট। গায়ে লেখা নেই কোনো কোম্পানির নাম। প্যাকেটের ভেতরে চিপসের সঙ্গে আছে ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার চকচকে জাল নোট। বোঝার উপায়ই নেই এটি আসল না নকল। শুধু টাকার গায়ে লাল হরফে ছোট করে লেখা আছে 'নমুনা টাকা'। শিশু পণ্যের মধ্য দিয়ে দিয়ে মেহেরপুরে এভাবেই জাল টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি চক্র।
মেহেরপুরের গাংনীর কুঞ্জনগর গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম। গত সোমবার তিনি বামুন্দি হাটে পাট বিক্রি করেন দশ হাজার টাকায়। বাড়ি ফিরে ওই টাকার মধ্যে 'নমুনা টাকা' লেখা ৫০০ টাকার চকচকে দুটি নোট খুঁজে পান। তিনি বাড়ির পাশেই এক চায়ের দোকানে গিয়ে নিশ্চিত হোন নোটগুলো নকল। একই সমস্যায় গাংনী কাথুলী ইউনিয়নের ধলা গ্রামের সবজি বিক্রেতা মনিরুল আলম। তাঁর আয় করা ১৫ হাজার টাকার মধ্যে পেয়েছেন তিনটি ৫০০ টাকা এবং একটি ১০০০ টাকার একই ধরনের জাল নোট।
শুধু গ্রাম নয়, মেহেরপুর শহরেও মিলছে এই ধরনের নতুন ও চকচকে জাল নোট। শহরের মুদি ব্যবসায়ী হারুণ আলী জানান, এই জাল নোটের কারণে এখন বেশি টাকার কিছু বিক্রি করলে ভালো করে নোট যাচাই করতে হচ্ছে। কারণ গত ৩ মাসে ৫টি জাল নোট পেয়ে তিনি ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাজারে নতুন আসা এক চিপসের প্যাকেটের মাধ্যমেই মেহেরপুরে ছড়িয়ে পড়ছে এই জাল টাকা। মেহেরপুরের সকল মুদি ও মনোহারী দোকানে বিক্রি হচ্ছে এ জাতীয় গুটি চিপস। প্যাকেটের গায়ে লেখা নেই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম। এ ছাড়া অনুপস্থিত পণ্যের মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ ও বিএসটিআই এর অনুমোদন। একটা বড় প্যাকেটের ভেতর ২০টি ছোট প্যাকেট। প্রতি প্যাকেটের ভেতরে আছে ২০টি করে ৫০০ অথবা ১০০০ টাকার অবিকল নতুন নোট। শুধু টাকার গায়ে লাল হরফে ছোট করে লেখা আছে 'নমুনা টাকা'।
মেহেরপুর শহরের বিভিন্ন দোকান সহ কাজিপুর ও হাড়াভাঙ্গা বাজারের রাজিয়া স্টোর, স্বপন স্টোর, পাতা স্টোরে ব্যাপক হারে পাওয়া যাচ্ছে এসব চিপস। দোকানিরা জানান, বাজারে প্রচলিত চিপসের মধ্যে এটাই সবচেয়ে কম দামের। প্রতিটি চিপস ৩ টাকায় কিনে ৫-৭ টাকায় বিক্রি করছেন তাঁরা। তা ছাড়া প্যাকেটের ভেতরে নতুন টাকা থাকার বিষয়টি শিশুদের আকর্ষণ বাড়িয়েছে। তাই শিশুরা এই চিপস বেশি কিনছে। তারা বলছেন, চিপসের প্যাকেটে কোথা থেকে আসে এটা তাঁরা জানে না। একজন হকার বাইরে থেকে এসে একদিন অর্ডার নিয়ে যান। পরের দিন অন্যজন এসে মালামাল দিয়ে যান।
একটি চক্র বাজারে জাল টাকা ছড়ানোর জন্য শিশুদের পছন্দের কিছু পণ্যকে ব্যবহার করে প্রতারণার নতুন ফাঁদ সৃষ্টি করার বিষয়ে মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম জামি আজকের পত্রিকাকে জানান, শিশুদের চিপসের ভেতর অবিকল টাকা ব্যবহার বিষয়টি পুলিশের নজরে এসেছে। অনেকে তাঁদের কাছে এমন শিশুখাদ্য বিক্রি বন্ধে অভিযোগ করেছে। ইতিমধ্যে জাল টাকাসহ চিপস বিক্রির অপরাধে কয়েকজন মুদি ও মনোহারী ব্যবসায়ীকে আটক করে পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জাল টাকা ছাপানোর রুট বের করতে এই চিপস সরবরাহকারী ব্যবসায়ী চক্রটিকে ধরার চেষ্টায় আছে।
তবে বিএসটিআইর অনুমোদন ছাড়া খাবার রাখায় বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএসটিআই অনুমোদনবিহীন এই সব ভাজাপোড়া খাবার শিশুদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর। এসব খাবার যাতে বাজারজাত করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।
রাজধানীর গুলশানে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
১২ মিনিট আগেআজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কয়েক শ শ্রমিক। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৪ মিনিট আগেভুল ট্রেনে উঠে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি টাঙ্গাইলের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে পৃথকভাবে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের কাছে তাঁরা জবানবন্দি দেন। রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, আপনাদের এই জমায়েত আমাদের বিশ্বাস করায়, যারা এখন মামলা বাণিজ্য করছেন, যারা চাঁদাবাজি করছেন, তাঁদের দিন ফুরিয়ে আসছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, আমাদের এই তরুণ প্রজন্ম যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে
১ ঘণ্টা আগে