কবিতা

এমন নিদ্রা নিয়ে ফুটেছে হরিদ্রা যাই তাকে ছুঁয়ে দিয়ে বলি ঘুম কেন আসে চোখে নির্ঘুম পতঙ্গদের নিয়ে চলা এ ক্ষণ

আমি আমার মগজ খুলে রেখেছি টেবিলে— মগজ থেকে বোধগুলো প্রজাপতি হয়ে উড়ে যায় কোন্ দূরে, সেখানে মেঘেরা সাদা হাঁস হয়ে উড়ে উড়ে রঙধনু আঁকে স্বপ্ন দিয়ে; চশমার কাচ পরিষ্কার করে দেখতে পাই কিছু স্মৃতি পুকুরঘাটে কাঁদে

রামগরুড়ের ছানা হাসে হুলোর শোনায় গান, কে ধরছে আবোল তাবোল গোষ্টপুরের তান। মনের মাঝে তবলা বাজে ধাঁই ধপাধপ ধাঁই, খেয়াল রসে সবাই মজে রসের ফর্দাফাঁই।

লাল ফ্রক পরা এই সকাল দুপুর হয়েছে গা খুলে বসে আছে রোদ তাকে টেনে নিয়ে যাও মাদুরের মতো অথবা দিন’কে ফোটাও যতক্ষণ না গলে গলে উড়ে যায় বাষ্প হয়ে।

দু-হাত শেকড় যেন। শেকড়ের বাঁকানো আঙুল তাল তাল অন্ধকার খুঁড়ে নিরুপাধি অতলে নেমেছে ভূতলের বহুস্তর নিচে ক্ষীণকটি সুন্দরীর গ্রীবা, চিনাংশুকে আবৃত প্রতিমা আগ্নেয় ফসিলরূপে উঠে আসবে আঙুল-শেকড়ে 

চারিদিকে একি হচ্ছে! বিভিন্ন বানান থেকে খুলে যাচ্ছে আকার-ইকার, বাতাস থেকে মরে যাচ্ছে নাইট্রোজেন। কবীর হোসেনের কবিতা থেকে উড়ে গেছে পাখি। আমার নদীবিষয়ক কবিতার মাছগুলো নেই, এবং কবিতার ‘তুমি’গুলোও খুঁজে পাচ্ছি না।

যা কিছু আমার তরঙ্গগণনা—শাসনে করেছ যত বর্ণিল রাখি কর্কট, বৃষ্টির অপেক্ষায় কিছুকাল মেঘের মতো রাত

জ্বর নেই তবু গা গরম নেই কি তোমার লজ্জা শরম কাজ নেই তবু কী যে তুমি করো! জানি, তুমি হিডেন কলেজে পড়ো আর নিজের ভেতরে দ্বিধার পাহাড় গড়ো 

কবিতা নিয়ে আব্বাস কিয়ারোস্তামি বলেছিলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হলো, কবিতাই ইরানিয়ান আর্টের বনিয়াদ কি না—আমি বলেছি সব আর্টেরই ভিত্তি হলো কবিতা। আর্ট হলো- নতুন তথ্যাদির বিস্ময়কর প্রকাশ ও উদ্‌ঘাটন। একইভাবে, সত্যিকার কবিতাও আমাদের মহত্তম কোনো কিছুর দিকে ধাবিত করে। কবিতা আমাদের অভ্যাস, দৈনন্দিনতা এবং

বহুদীর্ঘ এই আয়ুগুলোকে ছুড়ে ফেলব হতাশার ডাস্টবিনে বড় কৌতুকময় এই বেঁচে থাকা দিন ও রাত্রির গোলকে আমি এক খেলনা পিস্তল  গুলি করতে করতে আমি বড্ড ক্লান্ত। 

প্রতিদিন, আমি নরকের দরোজা বানাই কিছু সেলুলয়েড ভর্তি পাহাড়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মা বলতেন, উপকূল ভালো হবে তার জন্য রোজগার কর। সবচেয়ে ভালো হয় বাজারজাত দ্রব্য নির্ধারণ কর...

ঘরে একটি চোরকে লুকিয়ে রাখি, সে আমার অতি প্রিয় মন চোর। তাকে আনন্দে খাবার দিই, ঘুম পাড়াই, চান করাই...

যা দেওয়ার দিয়ে দেওয়া ভালো, চুমু হলে হঠকারী, তার অস্তমান মুখ, সন্তাপের সুযোগ যেন না দেয়...

দরজা সত্য এবং দরজা মিথ্যা, যদি পুং কাজ: খুলে ফ্যালা, খুলে রাখা...

কারা যেন ভালোবেসেছিল, ফুল নেই পাতা নেই, রৌদ্রে পোড়ে ছায়ার শিকড়, ছেঁড়া নূপুরের নৃত্য বিহ্বল বাতাস, মুদ্রায় নেই ঘ্রাণের শব্দ...

উড়ছে শীতের পাখি শীতল ডানায়, খয়েরি চাদর গায়ে তোমাকে মানায়, আমি তো শিকারি নই,হাতে নেই তীর ও ধনুক....

বিজয়ের কবিতা পড়তে হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ফোন করেছেন সুপ্রিয় প্রযোজক টেলিভিশনে ছাপা হবে ছাব্বিশে মার্চ কিংবা ষোলোই ডিসেম্বরে এখন দু’হাজার ২২ সন তাকে না করে দিয়েছি।