Ajker Patrika

আল জাজিরার প্রতিবেদন /ট্রাম্পের অস্পষ্ট গাজা প্রস্তাব: যুদ্ধ না হয় বন্ধ হলো, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কী হবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ০০
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে আরও ৬ দেশ। ছবি: এএফপি
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে আরও ৬ দেশ। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যা মেনে নিতে চেয়েছেন, তা হয়তো দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিরা যা আশা করেছিল তা দিতে পারবে না। এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা।

মাঠের বাস্তবতা উপলব্ধি করা মানুষ হয়তো এই প্রস্তাবকে ইসরায়েলের নিষ্ঠুর হামলার অবসানের স্বস্তির খবর হিসেবে দেখবে। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় অন্তত ৬৬ হাজার ৫৫ জন নিহত ও ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৪৬ জন আহত হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে ইসরায়েলি হামলা বন্ধ হওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও এতে প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনিদের জন্য ইতিবাচক কিছু নেই।

ফিলিস্তিনি আইনজীবী ও বিশ্লেষক দিয়ানা বুত্তু বলেন, ‘এই গণহত্যা শেষ করার প্রক্রিয়াটি জড়িত এক ঔপনিবেশিক পদ্ধতির সঙ্গে। কারণ, এই প্রক্রিয়ায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েল এবং এই গণহত্যায় অর্থের জোগান দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই থাকছে গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার ক্ষমতা।’

বুত্তু ২০০০-২০০৫ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জনবিষয়ক আলোচক দলের আইনি উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘যদি আপনি চুক্তিটি পড়েন তাহলে দেখবেন, এতে ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনো গ্যারান্টি নেই, একটিও নেই। সব গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলিদের জন্য।’

গাজায় মনোযোগ, কিন্তু স্পষ্টতা নেই

পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হবে, ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে, জীবিত বা মৃত যা-ই হোক না কেন। বিনিময়ে ইসরায়েলকে ফিরিয়ে দিতে হবে শতাধিক জীবিত ও মৃতদের অবশেষ। এরপর হামাসকে গাজা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ‘বোর্ড অব পিস বা শান্তি পরিষদের’ হাতে দিতে হবে। এই পরিষদের চেয়ারম্যান বা প্রেসিডেন্ট হবেন ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক অস্থায়ী এই প্রশাসনে থাকবেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে—বিশেষ করে হামাস সদস্যদের উদ্দেশে, যারা গাজায় ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’ এবং অস্ত্র ত্যাগের প্রতিশ্রুতি দেবে, তাদের ক্ষমা করা হবে। অন্য যারা গাজা ছাড়তে চাইবে, তাদের নিরাপদে বাইরে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা সরবরাহ পুনরায় শুরু হবে, ইসরায়েলি সেনারা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর চলে যাবে। কিন্তু এখনো এটি স্পষ্ট নয় যে, কে তাদের প্রত্যাহার নিশ্চিত করবে। এর বাইরে অঞ্চলটির জন্য অর্থনৈতিক পুনর্জীবন পরিকল্পনা তৈরি হবে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ‘সমৃদ্ধ আধুনিক শহর’ তৈরি করা বিশেষজ্ঞরা বাস্তবায়ন করবেন।

হামাস জানিয়েছে, তারা বর্তমানে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছে। তবে ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, যদি হামাস তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, সে ক্ষেত্রে ইসরায়েলের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনও থাকবে। মানবাধিকার সংগঠন ও পণ্ডিতেরা এরই মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলের চলমান কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এই বিষয়ে কাতারের দোহা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মুহান্নাদ সেলুম বলেন, তবে এতে অনেক প্রশ্ন অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে, উদাহরণস্বরূপ, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কথা পরিকল্পনায় উল্লেখ থাকলেও, তাদের কোনো ভূমিকা নেই। আগে একটি সংস্কার কর্মসূচি শেষ করতে হবে, তারপর ক্ষমতা পাবে কর্তৃপক্ষ। ট্রাম্প তাঁর ২০২০ সালে উত্থাপিত শান্তি পরিকল্পনা ও সৌদি-ফরাসি প্রস্তাবের উল্লেখ করেছেন, কিন্তু কোন সংস্কারের কথা তিনি বিশেষভাবে বলছেন তা স্পষ্ট নয়।

অতীতেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে তাদের প্রশাসন সংস্কার করতে, ব্যাপক দুর্নীতি দূর করতে, শিক্ষা পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করতে এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে। এই কর্তৃপক্ষ বন্দীদের পরিবারের সহায়তা কর্মসূচি সংস্কার করেছে। তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সে সংস্কার সত্ত্বেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পুরোনো নীতির বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে হবে যে—তারা সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। এই সন্তুষ্টিকরণ নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তারা গাজা শাসন করতে পারবে না। ফলে স্পষ্ট কোনো লক্ষ্য না থাকায়, ট্রাম্পের নেতৃত্বের অন্তর্বর্তী পরিষদ অনির্দিষ্টকাল গাজায় শাসন চালাতে পারে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজায় যাবতীয় সহায়তা দেওয়া হবে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে। তবে কিছুদিন আগে সহায়তা দিতে গঠিত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুখ্যাত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন বিলুপ্ত হবে কি না তা উল্লেখ নেই প্রস্তাবে। এই ফাউন্ডেশনের কারণে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি সহায়তা পেতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে মুহান্নাদ সেলুম বলেছেন, ‘এটি মনে হচ্ছে দ্রুত তৈরি করা একটি চুক্তি। এই চুক্তি চলাকালে ধীরে ধীরে এটিকে পূর্ণাঙ্গ করা হতে পারে।’

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র স্বীকৃতির বর্তমান পরিস্থিতি কী

গত ২১ সেপ্টেম্বর কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়। এর পর আরও কিছু ইউরোপীয় দেশ, যেমন—ফ্রান্স ও পর্তুগালও একই পথে এগিয়েছে। বিশ্ব নেতারা ‘দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে’ সম্মান জানালেও বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই স্বীকৃতি মূলত মুখরক্ষা করার একটা কৌশল মাত্র।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রায়শই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জন্য দুই রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলছে। সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন এমন একটি প্রস্তাব পাস করা হয়, যা দুই রাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ‘দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান’ বাস্তবতার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক রাখে না। প্রশ্ন হচ্ছে—যদি গাজায় দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি গণহত্যামূলক অভিযান সাময়িকভাবে থেমেও যায়, তবে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রের রূপ কী হবে?

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কথা উঠলেই সাধারণত গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরকে নিয়ে এবং পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে গঠিত রাষ্ট্রের কথা ভাবা হয়। কিন্তু এই অঞ্চলগুলো ক্রমশ ইসরায়েলি বসতি স্থাপন নীতির কারণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি ক্রমেই বেড়ে চলেছে, যা ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে আরও সংকুচিত করছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল বিষয়টিতে নীরবে সম্মতি দিয়েই চলেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার আগেও এই বাস্তবতা ছিল। আর হামলার পর ফিলিস্তিনিদের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ, জমি দখল, বসতি সম্প্রসারণ, ফিলিস্তিনিদের ওপর সেটলার এবং সেনা সহিংসতা, বাড়ি ধ্বংসের মতো কার্যক্রম আরও দ্রুত হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের আগে গাজা উপত্যকা ছিল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় নিরবচ্ছিন্ন এলাকা। তবে গাজার মানুষ পশ্চিম তীর যেতে পারত না, পশ্চিম তীরের মানুষ গাজায় যেতে পারত না। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে বাইরে বের হওয়া কঠিন করে রেখেছিল ইসরায়েল। এখন তা আরও কঠোর হয়েছে।

এখন বিশ্লেষকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা গাজাকে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমের সঙ্গে আরও বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। পরিকল্পনায় কেবল সংক্ষেপে ‘ফিলিস্তিনিদের স্বশাসন ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য সম্ভাব্য বিশ্বাসযোগ্য পথের’ কথা উল্লেখ আছে। যা কিনা আবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অস্পষ্টভাবে নির্দেশিত সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর নির্ভরশীল।

মাঠের বাস্তবতা ও সাম্প্রতিক স্বীকৃতির আলোকে প্রশ্ন উঠছে যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য কি এখন কিছু অবশিষ্ট আছে আসলে? এই বিষয়ে বুত্তু বলেন, ‘এটাই মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। সবাই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, অথচ এটিকে ধীরে ধীরে মুছে ফেলা হচ্ছে মানচিত্র থেকে এবং এটিই বড় সমস্যা।’

এ ছাড়া, ট্রাম্পের পরিকল্পনাও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার বিষয়টি বাইরের পক্ষের সদিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল করে রাখে। যদি ইসরায়েল গাজা থেকে সরে না যায়, তবে ফিলিস্তিনিদের কোনো বিকল্প থাকবে না। নেতানিয়াহু একাধিকবার শপথ করে বলেছেন, তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করবেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের সমর্থক প্রস্তাব পাসের এক দিন আগে নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি বসতি প্রকল্পে এগিয়ে যাওয়ার চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং বলেন, ‘কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে না।’

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই চুক্তি দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। এক. নেতানিয়াহুর সদিচ্ছা এবং দুই. যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এই নিশ্চয়তা যে ইসরায়েল চুক্তি মেনে চলবে। নেতানিয়াহুর শান্তি প্রক্রিয়া ব্যর্থ করার ইতিহাস এবং বারবার দখল আরও গভীর করার কারণে বিশ্লেষকেরা সন্দিহান যে, এটি বাস্তবায়ন হবে। এই বিষয়ে মুহান্নাদ সেলুম বলেন, এই চুক্তি ‘কাগজে কলমে বাস্তবায়নযোগ্য, কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় অনেক বিষয়ই অস্পষ্ট।’

ফিলিস্তিনিরা আগেও ইসরায়েলের সঙ্গে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) মধ্যে স্বাক্ষরিত অসলো চুক্তির ভিত্তিতে ১৯৯০-এর দশকের শুরু ও মধ্যভাগে সম্ভাব্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করা উচিত ছিল। কিন্তু ১৯৯৫-এর দ্বিতীয় চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে খুব কম অগ্রগতি হয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েল বারবার ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করেছে ফিলিস্তিনিদের জমিতে তেল আবিবের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে এবং দুই বছরের গণহত্যামূলক অভিযানের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ মনে হচ্ছে। বুত্তু বলেন, ‘এটি অসলোর থেকেও খারাপ। অসলোতে অন্তত ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি কণ্ঠ ছিল। এখন, এই চুক্তিতে সব ফিলিস্তিনি কণ্ঠকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা আবার সেই যুগে ফিরে গিয়েছি যখন অন্যরা আমাদের পক্ষে কথা বলছে।’

ট্রাম্প গত ২৩ সেপ্টেম্বর আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে তাঁর পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছেন, কিন্তু কোনো ফিলিস্তিনি নেতার সঙ্গে নয়। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের ওপরই গাজার যুদ্ধ শেষ করার দায় চাপিয়েছে। যদি হামাস এমন একটি চুক্তি না মানে তাহলে ইসরায়েলের গণহত্যা চলতে থাকবে এবং সম্ভবত আরও তীব্র হবে—এমনটাই হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

বুত্তু বলেন, ‘এই যে দুই বছর ধরে গণহত্যা চলছে এটাই বড় সমস্যা এবং... তার চেয়েও বড় সমস্যা হলো ফিলিস্তিনিদের নিজেদেরই তাদের আরোপিত গণহত্যা শেষ করার আলোচনায় বাধ্য করা হচ্ছে অন্যের নির্ধারিত শর্তে।’

অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত