রয়টার্স, শিকাগো
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকার পাশাপাশি ‘হার্ড ইমিউনিটি’ বড় রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এমন আশা ছিল একদল বিজ্ঞানীর। তাদের কথায় আস্থা রেখে বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের পথেই হাঁটছিল অনেকে, বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো। কিন্তু সেই আশা অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছিল করোনার ডেলটা ধরন। এর পরও সংক্রমণ রোধে হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে যে ক্ষীণ আশা ছিল, তা-ও এখন নিভতে বসেছে ওমিক্রনের তাণ্ডবে।
নির্দিষ্ট একটি জনগোষ্ঠী টিকা নিয়ে কিংবা রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর যখন তাদের দেহে কোনো সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়, তখন পরোক্ষভাবে ওই পুরো জনগোষ্ঠী রোগটি থেকে সুরক্ষিত থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলা হয় ‘হার্ড ইমিউনিটি’।
তবে শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে সংক্রমণ ঠেকাতে করোনার বিরুদ্ধে তথাকথিত হার্ড ইমিউনিটির ধারণা সহায়ক হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।
মহামারির শুরুর দিকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছিলেন, করোনার বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা সম্ভব ছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ টিকা নেবে বা করোনায় আক্রান্ত হবে।
কিন্তু গত এক বছরে করোনাভাইরাস ধারাবাহিকভাবে রূপ পরিবর্তন করতে থাকায় সেই আশা ম্লান হয়ে গেছে। এমনকি টিকা নিয়েছেন বা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এমন অনেকেই পুনরায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ওমিক্রন বেশি সংক্রামক হওয়ায় নতুন করে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের সম্ভাবনার কথাও তুলছেন অনেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তাদের দাবি, ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও এতে আক্রান্তরা খুব বেশি অসুস্থ হচ্ছেন না। ফলে তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক পথে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে এবং এর মধ্য দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন সহজ হতে পারে।
তবে রোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ওমিক্রন এতটাই সংক্রামক যে এতে টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এটিই সবচেয়ে বড় প্রমাণ, মিউটেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ভেদ করার উপায় খুঁজে বের করতেই থাকবে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. অলিভিয়ের লে পোলেইন বলেন, ‘মহামারিতে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা বলছে, করোনার সংক্রমণ রোধে এমন (হার্ড ইমিউনিটি) তাত্ত্বিক ধারণা সম্ভবত অবাস্তব।’
বিশ্লেষণ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকার পাশাপাশি ‘হার্ড ইমিউনিটি’ বড় রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এমন আশা ছিল একদল বিজ্ঞানীর। তাদের কথায় আস্থা রেখে বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের পথেই হাঁটছিল অনেকে, বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো। কিন্তু সেই আশা অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছিল করোনার ডেলটা ধরন। এর পরও সংক্রমণ রোধে হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে যে ক্ষীণ আশা ছিল, তা-ও এখন নিভতে বসেছে ওমিক্রনের তাণ্ডবে।
নির্দিষ্ট একটি জনগোষ্ঠী টিকা নিয়ে কিংবা রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর যখন তাদের দেহে কোনো সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়, তখন পরোক্ষভাবে ওই পুরো জনগোষ্ঠী রোগটি থেকে সুরক্ষিত থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলা হয় ‘হার্ড ইমিউনিটি’।
তবে শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে সংক্রমণ ঠেকাতে করোনার বিরুদ্ধে তথাকথিত হার্ড ইমিউনিটির ধারণা সহায়ক হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।
মহামারির শুরুর দিকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছিলেন, করোনার বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা সম্ভব ছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ টিকা নেবে বা করোনায় আক্রান্ত হবে।
কিন্তু গত এক বছরে করোনাভাইরাস ধারাবাহিকভাবে রূপ পরিবর্তন করতে থাকায় সেই আশা ম্লান হয়ে গেছে। এমনকি টিকা নিয়েছেন বা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এমন অনেকেই পুনরায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ওমিক্রন বেশি সংক্রামক হওয়ায় নতুন করে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের সম্ভাবনার কথাও তুলছেন অনেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তাদের দাবি, ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও এতে আক্রান্তরা খুব বেশি অসুস্থ হচ্ছেন না। ফলে তুলনামূলক কম ক্ষতিকারক পথে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে এবং এর মধ্য দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন সহজ হতে পারে।
তবে রোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ওমিক্রন এতটাই সংক্রামক যে এতে টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এটিই সবচেয়ে বড় প্রমাণ, মিউটেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ভেদ করার উপায় খুঁজে বের করতেই থাকবে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. অলিভিয়ের লে পোলেইন বলেন, ‘মহামারিতে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা বলছে, করোনার সংক্রমণ রোধে এমন (হার্ড ইমিউনিটি) তাত্ত্বিক ধারণা সম্ভবত অবাস্তব।’
বিশ্লেষণ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ইরানে পতিত পাহলভি রাজবংশের দাবি করা যুবরাজ রেজা পাহলভি দেশটিতে বর্তমান রেজিমের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহের আভাস দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের সাবেক এই যুবরাজ এই পরিকল্পনার আভাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর ইরানিরা বর্তমান ইসলামিক
৪৪ মিনিট আগে২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জেরে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে সর্বশেষ সংযোজন হলো, ইরানে ইসরায়েলি হামলা। এই ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে তেহরানকে দুর্বল করেছে এবং কৌশলগত দিক থেকে ইসরায়েলকে শক্তিশালী করেছে। এসব ঘটনা ছাড়া গত শুক্রবার ইরানের ওপর ইসরায়েলের নতুন আক্রমণ সম্ভব হতো বলে মনে হয় না।
৪ ঘণ্টা আগেইরানে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় তেহরানের সামরিকপ্রধান, শীর্ষ বেশ কয়েকজন জেনারেল, শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ জন। হামলার জবাবে বেশ কয়েক দফায় ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে ইরানও।
১১ ঘণ্টা আগেহরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। এতে তেলের দাম আকাশচুম্বী হবে এবং বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
১২ ঘণ্টা আগে