আব্দুর রহমান
রাশিয়া সফরের লক্ষ্যে ট্রেনযোগে পিয়ংইয়ং ছেড়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। তাঁর এই সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। অনেকে ভাবছেন দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রের লেনদেনসংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে। বিষয়টিকে সামনে রেখেই এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিয়েছে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি করলে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি বিদ্যমানগুলোকে কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে।
রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার মৈত্রীর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের এমন হম্বিতম্বি নতুন নয়। তবে কিমের এবারের রাশিয়া সফর নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সফরটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের কারণে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে একঘরে হয়ে পড়েছে। দেশটির অস্ত্রভান্ডারে টান পড়েছে বলেও ধারণা পশ্চিমা গোয়েন্দা মহলের। এই অবস্থায় রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারে এমন একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মাস খানিক আগে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর পিয়ংইয়ং সফরের সময়ও বিষয়টি আলোচিত হয়।
আরও একটি বিষয় এখানে উল্লেখ্য, রাশিয়ায় এখন চলছে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরাম। এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার ঠিক দুদিন আগে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুযোগ থাকার পরও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপস্থিত হননি। এই সম্মেলনে উপস্থিত হননি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও। কিন্তু রাশিয়া আয়োজিত ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে রাশিয়ার একাধিক ‘অবন্ধু’ দেশসহ মোট ৬৮টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছে। তবে এই সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধি যোগ দিয়েছে চীন, মিয়ানমার, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং আর্মেনিয়া থেকে।
পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা থেকেই জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেননি চীনের প্রেসিডেন্ট। তাঁরা একই মন্তব্য করেছেন পুতিনের বেলায়। বিষয়টি একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। রাশিয়া এবং চীনের বিভিন্ন ফোরামে পশ্চিমা বিশ্ব এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্তঃসারশূন্যতা নিয়ে সরব। তাই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত না থেকে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামকে প্রাধান্য দেওয়া পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কিমের রাশিয়ার পৌঁছানো যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।
পশ্চিমা বিশ্লেষকদের চোখে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অনেক গভীর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির রাশিয়া এডিটর স্টিভেন রোজেনবার্গ বলছেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায়। তাঁর মতে এই বৈবাহিক সম্পর্ক স্বর্গে তৈরি না হলেও ২০২৩ সালের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই এই বিবাহ তৈরি হয়েছে।
পশ্চিমা মতাদর্শ এবং বিশ্ব ব্যবস্থার বিরোধিতা করায় রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া উভয় দেশই তাদের কাছে ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ হিসেবে পরিচিত। এই দুটো দেশই প্রতিনিয়ত যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক যে বিশ্ব ব্যবস্থা তাকে চ্যালেঞ্জ করছে। ফলে স্বাভাবিক কারণেই একটি সাধারণ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দেশ দুটির ঐক্যবদ্ধ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ ছাড়া ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বোঝাপড়া দারুণ। কিম এবং পুতিনের মধ্যকার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দারুণ। এ অবস্থায় স্টিভেন রোজেনবার্গ বলছেন, কিমের রাশিয়া সফর থেকে দুই দেশই লাভবান হবে।
দুই দেশের সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার বাইরেও তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার উপকৃত হওয়ার মতো বেশ কিছু উপাদান রয়েছে। যেমন, রাশিয়া দীর্ঘ দেড় বছর যুদ্ধ চালিয়ে নিজের ভাঁড়ার অনেক খালি করে ফেলেছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। এই অবস্থায় রাশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে উঠতে পারে উত্তর কোরিয়া। কারণ দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্প খাত যথেষ্ট উন্নত এবং এর উৎপাদন সক্ষমতাও অনেক বেশি, যা রাশিয়ার চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে বলেই ধারণা স্টিভেন রোজেনবার্গের।
রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে খাদ্যসংক্রান্ত আলোচনাও হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় তীব্র না হলেও বেশ তীব্র রকমেরই খাদ্য সংকট চলছে। এই অবস্থায় খাদ্যের চাহিদা পূরণ এবং অন্যান্য মানবিক বিষয়ে রাশিয়ার সহায়তা চাইতে পারেন কিম জং উন। এর বাইরেও অনুমান রয়েছে যে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছে স্যাটেলাইট এবং অন্যান্য সামরিক প্রযুক্তিগত বিষয়ে রাশিয়ার সহায়তা কামনা করতে পারে। এমনকি রাশিয়ার মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র ভস্তকনি কসমোড্রোম সফরেও যেতে পারেন কিম। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
তবে কিম জং উন রাশিয়ায় গিয়ে যাই করুন না কেন তা নিশ্চয়ই পশ্চিমা বিশ্বের নীতিনির্ধারকদের জন্য মাথাব্যথার কারণ। এর নমুনা এরই মধ্যে দেখা গেছে ওয়াশিংটনের সতর্কবার্তা থেকে। এ অবস্থায় এখন দেখার বিষয় হলো—রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক কিমের এই সফরে কতটা গভীর হয় এবং তা থেকে দেশ দুটি কতটা উপকৃত হয়। পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে নজর রাখতেই হয়, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এর প্রতিক্রিয়া দেখায়।
তথ্যসূত্র: স্পুতনিক, সিএনএন, বিবিসি এবং রয়টার্স
রাশিয়া সফরের লক্ষ্যে ট্রেনযোগে পিয়ংইয়ং ছেড়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। তাঁর এই সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। অনেকে ভাবছেন দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রের লেনদেনসংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে। বিষয়টিকে সামনে রেখেই এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিয়েছে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি করলে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি বিদ্যমানগুলোকে কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে।
রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার মৈত্রীর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের এমন হম্বিতম্বি নতুন নয়। তবে কিমের এবারের রাশিয়া সফর নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সফরটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের কারণে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে একঘরে হয়ে পড়েছে। দেশটির অস্ত্রভান্ডারে টান পড়েছে বলেও ধারণা পশ্চিমা গোয়েন্দা মহলের। এই অবস্থায় রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারে এমন একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মাস খানিক আগে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর পিয়ংইয়ং সফরের সময়ও বিষয়টি আলোচিত হয়।
আরও একটি বিষয় এখানে উল্লেখ্য, রাশিয়ায় এখন চলছে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরাম। এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার ঠিক দুদিন আগে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুযোগ থাকার পরও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপস্থিত হননি। এই সম্মেলনে উপস্থিত হননি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও। কিন্তু রাশিয়া আয়োজিত ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে রাশিয়ার একাধিক ‘অবন্ধু’ দেশসহ মোট ৬৮টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছে। তবে এই সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধি যোগ দিয়েছে চীন, মিয়ানমার, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং আর্মেনিয়া থেকে।
পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা বলছেন, বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা থেকেই জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেননি চীনের প্রেসিডেন্ট। তাঁরা একই মন্তব্য করেছেন পুতিনের বেলায়। বিষয়টি একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। রাশিয়া এবং চীনের বিভিন্ন ফোরামে পশ্চিমা বিশ্ব এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অন্তঃসারশূন্যতা নিয়ে সরব। তাই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত না থেকে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামকে প্রাধান্য দেওয়া পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কিমের রাশিয়ার পৌঁছানো যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।
পশ্চিমা বিশ্লেষকদের চোখে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অনেক গভীর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির রাশিয়া এডিটর স্টিভেন রোজেনবার্গ বলছেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায়। তাঁর মতে এই বৈবাহিক সম্পর্ক স্বর্গে তৈরি না হলেও ২০২৩ সালের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই এই বিবাহ তৈরি হয়েছে।
পশ্চিমা মতাদর্শ এবং বিশ্ব ব্যবস্থার বিরোধিতা করায় রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া উভয় দেশই তাদের কাছে ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ হিসেবে পরিচিত। এই দুটো দেশই প্রতিনিয়ত যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক যে বিশ্ব ব্যবস্থা তাকে চ্যালেঞ্জ করছে। ফলে স্বাভাবিক কারণেই একটি সাধারণ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দেশ দুটির ঐক্যবদ্ধ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ ছাড়া ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বোঝাপড়া দারুণ। কিম এবং পুতিনের মধ্যকার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দারুণ। এ অবস্থায় স্টিভেন রোজেনবার্গ বলছেন, কিমের রাশিয়া সফর থেকে দুই দেশই লাভবান হবে।
দুই দেশের সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার বাইরেও তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার উপকৃত হওয়ার মতো বেশ কিছু উপাদান রয়েছে। যেমন, রাশিয়া দীর্ঘ দেড় বছর যুদ্ধ চালিয়ে নিজের ভাঁড়ার অনেক খালি করে ফেলেছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। এই অবস্থায় রাশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে উঠতে পারে উত্তর কোরিয়া। কারণ দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্প খাত যথেষ্ট উন্নত এবং এর উৎপাদন সক্ষমতাও অনেক বেশি, যা রাশিয়ার চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে বলেই ধারণা স্টিভেন রোজেনবার্গের।
রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে খাদ্যসংক্রান্ত আলোচনাও হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় তীব্র না হলেও বেশ তীব্র রকমেরই খাদ্য সংকট চলছে। এই অবস্থায় খাদ্যের চাহিদা পূরণ এবং অন্যান্য মানবিক বিষয়ে রাশিয়ার সহায়তা চাইতে পারেন কিম জং উন। এর বাইরেও অনুমান রয়েছে যে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কাছে স্যাটেলাইট এবং অন্যান্য সামরিক প্রযুক্তিগত বিষয়ে রাশিয়ার সহায়তা কামনা করতে পারে। এমনকি রাশিয়ার মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র ভস্তকনি কসমোড্রোম সফরেও যেতে পারেন কিম। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
তবে কিম জং উন রাশিয়ায় গিয়ে যাই করুন না কেন তা নিশ্চয়ই পশ্চিমা বিশ্বের নীতিনির্ধারকদের জন্য মাথাব্যথার কারণ। এর নমুনা এরই মধ্যে দেখা গেছে ওয়াশিংটনের সতর্কবার্তা থেকে। এ অবস্থায় এখন দেখার বিষয় হলো—রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক কিমের এই সফরে কতটা গভীর হয় এবং তা থেকে দেশ দুটি কতটা উপকৃত হয়। পাশাপাশি আরও একটি বিষয়ে নজর রাখতেই হয়, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র দিলে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এর প্রতিক্রিয়া দেখায়।
তথ্যসূত্র: স্পুতনিক, সিএনএন, বিবিসি এবং রয়টার্স
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক বেলুচ বিদ্রোহীদের প্রতি হুঁশিয়ারি অনেকের কাছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মনে হচ্ছে—ঠিক যেমনটা করেছিলেন ইয়াহিয়া খান, ১৯৭১ সালে। বিভাজন, দমন ও অস্বীকারের সেই পুরোনো কৌশলই যেন ফিরে এসেছে নতুন ইউনিফর্মে। ইতিহাস আবার প্রশ্ন করছে—পাকিস্তান কি কিছুই শিখল না?
১ দিন আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাণিজ্য যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির বেশ কিছু নজির রয়েছে। উনিশ শতকের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা বলতে ছয় বা তার বেশি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত টানা অর্থনৈতিক সংকোচন বোঝানো হয়। যদিও এর কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই।
১ দিন আগেমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
৩ দিন আগেট্রাম্পের শুল্ক ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বিশাল ধাক্কা। এই দেশগুলো চিপস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে জড়িত। তারা এখন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দ্বন্দ্বের মাঝে আটকা পড়েছে। যেখানে চীন তাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী ও সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।
৩ দিন আগে