সিরিয়ার দীর্ঘ বছরের শাসক বাশার আল-আসাদ ও তাঁর শাসন ব্যবস্থা পতনের মুখে পড়লেও দেশটি এখনো বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তির লড়াইয়ের মঞ্চ হিসেবে রয়ে গেছে।
বুধবার এক নিবন্ধে সিএনএন জানিয়েছে, আসাদের পতন হওয়ায় একটি বিপজ্জনক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে সিরিয়ায়। বিভিন্ন পক্ষ তাদের স্বার্থ অর্জনের জন্য এই শূন্যতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
আসাদের পতনের পর সিরিয়ার নেতৃত্ব নিয়েছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। তবে দেশটিতে এখনো প্রতিবেশী দেশের আক্রমণ এবং অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন পক্ষ এখন নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে শত্রুদের পরাজিত করতে চায়।
বিদেশি শক্তিগুলোর মধ্যে তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ায় বিশেষ স্বার্থ নিয়ে কাজ করে আসছে। আসাদ সরকারের পতনের আগেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের কুর্দি বাহিনীকে অপসারণের জন্য অভিযান চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কারণ ওই অঞ্চলের কুর্দিদের তুরস্কের ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ বা পিকেকে-এর অংশ বা সমর্থক মনে করা হয়।
আসাদের পতনের পর তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) এবং কুর্দি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি তুরস্ক সিরিয়ার কুর্দি শহর কোবানির কাছে তাদের বাহিনী মোতায়েন করেছে।
তবে এই কুর্দি বাহিনী আইএসআইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ছিল। তুরস্ক সমর্থিত যোদ্ধাদের মধ্যে কুর্দি বাহিনীর সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত আইএসআইএস বন্দিশালাগুলোর নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে।
সিরিয়া নিয়ে বেশ সক্রিয় এখন ইসরায়েল। আসাদের পতনের দিন থেকেই দেশটি সিরিয়ার সামরিক সম্পদগুলোর ওপর হামলা শুরু করে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা সিরিয়ার সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করছে যেন এগুলো উগ্রবাদীদের হাতে না পড়ে।
ইসরায়েল ইতিমধ্যেই সিরিয়ার মাউন্ট হারমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকার দখল নিয়েছে। এটি একটি কৌশলগত এলাকা যা সিরিয়া, লেবানন ও ইসরায়েলের সীমানা তদারকি করে। সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো ইসরায়েলকে এই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও, ইসরায়েল তার অবস্থান ধরে রেখেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করে আইএসআইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। আসাদের পতনের পর যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। কারণ তারা মনে করে, দেশটিতে ক্ষমতার শূন্যতা আইএসআইএস-এর জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।
সিরিয়া এখন একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যেখানে তুরস্ক, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য শক্তিগুলো নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে কাজ করছে। এই শূন্যতা দীর্ঘ মেয়াদে আরও সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
এই পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, সিরিয়া এখনো বৈদেশিক শক্তিগুলোর স্বার্থের লড়াইয়ে প্রধান কেন্দ্রে রয়ে গেছে।
সিরিয়ার দীর্ঘ বছরের শাসক বাশার আল-আসাদ ও তাঁর শাসন ব্যবস্থা পতনের মুখে পড়লেও দেশটি এখনো বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তির লড়াইয়ের মঞ্চ হিসেবে রয়ে গেছে।
বুধবার এক নিবন্ধে সিএনএন জানিয়েছে, আসাদের পতন হওয়ায় একটি বিপজ্জনক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে সিরিয়ায়। বিভিন্ন পক্ষ তাদের স্বার্থ অর্জনের জন্য এই শূন্যতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
আসাদের পতনের পর সিরিয়ার নেতৃত্ব নিয়েছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। তবে দেশটিতে এখনো প্রতিবেশী দেশের আক্রমণ এবং অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন পক্ষ এখন নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে শত্রুদের পরাজিত করতে চায়।
বিদেশি শক্তিগুলোর মধ্যে তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ায় বিশেষ স্বার্থ নিয়ে কাজ করে আসছে। আসাদ সরকারের পতনের আগেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের কুর্দি বাহিনীকে অপসারণের জন্য অভিযান চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কারণ ওই অঞ্চলের কুর্দিদের তুরস্কের ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি’ বা পিকেকে-এর অংশ বা সমর্থক মনে করা হয়।
আসাদের পতনের পর তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) এবং কুর্দি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি তুরস্ক সিরিয়ার কুর্দি শহর কোবানির কাছে তাদের বাহিনী মোতায়েন করেছে।
তবে এই কুর্দি বাহিনী আইএসআইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ছিল। তুরস্ক সমর্থিত যোদ্ধাদের মধ্যে কুর্দি বাহিনীর সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত আইএসআইএস বন্দিশালাগুলোর নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে।
সিরিয়া নিয়ে বেশ সক্রিয় এখন ইসরায়েল। আসাদের পতনের দিন থেকেই দেশটি সিরিয়ার সামরিক সম্পদগুলোর ওপর হামলা শুরু করে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা সিরিয়ার সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করছে যেন এগুলো উগ্রবাদীদের হাতে না পড়ে।
ইসরায়েল ইতিমধ্যেই সিরিয়ার মাউন্ট হারমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকার দখল নিয়েছে। এটি একটি কৌশলগত এলাকা যা সিরিয়া, লেবানন ও ইসরায়েলের সীমানা তদারকি করে। সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো ইসরায়েলকে এই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও, ইসরায়েল তার অবস্থান ধরে রেখেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করে আইএসআইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। আসাদের পতনের পর যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। কারণ তারা মনে করে, দেশটিতে ক্ষমতার শূন্যতা আইএসআইএস-এর জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।
সিরিয়া এখন একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ যেখানে তুরস্ক, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য শক্তিগুলো নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে কাজ করছে। এই শূন্যতা দীর্ঘ মেয়াদে আরও সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
এই পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, সিরিয়া এখনো বৈদেশিক শক্তিগুলোর স্বার্থের লড়াইয়ে প্রধান কেন্দ্রে রয়ে গেছে।
ফ্রান্স ঐতিহাসিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায় ও স্থায়ী শান্তির পক্ষে। মাখোঁ নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের পোস্টে এই অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সংগত ও টেকসই শান্তির প্রতি ফ্রান্সের ঐতিহাসিক অঙ্গীকারের ধারাবাহিকতায় আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফ্রান্স
২ ঘণ্টা আগেগত জুনে ইসরায়েলি শহরগুলোতে একের পর এক আঘাত হানে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এ সময় ইসরায়েলের টার্মিনাল হাই অ্যালটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ইন্টারসেপ্টরের তীব্র সংকট দেখা দেয়। এই সংকট মুহূর্তে এগিয়ে আসে মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলকে সাহায্য করার জন্য সৌদি আরবকে ইন্টারসেপ্টর সরবরাহ
৮ ঘণ্টা আগেএই তিক্ত পরিসংখ্যানগুলোই দেখায় যে কেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এত দীর্ঘ ও জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা দুটি বিপরীত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বিশ্বাসী। তাদের ইতিহাস ও ধর্মীয় দাবিদাওয়ার ভিত্তি একই ভূমির ওপর, কিন্তু একে অপরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। শতবর্ষের সহিংসতা ও উচ্ছেদের পর যদি অনেকে
১০ ঘণ্টা আগেদুই দেশের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ শুরু হয় ২০০৮ সালে। আন্তর্জাতিকভাবে ওই ৪ দশমিক ৬ কিলোমিটার এলাকা ‘বিরোধপূর্ণ এলাকা’ হিসেবে পরিচিত। মূলত দুটি মন্দিরের মালিকানা নিয়ে বিরোধ দুই দেশের। ২০০৮ সালে ওই দুই মন্দিরের একটিকে (প্রিয়াহ ভিহিয়ার) বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে ইউনেসকোর কাছে আবেদন করে কম্বোডিয়া
১ দিন আগে