সম্পাদকীয়
কলকাতার নাকতলায় ছিল বাড়ি। ফুটবলের নেশায় ছিলেন পাগল। পড়তেন খানপুর হাইস্কুলে। কী করে সিনেমায় এলেন, সে কথা বাংলা সিনেমার একজন উজ্জ্বল পুরুষ রাজ্জাককে বলতে বললে তিনি হয়তো বলতেন, ‘সিনেমার সঙ্গে আমার কোনো বোঝাপড়াই ছিল না।’
কিন্তু আমরা যদি এ তথ্য জেনে যাই যে, রাজ্জাক যে পাড়ায় থাকতেন, সেই পাড়ায়ই বসবাস করতেন ছবি বিশ্বাস, কানন দেবী ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়; তাহলে হয়তো আমরাও দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিতে পারি।
স্কুলে যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো, তাতে আবৃত্তি করতেন রাজ্জাক। মহা উৎসাহে তাঁদের আবৃত্তি শেখাতেন ছবি বিশ্বাস।
স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যে নাটক হতো, তাতে মূলত মেয়েরাই অভিনয় করত। একদিন স্কুলের শিক্ষক রথীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ঠিক করলেন, এবার নাটক করাবেন ছেলেদের দিয়ে। লেখা হলো নারীবর্জিত নাটক ‘বিদ্রোহী’। মূল চরিত্রের জন্য নির্বাচিত হলেন রাজ্জাক! জানা গেল তিনি তখন ফুটবল ম্যাচে গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন।
খেলার মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করে শিক্ষকের কাছে নিয়ে আসা হলে শিক্ষক বললেন, ‘তোকে অভিনয় করতে হবে।’
অগত্যা! অভিনয় করতে হলো। আর নাটকে অভিনয়ের পর স্কুলের মেয়েরা বলল, ‘তুই তো ভালো অভিনয় করিস!’ রাজ্জাককে তখন আর পায় কে?
পাড়ার শক্তি সংঘ ক্লাবে তখন নাটকের ভালো চর্চা হতো। জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী ছিলেন খুব ভালো স্ক্রিপ্ট রাইটার। ‘নতুন ইহুদি’ নামে যে নাটকটি লিখলেন তিনি, তাতে ডাক পড়ল রাজ্জাকের। এই নাটকে রাজ্জাক দারুণ অভিনয় করলেন। সেই কিশোর বয়সেই অভিনয়টা এসে জুড়ে বসল তাঁর মনে।
১৯৬৪ সালের দাঙ্গার পর রাজ্জাক মনে করেছিলেন বোম্বে চলে যাবেন। কিন্তু তাঁর গুরু পীযূষ বোস বলেছিলেন, ‘ক্যারিয়ার গড়তে হলে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাও।’
পূর্ব পাকিস্তানে এসে এক সংগ্রামী জীবনের মুখোমুখি হলেন তিনি। সে আর এক কাহিনি।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, রাজ্জাক, জীবন থেকে নেয়া
কলকাতার নাকতলায় ছিল বাড়ি। ফুটবলের নেশায় ছিলেন পাগল। পড়তেন খানপুর হাইস্কুলে। কী করে সিনেমায় এলেন, সে কথা বাংলা সিনেমার একজন উজ্জ্বল পুরুষ রাজ্জাককে বলতে বললে তিনি হয়তো বলতেন, ‘সিনেমার সঙ্গে আমার কোনো বোঝাপড়াই ছিল না।’
কিন্তু আমরা যদি এ তথ্য জেনে যাই যে, রাজ্জাক যে পাড়ায় থাকতেন, সেই পাড়ায়ই বসবাস করতেন ছবি বিশ্বাস, কানন দেবী ও সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়; তাহলে হয়তো আমরাও দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিতে পারি।
স্কুলে যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো, তাতে আবৃত্তি করতেন রাজ্জাক। মহা উৎসাহে তাঁদের আবৃত্তি শেখাতেন ছবি বিশ্বাস।
স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যে নাটক হতো, তাতে মূলত মেয়েরাই অভিনয় করত। একদিন স্কুলের শিক্ষক রথীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ঠিক করলেন, এবার নাটক করাবেন ছেলেদের দিয়ে। লেখা হলো নারীবর্জিত নাটক ‘বিদ্রোহী’। মূল চরিত্রের জন্য নির্বাচিত হলেন রাজ্জাক! জানা গেল তিনি তখন ফুটবল ম্যাচে গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন।
খেলার মাঠ থেকে গ্রেপ্তার করে শিক্ষকের কাছে নিয়ে আসা হলে শিক্ষক বললেন, ‘তোকে অভিনয় করতে হবে।’
অগত্যা! অভিনয় করতে হলো। আর নাটকে অভিনয়ের পর স্কুলের মেয়েরা বলল, ‘তুই তো ভালো অভিনয় করিস!’ রাজ্জাককে তখন আর পায় কে?
পাড়ার শক্তি সংঘ ক্লাবে তখন নাটকের ভালো চর্চা হতো। জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী ছিলেন খুব ভালো স্ক্রিপ্ট রাইটার। ‘নতুন ইহুদি’ নামে যে নাটকটি লিখলেন তিনি, তাতে ডাক পড়ল রাজ্জাকের। এই নাটকে রাজ্জাক দারুণ অভিনয় করলেন। সেই কিশোর বয়সেই অভিনয়টা এসে জুড়ে বসল তাঁর মনে।
১৯৬৪ সালের দাঙ্গার পর রাজ্জাক মনে করেছিলেন বোম্বে চলে যাবেন। কিন্তু তাঁর গুরু পীযূষ বোস বলেছিলেন, ‘ক্যারিয়ার গড়তে হলে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাও।’
পূর্ব পাকিস্তানে এসে এক সংগ্রামী জীবনের মুখোমুখি হলেন তিনি। সে আর এক কাহিনি।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, রাজ্জাক, জীবন থেকে নেয়া
... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
১৯ ঘণ্টা আগে...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট..
৮ দিন আগেভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১৪ দিন আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
১৫ দিন আগে