সম্পাদকীয়
ষাট ও সত্তরের দশকের বাংলা গণসংগীতের নামকরা শিল্পী ফকির আলমগীর। ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে ছাত্ররাজনীতিতে প্রবেশ করেন। আর সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর গণসংগীতের চর্চা। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি জড়িয়ে পড়েন ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে। ১৯৭১ সালে যোগ দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে এবং ১৯৭৬ সালে গড়ে তোলেন ‘ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী’।
বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তাঁর গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং নব্বইয়ের সামরিক শাসনবিরোধী গণ-আন্দোলনে তিনি তাঁর গান নিয়ে শামিল হয়েছেন।
স্বাধীনতার পর যে পাঁচজন শিল্পী পপ গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান, এর মধ্যে ফকির আলমগীর অন্যতম। বিশেষ করে তাঁর দরাজ কণ্ঠে ‘ও সখিনা...’, ‘মায়ের একধার দুধের দাম...’, ‘মন আমার দেহ ঘড়ি...’, ‘আহারে কাল্লু মাতব্বর...’, ‘ও জুলেখা...’, ‘সান্তাহার জংশনে দেখা...’, ‘বনমালী তুমি...’ এমন আরও অসংখ্য গান গেয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে
ঢাকায় এসেছিলেন। এ সময়ই তিনি সেজান মাহমুদের লেখা ‘কালো কালো মানুষের দেশে’ গানটি গেয়েছিলেন। এই গানের জনপ্রিয়তাও কম নয়।
যৌবনে নিজের সংগীত প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও পরে তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরির সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম সংগীত। জনসংযোগে সংগীতের কোনো বিকল্প নেই। সংগীত হতে পারে মানুষের কল্যাণে এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার একটা মাধ্যম।’
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন।
ষাট ও সত্তরের দশকের বাংলা গণসংগীতের নামকরা শিল্পী ফকির আলমগীর। ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে ছাত্ররাজনীতিতে প্রবেশ করেন। আর সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর গণসংগীতের চর্চা। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি জড়িয়ে পড়েন ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে। ১৯৭১ সালে যোগ দিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে এবং ১৯৭৬ সালে গড়ে তোলেন ‘ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী’।
বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তাঁর গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং নব্বইয়ের সামরিক শাসনবিরোধী গণ-আন্দোলনে তিনি তাঁর গান নিয়ে শামিল হয়েছেন।
স্বাধীনতার পর যে পাঁচজন শিল্পী পপ গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান, এর মধ্যে ফকির আলমগীর অন্যতম। বিশেষ করে তাঁর দরাজ কণ্ঠে ‘ও সখিনা...’, ‘মায়ের একধার দুধের দাম...’, ‘মন আমার দেহ ঘড়ি...’, ‘আহারে কাল্লু মাতব্বর...’, ‘ও জুলেখা...’, ‘সান্তাহার জংশনে দেখা...’, ‘বনমালী তুমি...’ এমন আরও অসংখ্য গান গেয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে
ঢাকায় এসেছিলেন। এ সময়ই তিনি সেজান মাহমুদের লেখা ‘কালো কালো মানুষের দেশে’ গানটি গেয়েছিলেন। এই গানের জনপ্রিয়তাও কম নয়।
যৌবনে নিজের সংগীত প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও পরে তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরির সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম সংগীত। জনসংযোগে সংগীতের কোনো বিকল্প নেই। সংগীত হতে পারে মানুষের কল্যাণে এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার একটা মাধ্যম।’
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন।
ধানমন্ডি লেকে এক যুগ আগেও যারা আড্ডা দিতে যেতেন, নিশ্চয়ই তাঁদের নজর এড়ায়নি লালরঙা জাহাজ বাড়িটি। ১৯৯৩-৯৪ সালে ব্যবসায়ী এ কে এম আনোয়ারুল হক চৌধুরী ধানমন্ডির ৫/এ এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িটির নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘চিশতিয়া প্যালেস’। ১৯৯৬ সালে সাধারণের চলাচলের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন রাস্তা...
৫ দিন আগেআর্মেনীয় জমিদার আরাতুন ১৮২৫ সালের দিকে ঢাকার ফরাশগঞ্জের শ্যামপুরে একটি দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে নাম দিয়েছিলেন ‘আরাতুন হাউস’। এর ১০ বছর পর ১৮৩৫ সালের দিকে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দেন ঢাকার বিখ্যাত ব্যবসায়ী রূপলাল দাসের কাছে। নতুন মালিক বাড়িটির নতুন নাম দেন ‘রূপলাল হাউস’।
১১ দিন আগেবোঝাই যাচ্ছে ছবিটি একটি নাপিতের দোকানের। এ-ও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটি ব্রিটিশ আমলে তোলা একটি ছবি। কেননা, দোকানের নামটি স্পষ্ট করে ইংরেজিতে লেখা—‘হানিফ বারবার নম্বর ফিফটি নাইন, হেয়ারকাটার অল হেয়ারি থিংস হিয়ার গট’। আর দোকানটির তালাবদ্ধ প্রবেশদ্বারের পাশের দেয়ালে ঝুলছে কতক পরচুলা, যেগুলোর কোনোটির...
১২ দিন আগেআজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধুর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (২ মে) বনশ্রীতে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে উদ্যাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা অংশ নেন।
১৩ দিন আগে