সম্পাদকীয়
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি বাঁশি বাজিয়েই শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করেছেন।
বারী সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রামে। শৈশবে মায়ের কাছ থেকে গান শেখায় হাতেখড়ি তাঁর। মাত্র ১২ বছর বয়সে নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। ১৯৮০ সালে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় ওস্তাদ আমিনুর রহমানের সঙ্গে। এরপর তাঁর কাছে বাঁশিতে তালিম নেন কয়েক বছর। পণ্ডিত বিজি কারনাডের কাছেও বাঁশি শেখেন ভারতের পুনেতে গিয়ে। ১৯৮৬ সালে প্রথম বিটিভিতে এক অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজান তিনি।
একসময় শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সম্মিলিত একটি যন্ত্রসংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন বারী। এরপর তিনি দক্ষিণ এশীয় সার্ক ফেস্টিভ্যালে সরকারিভাবে যান বাঁশি বাজাতে। ১৯৯৯ সালে ফ্রান্সে ওয়ার্ল্ড ফ্লুট সম্মেলনে এই উপমহাদেশ থেকে তিনিই প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
বারী সিদ্দিকীকে সংগীতজগতে নিয়ে আসেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে। এরপর তিনি তাঁকে বিটিভির একটা অনুষ্ঠানে গান করার সুযোগ করে দেন। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় কয়েকটি গান গেয়ে তিনি লোকগানে স্থায়ী আসন লাভ করেন সংগীতপ্রেমী মানুষের কাছে।
‘শুয়া চান পাখি’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’, ‘রজনী’, ‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘ওগো ভাবিজান নাও বাওয়া মর্দ লোকের কাম’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ জনপ্রিয় গানগুলো তাঁরই গাওয়া।
বারী সিদ্দিকী ‘মাটির পিঞ্জিরা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে এবং ফেরারি অমিতের নির্দেশনায় ‘পাগলা ঘোড়া’ নাটকে অভিনয় করেন।
২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি বাঁশি বাজিয়েই শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করেছেন।
বারী সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রামে। শৈশবে মায়ের কাছ থেকে গান শেখায় হাতেখড়ি তাঁর। মাত্র ১২ বছর বয়সে নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। ১৯৮০ সালে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় ওস্তাদ আমিনুর রহমানের সঙ্গে। এরপর তাঁর কাছে বাঁশিতে তালিম নেন কয়েক বছর। পণ্ডিত বিজি কারনাডের কাছেও বাঁশি শেখেন ভারতের পুনেতে গিয়ে। ১৯৮৬ সালে প্রথম বিটিভিতে এক অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজান তিনি।
একসময় শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সম্মিলিত একটি যন্ত্রসংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন বারী। এরপর তিনি দক্ষিণ এশীয় সার্ক ফেস্টিভ্যালে সরকারিভাবে যান বাঁশি বাজাতে। ১৯৯৯ সালে ফ্রান্সে ওয়ার্ল্ড ফ্লুট সম্মেলনে এই উপমহাদেশ থেকে তিনিই প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
বারী সিদ্দিকীকে সংগীতজগতে নিয়ে আসেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে। এরপর তিনি তাঁকে বিটিভির একটা অনুষ্ঠানে গান করার সুযোগ করে দেন। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় কয়েকটি গান গেয়ে তিনি লোকগানে স্থায়ী আসন লাভ করেন সংগীতপ্রেমী মানুষের কাছে।
‘শুয়া চান পাখি’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’, ‘রজনী’, ‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘ওগো ভাবিজান নাও বাওয়া মর্দ লোকের কাম’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ জনপ্রিয় গানগুলো তাঁরই গাওয়া।
বারী সিদ্দিকী ‘মাটির পিঞ্জিরা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে এবং ফেরারি অমিতের নির্দেশনায় ‘পাগলা ঘোড়া’ নাটকে অভিনয় করেন।
২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
৪ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৮ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৯ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
১১ দিন আগে