অনলাইন ডেস্ক
দিনে কোন শব্দটি আপনি সবচেয়ে বেশিবার ব্যবহার করেন? নিঃসন্দেহে ‘ওকে (Ok)’। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই শব্দটি কিন্তু সহজে ‘জাতে’ উঠতে পারেনি! প্রথমবারের মতো ১৮৩৯ সালের আজকের এই দিনে (২৩ মার্চ) লিখিতরূপে বোস্টন মর্নিং পত্রিকায় প্রকাশিত হয় দুই অক্ষরের।
ইতিহাসবিদ অ্যালেন ওয়াকার রিডের গবেষণার ওপর কাজ করেছেন এমন একজন ভাষাবিদ অ্যালান মেটকফ। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো ‘ওকে’ শব্দটি মজার ছলে ব্যবহার করেছিলেন দুই সংবাদপত্রের দু’জন সম্পাদক। ওই সময়ে একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্স শহরের এক সম্পাদক বোস্টনের কিছু অতিথির অভ্যর্থনার জন্য সবকিছু ‘ওকে—একদম ঠিক’ (O. K.— all correct) করে রাখবেন!
সে সময়, আমেরিকান সংবাদপত্রগুলোতে শব্দ ও বাক্য সংক্ষেপের প্রবণতা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল, যা আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সংক্ষিপ্তকরণের (যেমন: ‘বিআরবি–বি রাইট ব্যাক’ বা ‘এলওএল—লাফিং আউট লাউড’) প্রবণতার মতো। এ ছাড়া, ইচ্ছাকৃত বানান ভুল করা তখনকার প্রবণতার অংশ ছিল। যেমন, “No go” হয়ে গিয়েছিল “Know go” এবং “All correct” মজার ছলে হয়ে যায় “Oll Korrect”। পরে এটি সংক্ষেপে ‘O. K. ’ হয়ে যায়।
এই শব্দটি হয়তো হারিয়ে যেত, যদি না ১৮৪০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এটি জনপ্রিয়তা পেত। মার্টিন ভন ব্যুরেন, যিনি নিউইয়র্কের কিন্ডারহুক শহরের বাসিন্দা ছিলেন, তাঁর ডাকনাম ছিল ওল্ড কিন্ডারহুক (Old Kinderhook)। তাঁর সমর্থকেরা ‘ওকে ক্লাব’ তৈরি করেন এবং নিজেদের ‘ওকে’ বলতে শুরু করেন। এই প্রচার এতটাই সফল হয় যে অনেক মানুষ আজও মনে করেন ‘ওকে’ শব্দটি ভন ব্যুরেনের নাম থেকেই এসেছে।
যখন ‘ওকে’ শব্দটি জনপ্রিয়তা পেতে থাকে, তখন এর উৎপত্তি নিয়ে নানা মতভেদ সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ মনে করতেন এটি লাতিন, গ্রিক, ফরাসি, ফিনিশ বা আফ্রিকান ভাষা (যেমন: ম্যান্ডিঙ্গো বা ওলফ) থেকে এসেছে। আবার, কিছু গবেষক দাবি করেন, এটি চোকতাও (Choctaw) ভাষার ওকেহ (okeh) শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘এটাই ঠিক’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন (১৯১৩–২১) পর্যন্ত মনে করতেন যে, ‘O. K. ’ ভুল। এর পরিবর্তে তিনি ‘okeh’ ব্যবহার করতেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘okay’ বিকল্প বানান হিসেবে জনপ্রিয়তা পায়, যদিও এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। লুইসা মে অলকট ছিলেন এই বানানের প্রথম দিকের ব্যবহারকারীদের একজন এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এটি সাহিত্যেও গৃহীত হয়। আজকের দিনে OK, okay, এবং ছোট হাতের ok–তিনটিই প্রচলিত।
যে শব্দটি প্রথম ১৮৩৯ সালের ২৩ মার্চ সংবাদপত্রের এক কৌতুকে প্রকাশিত হয়েছিল, সেটিই আজ বিশ্বের অন্যতম বহুল ব্যবহৃত শব্দে পরিণত হয়েছে!
দিনে কোন শব্দটি আপনি সবচেয়ে বেশিবার ব্যবহার করেন? নিঃসন্দেহে ‘ওকে (Ok)’। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই শব্দটি কিন্তু সহজে ‘জাতে’ উঠতে পারেনি! প্রথমবারের মতো ১৮৩৯ সালের আজকের এই দিনে (২৩ মার্চ) লিখিতরূপে বোস্টন মর্নিং পত্রিকায় প্রকাশিত হয় দুই অক্ষরের।
ইতিহাসবিদ অ্যালেন ওয়াকার রিডের গবেষণার ওপর কাজ করেছেন এমন একজন ভাষাবিদ অ্যালান মেটকফ। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো ‘ওকে’ শব্দটি মজার ছলে ব্যবহার করেছিলেন দুই সংবাদপত্রের দু’জন সম্পাদক। ওই সময়ে একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্স শহরের এক সম্পাদক বোস্টনের কিছু অতিথির অভ্যর্থনার জন্য সবকিছু ‘ওকে—একদম ঠিক’ (O. K.— all correct) করে রাখবেন!
সে সময়, আমেরিকান সংবাদপত্রগুলোতে শব্দ ও বাক্য সংক্ষেপের প্রবণতা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল, যা আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সংক্ষিপ্তকরণের (যেমন: ‘বিআরবি–বি রাইট ব্যাক’ বা ‘এলওএল—লাফিং আউট লাউড’) প্রবণতার মতো। এ ছাড়া, ইচ্ছাকৃত বানান ভুল করা তখনকার প্রবণতার অংশ ছিল। যেমন, “No go” হয়ে গিয়েছিল “Know go” এবং “All correct” মজার ছলে হয়ে যায় “Oll Korrect”। পরে এটি সংক্ষেপে ‘O. K. ’ হয়ে যায়।
এই শব্দটি হয়তো হারিয়ে যেত, যদি না ১৮৪০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এটি জনপ্রিয়তা পেত। মার্টিন ভন ব্যুরেন, যিনি নিউইয়র্কের কিন্ডারহুক শহরের বাসিন্দা ছিলেন, তাঁর ডাকনাম ছিল ওল্ড কিন্ডারহুক (Old Kinderhook)। তাঁর সমর্থকেরা ‘ওকে ক্লাব’ তৈরি করেন এবং নিজেদের ‘ওকে’ বলতে শুরু করেন। এই প্রচার এতটাই সফল হয় যে অনেক মানুষ আজও মনে করেন ‘ওকে’ শব্দটি ভন ব্যুরেনের নাম থেকেই এসেছে।
যখন ‘ওকে’ শব্দটি জনপ্রিয়তা পেতে থাকে, তখন এর উৎপত্তি নিয়ে নানা মতভেদ সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ মনে করতেন এটি লাতিন, গ্রিক, ফরাসি, ফিনিশ বা আফ্রিকান ভাষা (যেমন: ম্যান্ডিঙ্গো বা ওলফ) থেকে এসেছে। আবার, কিছু গবেষক দাবি করেন, এটি চোকতাও (Choctaw) ভাষার ওকেহ (okeh) শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘এটাই ঠিক’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন (১৯১৩–২১) পর্যন্ত মনে করতেন যে, ‘O. K. ’ ভুল। এর পরিবর্তে তিনি ‘okeh’ ব্যবহার করতেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘okay’ বিকল্প বানান হিসেবে জনপ্রিয়তা পায়, যদিও এর কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। লুইসা মে অলকট ছিলেন এই বানানের প্রথম দিকের ব্যবহারকারীদের একজন এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এটি সাহিত্যেও গৃহীত হয়। আজকের দিনে OK, okay, এবং ছোট হাতের ok–তিনটিই প্রচলিত।
যে শব্দটি প্রথম ১৮৩৯ সালের ২৩ মার্চ সংবাদপত্রের এক কৌতুকে প্রকাশিত হয়েছিল, সেটিই আজ বিশ্বের অন্যতম বহুল ব্যবহৃত শব্দে পরিণত হয়েছে!
তখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
৪ দিন আগেগাইবান্ধা জেলার মীরের বাগান একসময় ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামের এক দরবেশ এদিকটায় এসে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি মসজিদ ও তিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদটির দেয়ালে খোদাই করা লিপি থেকে জানা যায়, এটি হাজার বছর আগে ১০১১ সালে নির্মিত।
৫ দিন আগেআমি মনে করি, পৃথিবীতে ‘সব প্রতিষ্ঠানের বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে লিঙ্গায়ন’। এটা নীরবেই অনেক আগেই বিশ্বায়িত...। অনেক আগে হাজার হাজার বছর আগে...বিশ্ব নিয়ে লোকে তখনো ভাবতেই শেখেনি। লিঙ্গ থেকে যা আলাদা হচ্ছে একমাত্র অভিজ্ঞতালব্ধ পার্থক্য, যা প্রত্যেকেই আঁচ করতে পারে আর তাই আপনারা জানতে পারবেন...
৮ দিন আগেজনশ্রুতি আছে, পঞ্চানন চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি একসময় খুবই দরিদ্র ছিলেন। কিন্তু দিনাজপুর অঞ্চলে তামাক উৎপাদন করে প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক বনে যান। এরপর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামে একটি প্রাসাদসম বাড়ি নির্মাণ করেন এবং নিজেকে তেওতার প্রথম জমিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ধারণা করা হয়, প্রায় ৩০
১০ দিন আগে