সম্পাদকীয়
আব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন। তাঁর সুমধুর কণ্ঠস্বর এমন এক স্বর্গীয় আবহের সৃষ্টি করত, যা সবাইকে মোহিত করে রাখত।
আব্দুল করিম খাঁর জন্ম ১৮৭২ সালের ১১ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের কিরানা গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই তিনি অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কণ্ঠসংগীতের পাশাপাশি তিনি সেতার, বীণা, সারেঙ্গি ও তবলায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে মেরঠে কিরানা পরিবারের উস্তাদদের সামনে মুলতানি ও পূরবী গেয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। এর পাঁচ বছর পরে মহীশূর দরবারের সারেঙ্গিবাদক হায়দর বখ্শ তাঁকে মহীশূরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজদরবারে দশেরা উৎসবে গান গাওয়ার জন্য। সেখানে গান গেয়ে সবাইকে মাত করে দিয়েছিলেন আব্দুল করিম। তাঁর সরগমে কর্ণাটকি সংগীতের প্রভাব ছিল।
তিনি সংগীতের দিকপাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর একসময় পুণেতে আর্য সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে কোনো জাতি-ধর্মভেদের ব্যাপার ছিল না। সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সংগীত নিয়ে তাঁর কোনো সংকীর্ণতা ছিল না। গুরুকুল প্রথায় তিনি গান শেখাতেন। তাই সংগীত শেখার যাবতীয় খরচ নিজেই বহন করতেন।
তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন। হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদের ছায়া তাঁর জীবনকে কখনো স্পর্শ করেনি। তিনি যেমন মন্দিরে ধর্মসংগীত গাইতেন, তেমনি দরগায় তানপুরা নিয়ে গান গাইতেন।
তাঁর সমকালীন বহু শিল্পীই স্মৃতির অতলে হারিয়ে গেলেও আব্দুল করিম খাঁর গানের জনপ্রিয়তা কখনো কমেনি। গ্রামোফোন রেকর্ডের যুগ শেষ হওয়ার পরেও চাহিদা থাকায় তাঁর গান লং প্লেয়িং রেকর্ডে, ক্যাসেটে, সিডিতে প্রকাশিত হয়েছে।
মহীশূর রাজদরবারের গায়ক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর সেখান থেকে তিনি ‘সংগীতরত্ন’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন।
১৯৩৭ সালের ২৭ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন। তাঁর সুমধুর কণ্ঠস্বর এমন এক স্বর্গীয় আবহের সৃষ্টি করত, যা সবাইকে মোহিত করে রাখত।
আব্দুল করিম খাঁর জন্ম ১৮৭২ সালের ১১ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের কিরানা গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই তিনি অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কণ্ঠসংগীতের পাশাপাশি তিনি সেতার, বীণা, সারেঙ্গি ও তবলায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে মেরঠে কিরানা পরিবারের উস্তাদদের সামনে মুলতানি ও পূরবী গেয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। এর পাঁচ বছর পরে মহীশূর দরবারের সারেঙ্গিবাদক হায়দর বখ্শ তাঁকে মহীশূরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজদরবারে দশেরা উৎসবে গান গাওয়ার জন্য। সেখানে গান গেয়ে সবাইকে মাত করে দিয়েছিলেন আব্দুল করিম। তাঁর সরগমে কর্ণাটকি সংগীতের প্রভাব ছিল।
তিনি সংগীতের দিকপাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর একসময় পুণেতে আর্য সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে কোনো জাতি-ধর্মভেদের ব্যাপার ছিল না। সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সংগীত নিয়ে তাঁর কোনো সংকীর্ণতা ছিল না। গুরুকুল প্রথায় তিনি গান শেখাতেন। তাই সংগীত শেখার যাবতীয় খরচ নিজেই বহন করতেন।
তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন। হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদের ছায়া তাঁর জীবনকে কখনো স্পর্শ করেনি। তিনি যেমন মন্দিরে ধর্মসংগীত গাইতেন, তেমনি দরগায় তানপুরা নিয়ে গান গাইতেন।
তাঁর সমকালীন বহু শিল্পীই স্মৃতির অতলে হারিয়ে গেলেও আব্দুল করিম খাঁর গানের জনপ্রিয়তা কখনো কমেনি। গ্রামোফোন রেকর্ডের যুগ শেষ হওয়ার পরেও চাহিদা থাকায় তাঁর গান লং প্লেয়িং রেকর্ডে, ক্যাসেটে, সিডিতে প্রকাশিত হয়েছে।
মহীশূর রাজদরবারের গায়ক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর সেখান থেকে তিনি ‘সংগীতরত্ন’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন।
১৯৩৭ সালের ২৭ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান। কপোতাক্ষ নদের তীরে যে মীর্জানগর গ্রাম, সেটি কিন্তু তাঁরই নামানুসারে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার হন নুরল্লা খাঁ। তিনি এই গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে আট-দশ ফুট উঁচু...
১ দিন আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
৪ দিন আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
৮ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
১২ দিন আগে