সম্পাদকীয়
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একাধারে ঔপন্যাসিক, সাহিত্য সম্পাদক, আমলা এবং হিন্দু পুনরুত্থানবাদী চিন্তাবিদ ছিলেন। তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে। গ্রামে তাঁর প্রাথমিক পড়ালেখার সূচনা। এরপর তিনি হুগলি কলেজ থেকে জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রথম হয়ে মাসিক বৃত্তি পান। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৮৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের যে দুজন ছাত্র বিএ পাস করেন, বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন তাঁদের একজন। তিনি চাকরিজীবনের শুরুতে একটি নিম্ন পদে যোগ দেন। তারপর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে অভিষিক্ত ছিলেন।
লোকচক্ষুর অন্তরালে তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু হলেও, তিনি সে সময় কোনো স্বীকৃতি পাননি। পরবর্তীকালে পেশাগত জীবনেই তাঁর সৃষ্টিশীল মননের বিকাশ ঘটে। মফস্বলে চাকরিরত অবস্থায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর সরাসরি সংযোগ ঘটে। গভীরভাবে পাশ্চাত্য সাহিত্য অধ্যয়ন এবং সাধারণ মানুষের সংসর্গের কারণে তিনি উপন্যাসের চরিত্র নির্মাণ ও কাহিনি বর্ণনায় সূত্র খুঁজে পান।
১৮৬৫ সালে প্রথম উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’ প্রকাশের পরেই ব্যাপক পাঠকখ্যাতি পেয়ে যান তিনি। এরপর বঙ্কিমচন্দ্র গদ্য রচনাসহ ১৪টি বাংলা উপন্যাস এবং ১টি ইংরেজি উপন্যাস লেখেন।
১৮৮০ সাল থেকে তিনি রাজনীতি ও ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সে সময় থেকে তিনি সৃষ্টিশীল চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিকের চেয়ে একজন গর্বিত হিন্দু বলেই নিজেকে পরিচয় দিতে থাকেন। তবে তাঁর সৃষ্টিশীলতা বাংলা সাহিত্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার মাধ্যমে একটি নতুন লেখকগোষ্ঠীর সূচনা ঘটে। এই পত্রিকা সাহিত্যের রচনাশৈলীর দিক থেকে এক নতুন আদর্শ স্থাপন করে।
‘কমলাকান্ত’ ছদ্মনামেও লিখেছেন বঙ্কিমচন্দ্র। তাঁকে বলা হয় বাংলা উপন্যাসের জনক। তাঁর দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ইংরেজ সরকার কর্তৃক ‘রায়বাহাদুর’ এবং ‘সিএমইওআইই’ উপাধি পান।
বাংলা সাহিত্যের ‘সাহিত্য সম্রাট’খ্যাত এই সাহিত্যিক ১৮৯৪ সালের ৮ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একাধারে ঔপন্যাসিক, সাহিত্য সম্পাদক, আমলা এবং হিন্দু পুনরুত্থানবাদী চিন্তাবিদ ছিলেন। তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার কাঁঠালপাড়া গ্রামে। গ্রামে তাঁর প্রাথমিক পড়ালেখার সূচনা। এরপর তিনি হুগলি কলেজ থেকে জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রথম হয়ে মাসিক বৃত্তি পান। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৮৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের যে দুজন ছাত্র বিএ পাস করেন, বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন তাঁদের একজন। তিনি চাকরিজীবনের শুরুতে একটি নিম্ন পদে যোগ দেন। তারপর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে অভিষিক্ত ছিলেন।
লোকচক্ষুর অন্তরালে তাঁর সাহিত্যজীবন শুরু হলেও, তিনি সে সময় কোনো স্বীকৃতি পাননি। পরবর্তীকালে পেশাগত জীবনেই তাঁর সৃষ্টিশীল মননের বিকাশ ঘটে। মফস্বলে চাকরিরত অবস্থায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর সরাসরি সংযোগ ঘটে। গভীরভাবে পাশ্চাত্য সাহিত্য অধ্যয়ন এবং সাধারণ মানুষের সংসর্গের কারণে তিনি উপন্যাসের চরিত্র নির্মাণ ও কাহিনি বর্ণনায় সূত্র খুঁজে পান।
১৮৬৫ সালে প্রথম উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’ প্রকাশের পরেই ব্যাপক পাঠকখ্যাতি পেয়ে যান তিনি। এরপর বঙ্কিমচন্দ্র গদ্য রচনাসহ ১৪টি বাংলা উপন্যাস এবং ১টি ইংরেজি উপন্যাস লেখেন।
১৮৮০ সাল থেকে তিনি রাজনীতি ও ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সে সময় থেকে তিনি সৃষ্টিশীল চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিকের চেয়ে একজন গর্বিত হিন্দু বলেই নিজেকে পরিচয় দিতে থাকেন। তবে তাঁর সৃষ্টিশীলতা বাংলা সাহিত্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার মাধ্যমে একটি নতুন লেখকগোষ্ঠীর সূচনা ঘটে। এই পত্রিকা সাহিত্যের রচনাশৈলীর দিক থেকে এক নতুন আদর্শ স্থাপন করে।
‘কমলাকান্ত’ ছদ্মনামেও লিখেছেন বঙ্কিমচন্দ্র। তাঁকে বলা হয় বাংলা উপন্যাসের জনক। তাঁর দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ইংরেজ সরকার কর্তৃক ‘রায়বাহাদুর’ এবং ‘সিএমইওআইই’ উপাধি পান।
বাংলা সাহিত্যের ‘সাহিত্য সম্রাট’খ্যাত এই সাহিত্যিক ১৮৯৪ সালের ৮ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
১ দিন আগেচলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
২ দিন আগেবিরিয়ানি কিংবা কাবাব-পরোটা খেতে মন চাইলে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের কথা মনে পড়তেই পারে। এসব খেয়ে কেউ কেউ বিউটি কিংবা নূরানীর লাচ্ছি খেয়ে ভোজ শেষ করতে পারেন। আবার কেউ ধোঁয়া ওঠা গরম চা পিরিচে নিয়ে ফুঁকে ফুঁকে গলায় ঢালতে পারেন। যাঁরা নিয়মিত যান নাজিরাবাজারে, তাঁরা জানেন এসব চা-প্রেমীর ভিড় লেগে...
৩ দিন আগেএটাকে সংক্ষেপে এনজিভি নামে ডাকা হয়। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্ন শহরে অবস্থিত এটি একটি শিল্পকলা জাদুঘর। এটি ১৮৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জাদুঘরটি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন ও সর্বাধিক পরিদর্শিত শিল্পকলা জাদুঘর। এ জাদুঘরের সংগ্রহ অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো গ্যালারির...
১৪ দিন আগে