সম্পাদকীয়
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ডেভিড অ্যান্ড মারিয়ানা ফিশার বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর লেখালেখির শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময়। মোটাদাগে তাঁর লেখনীতে ফুটে উঠেছে ঔপনিবেশিক সময়ে ইবো সমাজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, নাইজেরিয়াতে খ্রিষ্টানধর্মের আগ্রাসন, আফ্রিকা ও পশ্চিমাদের মধ্যে প্রথাগত দ্বন্দ্ব এবং কীভাবে পশ্চিমারা আফ্রিকানদের চিত্রিত করেছে, সেসব বিষয়।
১৯৫৮ সালে প্রথম উপন্যাস ‘থিংস ফল অ্যাপার্ট’ প্রকাশিত হওয়ার পরই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তিনি। উপন্যাসটি সারা বিশ্বে ৫০টি ভাষায় ১ কোটির ওপর বিক্রি হয়। গ্রন্থের সংখ্যা ২০টির বেশি। রচনা করেছেন ছোটগল্প, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য ও মাত্র পাঁচটি উপন্যাস। উপন্যাসগুলোর মধ্যে থিংস ফল অ্যাপার্ট ছাড়াও, নো লংগার এট ইজ (১৯৬০), অ্যারো অব গড (১৯৬৪) অন্যতম। ২০০৭ সালে থিংস ফল অ্যাপার্ট উপন্যাসের জন্য পান ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার।
কবিতার বই ‘ক্রিসমাস ইন বায়াফ্রা’র জন্য কমনওয়েলথ পোয়েট্রি প্রাইজ জেতেন চিনুয়া আচেবে। ১৯৮৭ সালে তাঁর উপন্যাস ‘অ্যানথিলস অব দ্য সেভানাহ’র জন্য বুকার প্রাইজের চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। ২০০৪ ও ২০১১ সালে দুবার নাইজেরিয়া সরকারের কমান্ডার অব ফেডারেল রিপাবলিক খেতাব প্রত্যাখ্যান করেন।
চিনুয়া আচেবের উদ্দেশে নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, আচেবে আফ্রিকাকে গোটা বিশ্বের কাছে উন্মোচন করেছেন। আফ্রিকান সাহিত্যের পিতামহ বলে আচেবেকে উল্লেখ করেছেন কবি জ্যাকি কে।
১৯৭০ সালে গৃহযুদ্ধের পর তিনি কিছুদিন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯০ সালে নাইজেরিয়ায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় শরীরের নিচের অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ায় পাকাপাকিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন আচেবে।
তিনি ২০১৩ সালের ২১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ডেভিড অ্যান্ড মারিয়ানা ফিশার বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর লেখালেখির শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময়। মোটাদাগে তাঁর লেখনীতে ফুটে উঠেছে ঔপনিবেশিক সময়ে ইবো সমাজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, নাইজেরিয়াতে খ্রিষ্টানধর্মের আগ্রাসন, আফ্রিকা ও পশ্চিমাদের মধ্যে প্রথাগত দ্বন্দ্ব এবং কীভাবে পশ্চিমারা আফ্রিকানদের চিত্রিত করেছে, সেসব বিষয়।
১৯৫৮ সালে প্রথম উপন্যাস ‘থিংস ফল অ্যাপার্ট’ প্রকাশিত হওয়ার পরই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তিনি। উপন্যাসটি সারা বিশ্বে ৫০টি ভাষায় ১ কোটির ওপর বিক্রি হয়। গ্রন্থের সংখ্যা ২০টির বেশি। রচনা করেছেন ছোটগল্প, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য ও মাত্র পাঁচটি উপন্যাস। উপন্যাসগুলোর মধ্যে থিংস ফল অ্যাপার্ট ছাড়াও, নো লংগার এট ইজ (১৯৬০), অ্যারো অব গড (১৯৬৪) অন্যতম। ২০০৭ সালে থিংস ফল অ্যাপার্ট উপন্যাসের জন্য পান ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার।
কবিতার বই ‘ক্রিসমাস ইন বায়াফ্রা’র জন্য কমনওয়েলথ পোয়েট্রি প্রাইজ জেতেন চিনুয়া আচেবে। ১৯৮৭ সালে তাঁর উপন্যাস ‘অ্যানথিলস অব দ্য সেভানাহ’র জন্য বুকার প্রাইজের চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। ২০০৪ ও ২০১১ সালে দুবার নাইজেরিয়া সরকারের কমান্ডার অব ফেডারেল রিপাবলিক খেতাব প্রত্যাখ্যান করেন।
চিনুয়া আচেবের উদ্দেশে নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, আচেবে আফ্রিকাকে গোটা বিশ্বের কাছে উন্মোচন করেছেন। আফ্রিকান সাহিত্যের পিতামহ বলে আচেবেকে উল্লেখ করেছেন কবি জ্যাকি কে।
১৯৭০ সালে গৃহযুদ্ধের পর তিনি কিছুদিন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯০ সালে নাইজেরিয়ায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় শরীরের নিচের অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ায় পাকাপাকিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন আচেবে।
তিনি ২০১৩ সালের ২১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে মৃত্যুবরণ করেন।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
৪ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৮ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৯ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
১১ দিন আগে