সম্পাদকীয়
উত্তর লন্ডনের একটি নামকরা বালক বিদ্যালয়ে আমি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলাম। সুন্দর বাগানঘেরা বড় একটি স্কুল ভবন। এই স্কুলের ছাত্ররা প্রতি সপ্তাহেই তাদের স্কুলে খ্যাতনামা ব্যক্তিদের দেখা পায়। এমনকি এখানকার ছাত্রদের বাবা-মা, আত্মীয়রাই একেকজন খ্যাতিমান ব্যক্তি। ফলে খ্যাতনামা কেউ আসা না-আসা তাদের জন্য বিশেষ অর্থ বহন করে না।
আমার মনে তখন ভেসে আসে উত্তর-পশ্চিম জিম্বাবুয়ের ধুলোমাখা সেই স্কুলের স্মৃতি। বইহীন, পাঠ্যবইহীন, মানচিত্রবিহীন স্কুল। সামনে পরিপাটি ইংরেজ চেহারাগুলো দেখে আমি তাদের গত সপ্তাহে যা দেখে এসেছি সেটা বলতে চেষ্টা করলাম। আমি তাদের সেই স্কুলের কথা বলি, যেখানকার শিক্ষকেরা পাঠদান বা শেখার জন্য বইয়ের দাবি জানিয়েছেন। ‘দয়া করে আমাদের কাছে বই পাঠানোর ব্যবস্থা করুন! বারবার কীভাবে তারা বই চাইছিল আমি তাদের বললাম। এদের ভাবলেশহীন ফাঁকা চোখ দেখেই বুঝি, এরা জানেও না আমি কী বলতে চাইছি। কারণ এই বর্ণনার কোনো চিত্রকল্প ওদের মনের ভেতরে নেই। এই পরিস্থিতিতে ওই স্কুলের ধুলোমাখা ঘর, পানির স্বল্পতা, ছাগল জবাই করে রান্না করার বিষয়গুলো এই ইংরেজ বাচ্চাগুলোর কাছে শুধুই গল্প হয়ে দাঁড়ায়। কারণ দারিদ্র্য তাদের সামনে অপরিচিত অনুভূতি।
আসলেই কি দারিদ্র্যের এই ইমেজ অগ্রাধিকার পাওয়া এসব শিশুর বোধগম্য হওয়ার নয়?
আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করি। কারণ তারা নম্র। আমি নিশ্চিত তারা বুঝবেই। আমি নিশ্চিত, এদেরই কেউ না কেউ একদিন পুরস্কৃত হবে।
এরপর আলাপ শেষ হয়। আমি শিক্ষকদের পাঠাগারটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। জানতে চাই ছাত্ররা সেখানে পড়ালেখা করে কি না। আমি যখন নানা স্কুল এমনকি নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই, তখন যে রকমের উত্তর পাই, এখানেও ঠিক সেই উত্তরই পেলাম। একজন শিক্ষক বলছেন, হুম...এটা কেমন জানো? বেশির ভাগ ছাত্র এখানে কখনোই পড়তে যায় না, পাঠাগারটি আধা ব্যবহৃত বলা যেতে পারে।
হ্যাঁ, বিষয়গুলো এমনই। সবাই জানি। আমরা একটি খণ্ডিত সংস্কৃতিতে বাস করি।
ডরিস লেসিং ২০০৭ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
উত্তর লন্ডনের একটি নামকরা বালক বিদ্যালয়ে আমি বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলাম। সুন্দর বাগানঘেরা বড় একটি স্কুল ভবন। এই স্কুলের ছাত্ররা প্রতি সপ্তাহেই তাদের স্কুলে খ্যাতনামা ব্যক্তিদের দেখা পায়। এমনকি এখানকার ছাত্রদের বাবা-মা, আত্মীয়রাই একেকজন খ্যাতিমান ব্যক্তি। ফলে খ্যাতনামা কেউ আসা না-আসা তাদের জন্য বিশেষ অর্থ বহন করে না।
আমার মনে তখন ভেসে আসে উত্তর-পশ্চিম জিম্বাবুয়ের ধুলোমাখা সেই স্কুলের স্মৃতি। বইহীন, পাঠ্যবইহীন, মানচিত্রবিহীন স্কুল। সামনে পরিপাটি ইংরেজ চেহারাগুলো দেখে আমি তাদের গত সপ্তাহে যা দেখে এসেছি সেটা বলতে চেষ্টা করলাম। আমি তাদের সেই স্কুলের কথা বলি, যেখানকার শিক্ষকেরা পাঠদান বা শেখার জন্য বইয়ের দাবি জানিয়েছেন। ‘দয়া করে আমাদের কাছে বই পাঠানোর ব্যবস্থা করুন! বারবার কীভাবে তারা বই চাইছিল আমি তাদের বললাম। এদের ভাবলেশহীন ফাঁকা চোখ দেখেই বুঝি, এরা জানেও না আমি কী বলতে চাইছি। কারণ এই বর্ণনার কোনো চিত্রকল্প ওদের মনের ভেতরে নেই। এই পরিস্থিতিতে ওই স্কুলের ধুলোমাখা ঘর, পানির স্বল্পতা, ছাগল জবাই করে রান্না করার বিষয়গুলো এই ইংরেজ বাচ্চাগুলোর কাছে শুধুই গল্প হয়ে দাঁড়ায়। কারণ দারিদ্র্য তাদের সামনে অপরিচিত অনুভূতি।
আসলেই কি দারিদ্র্যের এই ইমেজ অগ্রাধিকার পাওয়া এসব শিশুর বোধগম্য হওয়ার নয়?
আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করি। কারণ তারা নম্র। আমি নিশ্চিত তারা বুঝবেই। আমি নিশ্চিত, এদেরই কেউ না কেউ একদিন পুরস্কৃত হবে।
এরপর আলাপ শেষ হয়। আমি শিক্ষকদের পাঠাগারটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। জানতে চাই ছাত্ররা সেখানে পড়ালেখা করে কি না। আমি যখন নানা স্কুল এমনকি নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই, তখন যে রকমের উত্তর পাই, এখানেও ঠিক সেই উত্তরই পেলাম। একজন শিক্ষক বলছেন, হুম...এটা কেমন জানো? বেশির ভাগ ছাত্র এখানে কখনোই পড়তে যায় না, পাঠাগারটি আধা ব্যবহৃত বলা যেতে পারে।
হ্যাঁ, বিষয়গুলো এমনই। সবাই জানি। আমরা একটি খণ্ডিত সংস্কৃতিতে বাস করি।
ডরিস লেসিং ২০০৭ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
১৯ ঘণ্টা আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
৪ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
৯ দিন আগেগাইবান্ধা জেলার মীরের বাগান একসময় ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামের এক দরবেশ এদিকটায় এসে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি মসজিদ ও তিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদটির দেয়ালে খোদাই করা লিপি থেকে জানা যায়, এটি হাজার বছর আগে ১০১১ সালে নির্মিত।
১০ দিন আগে