সম্পাদকীয়
সিপিবির খুলনা জেলার সাবেক সম্পাদক এবং দক্ষিণাঞ্চলের লবণপানির ঘেরবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন আজীবন সংগ্রামী কমরেড রতন সেন।
রতন সেনের জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ এপ্রিল বরিশালের উজিরপুরে। দৌলতপুর মহসিন স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং বি এল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ছাত্র আন্দোলনে জড়িত হলে গ্রেপ্তার হন, পরে তিনি জেলে বসে ১৯৪২ সালে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাস করেন।
রতন সেন রাজনীতিতে যুক্ত হন বড় দাদা মোহিত লাল সেনগুপ্তের মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পরিবারের সবাই দেশত্যাগ করলেও তিনি যাননি।
১৯৪২ সালের আগস্ট মাসে রতন সেন অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। প্রথমে শ্রমিক আন্দোলনে যোগদান করেন। ১৯৪৫ সালে পার্টির সিদ্ধান্তে বটিয়াঘাটার বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্ভর হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। উদ্দেশ্য, গ্রামের কৃষকদের সংগঠিত করা। প্রতি শনিবার ১০ মাইল হেঁটে তিনি খুলনা শহরে আসতেন এবং রোববার খুলনায় থেকে পার্টি ও পার্টির পত্রিকা ‘স্বাধীনতা’র জন্য কাজ করে সোমবার সকালে গিয়ে স্কুলে ক্লাস নিতেন। তিনি ছিলেন ‘স্বাধীনতা’র খুলনার প্রতিনিধি। অল্পদিনে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় ‘মাস্টার মহাশয়’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
বটিয়াঘাটায় কৃষকদের নিয়ে তেভাগা আন্দোলন ও জমিদারিপ্রথা উচ্ছেদের আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁর ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ২২ বছর কেটেছে জেল ও আত্মগোপনে।
সাপ্তাহিক একতা, মুক্তির দিগন্তসহ অনেক পত্রিকায় তাঁর লেখা নিয়মিত ছাপা হতো। চিরায়িত মার্ক্সবাদ ছাড়া চলতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলি নিয়ে তিনি পত্রিকায় লিখতেন। ইংরেজিতে খুবই দখল ছিল তাঁর। মুক্তির দিগন্তের লেখা তিনি ইংরেজি পত্রিকা থেকে অনুবাদ করতেন। তিনি ‘প্রবাসী ভারতীয় বিপ্লবী’ ও ‘জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন’ নামে দুটি বই অনুবাদ করেন। ব্যক্তিজীবনে ছিলেন চিরকুমার। অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন।
রতন সেনকে ১৯৯২ সালের ৩১ জুলাই খুলনা ডিসি অফিসের সামনে ঘাতকেরা নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
সিপিবির খুলনা জেলার সাবেক সম্পাদক এবং দক্ষিণাঞ্চলের লবণপানির ঘেরবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন আজীবন সংগ্রামী কমরেড রতন সেন।
রতন সেনের জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ এপ্রিল বরিশালের উজিরপুরে। দৌলতপুর মহসিন স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং বি এল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ছাত্র আন্দোলনে জড়িত হলে গ্রেপ্তার হন, পরে তিনি জেলে বসে ১৯৪২ সালে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাস করেন।
রতন সেন রাজনীতিতে যুক্ত হন বড় দাদা মোহিত লাল সেনগুপ্তের মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পরিবারের সবাই দেশত্যাগ করলেও তিনি যাননি।
১৯৪২ সালের আগস্ট মাসে রতন সেন অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। প্রথমে শ্রমিক আন্দোলনে যোগদান করেন। ১৯৪৫ সালে পার্টির সিদ্ধান্তে বটিয়াঘাটার বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্ভর হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। উদ্দেশ্য, গ্রামের কৃষকদের সংগঠিত করা। প্রতি শনিবার ১০ মাইল হেঁটে তিনি খুলনা শহরে আসতেন এবং রোববার খুলনায় থেকে পার্টি ও পার্টির পত্রিকা ‘স্বাধীনতা’র জন্য কাজ করে সোমবার সকালে গিয়ে স্কুলে ক্লাস নিতেন। তিনি ছিলেন ‘স্বাধীনতা’র খুলনার প্রতিনিধি। অল্পদিনে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রিয় ‘মাস্টার মহাশয়’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
বটিয়াঘাটায় কৃষকদের নিয়ে তেভাগা আন্দোলন ও জমিদারিপ্রথা উচ্ছেদের আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁর ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ২২ বছর কেটেছে জেল ও আত্মগোপনে।
সাপ্তাহিক একতা, মুক্তির দিগন্তসহ অনেক পত্রিকায় তাঁর লেখা নিয়মিত ছাপা হতো। চিরায়িত মার্ক্সবাদ ছাড়া চলতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলি নিয়ে তিনি পত্রিকায় লিখতেন। ইংরেজিতে খুবই দখল ছিল তাঁর। মুক্তির দিগন্তের লেখা তিনি ইংরেজি পত্রিকা থেকে অনুবাদ করতেন। তিনি ‘প্রবাসী ভারতীয় বিপ্লবী’ ও ‘জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন’ নামে দুটি বই অনুবাদ করেন। ব্যক্তিজীবনে ছিলেন চিরকুমার। অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন।
রতন সেনকে ১৯৯২ সালের ৩১ জুলাই খুলনা ডিসি অফিসের সামনে ঘাতকেরা নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
বাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
২ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
২ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৩ দিন আগেকাশ্মীর প্রিন্সেস—৭০ বছর আগে এক ট্র্যাজেডির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এয়ার ইন্ডিয়ার এই উড়োজাহাজ। ১৯৫৫ সালের ১০ এপ্রিল মুম্বাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে হংকংয়ের কাই তাক বিমানবন্দরে পৌঁছায় উড়োজাহাজটি। পরদিন, চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার কথা ছিল সেটির।
৭ দিন আগে