ফরাসি বিপ্লব শুধু ইউরোপ নয়, পৃথিবীকে নতুন করে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিল। এই বিপ্লব সামন্তবাদের অবসান ঘটিয়ে ব্যক্তির মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছিল। একই সঙ্গে রাজশাসনের বদলে নাগরিকের অধিকারের কথা প্রথম উচ্চারিত হয়েছিল এ সময়। এই বিপ্লব বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিল ভলতেয়ারের চিন্তা ও দর্শনের দ্বারা। এর প্রত্যক্ষ অভিঘাতে ১৭৮৯ সালে সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতার অমিয় বাণীকে বুকে ধারণ করে ফরাসিরা স্বৈরাচারী রাজা ষোড়শ লুইকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
ভলতেয়ার নামে পরিচিত হলেও তাঁর মূল নাম ফ্রঁসোয়া মারি আরুয়ে। অষ্টাদশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ফরাসি কবি, নাট্যকার, সাহিত্যিক ও দার্শনিক তিনি। তিনি ছিলেন নাগরিক অধিকারের পক্ষের অন্যতম প্রবক্তা। তাঁর পুরো জীবনটাই ছিল বিতর্ক, বঞ্চনা আর নির্যাতনে ভরা।
তিনি স্বৈরাচার, অভিজাত শাসক, গির্জা তথা খ্রিষ্টধর্মকে তিনি ফ্রান্সের সার্বিক বিকাশে বাধা হিসেবে মনে করেছিলেন। তাই তিনি গির্জার ভণ্ডামি, মূর্খতাকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে কলম হাতে নেন। এ জন্য তাঁকে রাজা ষোড়শ লুইয়ের অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়। বিদ্রূপধর্মী লেখা ‘রিজেন্ট’-এর জন্য তাঁকে বাস্তিলের কারাগারে বন্দী করা হয়। রাজপরিবারের সঙ্গে বিরোধের কারণে ১৭২০ সালে ইংল্যান্ডে নির্বাসনে চলে যেতে বাধ্য হন।
তাঁর আলোচিত উপন্যাস ‘কাঁদিদ’। এই উপন্যাসে শাসকদের ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং প্রজাদের দুর্গতি, নারী ও শিশুদের ওপর অমানবিকতা, ধর্মযাজকদের ভণ্ডামি, লোভ ও ঈর্ষার কথা উঠে এসেছে। পাশাপাশি কৌলীন্য প্রথার বিরোধিতা করে মানুষকে সমানভাবে ভাবা, দাসপ্রথার কুফল এবং তা থেকে মানবজাতিকে মুক্ত করার চিন্তাসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে। রূপকের আড়ালে উঠে এসেছে ওই সময়কার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতা। তাঁর স্যাটায়ার করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল।
তাঁকে ফ্রান্সের বিশিষ্টজনেরা হোমার ও ভার্জিলের সমকক্ষ বলে মনে করতেন। তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ২ হাজার বই ও ২০ হাজার চিঠি।
এই মহান দার্শনিক ১৬৯৪ সালের ২১ নভেম্বর প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন।
ফরাসি বিপ্লব শুধু ইউরোপ নয়, পৃথিবীকে নতুন করে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিল। এই বিপ্লব সামন্তবাদের অবসান ঘটিয়ে ব্যক্তির মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছিল। একই সঙ্গে রাজশাসনের বদলে নাগরিকের অধিকারের কথা প্রথম উচ্চারিত হয়েছিল এ সময়। এই বিপ্লব বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিল ভলতেয়ারের চিন্তা ও দর্শনের দ্বারা। এর প্রত্যক্ষ অভিঘাতে ১৭৮৯ সালে সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতার অমিয় বাণীকে বুকে ধারণ করে ফরাসিরা স্বৈরাচারী রাজা ষোড়শ লুইকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
ভলতেয়ার নামে পরিচিত হলেও তাঁর মূল নাম ফ্রঁসোয়া মারি আরুয়ে। অষ্টাদশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ফরাসি কবি, নাট্যকার, সাহিত্যিক ও দার্শনিক তিনি। তিনি ছিলেন নাগরিক অধিকারের পক্ষের অন্যতম প্রবক্তা। তাঁর পুরো জীবনটাই ছিল বিতর্ক, বঞ্চনা আর নির্যাতনে ভরা।
তিনি স্বৈরাচার, অভিজাত শাসক, গির্জা তথা খ্রিষ্টধর্মকে তিনি ফ্রান্সের সার্বিক বিকাশে বাধা হিসেবে মনে করেছিলেন। তাই তিনি গির্জার ভণ্ডামি, মূর্খতাকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে কলম হাতে নেন। এ জন্য তাঁকে রাজা ষোড়শ লুইয়ের অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়। বিদ্রূপধর্মী লেখা ‘রিজেন্ট’-এর জন্য তাঁকে বাস্তিলের কারাগারে বন্দী করা হয়। রাজপরিবারের সঙ্গে বিরোধের কারণে ১৭২০ সালে ইংল্যান্ডে নির্বাসনে চলে যেতে বাধ্য হন।
তাঁর আলোচিত উপন্যাস ‘কাঁদিদ’। এই উপন্যাসে শাসকদের ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং প্রজাদের দুর্গতি, নারী ও শিশুদের ওপর অমানবিকতা, ধর্মযাজকদের ভণ্ডামি, লোভ ও ঈর্ষার কথা উঠে এসেছে। পাশাপাশি কৌলীন্য প্রথার বিরোধিতা করে মানুষকে সমানভাবে ভাবা, দাসপ্রথার কুফল এবং তা থেকে মানবজাতিকে মুক্ত করার চিন্তাসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে। রূপকের আড়ালে উঠে এসেছে ওই সময়কার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতা। তাঁর স্যাটায়ার করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল।
তাঁকে ফ্রান্সের বিশিষ্টজনেরা হোমার ও ভার্জিলের সমকক্ষ বলে মনে করতেন। তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ২ হাজার বই ও ২০ হাজার চিঠি।
এই মহান দার্শনিক ১৬৯৪ সালের ২১ নভেম্বর প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন।
যতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৯ ঘণ্টা আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৩ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৭ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৮ দিন আগে