বিভুরঞ্জন সরকার

বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ, এক বিষাদ, এক চিরন্তন অভাবের দিন।
রবীন্দ্রনাথকে শুধুই কবি বললে কম বলা হয়। তিনি একাধারে কবি, গীতিকার, সুরকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, প্রবন্ধকার, শিক্ষাবিদ, সমাজচিন্তক ও চিত্রশিল্পী। বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের নির্যাস যদি কোথাও নিহিত থাকে, তবে তা রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মে। আর এই মহাপুরুষের প্রয়াণ হয়েছিল যে দিনে, সেই দিনটি নিজের একটি আবহাওয়া তৈরি করে নিয়েছে বাংলা সাহিত্যে।
অদ্ভুত বিষয় হলো, রবীন্দ্রনাথের গানে, কবিতায়, নাটকে এবং গদ্যে ‘শ্রাবণ’ নিজেই এক চরিত্র হয়ে উঠেছে। তার সৃষ্টি পড়লে বোঝা যায়, শ্রাবণ তাঁর মনে এক গভীর আবেগের ঋতু। এই ঋতু শুধু প্রকৃতির রূপবদল নয়—এ যেন হৃদয়ের এক অন্তঃসলিলা ধারা।
শ্রাবণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের এক আশ্চর্য আত্মিক যোগাযোগ লক্ষ্য করা যায়। তাঁর অন্তত ২৪টি গানে সরাসরি শ্রাবণের নাম আছে। পাশাপাশি অসংখ্য গানে ও কবিতায় বৃষ্টি, মেঘ, বাতাস, বেদনা, বিদায়, অভিমান আর স্মৃতির যে সুর বাজে, সেখানে শ্রাবণের আবহমান ব্যাকুলতা লুকিয়ে থাকে।
রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিতে শ্রাবণ বারবার এসেছে এক গভীর রোমান্টিক রূপ নিয়ে। তবে তা কেবল প্রেমের উচ্ছ্বাস নয়, বরং একধরনের অনাগত বিদায়ের রূঢ় বাস্তবতা। তিনি লিখেছেন: “ওগো আমার শ্রাবণ মেঘের খেয়া তরীর মাঝি/অশ্রুভরা পূরব হাওয়ায় পাল তুলে দাও আজি। ” এই পঙ্ক্তিতে এক বিষণ্ন যাত্রার ইঙ্গিত রয়েছে। বিদায় এখানে প্রত্যক্ষ না হলেও, বাতাসে যেন সেই বেদনার গন্ধ। পঙ্ক্তিগুলোর ভেতর দিয়ে একটি হাহাকার ভেসে আসে—প্রিয়জনের কাছ থেকে চিরবিদায় নেওয়ার এক অমোঘ আকাঙ্ক্ষা।
আবার অন্য এক গানে লিখেছেন: ‘এই শ্রাবণ বেলা বাদল ঝরা/যূথী বনের গন্ধে ভরা। ‘এখানে শ্রাবণ যেন রোমান্টিকতা ও প্রকৃতির সংমিশ্রণে এক স্বপ্নজ অনুভূতি। বাতাসে যূথী ফুলের গন্ধ, শ্রাবণের বৃষ্টিধারা আর প্রেমের প্রগাঢ়তা মিলেমিশে যায়। তবে রবীন্দ্রনাথ কখনোই প্রেমকে নিছক আনন্দ বা উল্লাসে আবদ্ধ রাখেননি। তার প্রেমের গান, বিশেষত শ্রাবণ-ভিত্তিক গানে, বেদনা এক অনিবার্য সুর। ‘শ্রাবণ বরিষন পার হয়ে/কী বাণী আসে ঐ রয়ে রয়ে’—এই গানে শ্রাবণ যেন হয়ে ওঠে অজানা বাণীর বাহক। সে কি প্রেমের পরিণতি, না বিচ্ছেদের সান্ত্বনা? এই দ্বিধা, এই প্রশ্নই রবীন্দ্রনাথের শ্রাবণগানকে করে তোলে রহস্যময় ও বহুস্তরবিশিষ্ট।
শ্রাবণের ধারা রবীন্দ্রনাথের গানে শুধুই প্রকৃতির উপমা নয়। তা হয়ে ওঠে প্রতীক্ষার প্রতীক। ‘আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে দুয়ার কাঁপে ক্ষণে ক্ষণে/ঘরের বাঁধন যায় বুঝি আজ টুটে। ‘এখানে শ্রাবণ যেন বাহ্যিক প্রাকৃতিক ঘটনা নয়, বরং মনের দোলাচল, জীবনের বাঁধন ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়ার এক অজানা উদ্দীপনা। এই দ্বিধা, এই চেতনা—প্রকৃতি আর মানুষের এক আশ্চর্য সাযুজ্য, যা কেবল রবীন্দ্রনাথের কলমেই সম্ভব। শ্রাবণ এখানে নেমেছে ‘জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার’ দূত হয়ে। বৃষ্টি যেমন ঝরে আর থেমে যায়, মানুষও তেমনি একসময় সব ছেড়ে চলে যায়। ‘গহন রাতে শ্রাবণ ধারা পড়িছে ঝরে’—এই পঙ্ক্তির নির্জনতায় যেন মৃত্যুর ছায়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
রবীন্দ্রনাথ বৃষ্টিকে দেখেছেন রূপের শিল্পী হিসেবে। তাঁর গানে শ্রাবণ মানেই কেবল জলধারা নয়, বরং আলো-আঁধারির খেলা, বিদ্যুৎ চমক, অদ্ভুত কল্পনায় মেঘের নাচন। ‘শ্রাবণের গগনের গায় বিদ্যুৎ চমকিয়া যায়’—এই পঙ্ক্তিতে শ্রাবণ যেন রোমাঞ্চকর এক দৃশ্যপট। আরেক গানে তিনি বলেন: ‘পথিক মেঘের দল জোটে ওই শ্রাবণ গগন অঙ্গনে। ‘মেঘ এখানে শুধু প্রকৃতির উপাদান নয়, বরং এক যাযাবর দলে পরিণত হয়েছে, যাদের কোনো গন্তব্য নেই। যেন মানুষ নিজেই মেঘ হয়ে গেছে, ভেসে বেড়াচ্ছে নিরুদ্দেশে।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ, ইংরেজি ৭ আগস্ট ১৯৪১—এই দিনটিতে মৃত্যুবরণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আশ্চর্য এই যে, যাঁর কবিতায়, গানে, গদ্যে শ্রাবণ এসেছে বিচ্ছেদ, প্রত্যাশা, বিষাদ ও আলোড়নের প্রতীক হয়ে—শেষ পর্যন্ত তিনিই যেন নিজেকে সেই শ্রাবণের মাঝেই বিলীন করলেন।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনের শেষ পর্বে অসুস্থতা, দেশ বিভাজনের আশঙ্কা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ দেখে চরম বিষাদে নিমজ্জিত ছিলেন। তাঁর শেষ দিককার কবিতাগুলোতে আমরা সেই বিষণ্নতা অনুভব করি। মৃত্যুর পূর্বে তিনি লিখেছিলেন: ‘মৃত্যুরে করিতে পারি অহো রে জয়/জয়িনী তোরে নয়/মৃত্যুরে আমি করেছি অমৃতস্য সন্তান। ‘এই উক্তির মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস, তা যেন বৃষ্টির মধ্যেও রোদ উঠার প্রতিশ্রুতি দেয়। ২২ শ্রাবণ তাই শুধুই অন্তিম নয়, তা আশ্বাসেরও দিন।
প্রতি বছর ২২ শ্রাবণ এলে বাঙালির হৃদয়ে কেবল শোক নয়, একধরনের আধ্যাত্মিক কম্পন জেগে ওঠে। আমরা যেন এই দিনটিতে একটু বেশি রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করি, তাঁর গান শুনি, কবিতা পড়ি, একটু শান্ত হয়ে যাই। এই দিনে অনেকে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ তো কখনো মরেননি। ‘কথাটি আক্ষরিক অর্থে নয়, কিন্তু সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক দিক থেকে একেবারে সত্য। তিনি আজও আমাদের গান, নাটক, চিত্রকলা, চিন্তা ও চেতনায় জ্যোতিষ্ক হয়ে আছেন।
রবীন্দ্রনাথ আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে বৃষ্টিকে ভালোবাসতে হয়, কীভাবে বিষাদকে মেনে নিতে হয়, কীভাবে প্রেমকে পূর্ণতার মতো ধরতে হয়, আবার মুক্তির মতো ছেড়ে দিতে হয়। তাঁর শ্রাবণ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন অনিশ্চিত, তবু তা সুন্দর। বেদনার মধ্যেই থাকে সৌন্দর্যের আলো। আর এই সৌন্দর্য খোঁজার জন্যই আমরা বারবার ফিরে যাই তাঁর গানে, কবিতায়, সাহিত্যে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ‘শ্রাবণ’কে রূপ দিয়েছেন এক জীবন্ত রূপকে। বাংলা সাহিত্যে ‘শ্রাবণ’ এখন কেবল একটি ঋতু বা মাস নয়—এ এক অনুভূতি, এক ভাষা, এক চেতনা। ২২ শ্রাবণ তাই আমাদের জন্য এক দ্বৈততার দিন—বিষাদের এবং ভালোবাসার, অভাবের এবং প্রাপ্তির, মৃত্যুর এবং অমরতার। এই দিনটিতে আমরা কেবল একটি মানুষকে স্মরণ করি না; আমরা স্মরণ করি একটি ভাবধারা, একটি কাব্যিক দর্শন, একটি জাতির আত্মপরিচয়।
এই লেখা শেষ করি রবীন্দ্রনাথের এক শ্রাবণঘন গান দিয়ে: ‘সঘন গহন রাত্রি ঝরিছে শ্রাবণ ধারা/অন্ধ বিভাবরী সঙ্গপরশ হারা। ‘কিন্তু আমরা জানি—এই অন্ধকার বিভাবরীতেও রবীন্দ্রনাথ আছেন। তিনি সঙ্গ পরশ হীন হননি। তিনি বরং আমাদের হৃদয়ে শ্রাবণ হয়ে ঝরে পড়ছেন, চিরকাল।

বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ, এক বিষাদ, এক চিরন্তন অভাবের দিন।
রবীন্দ্রনাথকে শুধুই কবি বললে কম বলা হয়। তিনি একাধারে কবি, গীতিকার, সুরকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, প্রবন্ধকার, শিক্ষাবিদ, সমাজচিন্তক ও চিত্রশিল্পী। বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের নির্যাস যদি কোথাও নিহিত থাকে, তবে তা রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মে। আর এই মহাপুরুষের প্রয়াণ হয়েছিল যে দিনে, সেই দিনটি নিজের একটি আবহাওয়া তৈরি করে নিয়েছে বাংলা সাহিত্যে।
অদ্ভুত বিষয় হলো, রবীন্দ্রনাথের গানে, কবিতায়, নাটকে এবং গদ্যে ‘শ্রাবণ’ নিজেই এক চরিত্র হয়ে উঠেছে। তার সৃষ্টি পড়লে বোঝা যায়, শ্রাবণ তাঁর মনে এক গভীর আবেগের ঋতু। এই ঋতু শুধু প্রকৃতির রূপবদল নয়—এ যেন হৃদয়ের এক অন্তঃসলিলা ধারা।
শ্রাবণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের এক আশ্চর্য আত্মিক যোগাযোগ লক্ষ্য করা যায়। তাঁর অন্তত ২৪টি গানে সরাসরি শ্রাবণের নাম আছে। পাশাপাশি অসংখ্য গানে ও কবিতায় বৃষ্টি, মেঘ, বাতাস, বেদনা, বিদায়, অভিমান আর স্মৃতির যে সুর বাজে, সেখানে শ্রাবণের আবহমান ব্যাকুলতা লুকিয়ে থাকে।
রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিতে শ্রাবণ বারবার এসেছে এক গভীর রোমান্টিক রূপ নিয়ে। তবে তা কেবল প্রেমের উচ্ছ্বাস নয়, বরং একধরনের অনাগত বিদায়ের রূঢ় বাস্তবতা। তিনি লিখেছেন: “ওগো আমার শ্রাবণ মেঘের খেয়া তরীর মাঝি/অশ্রুভরা পূরব হাওয়ায় পাল তুলে দাও আজি। ” এই পঙ্ক্তিতে এক বিষণ্ন যাত্রার ইঙ্গিত রয়েছে। বিদায় এখানে প্রত্যক্ষ না হলেও, বাতাসে যেন সেই বেদনার গন্ধ। পঙ্ক্তিগুলোর ভেতর দিয়ে একটি হাহাকার ভেসে আসে—প্রিয়জনের কাছ থেকে চিরবিদায় নেওয়ার এক অমোঘ আকাঙ্ক্ষা।
আবার অন্য এক গানে লিখেছেন: ‘এই শ্রাবণ বেলা বাদল ঝরা/যূথী বনের গন্ধে ভরা। ‘এখানে শ্রাবণ যেন রোমান্টিকতা ও প্রকৃতির সংমিশ্রণে এক স্বপ্নজ অনুভূতি। বাতাসে যূথী ফুলের গন্ধ, শ্রাবণের বৃষ্টিধারা আর প্রেমের প্রগাঢ়তা মিলেমিশে যায়। তবে রবীন্দ্রনাথ কখনোই প্রেমকে নিছক আনন্দ বা উল্লাসে আবদ্ধ রাখেননি। তার প্রেমের গান, বিশেষত শ্রাবণ-ভিত্তিক গানে, বেদনা এক অনিবার্য সুর। ‘শ্রাবণ বরিষন পার হয়ে/কী বাণী আসে ঐ রয়ে রয়ে’—এই গানে শ্রাবণ যেন হয়ে ওঠে অজানা বাণীর বাহক। সে কি প্রেমের পরিণতি, না বিচ্ছেদের সান্ত্বনা? এই দ্বিধা, এই প্রশ্নই রবীন্দ্রনাথের শ্রাবণগানকে করে তোলে রহস্যময় ও বহুস্তরবিশিষ্ট।
শ্রাবণের ধারা রবীন্দ্রনাথের গানে শুধুই প্রকৃতির উপমা নয়। তা হয়ে ওঠে প্রতীক্ষার প্রতীক। ‘আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে দুয়ার কাঁপে ক্ষণে ক্ষণে/ঘরের বাঁধন যায় বুঝি আজ টুটে। ‘এখানে শ্রাবণ যেন বাহ্যিক প্রাকৃতিক ঘটনা নয়, বরং মনের দোলাচল, জীবনের বাঁধন ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়ার এক অজানা উদ্দীপনা। এই দ্বিধা, এই চেতনা—প্রকৃতি আর মানুষের এক আশ্চর্য সাযুজ্য, যা কেবল রবীন্দ্রনাথের কলমেই সম্ভব। শ্রাবণ এখানে নেমেছে ‘জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার’ দূত হয়ে। বৃষ্টি যেমন ঝরে আর থেমে যায়, মানুষও তেমনি একসময় সব ছেড়ে চলে যায়। ‘গহন রাতে শ্রাবণ ধারা পড়িছে ঝরে’—এই পঙ্ক্তির নির্জনতায় যেন মৃত্যুর ছায়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
রবীন্দ্রনাথ বৃষ্টিকে দেখেছেন রূপের শিল্পী হিসেবে। তাঁর গানে শ্রাবণ মানেই কেবল জলধারা নয়, বরং আলো-আঁধারির খেলা, বিদ্যুৎ চমক, অদ্ভুত কল্পনায় মেঘের নাচন। ‘শ্রাবণের গগনের গায় বিদ্যুৎ চমকিয়া যায়’—এই পঙ্ক্তিতে শ্রাবণ যেন রোমাঞ্চকর এক দৃশ্যপট। আরেক গানে তিনি বলেন: ‘পথিক মেঘের দল জোটে ওই শ্রাবণ গগন অঙ্গনে। ‘মেঘ এখানে শুধু প্রকৃতির উপাদান নয়, বরং এক যাযাবর দলে পরিণত হয়েছে, যাদের কোনো গন্তব্য নেই। যেন মানুষ নিজেই মেঘ হয়ে গেছে, ভেসে বেড়াচ্ছে নিরুদ্দেশে।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ, ইংরেজি ৭ আগস্ট ১৯৪১—এই দিনটিতে মৃত্যুবরণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আশ্চর্য এই যে, যাঁর কবিতায়, গানে, গদ্যে শ্রাবণ এসেছে বিচ্ছেদ, প্রত্যাশা, বিষাদ ও আলোড়নের প্রতীক হয়ে—শেষ পর্যন্ত তিনিই যেন নিজেকে সেই শ্রাবণের মাঝেই বিলীন করলেন।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনের শেষ পর্বে অসুস্থতা, দেশ বিভাজনের আশঙ্কা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ দেখে চরম বিষাদে নিমজ্জিত ছিলেন। তাঁর শেষ দিককার কবিতাগুলোতে আমরা সেই বিষণ্নতা অনুভব করি। মৃত্যুর পূর্বে তিনি লিখেছিলেন: ‘মৃত্যুরে করিতে পারি অহো রে জয়/জয়িনী তোরে নয়/মৃত্যুরে আমি করেছি অমৃতস্য সন্তান। ‘এই উক্তির মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস, তা যেন বৃষ্টির মধ্যেও রোদ উঠার প্রতিশ্রুতি দেয়। ২২ শ্রাবণ তাই শুধুই অন্তিম নয়, তা আশ্বাসেরও দিন।
প্রতি বছর ২২ শ্রাবণ এলে বাঙালির হৃদয়ে কেবল শোক নয়, একধরনের আধ্যাত্মিক কম্পন জেগে ওঠে। আমরা যেন এই দিনটিতে একটু বেশি রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করি, তাঁর গান শুনি, কবিতা পড়ি, একটু শান্ত হয়ে যাই। এই দিনে অনেকে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ তো কখনো মরেননি। ‘কথাটি আক্ষরিক অর্থে নয়, কিন্তু সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক দিক থেকে একেবারে সত্য। তিনি আজও আমাদের গান, নাটক, চিত্রকলা, চিন্তা ও চেতনায় জ্যোতিষ্ক হয়ে আছেন।
রবীন্দ্রনাথ আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে বৃষ্টিকে ভালোবাসতে হয়, কীভাবে বিষাদকে মেনে নিতে হয়, কীভাবে প্রেমকে পূর্ণতার মতো ধরতে হয়, আবার মুক্তির মতো ছেড়ে দিতে হয়। তাঁর শ্রাবণ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন অনিশ্চিত, তবু তা সুন্দর। বেদনার মধ্যেই থাকে সৌন্দর্যের আলো। আর এই সৌন্দর্য খোঁজার জন্যই আমরা বারবার ফিরে যাই তাঁর গানে, কবিতায়, সাহিত্যে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ‘শ্রাবণ’কে রূপ দিয়েছেন এক জীবন্ত রূপকে। বাংলা সাহিত্যে ‘শ্রাবণ’ এখন কেবল একটি ঋতু বা মাস নয়—এ এক অনুভূতি, এক ভাষা, এক চেতনা। ২২ শ্রাবণ তাই আমাদের জন্য এক দ্বৈততার দিন—বিষাদের এবং ভালোবাসার, অভাবের এবং প্রাপ্তির, মৃত্যুর এবং অমরতার। এই দিনটিতে আমরা কেবল একটি মানুষকে স্মরণ করি না; আমরা স্মরণ করি একটি ভাবধারা, একটি কাব্যিক দর্শন, একটি জাতির আত্মপরিচয়।
এই লেখা শেষ করি রবীন্দ্রনাথের এক শ্রাবণঘন গান দিয়ে: ‘সঘন গহন রাত্রি ঝরিছে শ্রাবণ ধারা/অন্ধ বিভাবরী সঙ্গপরশ হারা। ‘কিন্তু আমরা জানি—এই অন্ধকার বিভাবরীতেও রবীন্দ্রনাথ আছেন। তিনি সঙ্গ পরশ হীন হননি। তিনি বরং আমাদের হৃদয়ে শ্রাবণ হয়ে ঝরে পড়ছেন, চিরকাল।

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
১ দিন আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৬ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। বলা হয়, চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনদর্শনে প্রভাবিত হয়েই শচীমোহন রেস্তোরাঁটির নাম দেন ‘দেশবন্ধু সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। এর উল্টো দিকে তখন ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস।
সেখানকার সাংবাদিকেরা দেশবন্ধুর পরোটা-লুচি-ভাজি-হালুয়া খেতে যেতেন নিয়মিত। কবি-সাহিত্যিক-অভিনয়শিল্পীরাও পছন্দ করতেন এই রেস্তোরাঁর খাবার। এমনকি এফডিসিতে ফরমাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো দেশবন্ধুর নাশতা। এখন হয়তো মানিক মিয়া, রাজ্জাক, কবরী কিংবা শাবানাদের মতো বিখ্যাতরা সেখানে যান না কিন্তু তাতে দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনো ঢাকাবাসীর ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরাঁয়। ভাবা যায়, সারা দিনই এখানকার পরোটা-ভাজি বিক্রি হতে থাকে! দুপুরে অবশ্য খাবারের তালিকায় ভাত-মাছ-মাংসও আছে। ছবি: মেহেদী হাসান

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। বলা হয়, চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনদর্শনে প্রভাবিত হয়েই শচীমোহন রেস্তোরাঁটির নাম দেন ‘দেশবন্ধু সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। এর উল্টো দিকে তখন ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস।
সেখানকার সাংবাদিকেরা দেশবন্ধুর পরোটা-লুচি-ভাজি-হালুয়া খেতে যেতেন নিয়মিত। কবি-সাহিত্যিক-অভিনয়শিল্পীরাও পছন্দ করতেন এই রেস্তোরাঁর খাবার। এমনকি এফডিসিতে ফরমাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো দেশবন্ধুর নাশতা। এখন হয়তো মানিক মিয়া, রাজ্জাক, কবরী কিংবা শাবানাদের মতো বিখ্যাতরা সেখানে যান না কিন্তু তাতে দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনো ঢাকাবাসীর ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরাঁয়। ভাবা যায়, সারা দিনই এখানকার পরোটা-ভাজি বিক্রি হতে থাকে! দুপুরে অবশ্য খাবারের তালিকায় ভাত-মাছ-মাংসও আছে। ছবি: মেহেদী হাসান

বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৬ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৭ দিন আগেকুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহীনা সোবহান।
ড. নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা, কুমারখালী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি রহমান আজিজ, কবি রজত হুদা ও কবি সবুর বাদশা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক সোহেল আমিন বাবু, কবি বাবলু জোয়ার্দার, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শরীফ, জিটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাজী সাইফুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) সোহাগ মাহমুদ প্রমুখ।
এ সাহিত্য আড্ডায় কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর কবি-সাহিত্যিকেরা অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী জিয়াউর রহমান মানিক।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা শাহীনা সোবহান।
ড. নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু নাসের রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ সাহা, কুমারখালী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি রহমান আজিজ, কবি রজত হুদা ও কবি সবুর বাদশা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক সোহেল আমিন বাবু, কবি বাবলু জোয়ার্দার, কবি ও সাংবাদিক মাহমুদ শরীফ, জিটিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাজী সাইফুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) সোহাগ মাহমুদ প্রমুখ।
এ সাহিত্য আড্ডায় কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর কবি-সাহিত্যিকেরা অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী জিয়াউর রহমান মানিক।

বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
১ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৬ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির সরদার ভবনে সরে আসে নান্না মিয়ার ব্যবসা। দোকানের নাম হয় হাজি নান্না বিরিয়ানি।
একে একে লালবাগ চৌরাস্তা, নবাবগঞ্জ বাজার, ফকিরাপুল ও নাজিমুদ্দিন রোডে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই নামে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও আসল নান্নার মোরগ পোলাওয়ের স্বাদকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। তাই তো ভোজনপ্রেমীরা ঠিকই চিনে নেন আদি রেসিপিটি। মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি হাজি নান্না বিরিয়ানিতে পাওয়া যায় খাসির বিরিয়ানি, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি, টিকিয়া, লাবাং ও ফিরনি। প্রতি মাসের ৫ তারিখে থাকে বিশেষ আয়োজন—আস্ত মুরগির পোলাও। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির সরদার ভবনে সরে আসে নান্না মিয়ার ব্যবসা। দোকানের নাম হয় হাজি নান্না বিরিয়ানি।
একে একে লালবাগ চৌরাস্তা, নবাবগঞ্জ বাজার, ফকিরাপুল ও নাজিমুদ্দিন রোডে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই নামে শত শত ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও আসল নান্নার মোরগ পোলাওয়ের স্বাদকে টেক্কা দিতে পারেনি কেউ। তাই তো ভোজনপ্রেমীরা ঠিকই চিনে নেন আদি রেসিপিটি। মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি হাজি নান্না বিরিয়ানিতে পাওয়া যায় খাসির বিরিয়ানি, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি, টিকিয়া, লাবাং ও ফিরনি। প্রতি মাসের ৫ তারিখে থাকে বিশেষ আয়োজন—আস্ত মুরগির পোলাও। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
১ দিন আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না। ব্যাপারটা ভদ্রলোক করেছিলেন ১৯৩৬ সালে, এ কথা ভুলবেন না। আর সেই যে সেই ‘উত্তরায়ণ’-এ বড়ুয়া সাহেবের জ্বর হওয়ার পরে ক্যামেরা সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল—সেটাই কি ভোলা যায়! কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন ভদ্রলোক ডেভিড লিনের ‘অলিভার টুইস্ট’-এর বহু আগে। সাবজেকটিভ ক্যামেরা সম্পর্কে অনেক কথা আজকাল শুনতে পাই, বিভিন্ন পরিচালক নাকি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন।
...আমার কাছে গুলিয়ে গেছে সিনেমার প্রাচীন আর আধুনিক বলতে আপনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। এসব ধরনের কথা শুনলে আমার একটা কথাই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘দে গরুর গা ধুইয়ে’।
...চলচ্চিত্রের সামাজিক দায়িত্ব সব সময়ে হয়েছে। হয় পজিটিভ, না হয় নেগেটিভভাবে। ছবিটাকে আমি একটা শিল্প বলি। কাজেই মনে করি সর্বশিল্পের শর্ত পালিত হচ্ছে এখানেও। আমি মনে করি না যে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ চ্যাপলিনের ‘এসানে’ যুগের এক রিলের ছবিগুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।
১৯২৫ সালে তোলা আইজেনস্টাইনের ‘স্ট্রাইক’ ছবির চেয়ে বেশি সমাজসচেতন ছবি কি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে? পাবস্ট-এর ‘কামেরা ডে শেফট’ আজও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি সমাজসচেতন একটি ছবি। চারু রায়ের ‘বাংলার মেয়ে’ বহু আগে তোলা—প্রথম বাংলা ছবি, যাতে আউটডোর ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশিভাবে, তাতেও সমাজচেতনা পরিপূর্ণ ছিল।
...রবিঠাকুর মশায় একটা বড় ভালো কথা বলে গিয়েছিলেন, ‘শিল্পকে শিল্প হতে হলে সর্বাগ্রে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়, তারপরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ’। কথাটা ভাবার মতো। যদি পারেন ভেবে দেখবেন।
সূত্র: ঋত্বিক ঘটকের গৃহীত সাক্ষাৎকার, ‘সাক্ষাৎ ঋত্বিক’, শিবাদিত্য দাশগুপ্ত ও সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৮-১৯

চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতি-টদ্ধতি বুঝি না মশাই। আমার কাছে আজও প্রমথেশ বড়ুয়া ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ চিত্রপরিচালক। আমরা কেউই তাঁর পায়ের নখের যোগ্য নই। আমার আজও মনে পড়ে ‘গৃহদাহ’র সেই অসম্ভব ট্রানজিশন—সেই যে হাইহিল জুতো-পরা দুটো পা থেকে সোজা কেটে দুটো আলতা-মাখা পা পালকি থেকে নামছে—আমি কখনো ভুলব না। ব্যাপারটা ভদ্রলোক করেছিলেন ১৯৩৬ সালে, এ কথা ভুলবেন না। আর সেই যে সেই ‘উত্তরায়ণ’-এ বড়ুয়া সাহেবের জ্বর হওয়ার পরে ক্যামেরা সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে আছড়ে পড়ল—সেটাই কি ভোলা যায়! কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন ভদ্রলোক ডেভিড লিনের ‘অলিভার টুইস্ট’-এর বহু আগে। সাবজেকটিভ ক্যামেরা সম্পর্কে অনেক কথা আজকাল শুনতে পাই, বিভিন্ন পরিচালক নাকি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছেন।
...আমার কাছে গুলিয়ে গেছে সিনেমার প্রাচীন আর আধুনিক বলতে আপনারা কী বোঝাতে চেয়েছেন। এসব ধরনের কথা শুনলে আমার একটা কথাই মনে হয়, কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘দে গরুর গা ধুইয়ে’।
...চলচ্চিত্রের সামাজিক দায়িত্ব সব সময়ে হয়েছে। হয় পজিটিভ, না হয় নেগেটিভভাবে। ছবিটাকে আমি একটা শিল্প বলি। কাজেই মনে করি সর্বশিল্পের শর্ত পালিত হচ্ছে এখানেও। আমি মনে করি না যে সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ চ্যাপলিনের ‘এসানে’ যুগের এক রিলের ছবিগুলোর চেয়ে বেশি সচেতন।
১৯২৫ সালে তোলা আইজেনস্টাইনের ‘স্ট্রাইক’ ছবির চেয়ে বেশি সমাজসচেতন ছবি কি আজ পর্যন্ত তোলা হয়েছে? পাবস্ট-এর ‘কামেরা ডে শেফট’ আজও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি সমাজসচেতন একটি ছবি। চারু রায়ের ‘বাংলার মেয়ে’ বহু আগে তোলা—প্রথম বাংলা ছবি, যাতে আউটডোর ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশিভাবে, তাতেও সমাজচেতনা পরিপূর্ণ ছিল।
...রবিঠাকুর মশায় একটা বড় ভালো কথা বলে গিয়েছিলেন, ‘শিল্পকে শিল্প হতে হলে সর্বাগ্রে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়, তারপরে সৌন্দর্যনিষ্ঠ’। কথাটা ভাবার মতো। যদি পারেন ভেবে দেখবেন।
সূত্র: ঋত্বিক ঘটকের গৃহীত সাক্ষাৎকার, ‘সাক্ষাৎ ঋত্বিক’, শিবাদিত্য দাশগুপ্ত ও সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৮-১৯

বাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
০৬ আগস্ট ২০২৫
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
১ দিন আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবি শাহীনা সোবহানের সম্মানে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাহিত্য আড্ডা। গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে ড. নাসের ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়।
৫ দিন আগে
১৯৬০-এর দশকে হাজি নান্না মিয়া তাঁর দুই ভাই জুম্মুন মিয়া ও চান মিয়ার সঙ্গে শুরু করেন খাবারের ব্যবসা। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ছোট্ট একটা দোকানে পাতলা মাদুর বিছিয়ে তাঁরা পরিবেশন করতেন মোরগ পোলাও। সেই মোরগ পোলাওয়ের সুঘ্রাণের সঙ্গে এর সুখ্যাতি ছড়াতে সময় লাগেনি। মৌলভীবাজার থেকে পরে বেচারাম দেউড়ির...
৬ দিন আগে