জাহাঙ্গীর আলম

তিশা-মুশতাক দম্পতির বয়সের ফারাক কমসে কম ৪০ বছর। মধ্যবয়সী মুশতাক আবার উপন্যাস লিখেছেন তাঁর সদ্য কৈশোর পেরোনো স্ত্রীর নামে। তাঁর গল্পের নায়ক-নায়িকার নামও তিশা ও মুশতাক। এরা কিন্তু অসমবয়সী নয়। কলেজপড়ুয়া দুই তরুণ-তরুণী। কিন্তু বইয়ের পৃষ্ঠাজুড়ে বাস্তবের তিশা-মুশতাকের ছবি জুড়ে দেওয়ার মানে কী? স্ত্রীর হাত ধরে দাঁড়ানোর সময় মুশতাক যে তাঁর বয়স ভারাক্রান্ত শরীর নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন, উপন্যাসের ভেতরে নিজেকে এভাবে ফ্যান্টাসাইজ করা তারই নিদর্শন হতে পারে!
কিন্তু এই দম্পতিকে নিয়ে মানুষের এত আপত্তির কারণ কী? বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে আপত্তি এতটাই তীব্র যে একপর্যায়ে তাঁদের দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। অনেক তরুণকে দেখা গেছে মুশতাককে ‘লুচ্চা’ বলে গালি দিতে।
অসমবয়সী আপাত-প্রেমময় এই দম্পতিকে নিয়ে সদ্য পৌরুষে পা দেওয়া ছেলেদের এত আপত্তি কেন? তারা কি এমন দুজন মানুষের হাত ধরাধরি করতে দেখে অথবা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য কল্পনা করে অস্বস্তি বোধ করছে? এই অস্বস্তির উৎসই-বা কী? কেনই-বা অনেকে বিপত্নীক মুশতাকের এই বিয়েটাকে অনৈতিক বলছেন?
এই আপত্তির উৎস সন্ধানে আমরা অস্বস্তির (disgust) ওপরই জোর দিতে পারি।
দুটি উপন্যাস এনেছেন মুশতাক: তিশার ভালোবাসা এবং তিশা অ্যান্ড মুশতাক। ধরা যাক কৌতূহলবশত কোনো পাঠক এই উপন্যাস পড়তে শুরু করলেন। রোমান্টিকতায় ঠাসা গল্প পড়তে গিয়ে নায়ক-নায়িকার নামগুলো যখন বারবার এক টিনেজ মেয়ে আর ষাটোর্ধ্ব বুড়োর কথা মনে করিয়ে দেবে, তখন পাঠ আর আনন্দময় থাকতে পারে কি? উপন্যাসের পাতায় পাতায় নিজের ছবি সেঁটে দিয়ে মুশতাক নিশ্চিত অস্বস্তি উৎপাদনের আয়োজন করেছেন।
বইমেলার তরুণ তুর্কিরা তাদের আপত্তির কিছু কারণ অবশ্য জানিয়েছে! তাতে প্রেমের বাজারে বুড়োর কাছে হেরে যাওয়ার গ্লানি স্পষ্ট। এমন বয়সে একটি অমন প্রেমিকা জোটাতে না পারার পেছনে অর্থনৈতিক দীনতাকেই বড় করে দেখছে অনেকে। ফলে মুশতাক তাদের চোখে ঘৃণ্য সুগার ড্যাডি, বাংলা পরিভাষা গুলে খাওয়া তরুণেরা বলছে—চিনি বাবা।
তিশা-মুশতাক নিয়ে আপত্তির পেছনে মোটাদাগে অস্বস্তি, বঞ্চনার অনুভূতি অথবা বিত্তের প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়া আলফা মেলদের গ্লানিই মুখ্য বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো, যৌন সক্ষম একজন ষাটোর্ধ্ব পুরুষের তরুণী সঙ্গী বেছে নেওয়ায় সমাজের কেন এমন তীব্র আপত্তি? তার মানে বিয়েকে শুধু যৌনতার সামাজিক সম্মতি বলে মনে করা হয় না? তাহলে বিয়ের মধ্যে আরও কী কী প্রত্যাশিত? অসম বিয়ে (নারী ও পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রে) কেন দেশ ও সংস্কৃতিনির্বিশেষে একটা ট্যাবু?
এর উৎস সন্ধানের অভিযাত্রায় এভাবেও ভাবা যেতে পারে: নারীদের ওপর পুরুষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর তাদের ভাষায় ‘অবলা নারীর’ নিরাপত্তা বিধান যখন পৌরুষের অন্যতম দায় হিসেবে মূল্যবোধের অংশ হয়ে যায়, তখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীর নিরাপত্তার অজুহাতে কিছু অদ্ভুত অযৌক্তিক নৈতিকতা উদ্ভাবনে মাথা খাটানো শুরু করে।
যেমন: মুরব্বিদের কাছে প্রজননক্ষম নারীদের নিরাপদ মনে করা এবং এটি সর্বজনীন নৈতিকতা বলে গৃহীত হওয়া। একইভাবে বিবাহিত পুরুষদের নারীদের জন্য অধিকতর নিরাপদ বলে মনে করা হয় এবং এই নৈতিকতার রক্ষাকবচ হিসেবে সে অর্থে কোনো সমাজে সর্বজনগ্রাহ্য কোনো আইন বা বিধি বা রীতি কিন্তু নেই। এ ধরনের ক্ষেত্রে সাধারণত যা করা হয়, সেটিই এখানে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেটি হলো স্টিগমাটাইজ করা বা সম্মিলিত লজ্জা বা ঘৃণা বর্ষণ। আধুনিক ভূরাজনীতিতে তথাকথিত সফটপাওয়ার বিস্তারে দেওয়া হয় ঘুষ, আর সমাজ এই অতৃপ্ত বুড়ো ও বিবাহিতদের জন্য রেখেছে লজ্জা। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে: নৈতিকতার তাসের ঘর হরহামেশা ভেঙে পড়ছে।
একই যুক্তিতে আজকাল একই কর্মস্থলে সহকর্মীদের মধ্যে প্রেম কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পেছনে লক্ষ্য মূলত প্রিডেটর বসদের থাবা থেকে নারী কর্মীদের সুরক্ষা।
আবার এই ধরনের নৈতিকতার নিরাপত্তাপ্রাচীর তৈরির আরেকটি হাস্যকর চেষ্টা হলো, তুলনা। ‘মেয়েরা তো মায়ের মতো, বোনের মতো। তাদের দিকে কুনজরে তাকাতে লজ্জা করে না!’ আবারও নৈতিকতার প্রাচীর তোলার দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা। এর একটা মোক্ষম জবাব দিয়েছেন বাংলা সিনেমার খলনায়ক কাবিলা। উত্ত্যক্তকারী খলনায়ককে নায়িকা বলছেন, ‘তোর বাড়িতে মা-বোন নেই?’ খলনায়ক বলছেন, ‘সবাই মা-বোন হইলে বউ হইবো ক্যাডা?’ স্পষ্টত পেশিশক্তিতে দুর্বল অসহায় নারীর সম্ভ্রম বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা, নৈতিকতার দোহাই!
বোঝাই যাচ্ছে, এই নৈতিকতার দোহাই দিয়ে আসলে কাজ হচ্ছে না। এভাবে কাজ হওয়াটা জরুরি কি না, সেটিও ভাবা দরকার। নারী তো এখন সমান নাগরিক। তার নিরাপত্তার দায় নিয়ে পৌরুষ দেখানোর দিন তো আর নেই! নাগরিকেরা যদি সমান নিরাপত্তা না পান, সেই ব্যর্থতা কার? সবার সামগ্রিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যেই ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলেছি, দায় তারই। নারীরা সব স্থানে নিরাপদ বোধ করবেন, যাকে ভালো লাগবে তাকে ভালোবাসবেন; বিয়ে করবেন অথবা করবেন না; নারী বলেই তাঁর দায়িত্ব কেন সমাজ নামের পুরুষদের ক্লাবকে নিতে হবে।
উদ্দিষ্টদের অস্বস্তি প্রশমনে আরেকটি কথা না বললেই নয়—অঙ্গীকার ও দায়হীন প্রেম আর বিবাহিত সম্পর্ক এক নয়। তথাকথিত সুগার ড্যাডি ও সুগার বেবিদের নিয়ে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের দম্পতিদের মধ্যকার সম্পর্ক শুধুই পারস্পরিক স্বার্থ হাসিলের ব্যাপার নয়; অধিকাংশ সাধারণ বিয়ের মতোই এই অসম দম্পতির সম্পর্কও একপর্যায়ে দায় আর অভ্যাসে পরিণত হয়।
সুতরাং পুরুষ যাঁরা নিজেদের সমাজের প্রতিনিধি দাবি করছেন, তাঁরা এবার নীতি পুলিশগিরি থামান!
লেখক: জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

তিশা-মুশতাক দম্পতির বয়সের ফারাক কমসে কম ৪০ বছর। মধ্যবয়সী মুশতাক আবার উপন্যাস লিখেছেন তাঁর সদ্য কৈশোর পেরোনো স্ত্রীর নামে। তাঁর গল্পের নায়ক-নায়িকার নামও তিশা ও মুশতাক। এরা কিন্তু অসমবয়সী নয়। কলেজপড়ুয়া দুই তরুণ-তরুণী। কিন্তু বইয়ের পৃষ্ঠাজুড়ে বাস্তবের তিশা-মুশতাকের ছবি জুড়ে দেওয়ার মানে কী? স্ত্রীর হাত ধরে দাঁড়ানোর সময় মুশতাক যে তাঁর বয়স ভারাক্রান্ত শরীর নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন, উপন্যাসের ভেতরে নিজেকে এভাবে ফ্যান্টাসাইজ করা তারই নিদর্শন হতে পারে!
কিন্তু এই দম্পতিকে নিয়ে মানুষের এত আপত্তির কারণ কী? বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে আপত্তি এতটাই তীব্র যে একপর্যায়ে তাঁদের দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। অনেক তরুণকে দেখা গেছে মুশতাককে ‘লুচ্চা’ বলে গালি দিতে।
অসমবয়সী আপাত-প্রেমময় এই দম্পতিকে নিয়ে সদ্য পৌরুষে পা দেওয়া ছেলেদের এত আপত্তি কেন? তারা কি এমন দুজন মানুষের হাত ধরাধরি করতে দেখে অথবা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য কল্পনা করে অস্বস্তি বোধ করছে? এই অস্বস্তির উৎসই-বা কী? কেনই-বা অনেকে বিপত্নীক মুশতাকের এই বিয়েটাকে অনৈতিক বলছেন?
এই আপত্তির উৎস সন্ধানে আমরা অস্বস্তির (disgust) ওপরই জোর দিতে পারি।
দুটি উপন্যাস এনেছেন মুশতাক: তিশার ভালোবাসা এবং তিশা অ্যান্ড মুশতাক। ধরা যাক কৌতূহলবশত কোনো পাঠক এই উপন্যাস পড়তে শুরু করলেন। রোমান্টিকতায় ঠাসা গল্প পড়তে গিয়ে নায়ক-নায়িকার নামগুলো যখন বারবার এক টিনেজ মেয়ে আর ষাটোর্ধ্ব বুড়োর কথা মনে করিয়ে দেবে, তখন পাঠ আর আনন্দময় থাকতে পারে কি? উপন্যাসের পাতায় পাতায় নিজের ছবি সেঁটে দিয়ে মুশতাক নিশ্চিত অস্বস্তি উৎপাদনের আয়োজন করেছেন।
বইমেলার তরুণ তুর্কিরা তাদের আপত্তির কিছু কারণ অবশ্য জানিয়েছে! তাতে প্রেমের বাজারে বুড়োর কাছে হেরে যাওয়ার গ্লানি স্পষ্ট। এমন বয়সে একটি অমন প্রেমিকা জোটাতে না পারার পেছনে অর্থনৈতিক দীনতাকেই বড় করে দেখছে অনেকে। ফলে মুশতাক তাদের চোখে ঘৃণ্য সুগার ড্যাডি, বাংলা পরিভাষা গুলে খাওয়া তরুণেরা বলছে—চিনি বাবা।
তিশা-মুশতাক নিয়ে আপত্তির পেছনে মোটাদাগে অস্বস্তি, বঞ্চনার অনুভূতি অথবা বিত্তের প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়া আলফা মেলদের গ্লানিই মুখ্য বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো, যৌন সক্ষম একজন ষাটোর্ধ্ব পুরুষের তরুণী সঙ্গী বেছে নেওয়ায় সমাজের কেন এমন তীব্র আপত্তি? তার মানে বিয়েকে শুধু যৌনতার সামাজিক সম্মতি বলে মনে করা হয় না? তাহলে বিয়ের মধ্যে আরও কী কী প্রত্যাশিত? অসম বিয়ে (নারী ও পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রে) কেন দেশ ও সংস্কৃতিনির্বিশেষে একটা ট্যাবু?
এর উৎস সন্ধানের অভিযাত্রায় এভাবেও ভাবা যেতে পারে: নারীদের ওপর পুরুষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর তাদের ভাষায় ‘অবলা নারীর’ নিরাপত্তা বিধান যখন পৌরুষের অন্যতম দায় হিসেবে মূল্যবোধের অংশ হয়ে যায়, তখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীর নিরাপত্তার অজুহাতে কিছু অদ্ভুত অযৌক্তিক নৈতিকতা উদ্ভাবনে মাথা খাটানো শুরু করে।
যেমন: মুরব্বিদের কাছে প্রজননক্ষম নারীদের নিরাপদ মনে করা এবং এটি সর্বজনীন নৈতিকতা বলে গৃহীত হওয়া। একইভাবে বিবাহিত পুরুষদের নারীদের জন্য অধিকতর নিরাপদ বলে মনে করা হয় এবং এই নৈতিকতার রক্ষাকবচ হিসেবে সে অর্থে কোনো সমাজে সর্বজনগ্রাহ্য কোনো আইন বা বিধি বা রীতি কিন্তু নেই। এ ধরনের ক্ষেত্রে সাধারণত যা করা হয়, সেটিই এখানে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেটি হলো স্টিগমাটাইজ করা বা সম্মিলিত লজ্জা বা ঘৃণা বর্ষণ। আধুনিক ভূরাজনীতিতে তথাকথিত সফটপাওয়ার বিস্তারে দেওয়া হয় ঘুষ, আর সমাজ এই অতৃপ্ত বুড়ো ও বিবাহিতদের জন্য রেখেছে লজ্জা। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে: নৈতিকতার তাসের ঘর হরহামেশা ভেঙে পড়ছে।
একই যুক্তিতে আজকাল একই কর্মস্থলে সহকর্মীদের মধ্যে প্রেম কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পেছনে লক্ষ্য মূলত প্রিডেটর বসদের থাবা থেকে নারী কর্মীদের সুরক্ষা।
আবার এই ধরনের নৈতিকতার নিরাপত্তাপ্রাচীর তৈরির আরেকটি হাস্যকর চেষ্টা হলো, তুলনা। ‘মেয়েরা তো মায়ের মতো, বোনের মতো। তাদের দিকে কুনজরে তাকাতে লজ্জা করে না!’ আবারও নৈতিকতার প্রাচীর তোলার দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা। এর একটা মোক্ষম জবাব দিয়েছেন বাংলা সিনেমার খলনায়ক কাবিলা। উত্ত্যক্তকারী খলনায়ককে নায়িকা বলছেন, ‘তোর বাড়িতে মা-বোন নেই?’ খলনায়ক বলছেন, ‘সবাই মা-বোন হইলে বউ হইবো ক্যাডা?’ স্পষ্টত পেশিশক্তিতে দুর্বল অসহায় নারীর সম্ভ্রম বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা, নৈতিকতার দোহাই!
বোঝাই যাচ্ছে, এই নৈতিকতার দোহাই দিয়ে আসলে কাজ হচ্ছে না। এভাবে কাজ হওয়াটা জরুরি কি না, সেটিও ভাবা দরকার। নারী তো এখন সমান নাগরিক। তার নিরাপত্তার দায় নিয়ে পৌরুষ দেখানোর দিন তো আর নেই! নাগরিকেরা যদি সমান নিরাপত্তা না পান, সেই ব্যর্থতা কার? সবার সামগ্রিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যেই ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলেছি, দায় তারই। নারীরা সব স্থানে নিরাপদ বোধ করবেন, যাকে ভালো লাগবে তাকে ভালোবাসবেন; বিয়ে করবেন অথবা করবেন না; নারী বলেই তাঁর দায়িত্ব কেন সমাজ নামের পুরুষদের ক্লাবকে নিতে হবে।
উদ্দিষ্টদের অস্বস্তি প্রশমনে আরেকটি কথা না বললেই নয়—অঙ্গীকার ও দায়হীন প্রেম আর বিবাহিত সম্পর্ক এক নয়। তথাকথিত সুগার ড্যাডি ও সুগার বেবিদের নিয়ে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের দম্পতিদের মধ্যকার সম্পর্ক শুধুই পারস্পরিক স্বার্থ হাসিলের ব্যাপার নয়; অধিকাংশ সাধারণ বিয়ের মতোই এই অসম দম্পতির সম্পর্কও একপর্যায়ে দায় আর অভ্যাসে পরিণত হয়।
সুতরাং পুরুষ যাঁরা নিজেদের সমাজের প্রতিনিধি দাবি করছেন, তাঁরা এবার নীতি পুলিশগিরি থামান!
লেখক: জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
জাহাঙ্গীর আলম

তিশা-মুশতাক দম্পতির বয়সের ফারাক কমসে কম ৪০ বছর। মধ্যবয়সী মুশতাক আবার উপন্যাস লিখেছেন তাঁর সদ্য কৈশোর পেরোনো স্ত্রীর নামে। তাঁর গল্পের নায়ক-নায়িকার নামও তিশা ও মুশতাক। এরা কিন্তু অসমবয়সী নয়। কলেজপড়ুয়া দুই তরুণ-তরুণী। কিন্তু বইয়ের পৃষ্ঠাজুড়ে বাস্তবের তিশা-মুশতাকের ছবি জুড়ে দেওয়ার মানে কী? স্ত্রীর হাত ধরে দাঁড়ানোর সময় মুশতাক যে তাঁর বয়স ভারাক্রান্ত শরীর নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন, উপন্যাসের ভেতরে নিজেকে এভাবে ফ্যান্টাসাইজ করা তারই নিদর্শন হতে পারে!
কিন্তু এই দম্পতিকে নিয়ে মানুষের এত আপত্তির কারণ কী? বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে আপত্তি এতটাই তীব্র যে একপর্যায়ে তাঁদের দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। অনেক তরুণকে দেখা গেছে মুশতাককে ‘লুচ্চা’ বলে গালি দিতে।
অসমবয়সী আপাত-প্রেমময় এই দম্পতিকে নিয়ে সদ্য পৌরুষে পা দেওয়া ছেলেদের এত আপত্তি কেন? তারা কি এমন দুজন মানুষের হাত ধরাধরি করতে দেখে অথবা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য কল্পনা করে অস্বস্তি বোধ করছে? এই অস্বস্তির উৎসই-বা কী? কেনই-বা অনেকে বিপত্নীক মুশতাকের এই বিয়েটাকে অনৈতিক বলছেন?
এই আপত্তির উৎস সন্ধানে আমরা অস্বস্তির (disgust) ওপরই জোর দিতে পারি।
দুটি উপন্যাস এনেছেন মুশতাক: তিশার ভালোবাসা এবং তিশা অ্যান্ড মুশতাক। ধরা যাক কৌতূহলবশত কোনো পাঠক এই উপন্যাস পড়তে শুরু করলেন। রোমান্টিকতায় ঠাসা গল্প পড়তে গিয়ে নায়ক-নায়িকার নামগুলো যখন বারবার এক টিনেজ মেয়ে আর ষাটোর্ধ্ব বুড়োর কথা মনে করিয়ে দেবে, তখন পাঠ আর আনন্দময় থাকতে পারে কি? উপন্যাসের পাতায় পাতায় নিজের ছবি সেঁটে দিয়ে মুশতাক নিশ্চিত অস্বস্তি উৎপাদনের আয়োজন করেছেন।
বইমেলার তরুণ তুর্কিরা তাদের আপত্তির কিছু কারণ অবশ্য জানিয়েছে! তাতে প্রেমের বাজারে বুড়োর কাছে হেরে যাওয়ার গ্লানি স্পষ্ট। এমন বয়সে একটি অমন প্রেমিকা জোটাতে না পারার পেছনে অর্থনৈতিক দীনতাকেই বড় করে দেখছে অনেকে। ফলে মুশতাক তাদের চোখে ঘৃণ্য সুগার ড্যাডি, বাংলা পরিভাষা গুলে খাওয়া তরুণেরা বলছে—চিনি বাবা।
তিশা-মুশতাক নিয়ে আপত্তির পেছনে মোটাদাগে অস্বস্তি, বঞ্চনার অনুভূতি অথবা বিত্তের প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়া আলফা মেলদের গ্লানিই মুখ্য বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো, যৌন সক্ষম একজন ষাটোর্ধ্ব পুরুষের তরুণী সঙ্গী বেছে নেওয়ায় সমাজের কেন এমন তীব্র আপত্তি? তার মানে বিয়েকে শুধু যৌনতার সামাজিক সম্মতি বলে মনে করা হয় না? তাহলে বিয়ের মধ্যে আরও কী কী প্রত্যাশিত? অসম বিয়ে (নারী ও পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রে) কেন দেশ ও সংস্কৃতিনির্বিশেষে একটা ট্যাবু?
এর উৎস সন্ধানের অভিযাত্রায় এভাবেও ভাবা যেতে পারে: নারীদের ওপর পুরুষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর তাদের ভাষায় ‘অবলা নারীর’ নিরাপত্তা বিধান যখন পৌরুষের অন্যতম দায় হিসেবে মূল্যবোধের অংশ হয়ে যায়, তখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীর নিরাপত্তার অজুহাতে কিছু অদ্ভুত অযৌক্তিক নৈতিকতা উদ্ভাবনে মাথা খাটানো শুরু করে।
যেমন: মুরব্বিদের কাছে প্রজননক্ষম নারীদের নিরাপদ মনে করা এবং এটি সর্বজনীন নৈতিকতা বলে গৃহীত হওয়া। একইভাবে বিবাহিত পুরুষদের নারীদের জন্য অধিকতর নিরাপদ বলে মনে করা হয় এবং এই নৈতিকতার রক্ষাকবচ হিসেবে সে অর্থে কোনো সমাজে সর্বজনগ্রাহ্য কোনো আইন বা বিধি বা রীতি কিন্তু নেই। এ ধরনের ক্ষেত্রে সাধারণত যা করা হয়, সেটিই এখানে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেটি হলো স্টিগমাটাইজ করা বা সম্মিলিত লজ্জা বা ঘৃণা বর্ষণ। আধুনিক ভূরাজনীতিতে তথাকথিত সফটপাওয়ার বিস্তারে দেওয়া হয় ঘুষ, আর সমাজ এই অতৃপ্ত বুড়ো ও বিবাহিতদের জন্য রেখেছে লজ্জা। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে: নৈতিকতার তাসের ঘর হরহামেশা ভেঙে পড়ছে।
একই যুক্তিতে আজকাল একই কর্মস্থলে সহকর্মীদের মধ্যে প্রেম কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পেছনে লক্ষ্য মূলত প্রিডেটর বসদের থাবা থেকে নারী কর্মীদের সুরক্ষা।
আবার এই ধরনের নৈতিকতার নিরাপত্তাপ্রাচীর তৈরির আরেকটি হাস্যকর চেষ্টা হলো, তুলনা। ‘মেয়েরা তো মায়ের মতো, বোনের মতো। তাদের দিকে কুনজরে তাকাতে লজ্জা করে না!’ আবারও নৈতিকতার প্রাচীর তোলার দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা। এর একটা মোক্ষম জবাব দিয়েছেন বাংলা সিনেমার খলনায়ক কাবিলা। উত্ত্যক্তকারী খলনায়ককে নায়িকা বলছেন, ‘তোর বাড়িতে মা-বোন নেই?’ খলনায়ক বলছেন, ‘সবাই মা-বোন হইলে বউ হইবো ক্যাডা?’ স্পষ্টত পেশিশক্তিতে দুর্বল অসহায় নারীর সম্ভ্রম বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা, নৈতিকতার দোহাই!
বোঝাই যাচ্ছে, এই নৈতিকতার দোহাই দিয়ে আসলে কাজ হচ্ছে না। এভাবে কাজ হওয়াটা জরুরি কি না, সেটিও ভাবা দরকার। নারী তো এখন সমান নাগরিক। তার নিরাপত্তার দায় নিয়ে পৌরুষ দেখানোর দিন তো আর নেই! নাগরিকেরা যদি সমান নিরাপত্তা না পান, সেই ব্যর্থতা কার? সবার সামগ্রিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যেই ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলেছি, দায় তারই। নারীরা সব স্থানে নিরাপদ বোধ করবেন, যাকে ভালো লাগবে তাকে ভালোবাসবেন; বিয়ে করবেন অথবা করবেন না; নারী বলেই তাঁর দায়িত্ব কেন সমাজ নামের পুরুষদের ক্লাবকে নিতে হবে।
উদ্দিষ্টদের অস্বস্তি প্রশমনে আরেকটি কথা না বললেই নয়—অঙ্গীকার ও দায়হীন প্রেম আর বিবাহিত সম্পর্ক এক নয়। তথাকথিত সুগার ড্যাডি ও সুগার বেবিদের নিয়ে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের দম্পতিদের মধ্যকার সম্পর্ক শুধুই পারস্পরিক স্বার্থ হাসিলের ব্যাপার নয়; অধিকাংশ সাধারণ বিয়ের মতোই এই অসম দম্পতির সম্পর্কও একপর্যায়ে দায় আর অভ্যাসে পরিণত হয়।
সুতরাং পুরুষ যাঁরা নিজেদের সমাজের প্রতিনিধি দাবি করছেন, তাঁরা এবার নীতি পুলিশগিরি থামান!
লেখক: জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

তিশা-মুশতাক দম্পতির বয়সের ফারাক কমসে কম ৪০ বছর। মধ্যবয়সী মুশতাক আবার উপন্যাস লিখেছেন তাঁর সদ্য কৈশোর পেরোনো স্ত্রীর নামে। তাঁর গল্পের নায়ক-নায়িকার নামও তিশা ও মুশতাক। এরা কিন্তু অসমবয়সী নয়। কলেজপড়ুয়া দুই তরুণ-তরুণী। কিন্তু বইয়ের পৃষ্ঠাজুড়ে বাস্তবের তিশা-মুশতাকের ছবি জুড়ে দেওয়ার মানে কী? স্ত্রীর হাত ধরে দাঁড়ানোর সময় মুশতাক যে তাঁর বয়স ভারাক্রান্ত শরীর নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন, উপন্যাসের ভেতরে নিজেকে এভাবে ফ্যান্টাসাইজ করা তারই নিদর্শন হতে পারে!
কিন্তু এই দম্পতিকে নিয়ে মানুষের এত আপত্তির কারণ কী? বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে আপত্তি এতটাই তীব্র যে একপর্যায়ে তাঁদের দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। অনেক তরুণকে দেখা গেছে মুশতাককে ‘লুচ্চা’ বলে গালি দিতে।
অসমবয়সী আপাত-প্রেমময় এই দম্পতিকে নিয়ে সদ্য পৌরুষে পা দেওয়া ছেলেদের এত আপত্তি কেন? তারা কি এমন দুজন মানুষের হাত ধরাধরি করতে দেখে অথবা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য কল্পনা করে অস্বস্তি বোধ করছে? এই অস্বস্তির উৎসই-বা কী? কেনই-বা অনেকে বিপত্নীক মুশতাকের এই বিয়েটাকে অনৈতিক বলছেন?
এই আপত্তির উৎস সন্ধানে আমরা অস্বস্তির (disgust) ওপরই জোর দিতে পারি।
দুটি উপন্যাস এনেছেন মুশতাক: তিশার ভালোবাসা এবং তিশা অ্যান্ড মুশতাক। ধরা যাক কৌতূহলবশত কোনো পাঠক এই উপন্যাস পড়তে শুরু করলেন। রোমান্টিকতায় ঠাসা গল্প পড়তে গিয়ে নায়ক-নায়িকার নামগুলো যখন বারবার এক টিনেজ মেয়ে আর ষাটোর্ধ্ব বুড়োর কথা মনে করিয়ে দেবে, তখন পাঠ আর আনন্দময় থাকতে পারে কি? উপন্যাসের পাতায় পাতায় নিজের ছবি সেঁটে দিয়ে মুশতাক নিশ্চিত অস্বস্তি উৎপাদনের আয়োজন করেছেন।
বইমেলার তরুণ তুর্কিরা তাদের আপত্তির কিছু কারণ অবশ্য জানিয়েছে! তাতে প্রেমের বাজারে বুড়োর কাছে হেরে যাওয়ার গ্লানি স্পষ্ট। এমন বয়সে একটি অমন প্রেমিকা জোটাতে না পারার পেছনে অর্থনৈতিক দীনতাকেই বড় করে দেখছে অনেকে। ফলে মুশতাক তাদের চোখে ঘৃণ্য সুগার ড্যাডি, বাংলা পরিভাষা গুলে খাওয়া তরুণেরা বলছে—চিনি বাবা।
তিশা-মুশতাক নিয়ে আপত্তির পেছনে মোটাদাগে অস্বস্তি, বঞ্চনার অনুভূতি অথবা বিত্তের প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়া আলফা মেলদের গ্লানিই মুখ্য বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো, যৌন সক্ষম একজন ষাটোর্ধ্ব পুরুষের তরুণী সঙ্গী বেছে নেওয়ায় সমাজের কেন এমন তীব্র আপত্তি? তার মানে বিয়েকে শুধু যৌনতার সামাজিক সম্মতি বলে মনে করা হয় না? তাহলে বিয়ের মধ্যে আরও কী কী প্রত্যাশিত? অসম বিয়ে (নারী ও পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রে) কেন দেশ ও সংস্কৃতিনির্বিশেষে একটা ট্যাবু?
এর উৎস সন্ধানের অভিযাত্রায় এভাবেও ভাবা যেতে পারে: নারীদের ওপর পুরুষের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর তাদের ভাষায় ‘অবলা নারীর’ নিরাপত্তা বিধান যখন পৌরুষের অন্যতম দায় হিসেবে মূল্যবোধের অংশ হয়ে যায়, তখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীর নিরাপত্তার অজুহাতে কিছু অদ্ভুত অযৌক্তিক নৈতিকতা উদ্ভাবনে মাথা খাটানো শুরু করে।
যেমন: মুরব্বিদের কাছে প্রজননক্ষম নারীদের নিরাপদ মনে করা এবং এটি সর্বজনীন নৈতিকতা বলে গৃহীত হওয়া। একইভাবে বিবাহিত পুরুষদের নারীদের জন্য অধিকতর নিরাপদ বলে মনে করা হয় এবং এই নৈতিকতার রক্ষাকবচ হিসেবে সে অর্থে কোনো সমাজে সর্বজনগ্রাহ্য কোনো আইন বা বিধি বা রীতি কিন্তু নেই। এ ধরনের ক্ষেত্রে সাধারণত যা করা হয়, সেটিই এখানে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেটি হলো স্টিগমাটাইজ করা বা সম্মিলিত লজ্জা বা ঘৃণা বর্ষণ। আধুনিক ভূরাজনীতিতে তথাকথিত সফটপাওয়ার বিস্তারে দেওয়া হয় ঘুষ, আর সমাজ এই অতৃপ্ত বুড়ো ও বিবাহিতদের জন্য রেখেছে লজ্জা। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে: নৈতিকতার তাসের ঘর হরহামেশা ভেঙে পড়ছে।
একই যুক্তিতে আজকাল একই কর্মস্থলে সহকর্মীদের মধ্যে প্রেম কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর পেছনে লক্ষ্য মূলত প্রিডেটর বসদের থাবা থেকে নারী কর্মীদের সুরক্ষা।
আবার এই ধরনের নৈতিকতার নিরাপত্তাপ্রাচীর তৈরির আরেকটি হাস্যকর চেষ্টা হলো, তুলনা। ‘মেয়েরা তো মায়ের মতো, বোনের মতো। তাদের দিকে কুনজরে তাকাতে লজ্জা করে না!’ আবারও নৈতিকতার প্রাচীর তোলার দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা। এর একটা মোক্ষম জবাব দিয়েছেন বাংলা সিনেমার খলনায়ক কাবিলা। উত্ত্যক্তকারী খলনায়ককে নায়িকা বলছেন, ‘তোর বাড়িতে মা-বোন নেই?’ খলনায়ক বলছেন, ‘সবাই মা-বোন হইলে বউ হইবো ক্যাডা?’ স্পষ্টত পেশিশক্তিতে দুর্বল অসহায় নারীর সম্ভ্রম বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা, নৈতিকতার দোহাই!
বোঝাই যাচ্ছে, এই নৈতিকতার দোহাই দিয়ে আসলে কাজ হচ্ছে না। এভাবে কাজ হওয়াটা জরুরি কি না, সেটিও ভাবা দরকার। নারী তো এখন সমান নাগরিক। তার নিরাপত্তার দায় নিয়ে পৌরুষ দেখানোর দিন তো আর নেই! নাগরিকেরা যদি সমান নিরাপত্তা না পান, সেই ব্যর্থতা কার? সবার সামগ্রিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যেই ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলেছি, দায় তারই। নারীরা সব স্থানে নিরাপদ বোধ করবেন, যাকে ভালো লাগবে তাকে ভালোবাসবেন; বিয়ে করবেন অথবা করবেন না; নারী বলেই তাঁর দায়িত্ব কেন সমাজ নামের পুরুষদের ক্লাবকে নিতে হবে।
উদ্দিষ্টদের অস্বস্তি প্রশমনে আরেকটি কথা না বললেই নয়—অঙ্গীকার ও দায়হীন প্রেম আর বিবাহিত সম্পর্ক এক নয়। তথাকথিত সুগার ড্যাডি ও সুগার বেবিদের নিয়ে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের দম্পতিদের মধ্যকার সম্পর্ক শুধুই পারস্পরিক স্বার্থ হাসিলের ব্যাপার নয়; অধিকাংশ সাধারণ বিয়ের মতোই এই অসম দম্পতির সম্পর্কও একপর্যায়ে দায় আর অভ্যাসে পরিণত হয়।
সুতরাং পুরুষ যাঁরা নিজেদের সমাজের প্রতিনিধি দাবি করছেন, তাঁরা এবার নীতি পুলিশগিরি থামান!
লেখক: জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া
২০ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে...
১ দিন আগে
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে কিন্তু কখনো গহিন অরণ্যের আস্তানায় সশস্ত্র রক্ষীবেষ্টিত হয়ে আত্মগোপনে থাকতে হয়নি। তাঁর মাদক কারবারের আয় গোটা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখত। আর তাঁকে কখনো জেলে যাওয়ার চিন্তা করতে হয়নি। কারণ, মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা যাঁদের ছিল, তাঁরা সবাই ছিলেন তাঁর বেতনভুক্ত কর্মচারী!
তিনি আর কেউ নন, তিনি রানি ভিক্টোরিয়া। তাঁর হাতে ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দণ্ড।
রানি ভিক্টোরিয়া শুধু সাম্রাজ্য পরিচালনাতেই মাদক ব্যবহার করেননি, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ছিলেন বিভিন্ন ধরনের ড্রাগের ভক্ত। সিংহাসনে আরোহণের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
ভিক্টোরিয়ার অন্যতম প্রিয় মাদক ছিল আফিম। ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটেনে আফিম সেবনের ফ্যাশনেবল উপায় ছিল—অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশিয়ে লডেনাম আকারে পান করা। তীব্র ব্যথা বা অস্বস্তি দূর করতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। এমনকি দাঁত ওঠার সময় শিশুদের জন্যও এটি সুপারিশ করতেন চিকিৎসকেরা। রানি ভিক্টোরিয়াও প্রতিদিন সকালে এক ঢোক লডেনাম পান করে দিন শুরু করতেন।
এ ছাড়া তিনি সেবন করতেন কোকেন। এটি তখন ছিল সম্পূর্ণ নতুন এবং বৈধ। দাঁতের ব্যথা উপশম এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য রানি কোকেন মিশ্রিত চুইংগাম ও ওয়াইন পছন্দ করতেন। প্রসবের সময় অসহনীয় যন্ত্রণা কমাতে তিনি সানন্দে ক্লোরোফর্ম গ্রহণ করেন এবং এই অভিজ্ঞতাটিকে ‘স্বর্গীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।
১৮৩৭ সালে যখন ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে বসেন, উত্তরাধিকারসূত্রে একটি বড় সংকটের বোঝা তাঁর ঘাড়ে চাপে—ব্রিটিশরা চীন থেকে বিপুল পরিমাণ চা আমদানি করত। এর ফলে ব্রিটেনের সব অর্থ চীনে চলে যাচ্ছিল। আর ওই সময় ব্রিটিশদের হাতে চীনে রপ্তানি করার মতো কিছু ছিল না। ব্রিটেন মরিয়া হয়ে এমন একটি পণ্যের সন্ধান করছিল, যা চীনের লোকেরা চাইবে।
এ সমস্যার সমাধান ছিল আফিম। ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত ভারতে প্রচুর আফিম উৎপাদিত হতো। এটি ছিল অত্যন্ত কার্যকর ব্যথানাশক এবং মারাত্মকভাবে আসক্তি সৃষ্টিকারী। ফলে চীনের লোকেরা এর জন্য প্রচুর দাম দিতে প্রস্তুত ছিল। রানি ভিক্টোরিয়ার শাসন শুরু হওয়ার পর, চীনে আফিমের চালান দ্রুত বাড়তে থাকে। আফিমের কল্যাণে রাতারাতি বাণিজ্য ভারসাম্য বদলে যায়। চীনই ব্রিটিশদের কাছে ঋণী হতে শুরু করে। মাদক কারবার থেকে আসা অর্থ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মোট বার্ষিক আয়ের ১৫ থেকে ২০ শতাংশে দাঁড়ায়।
চীন সরকার মরিয়া হয়ে আফিমের প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে। চীনের সম্রাট এই কাজের জন্য প্রশাসক লিন জেক্সুকে নিয়োগ করেন। জেক্সু রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে একটি চিঠি লিখে ব্রিটিশদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন—চীন যেখানে চা, রেশম ও মৃৎপাত্রের মতো উপকারী পণ্য পাঠাচ্ছে, সেখানে ব্রিটেন কেন তার বিনিময়ে কোটি কোটি মানুষকে ক্ষতিকর মাদক পাঠাচ্ছে?
রানি সেই চিঠি পড়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি। ফলে ১৮৩৯ সালের বসন্তে লিন জেক্সু ব্রিটিশ জাহাজ বহর আটক করেন এবং প্রায় আড়াই মিলিয়ন পাউন্ড আফিম দক্ষিণ চীন সাগরে ফেলে দেন।
মাত্র ২০ বছর বয়সী রানি ভিক্টোরিয়া এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। যেকোনো ক্ষমতাধর সাম্রাজ্যবাদী কিশোরীর মতো তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল প্রত্যাশিতই—তিনি চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এটিই ইতিহাসে প্রথম ‘আফিম যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ বাহিনী চীনা সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে এবং হাজার হাজার চীনা নাগরিককে হত্যা করে। সম্রাট বাধ্য হয়ে একটি অসম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির ফলে হংকংকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিতে হয়। চীনে আফিম ঢোকার জন্য আরও বন্দর খুলে দেওয়া হয় এবং চীনে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিকেরা আইনি সুরক্ষা পান।
এ ঘটনা বিশ্বজুড়ে চীন সাম্রাজ্যের অজেয় ভাবমূর্তি ভেঙে দেয়। এভাবেই একজন একগুঁয়ে কিশোরী রানি একটি প্রাচীন, মর্যাদাপূর্ণ সভ্যতাকে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করেন। এই নির্মম, নির্লজ্জ আত্মস্বার্থই রানি ভিক্টোরিয়াকে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল মাদক সম্রাট বানিয়ে তোলে!
তথ্যসূত্র: টাইম

ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে কিন্তু কখনো গহিন অরণ্যের আস্তানায় সশস্ত্র রক্ষীবেষ্টিত হয়ে আত্মগোপনে থাকতে হয়নি। তাঁর মাদক কারবারের আয় গোটা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখত। আর তাঁকে কখনো জেলে যাওয়ার চিন্তা করতে হয়নি। কারণ, মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা যাঁদের ছিল, তাঁরা সবাই ছিলেন তাঁর বেতনভুক্ত কর্মচারী!
তিনি আর কেউ নন, তিনি রানি ভিক্টোরিয়া। তাঁর হাতে ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দণ্ড।
রানি ভিক্টোরিয়া শুধু সাম্রাজ্য পরিচালনাতেই মাদক ব্যবহার করেননি, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ছিলেন বিভিন্ন ধরনের ড্রাগের ভক্ত। সিংহাসনে আরোহণের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
ভিক্টোরিয়ার অন্যতম প্রিয় মাদক ছিল আফিম। ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্রিটেনে আফিম সেবনের ফ্যাশনেবল উপায় ছিল—অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশিয়ে লডেনাম আকারে পান করা। তীব্র ব্যথা বা অস্বস্তি দূর করতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। এমনকি দাঁত ওঠার সময় শিশুদের জন্যও এটি সুপারিশ করতেন চিকিৎসকেরা। রানি ভিক্টোরিয়াও প্রতিদিন সকালে এক ঢোক লডেনাম পান করে দিন শুরু করতেন।
এ ছাড়া তিনি সেবন করতেন কোকেন। এটি তখন ছিল সম্পূর্ণ নতুন এবং বৈধ। দাঁতের ব্যথা উপশম এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য রানি কোকেন মিশ্রিত চুইংগাম ও ওয়াইন পছন্দ করতেন। প্রসবের সময় অসহনীয় যন্ত্রণা কমাতে তিনি সানন্দে ক্লোরোফর্ম গ্রহণ করেন এবং এই অভিজ্ঞতাটিকে ‘স্বর্গীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।
১৮৩৭ সালে যখন ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে বসেন, উত্তরাধিকারসূত্রে একটি বড় সংকটের বোঝা তাঁর ঘাড়ে চাপে—ব্রিটিশরা চীন থেকে বিপুল পরিমাণ চা আমদানি করত। এর ফলে ব্রিটেনের সব অর্থ চীনে চলে যাচ্ছিল। আর ওই সময় ব্রিটিশদের হাতে চীনে রপ্তানি করার মতো কিছু ছিল না। ব্রিটেন মরিয়া হয়ে এমন একটি পণ্যের সন্ধান করছিল, যা চীনের লোকেরা চাইবে।
এ সমস্যার সমাধান ছিল আফিম। ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত ভারতে প্রচুর আফিম উৎপাদিত হতো। এটি ছিল অত্যন্ত কার্যকর ব্যথানাশক এবং মারাত্মকভাবে আসক্তি সৃষ্টিকারী। ফলে চীনের লোকেরা এর জন্য প্রচুর দাম দিতে প্রস্তুত ছিল। রানি ভিক্টোরিয়ার শাসন শুরু হওয়ার পর, চীনে আফিমের চালান দ্রুত বাড়তে থাকে। আফিমের কল্যাণে রাতারাতি বাণিজ্য ভারসাম্য বদলে যায়। চীনই ব্রিটিশদের কাছে ঋণী হতে শুরু করে। মাদক কারবার থেকে আসা অর্থ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মোট বার্ষিক আয়ের ১৫ থেকে ২০ শতাংশে দাঁড়ায়।
চীন সরকার মরিয়া হয়ে আফিমের প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে। চীনের সম্রাট এই কাজের জন্য প্রশাসক লিন জেক্সুকে নিয়োগ করেন। জেক্সু রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে একটি চিঠি লিখে ব্রিটিশদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন—চীন যেখানে চা, রেশম ও মৃৎপাত্রের মতো উপকারী পণ্য পাঠাচ্ছে, সেখানে ব্রিটেন কেন তার বিনিময়ে কোটি কোটি মানুষকে ক্ষতিকর মাদক পাঠাচ্ছে?
রানি সেই চিঠি পড়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি। ফলে ১৮৩৯ সালের বসন্তে লিন জেক্সু ব্রিটিশ জাহাজ বহর আটক করেন এবং প্রায় আড়াই মিলিয়ন পাউন্ড আফিম দক্ষিণ চীন সাগরে ফেলে দেন।
মাত্র ২০ বছর বয়সী রানি ভিক্টোরিয়া এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। যেকোনো ক্ষমতাধর সাম্রাজ্যবাদী কিশোরীর মতো তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল প্রত্যাশিতই—তিনি চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এটিই ইতিহাসে প্রথম ‘আফিম যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।
ব্রিটিশ বাহিনী চীনা সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে এবং হাজার হাজার চীনা নাগরিককে হত্যা করে। সম্রাট বাধ্য হয়ে একটি অসম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির ফলে হংকংকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিতে হয়। চীনে আফিম ঢোকার জন্য আরও বন্দর খুলে দেওয়া হয় এবং চীনে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিকেরা আইনি সুরক্ষা পান।
এ ঘটনা বিশ্বজুড়ে চীন সাম্রাজ্যের অজেয় ভাবমূর্তি ভেঙে দেয়। এভাবেই একজন একগুঁয়ে কিশোরী রানি একটি প্রাচীন, মর্যাদাপূর্ণ সভ্যতাকে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করেন। এই নির্মম, নির্লজ্জ আত্মস্বার্থই রানি ভিক্টোরিয়াকে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল মাদক সম্রাট বানিয়ে তোলে!
তথ্যসূত্র: টাইম

অসমবয়সী আপাত-প্রেমময় এই দম্পতিকে নিয়ে সদ্য পৌরুষে পা দেওয়া ছেলেদের এত আপত্তি কেন? তারা কি এমন দুজন মানুষের হাত ধরাধরি করতে দেখে অথবা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য কল্পনা করে অস্বস্তি বোধ করছে? এই অস্বস্তির উৎসই-বা কী? কেনই-বা অনেকে বিপত্নীক মুশতাকের এই বিয়েটাকে অনৈতিক বলছেন?
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া
২০ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে...
১ দিন আগে
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া হবে।
বুকার পুরস্কারের ইতিহাসে এই প্রথমবার বিচারক প্যানেলে থাকবে শিশুরাও। বর্তমান চিলড্রেনস লরিয়েট শিশুসাহিত্যিক ফ্রাঙ্ক কটরেল-বয়েস বিচারকদের উদ্বোধনী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সঙ্গে আরও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক বিচারক থাকবেন, যাঁরা প্রথমে আটটি বইয়ের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করবেন। এরপর বিজয়ী নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য তিনজন শিশু বিচারক নির্বাচিত হবেন।
বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতিবছর চিলড্রেনস বুকার প্রাইজের জন্য শর্টলিস্টেড হওয়া এবং বিজয়ী বইগুলোর ৩০ হাজার কপি শিশুদের উপহার দেওয়া হবে। ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট, দ্য রিডিং এজেন্সি, বুকব্যাংকস এবং চিলড্রেনস বুক প্রজেক্টসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থাদের মাধ্যমে এ বইগুলো দেওয়া হবে। গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে শিশুদের ‘আনন্দ নিয়ে পড়া’র প্রবণতা। এমন সময় বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন এ উদ্যোগটি নিল।
কটরেল-বয়েস বলেন, এই পুরস্কার শিশুদের উপভোগ করার মতো বই খুঁজে বের করা সহজ করে তুলবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি শিশুরই বইয়ের জগতে ডুব দেওয়ার যে আনন্দ, তা উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া উচিত। বিচারক প্যানেলে তাদের আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে এবং মনোনীত বইগুলো উপহার দেওয়ার মাধ্যমে হাজার হাজার শিশুকে বই পড়ার চমৎকার দুনিয়ায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা বেশ দারুণ আয়োজন হতে যাচ্ছে।’ তিনি মজা করে বলেন, ‘চলুন, হইচই শুরু করা যাক!’
শিশুসাহিত্য জগতের শীর্ষ লেখকদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে এ ঘোষণা। সাবেক শিশুসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত মালরি ব্ল্যাকম্যান, জ্যাকলিন উইলসন, মাইকেল মরপুরগো, ক্রেসিডা কাউয়েল, অ্যান ফাইন এবং জোসেফ কোয়েলোরা—সবাই নতুন এই পুরস্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইংরেজিতে লেখা বা ইংরেজিতে অনূদিত এবং যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত সমসাময়িক শিশুসাহিত্যগুলোতে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের বুকার এবং আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের মতোই বিজয়ী লেখক ৫০ হাজার পাউন্ড এবং শর্টলিস্টেড লেখকেরা প্রত্যেকে ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড পাবেন।
প্রথম চিলড্রেনস বুকার পুরস্কারের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২০২৬ সালের বসন্তে। বিচারক হতে শিশুদের আবেদন প্রক্রিয়াও এই সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই বছরের নভেম্বরে ঘোষণা করা হবে শর্টলিস্ট এবং শিশু বিচারকদের নাম। বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তরুণ পাঠকদের জন্য আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে। ২০২৭ সালের পুরস্কারের জন্য ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত বই হতে হবে।
শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিল্পকলায় সমর্থন এবং জলবায়ু-সংকট মোকাবিলায় কাজ করা দাতব্য সংস্থা একেও ফাউন্ডেশনের (AKO Foundation) সহযোগিতায় এ পুরস্কার পরিচালিত হবে।
বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) গ্যাবি উড বলেন, ‘২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক বুকার প্রাইজ চালুর পর গত ২০ বছরে আমাদের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোগ চিলড্রেনস বুকার। এর একাধিক লক্ষ্য রয়েছে। একদিকে এটি শিশুদের জন্য লেখা ভবিষ্যৎ ক্লাসিক সাহিত্যকে সম্মান জানাবে, অন্যদিকে এটি এমন একটি সামাজিক উদ্যোগ, যা তরুণদের আরও বেশি করে পড়াশোনায় অনুপ্রাণিত করবে। এর মাধ্যমেই আমরা এমন এক বীজ রোপণ করতে চাই, যেখান থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আজীবন পাঠকেরা বিকশিত হবে। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, শিশুদের বিশেষ করে শিশুসাহিত্যের আসল বিচারকদের মতামত শোনার জন্য।
একেও ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ফিলিপ ল-ফোর্ড বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব ফাউন্ডেশনের সাক্ষরতা বৃদ্ধি ও সামাজিক গতিশীলতা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা গর্বিত যে এমন একটি প্রকল্পে অবদান রাখতে পারছি, যা তরুণ পাঠকদের অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করবে।’
বিনো ব্রেইন নামের একটি যুব গবেষণা সংস্থা ও ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্টের সহযোগিতায় নিয়মিত পরামর্শ সেশনের মাধ্যমে শিশুরা এই পুরস্কারের গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট শিশুদের পড়ার অভ্যাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা মূল্যায়নে সহায়তা করবে।
বুকার ফাউন্ডেশনের মতে, এই নতুন পুরস্কারটি শিশুসাহিত্যকে ‘সংস্কৃতির কেন্দ্রে স্থাপন’ করার একটি প্রচেষ্টা। সিইও গ্যাবি উড বলেন, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু শিশুসাহিত্যে উৎকর্ষকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়, বরং আরও বেশি তরুণকে এমন গল্প ও চরিত্র আবিষ্কারে সহায়তা করা ‘যারা তাদের সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে।’
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী সাহিত্য পুরস্কার বুকার প্রাইজ প্রথম প্রদান করা হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত ইংরেজিতে রচিত অসাধারণ কথাসাহিত্যকে সম্মান জানাতে এই পুরস্কার প্রবর্তিত হয়।

শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া হবে।
বুকার পুরস্কারের ইতিহাসে এই প্রথমবার বিচারক প্যানেলে থাকবে শিশুরাও। বর্তমান চিলড্রেনস লরিয়েট শিশুসাহিত্যিক ফ্রাঙ্ক কটরেল-বয়েস বিচারকদের উদ্বোধনী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সঙ্গে আরও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক বিচারক থাকবেন, যাঁরা প্রথমে আটটি বইয়ের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করবেন। এরপর বিজয়ী নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য তিনজন শিশু বিচারক নির্বাচিত হবেন।
বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতিবছর চিলড্রেনস বুকার প্রাইজের জন্য শর্টলিস্টেড হওয়া এবং বিজয়ী বইগুলোর ৩০ হাজার কপি শিশুদের উপহার দেওয়া হবে। ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট, দ্য রিডিং এজেন্সি, বুকব্যাংকস এবং চিলড্রেনস বুক প্রজেক্টসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থাদের মাধ্যমে এ বইগুলো দেওয়া হবে। গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে শিশুদের ‘আনন্দ নিয়ে পড়া’র প্রবণতা। এমন সময় বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশন এ উদ্যোগটি নিল।
কটরেল-বয়েস বলেন, এই পুরস্কার শিশুদের উপভোগ করার মতো বই খুঁজে বের করা সহজ করে তুলবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি শিশুরই বইয়ের জগতে ডুব দেওয়ার যে আনন্দ, তা উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া উচিত। বিচারক প্যানেলে তাদের আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে এবং মনোনীত বইগুলো উপহার দেওয়ার মাধ্যমে হাজার হাজার শিশুকে বই পড়ার চমৎকার দুনিয়ায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা বেশ দারুণ আয়োজন হতে যাচ্ছে।’ তিনি মজা করে বলেন, ‘চলুন, হইচই শুরু করা যাক!’
শিশুসাহিত্য জগতের শীর্ষ লেখকদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে এ ঘোষণা। সাবেক শিশুসাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত মালরি ব্ল্যাকম্যান, জ্যাকলিন উইলসন, মাইকেল মরপুরগো, ক্রেসিডা কাউয়েল, অ্যান ফাইন এবং জোসেফ কোয়েলোরা—সবাই নতুন এই পুরস্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইংরেজিতে লেখা বা ইংরেজিতে অনূদিত এবং যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত সমসাময়িক শিশুসাহিত্যগুলোতে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের বুকার এবং আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের মতোই বিজয়ী লেখক ৫০ হাজার পাউন্ড এবং শর্টলিস্টেড লেখকেরা প্রত্যেকে ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড পাবেন।
প্রথম চিলড্রেনস বুকার পুরস্কারের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২০২৬ সালের বসন্তে। বিচারক হতে শিশুদের আবেদন প্রক্রিয়াও এই সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই বছরের নভেম্বরে ঘোষণা করা হবে শর্টলিস্ট এবং শিশু বিচারকদের নাম। বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তরুণ পাঠকদের জন্য আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে। ২০২৭ সালের পুরস্কারের জন্য ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত বই হতে হবে।
শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিল্পকলায় সমর্থন এবং জলবায়ু-সংকট মোকাবিলায় কাজ করা দাতব্য সংস্থা একেও ফাউন্ডেশনের (AKO Foundation) সহযোগিতায় এ পুরস্কার পরিচালিত হবে।
বুকার প্রাইজ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) গ্যাবি উড বলেন, ‘২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক বুকার প্রাইজ চালুর পর গত ২০ বছরে আমাদের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোগ চিলড্রেনস বুকার। এর একাধিক লক্ষ্য রয়েছে। একদিকে এটি শিশুদের জন্য লেখা ভবিষ্যৎ ক্লাসিক সাহিত্যকে সম্মান জানাবে, অন্যদিকে এটি এমন একটি সামাজিক উদ্যোগ, যা তরুণদের আরও বেশি করে পড়াশোনায় অনুপ্রাণিত করবে। এর মাধ্যমেই আমরা এমন এক বীজ রোপণ করতে চাই, যেখান থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আজীবন পাঠকেরা বিকশিত হবে। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, শিশুদের বিশেষ করে শিশুসাহিত্যের আসল বিচারকদের মতামত শোনার জন্য।
একেও ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ফিলিপ ল-ফোর্ড বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব ফাউন্ডেশনের সাক্ষরতা বৃদ্ধি ও সামাজিক গতিশীলতা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা গর্বিত যে এমন একটি প্রকল্পে অবদান রাখতে পারছি, যা তরুণ পাঠকদের অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করবে।’
বিনো ব্রেইন নামের একটি যুব গবেষণা সংস্থা ও ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্টের সহযোগিতায় নিয়মিত পরামর্শ সেশনের মাধ্যমে শিশুরা এই পুরস্কারের গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট শিশুদের পড়ার অভ্যাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা মূল্যায়নে সহায়তা করবে।
বুকার ফাউন্ডেশনের মতে, এই নতুন পুরস্কারটি শিশুসাহিত্যকে ‘সংস্কৃতির কেন্দ্রে স্থাপন’ করার একটি প্রচেষ্টা। সিইও গ্যাবি উড বলেন, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু শিশুসাহিত্যে উৎকর্ষকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়, বরং আরও বেশি তরুণকে এমন গল্প ও চরিত্র আবিষ্কারে সহায়তা করা ‘যারা তাদের সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে।’
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী সাহিত্য পুরস্কার বুকার প্রাইজ প্রথম প্রদান করা হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত ইংরেজিতে রচিত অসাধারণ কথাসাহিত্যকে সম্মান জানাতে এই পুরস্কার প্রবর্তিত হয়।

অসমবয়সী আপাত-প্রেমময় এই দম্পতিকে নিয়ে সদ্য পৌরুষে পা দেওয়া ছেলেদের এত আপত্তি কেন? তারা কি এমন দুজন মানুষের হাত ধরাধরি করতে দেখে অথবা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য কল্পনা করে অস্বস্তি বোধ করছে? এই অস্বস্তির উৎসই-বা কী? কেনই-বা অনেকে বিপত্নীক মুশতাকের এই বিয়েটাকে অনৈতিক বলছেন?
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে...
১ দিন আগে
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
৩ দিন আগেসম্পাদকীয়

নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে পারে অন্য জায়গার এসব খাবার। অন্তত ছায়ানীড়ের নিয়মিত ভক্ত-গ্রাহকেরা এমন দাবি করতেই পারেন। তাতে দোষের কিছু নেই।
তাই হয়তো এখনো রেস্তোরাঁটির সামনে ভিড় লেগে থাকে। ব্যস্ত সড়কের পাশ থেকে যখন মুরগি পোড়ার সুঘ্রাণ পাওয়া যায়, তখন পথে যেতে অনেকেই হয়তো বিরতি নিয়ে কিনে নেন ছায়ানীড়ের শর্মা বা গ্রিল চিকেন। ভেতরে বসে খেতে হলে লম্বা লাইনে যেমন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, আবার পার্সেল নিতে গেলেও অপেক্ষা করতে হয়। প্রাত্যহিক এ দৃশ্য ছায়ানীড়ের জনপ্রিয়তার প্রমাণ। বিরিয়ানি ও অন্যান্য ফাস্ট ফুড খাবারও পাওয়া যায় এখানে।
ছবি: ওমর ফারুক

নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে পারে অন্য জায়গার এসব খাবার। অন্তত ছায়ানীড়ের নিয়মিত ভক্ত-গ্রাহকেরা এমন দাবি করতেই পারেন। তাতে দোষের কিছু নেই।
তাই হয়তো এখনো রেস্তোরাঁটির সামনে ভিড় লেগে থাকে। ব্যস্ত সড়কের পাশ থেকে যখন মুরগি পোড়ার সুঘ্রাণ পাওয়া যায়, তখন পথে যেতে অনেকেই হয়তো বিরতি নিয়ে কিনে নেন ছায়ানীড়ের শর্মা বা গ্রিল চিকেন। ভেতরে বসে খেতে হলে লম্বা লাইনে যেমন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, আবার পার্সেল নিতে গেলেও অপেক্ষা করতে হয়। প্রাত্যহিক এ দৃশ্য ছায়ানীড়ের জনপ্রিয়তার প্রমাণ। বিরিয়ানি ও অন্যান্য ফাস্ট ফুড খাবারও পাওয়া যায় এখানে।
ছবি: ওমর ফারুক

অসমবয়সী আপাত-প্রেমময় এই দম্পতিকে নিয়ে সদ্য পৌরুষে পা দেওয়া ছেলেদের এত আপত্তি কেন? তারা কি এমন দুজন মানুষের হাত ধরাধরি করতে দেখে অথবা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য কল্পনা করে অস্বস্তি বোধ করছে? এই অস্বস্তির উৎসই-বা কী? কেনই-বা অনেকে বিপত্নীক মুশতাকের এই বিয়েটাকে অনৈতিক বলছেন?
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া
২০ ঘণ্টা আগে
আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন।
৩ দিন আগেসম্পাদকীয়

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। বলা হয়, চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনদর্শনে প্রভাবিত হয়েই শচীমোহন রেস্তোরাঁটির নাম দেন ‘দেশবন্ধু সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। এর উল্টো দিকে তখন ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস।
সেখানকার সাংবাদিকেরা দেশবন্ধুর পরোটা-লুচি-ভাজি-হালুয়া খেতে যেতেন নিয়মিত। কবি-সাহিত্যিক-অভিনয়শিল্পীরাও পছন্দ করতেন এই রেস্তোরাঁর খাবার। এমনকি এফডিসিতে ফরমাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো দেশবন্ধুর নাশতা। এখন হয়তো মানিক মিয়া, রাজ্জাক, কবরী কিংবা শাবানাদের মতো বিখ্যাতরা সেখানে যান না কিন্তু তাতে দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনো ঢাকাবাসীর ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরাঁয়। ভাবা যায়, সারা দিনই এখানকার পরোটা-ভাজি বিক্রি হতে থাকে! দুপুরে অবশ্য খাবারের তালিকায় ভাত-মাছ-মাংসও আছে। ছবি: মেহেদী হাসান

আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা-সংগ্রামী, কবি-লেখক চিত্তরঞ্জন দাশ ‘দেশবন্ধু’ নামেই বিখ্যাত। তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন শচীমোহন গোপ, যিনি পঞ্চাশের দশকে রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতেন দুধ, দই আর মাঠা। ১৯৫৮ সালে হাটখোলা রোডে ইত্তেফাক মোড়ে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। বলা হয়, চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনদর্শনে প্রভাবিত হয়েই শচীমোহন রেস্তোরাঁটির নাম দেন ‘দেশবন্ধু সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’। এর উল্টো দিকে তখন ছিল ইত্তেফাক পত্রিকার অফিস।
সেখানকার সাংবাদিকেরা দেশবন্ধুর পরোটা-লুচি-ভাজি-হালুয়া খেতে যেতেন নিয়মিত। কবি-সাহিত্যিক-অভিনয়শিল্পীরাও পছন্দ করতেন এই রেস্তোরাঁর খাবার। এমনকি এফডিসিতে ফরমাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো দেশবন্ধুর নাশতা। এখন হয়তো মানিক মিয়া, রাজ্জাক, কবরী কিংবা শাবানাদের মতো বিখ্যাতরা সেখানে যান না কিন্তু তাতে দেশবন্ধুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখনো ঢাকাবাসীর ভিড় দেখা যায় এই রেস্তোরাঁয়। ভাবা যায়, সারা দিনই এখানকার পরোটা-ভাজি বিক্রি হতে থাকে! দুপুরে অবশ্য খাবারের তালিকায় ভাত-মাছ-মাংসও আছে। ছবি: মেহেদী হাসান

অসমবয়সী আপাত-প্রেমময় এই দম্পতিকে নিয়ে সদ্য পৌরুষে পা দেওয়া ছেলেদের এত আপত্তি কেন? তারা কি এমন দুজন মানুষের হাত ধরাধরি করতে দেখে অথবা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য কল্পনা করে অস্বস্তি বোধ করছে? এই অস্বস্তির উৎসই-বা কী? কেনই-বা অনেকে বিপত্নীক মুশতাকের এই বিয়েটাকে অনৈতিক বলছেন?
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট কে? হয়তো আপনি পাবলো এস্কোবার বা এল চ্যাপোর নাম বলবেন, কিন্তু আপনি ভুল! তাঁদের জন্মের প্রায় ১০০ বছর আগে এমন একজন অবিশ্বাস্য ক্ষমতাধর নারী ছিলেন, যিনি বিশাল এক মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর কাছে একালের এস্কোবার এবং এল চ্যাপোকে ছ্যাঁচড়া মাদককারবারি মনে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
শিশুসাহিত্যে চিলড্রেনস বুকার পুরস্কার চালু করেছে বুকার পুরস্কার ফাউন্ডেশন। আগামী বছর থেকে এই পুরস্কার চালু হবে এবং প্রথম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২০২৭ সালের শুরুর দিকে। ৮ থেকে ১২ বছর বয়সী পাঠকদের জন্য লেখা সেরা কথাসাহিত্যের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) দেওয়া
২০ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঢাকায় খুব কম দোকানেই মিলত গ্রিল চিকেন। এ তালিকার শীর্ষে হয়তো অনেকে রাখতে পারেন সায়েন্স ল্যাবের ছায়ানীড় কনফেকশনারি অ্যান্ড ফাস্ট ফুড নামের রেস্তোরাঁটিকে। এখন তো বহু রেস্তোরাঁতেই পাওয়া যায় খাবারটি। কিন্তু ছায়ানীড়ের গ্রিল চিকেন কিংবা চিকেন শর্মার কাছে হয়তো স্বাদে হেরে যেতে...
১ দিন আগে