সম্পাদকীয়
সামনের পথ আছন্ন ছিল সবুজ এবং শ্বেত নির্জনতায়। যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত মাটির বিবিধ স্তরবিন্যাস বৃক্ষের ঋজুতা, আধভাঙা ডালপালার অবরোধ, অখণ্ড নির্জনতা—সব মিলিয়ে যতই এগোনো গেছে, ততই কঠিন হয়েছে চলা। প্রকৃতির চোখধাঁধানো এবং গোপন এক বিশ্বের পেটের ভেতরে আমরা ছিলাম, যা কিনা একই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা, তুষারে ঘেরা, নির্মম। সব যেন মিলেমিশে একাকার—নির্জনতা, বিপদ, নৈঃশব্দ্য এবং আমার অভিযানের ব্যগ্রতা।
কখনো পথে পড়েছে চোরাচালানকারী অথবা সাদামাটা অপরাধীদের হালকা পায়ের ছাপ। অনুসরণ করেছি তার। যদিও জানতাম না ঠান্ডার বরফ সামান্য হাতকড়ায় তারা বন্দী হয়ে গেছে কিনা আজীবনের মতো। এই পদচ্ছাপের দুধারে জনশূন্য মৌনীর মাঝে প্রায়ই এমন কিছু ছায়ার উপস্থিতি টের পেয়েছি, যা প্রায় অলৌকিক। চারধারে যেন মণ্ড পাকিয়ে পড়ে রয়েছে অতীত পদচারণার এই ছায়া,
যারা বারবার এই অসম্ভব সফরের প্রয়াস করতে গিয়ে তুষারপুঞ্জে চিরবিলীন হয়ে গেছে। তাদের ছায়ারা যেন ফিসফাস করে এখানে অতীত খোঁড়ে।
একটি নদী পার হতে হয়েছিল আমাদের। সুউচ্চ আন্দিয়ান পবর্তমালা থেকে সরু ধারায় নেমে এসেছে তীব্র বেগে। সঙ্গে নিয়ে এসেছে নুড়ি-পাথর কিন্তু নিচে তার জল শান্ত স্বচ্ছতোয়া—প্রায় আয়নার মতো। ঘোড়াগুলো জলে ঝাঁপানোর পরই আর্তনাদ করে ওঠে বেদম, পায়ের তলার জমি হারিয়ে মরিয়া হয়ে ডুবতে এবং ভাসতে থাকি। ঘোড়াও চেষ্টা চালাতে থাকে জলের ওপর থেকে মাথা তোলার। এভাবেই কায়ক্লেশে নদীটি সাঁতরে ফেলি আমরা। অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর পর পোড় খাওয়া সহযাত্রীটি মুচকি হেসে আমায় প্রশ্ন করে, ‘তুমি কি ভয় পেয়েছিলে নাকি?’ ‘ভয়ংকর। ভেবেছিলাম শেষের সেদিন হাজির।’ জবাব দিই।
‘আমরা তোমার পেছনেই তো ছিলাম লাগাম হাতে।’ তারা উত্তর দেয়।
‘ঠিক ওখানেই আমার বাবা পড়ে যান এবং স্রোত তাঁকে টেনে নিয়ে যায় বহুদূর। আর খুঁজেও পায়নি। তোমার ক্ষেত্রে অবশ্য এমনটা হয়নি।’ জানায় আরেকজন।
চিলির কবি পাবলো নেরুদা ১৯৭১ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
সামনের পথ আছন্ন ছিল সবুজ এবং শ্বেত নির্জনতায়। যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত মাটির বিবিধ স্তরবিন্যাস বৃক্ষের ঋজুতা, আধভাঙা ডালপালার অবরোধ, অখণ্ড নির্জনতা—সব মিলিয়ে যতই এগোনো গেছে, ততই কঠিন হয়েছে চলা। প্রকৃতির চোখধাঁধানো এবং গোপন এক বিশ্বের পেটের ভেতরে আমরা ছিলাম, যা কিনা একই সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা, তুষারে ঘেরা, নির্মম। সব যেন মিলেমিশে একাকার—নির্জনতা, বিপদ, নৈঃশব্দ্য এবং আমার অভিযানের ব্যগ্রতা।
কখনো পথে পড়েছে চোরাচালানকারী অথবা সাদামাটা অপরাধীদের হালকা পায়ের ছাপ। অনুসরণ করেছি তার। যদিও জানতাম না ঠান্ডার বরফ সামান্য হাতকড়ায় তারা বন্দী হয়ে গেছে কিনা আজীবনের মতো। এই পদচ্ছাপের দুধারে জনশূন্য মৌনীর মাঝে প্রায়ই এমন কিছু ছায়ার উপস্থিতি টের পেয়েছি, যা প্রায় অলৌকিক। চারধারে যেন মণ্ড পাকিয়ে পড়ে রয়েছে অতীত পদচারণার এই ছায়া,
যারা বারবার এই অসম্ভব সফরের প্রয়াস করতে গিয়ে তুষারপুঞ্জে চিরবিলীন হয়ে গেছে। তাদের ছায়ারা যেন ফিসফাস করে এখানে অতীত খোঁড়ে।
একটি নদী পার হতে হয়েছিল আমাদের। সুউচ্চ আন্দিয়ান পবর্তমালা থেকে সরু ধারায় নেমে এসেছে তীব্র বেগে। সঙ্গে নিয়ে এসেছে নুড়ি-পাথর কিন্তু নিচে তার জল শান্ত স্বচ্ছতোয়া—প্রায় আয়নার মতো। ঘোড়াগুলো জলে ঝাঁপানোর পরই আর্তনাদ করে ওঠে বেদম, পায়ের তলার জমি হারিয়ে মরিয়া হয়ে ডুবতে এবং ভাসতে থাকি। ঘোড়াও চেষ্টা চালাতে থাকে জলের ওপর থেকে মাথা তোলার। এভাবেই কায়ক্লেশে নদীটি সাঁতরে ফেলি আমরা। অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর পর পোড় খাওয়া সহযাত্রীটি মুচকি হেসে আমায় প্রশ্ন করে, ‘তুমি কি ভয় পেয়েছিলে নাকি?’ ‘ভয়ংকর। ভেবেছিলাম শেষের সেদিন হাজির।’ জবাব দিই।
‘আমরা তোমার পেছনেই তো ছিলাম লাগাম হাতে।’ তারা উত্তর দেয়।
‘ঠিক ওখানেই আমার বাবা পড়ে যান এবং স্রোত তাঁকে টেনে নিয়ে যায় বহুদূর। আর খুঁজেও পায়নি। তোমার ক্ষেত্রে অবশ্য এমনটা হয়নি।’ জানায় আরেকজন।
চিলির কবি পাবলো নেরুদা ১৯৭১ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
আপনি কি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এই খবর পড়ছেন? সাবধান! ঘাসে পা দেবেন না কিন্তু! আজ ঘাসে পা না দেওয়ার দিন। জানা নেই? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী এই ‘ঘাসে পা না দেওয়া দিবস’। কীভাবেই–বা এর উৎপত্তি।
১ দিন আগেবাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
৩ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৪ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৫ দিন আগে