ববিতা
স্বাধীনতার আগে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন ববিতা। ‘সংসার’ তাঁর প্রথম ছবি। সেই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের ভূমিকায়। এরপর জহির রায়হান ‘জ্বলকতে সুরুজ কা নিচে’ নামে একটি উর্দু ছবিতে হাত দেন; কিন্তু তা শেষ করতে পারেননি। ১৯৬৯ সালে ‘শেষ পর্যন্ত’ ছবিতেই প্রথম নায়িকা হন ববিতা।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে স্বনামধন্য ভারতীয় পরিচালক সত্যজিৎ রায় ‘অশনিসংকেত’ ছবিটি বানাবেন বলে ঠিক করলেন। অনঙ্গ বৌ চরিত্রে তিনি ভাবলেন ববিতার কথা। লোক মারফত ডাক পাঠালেন। ববিতা ভাবলেন, এটা কারও রসিকতা। পাত্তা দিলেন না। সত্যজিৎ রায়ের মতো আন্তর্জাতিক মানের পরিচালক তাঁকে ডাকবেন, এটা বিশ্বাসই হচ্ছিল না তাঁর।
কিন্তু পরে যখন ভারতীয় হাইকমিশন থেকে যোগাযোগ করা হলো, তখন বুঝলেন কথাটা সত্যি। বড় বোন সুচন্দাকে নিয়ে তিনি কলকাতায় গেলেন। সত্যজিতের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন সাজগোজ করে। দরজা খুলে সত্যজিৎ রায় হাঁ করে থাকলেন। দুর্ভিক্ষপীড়িত যে মেয়েটির চরিত্রে অভিনয় করবেন ববিতা, তাকে তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না এই সাজগোজের আড়ালে! তবে সময় বেশি নিলেন না। সত্যজিৎ রায় তিন ধরনের তিনটি সংলাপ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘কাল সকালে ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে সংলাপগুলো মুখস্থ করে আসবে।’ পোশাক আর সাজগোজের ব্যাপারেও সতর্ক করে দিলেন।
ভয়ে ভয়ে তিন ধরনের সংলাপ তুলে নিলেন ববিতা। মুখস্থ করতে লাগলেন। ভীষণ রকম নার্ভাস লাগছিল তাঁর। পরদিন ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে গিয়েও বিড়বিড় করে মুখস্থ করে যাচ্ছিলেন সংলাপগুলো। সত্যজিৎ রায়ের তা ভালো লেগেছিল। এরপর স্ক্রিন টেস্ট নেওয়া হলো। স্ক্রিন টেস্টের ফল তো তখনই আসে না। কিন্তু তাতে সত্যজিৎ রায়ের কিছু আসে-যায় না। তিনি উচ্ছ্বসিত হয়ে ততক্ষণে চিৎকার করতে শুরু করেছেন, ‘আমি পেয়ে গেছি! অনঙ্গ বৌকে পেয়ে গেছি!’
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, সত্যজিতের অনঙ্গ বৌ
স্বাধীনতার আগে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন ববিতা। ‘সংসার’ তাঁর প্রথম ছবি। সেই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের ভূমিকায়। এরপর জহির রায়হান ‘জ্বলকতে সুরুজ কা নিচে’ নামে একটি উর্দু ছবিতে হাত দেন; কিন্তু তা শেষ করতে পারেননি। ১৯৬৯ সালে ‘শেষ পর্যন্ত’ ছবিতেই প্রথম নায়িকা হন ববিতা।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে স্বনামধন্য ভারতীয় পরিচালক সত্যজিৎ রায় ‘অশনিসংকেত’ ছবিটি বানাবেন বলে ঠিক করলেন। অনঙ্গ বৌ চরিত্রে তিনি ভাবলেন ববিতার কথা। লোক মারফত ডাক পাঠালেন। ববিতা ভাবলেন, এটা কারও রসিকতা। পাত্তা দিলেন না। সত্যজিৎ রায়ের মতো আন্তর্জাতিক মানের পরিচালক তাঁকে ডাকবেন, এটা বিশ্বাসই হচ্ছিল না তাঁর।
কিন্তু পরে যখন ভারতীয় হাইকমিশন থেকে যোগাযোগ করা হলো, তখন বুঝলেন কথাটা সত্যি। বড় বোন সুচন্দাকে নিয়ে তিনি কলকাতায় গেলেন। সত্যজিতের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন সাজগোজ করে। দরজা খুলে সত্যজিৎ রায় হাঁ করে থাকলেন। দুর্ভিক্ষপীড়িত যে মেয়েটির চরিত্রে অভিনয় করবেন ববিতা, তাকে তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না এই সাজগোজের আড়ালে! তবে সময় বেশি নিলেন না। সত্যজিৎ রায় তিন ধরনের তিনটি সংলাপ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘কাল সকালে ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে সংলাপগুলো মুখস্থ করে আসবে।’ পোশাক আর সাজগোজের ব্যাপারেও সতর্ক করে দিলেন।
ভয়ে ভয়ে তিন ধরনের সংলাপ তুলে নিলেন ববিতা। মুখস্থ করতে লাগলেন। ভীষণ রকম নার্ভাস লাগছিল তাঁর। পরদিন ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে গিয়েও বিড়বিড় করে মুখস্থ করে যাচ্ছিলেন সংলাপগুলো। সত্যজিৎ রায়ের তা ভালো লেগেছিল। এরপর স্ক্রিন টেস্ট নেওয়া হলো। স্ক্রিন টেস্টের ফল তো তখনই আসে না। কিন্তু তাতে সত্যজিৎ রায়ের কিছু আসে-যায় না। তিনি উচ্ছ্বসিত হয়ে ততক্ষণে চিৎকার করতে শুরু করেছেন, ‘আমি পেয়ে গেছি! অনঙ্গ বৌকে পেয়ে গেছি!’
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, সত্যজিতের অনঙ্গ বৌ
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
৪ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৮ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৯ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
১২ দিন আগে