আশিকুর রিমেল, ঢাকা
‘খুব বাড়ি যেতে ইচ্ছা করলেও যাই না। বাড়ি গেলে এলাকার লোকজন, আত্মীয়-স্বজনেরা জিজ্ঞেস করে, কী করি এখন? উত্তর দিতে পারি না। এলাকার দু-একজনের চাকরি হলে, সেটা আবার বাড়ির লোকজনই শোনায়। পরিবারটাকে অপরিচিত লাগে তখন, হতাশ লাগে!’
কথাগুলো রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে বিবিএ-এমবিএ শেষ করা শিক্ষার্থী বিপ্লবের (ছদ্মনাম)। শিক্ষাগত যোগ্যতাই যেন তাঁর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবার আর সমাজের প্রত্যাশা পূরণে দায় যেন কাঁধে তুলে নিয়েছে একা! এই মানসিক যন্ত্রণা জীবন থেকে সব শখ আহ্লাদ কেড়ে নিয়েছে। ঈদেও বাড়ি যেতে ইচ্ছে করে না!
বিপ্লবের বলেন, ‘কয়েক বছর থেকে ঈদের আগের দিন যাই, পারলে ঈদের পরের দিন চলে আসার কথা চিন্তা করি। কিন্তু তখনো খাবারের জন্য হোটেলগুলা খোলে না। মেসে খালাও কয়েক দিন পরে কাজে আসে, সে জন্য যাইতে পারি না। যে কয়দিন বাড়িতে থাকি, খুব কম বের হই।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন পারভেজ (ছদ্মনাম)। তাঁর অবস্থাও বিপ্লবের মতোই। তিনটি প্রাইভেট টিউশনি করে ঢাকায় কোনো রকমে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। বাকি সময় সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেন। চাকরির বয়সও দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। এ বছরের শেষ পর্যন্ত চাকরির আবেদন করার যোগ্যতা থাকবে। এ পর্যন্ত ৬-৭টা চাকরির ভাইভা দিয়েছেন। কিন্তু চাকরি হয় না। বেকারত্বের বোঝা আর সইতে পারছেন না। এখন চতুর্থ শ্রেণির আবেদনও মিস করেন না। পারভেজও বাধ্য না হলে বাড়িতে যান না। দুইটা ছোট ভাই-বোন, বাবা-মার জন্য কিছু নিয়ে যেতে পারেন না—এই ব্যর্থ তাঁকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। খুবই হীনম্মন্যতায় ভোগেন।
চলতি বছর এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার। সংস্থাটির ২০১৬-১৭ সালের জরিপে এই সংখ্যাটা ছিল ২৭ লাখ। সেই তুলনায় কর্মহীন মানুষ সংখ্যায় কমেছে। কিন্তু বর্তমান সময় ও বাস্তবতায় পাবলিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে কর্মসংস্থান না পাওয়া শিক্ষার্থীদের হতাশাব্যঞ্জক অবস্থাটা প্রায় একই রয়ে গেছে।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়, এর অন্যতম কারণ সরকারি চাকরির পেছনে লেগে থাকা। তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সেটি স্পষ্ট।
ভূতত্ত্ব খনিবিদ্যার ছাত্র পারভেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ হতেই চাকরির পড়াশোনায় উঠেপড়ে লাগেন। প্রথম দিকে বেছে বেছে চাকরির আবেদন করতে থাকেন। একটুর জন্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হতে পারেন না। নিজের থাকা–খাওয়ার খরচ চালানোর পাশাপাশি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন। সময় যত বাড়তে থাকে, পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকে। দু’বছর পর থেকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হতে থাকেন। কিন্তু এবার বিপত্তি বাঁধে লিখিত পরীক্ষাগুলোতে গিয়ে। একপর্যায়ে লিখিত পরীক্ষাতেও ভালো করতে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি হয় না।
পারভেজ বলেন, ‘কয়েকটা পরীক্ষায় ভাইভা পর্যন্ত দিয়েছি, হয়নি। ভাবি আমার থেকেও যোগ্য লোক আছে। তারাই হয়তো টেকে!’
কিন্তু বেসরকারি চাকরি বা অন্য কোনো কর্মসংস্থানের দিকে কখনোই ঝোঁকেননি পারভেজ। তিনি বলেন, ‘বিডি জবস ও অন্যান্য বেশ কিছু সাইটে আবেদনের খবর পাওয়ার সোর্স আছে। প্রাইভেট জবগুলাতে অভিজ্ঞতা চায়, সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট কাজের দক্ষতাও চায়। আমার তো সেসব কিছু নাই। বিভাগে ভালো ফলের জন্য পড়াশোনা করছি। খেলাধুলায় একটা ঝোঁক ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলতাম। কিন্তু সে দিয়ে তো আর চাকরি হয় না।’
এ দিকে বিপ্লব বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আলাদা করে কোনো কাজের সঙ্গে ছিলাম না। আমি প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা। পরিবারের কাছে সরকারি চাকরি মানেই সবচেয়ে নিরাপদ কর্মসংস্থান। আমার নিজেরও মনে হয়েছে, যেহেতু সুযোগ আছে চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু এখন মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান (২০১৪-২০১৫) শিক্ষাবর্ষের ছাত্র তাশরিফ (ছদ্মনাম)। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন একটু একটু করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। স্নাতকোত্তর শেষ করার পরের দুই বছর পর থেকে বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় টিকছেন। এখনো তিন বছর সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন।
তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসছি। ছোটবেলা থেকে এলাকায় ভালো ছাত্র ছিলাম। সমাজের মানুষেরও একটা প্রত্যাশা যে ভালো একটা সরকারি চাকরি করব। তা ছাড়া পরিবার এখনো প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা পাঠায়। পরিবার থেকে বলে, ভালো করে পরীক্ষা দিতে থাকো। আমি তো জানি পরিবারের দায়িত্বটা আমাকে নিতে হবে। সে কারণে পড়াশোনা শেষ করেই পরীক্ষা দেওয়া শুরু করছি।’
জামালপুরের তাশরিফও জানালেন পরিবার অপেক্ষা করলেও পারিপার্শ্বিকতা যেন সেই অপেক্ষা মানছে না!
তাশরিফ বলেন, ‘বাড়িতে গেলে শুভাকাঙ্ক্ষীদের ঘুরে ফিরে একটাই প্রশ্ন—কী করছ এখন? আর কত দিন লাগবে? কয়েক বছরে এই প্রশ্ন এতবার শুনেছি যে, মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে পড়ি, নিজেকে অযোগ্য মনে হয়। আবার এও ঠিক যে, তাদের ওই প্রশ্নই আমাকে আরও গতিশীল করে তোলে।’
নানামুখী বাস্তবতার মাঝেও শিক্ষার্থীরা তাঁদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের চেয়ে চাকরিপ্রত্যাশী রয়েছে বহুগুণ বেশি। তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও তাঁরা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হিসেবে সরকারি চাকরিকেই বেছে নিচ্ছেন, যেখানে যোগ্যতা বা দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয় না! এই যে নিরাপদ কর্মসংস্থান হিসেবে সরকারি চাকরির প্রতি অতিনির্ভরতা, এটি অর্থনীতির দুর্বল সূচকের দিকেই ইঙ্গিত করে কি না ভেবে দেখা দরকার!
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
‘খুব বাড়ি যেতে ইচ্ছা করলেও যাই না। বাড়ি গেলে এলাকার লোকজন, আত্মীয়-স্বজনেরা জিজ্ঞেস করে, কী করি এখন? উত্তর দিতে পারি না। এলাকার দু-একজনের চাকরি হলে, সেটা আবার বাড়ির লোকজনই শোনায়। পরিবারটাকে অপরিচিত লাগে তখন, হতাশ লাগে!’
কথাগুলো রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে বিবিএ-এমবিএ শেষ করা শিক্ষার্থী বিপ্লবের (ছদ্মনাম)। শিক্ষাগত যোগ্যতাই যেন তাঁর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবার আর সমাজের প্রত্যাশা পূরণে দায় যেন কাঁধে তুলে নিয়েছে একা! এই মানসিক যন্ত্রণা জীবন থেকে সব শখ আহ্লাদ কেড়ে নিয়েছে। ঈদেও বাড়ি যেতে ইচ্ছে করে না!
বিপ্লবের বলেন, ‘কয়েক বছর থেকে ঈদের আগের দিন যাই, পারলে ঈদের পরের দিন চলে আসার কথা চিন্তা করি। কিন্তু তখনো খাবারের জন্য হোটেলগুলা খোলে না। মেসে খালাও কয়েক দিন পরে কাজে আসে, সে জন্য যাইতে পারি না। যে কয়দিন বাড়িতে থাকি, খুব কম বের হই।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন পারভেজ (ছদ্মনাম)। তাঁর অবস্থাও বিপ্লবের মতোই। তিনটি প্রাইভেট টিউশনি করে ঢাকায় কোনো রকমে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। বাকি সময় সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেন। চাকরির বয়সও দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। এ বছরের শেষ পর্যন্ত চাকরির আবেদন করার যোগ্যতা থাকবে। এ পর্যন্ত ৬-৭টা চাকরির ভাইভা দিয়েছেন। কিন্তু চাকরি হয় না। বেকারত্বের বোঝা আর সইতে পারছেন না। এখন চতুর্থ শ্রেণির আবেদনও মিস করেন না। পারভেজও বাধ্য না হলে বাড়িতে যান না। দুইটা ছোট ভাই-বোন, বাবা-মার জন্য কিছু নিয়ে যেতে পারেন না—এই ব্যর্থ তাঁকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। খুবই হীনম্মন্যতায় ভোগেন।
চলতি বছর এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার। সংস্থাটির ২০১৬-১৭ সালের জরিপে এই সংখ্যাটা ছিল ২৭ লাখ। সেই তুলনায় কর্মহীন মানুষ সংখ্যায় কমেছে। কিন্তু বর্তমান সময় ও বাস্তবতায় পাবলিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে কর্মসংস্থান না পাওয়া শিক্ষার্থীদের হতাশাব্যঞ্জক অবস্থাটা প্রায় একই রয়ে গেছে।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়, এর অন্যতম কারণ সরকারি চাকরির পেছনে লেগে থাকা। তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সেটি স্পষ্ট।
ভূতত্ত্ব খনিবিদ্যার ছাত্র পারভেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ হতেই চাকরির পড়াশোনায় উঠেপড়ে লাগেন। প্রথম দিকে বেছে বেছে চাকরির আবেদন করতে থাকেন। একটুর জন্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হতে পারেন না। নিজের থাকা–খাওয়ার খরচ চালানোর পাশাপাশি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন। সময় যত বাড়তে থাকে, পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকে। দু’বছর পর থেকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হতে থাকেন। কিন্তু এবার বিপত্তি বাঁধে লিখিত পরীক্ষাগুলোতে গিয়ে। একপর্যায়ে লিখিত পরীক্ষাতেও ভালো করতে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি হয় না।
পারভেজ বলেন, ‘কয়েকটা পরীক্ষায় ভাইভা পর্যন্ত দিয়েছি, হয়নি। ভাবি আমার থেকেও যোগ্য লোক আছে। তারাই হয়তো টেকে!’
কিন্তু বেসরকারি চাকরি বা অন্য কোনো কর্মসংস্থানের দিকে কখনোই ঝোঁকেননি পারভেজ। তিনি বলেন, ‘বিডি জবস ও অন্যান্য বেশ কিছু সাইটে আবেদনের খবর পাওয়ার সোর্স আছে। প্রাইভেট জবগুলাতে অভিজ্ঞতা চায়, সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট কাজের দক্ষতাও চায়। আমার তো সেসব কিছু নাই। বিভাগে ভালো ফলের জন্য পড়াশোনা করছি। খেলাধুলায় একটা ঝোঁক ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলতাম। কিন্তু সে দিয়ে তো আর চাকরি হয় না।’
এ দিকে বিপ্লব বলছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় আলাদা করে কোনো কাজের সঙ্গে ছিলাম না। আমি প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা। পরিবারের কাছে সরকারি চাকরি মানেই সবচেয়ে নিরাপদ কর্মসংস্থান। আমার নিজেরও মনে হয়েছে, যেহেতু সুযোগ আছে চেষ্টা করে দেখি। কিন্তু এখন মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান (২০১৪-২০১৫) শিক্ষাবর্ষের ছাত্র তাশরিফ (ছদ্মনাম)। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন একটু একটু করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। স্নাতকোত্তর শেষ করার পরের দুই বছর পর থেকে বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় টিকছেন। এখনো তিন বছর সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন।
তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসছি। ছোটবেলা থেকে এলাকায় ভালো ছাত্র ছিলাম। সমাজের মানুষেরও একটা প্রত্যাশা যে ভালো একটা সরকারি চাকরি করব। তা ছাড়া পরিবার এখনো প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা পাঠায়। পরিবার থেকে বলে, ভালো করে পরীক্ষা দিতে থাকো। আমি তো জানি পরিবারের দায়িত্বটা আমাকে নিতে হবে। সে কারণে পড়াশোনা শেষ করেই পরীক্ষা দেওয়া শুরু করছি।’
জামালপুরের তাশরিফও জানালেন পরিবার অপেক্ষা করলেও পারিপার্শ্বিকতা যেন সেই অপেক্ষা মানছে না!
তাশরিফ বলেন, ‘বাড়িতে গেলে শুভাকাঙ্ক্ষীদের ঘুরে ফিরে একটাই প্রশ্ন—কী করছ এখন? আর কত দিন লাগবে? কয়েক বছরে এই প্রশ্ন এতবার শুনেছি যে, মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে পড়ি, নিজেকে অযোগ্য মনে হয়। আবার এও ঠিক যে, তাদের ওই প্রশ্নই আমাকে আরও গতিশীল করে তোলে।’
নানামুখী বাস্তবতার মাঝেও শিক্ষার্থীরা তাঁদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের চেয়ে চাকরিপ্রত্যাশী রয়েছে বহুগুণ বেশি। তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও তাঁরা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হিসেবে সরকারি চাকরিকেই বেছে নিচ্ছেন, যেখানে যোগ্যতা বা দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয় না! এই যে নিরাপদ কর্মসংস্থান হিসেবে সরকারি চাকরির প্রতি অতিনির্ভরতা, এটি অর্থনীতির দুর্বল সূচকের দিকেই ইঙ্গিত করে কি না ভেবে দেখা দরকার!
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
১৯৫২ সাল। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ২৬ জানুয়ারি পল্টনের এক জনসভায় চার বছর আগে জিন্নাহর দেওয়া ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করলেন, ‘কেবল উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ ৩ ফেব্রুয়ারি আবারও তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে ‘জিন্নাহর নীতিতে বিশ্বাসী’ বলে দাবি করলেন।
৯ ঘণ্টা আগে... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
১ দিন আগে...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট..
৮ দিন আগেভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১৪ দিন আগে