সম্পাদকীয়
ওস্তাদ আমির খাঁ ছিলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের কণ্ঠশিল্পী এবং ইন্দোর ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা। একসময় খেয়াল গান পরিবেশন করে তিনি ভারতবর্ষের অন্যতম ওস্তাদ হিসেবে পরিচিতি পান।
তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ইন্দোর রাজ্যে (বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ) অবস্থিত এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
১৯৩৪ সালে আমির খাঁ মুম্বাই আসেন এবং তাঁর একাধিক গানের রেকর্ড প্রকাশিত হয়। তবে তখন তেমন সাড়া পাননি। যুবক বয়সে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। কলকাতায় হোটেলে থাকার মতো সামর্থ্য ছিল না তাঁর। একটি বাড়িতে দারোয়ানের কাজ পান। রাতে পাহারাদারি শেষে দিনের বেলা সংগীতচর্চা করতেন। তাঁর সুর সৃষ্টির মধ্যে সুফি ভাবনা যেমন প্রতিফলিত হয়েছে, তেমনি সব ধর্মের মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে বিশ্বমানবতার কথা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।
তাঁর সংগীত পরিবেশনায় একটি বিশিষ্টতা হলো যন্ত্রানুষঙ্গের বাহুল্যহীনতা। আসল জাদু ছিল তাঁর সিদ্ধিলব্ধ কণ্ঠে এবং নিজস্ব গায়কিতে। সেই জাদুতেই তিনি আসরসুদ্ধ শ্রোতাদের নিমেষে মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলতেন।
পারিবারিক জীবনে শান্তি ছিল না তাঁর। প্রথম স্ত্রী ছিলেন ওস্তাদ এনায়েত খাঁর কন্যা এবং সেতারিয়া বিলায়েত খাঁর বোন। সেই স্ত্রীর সঙ্গে কিছুদিনের মধ্যেই ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কারণ তাঁর রোজগার তখন যৎসামান্য। এরপর সম্পর্ক হয় মুন্নিবাইয়ের সঙ্গে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মুন্নিবাইকে বিয়ে করেন তিনি। সেই বিয়েও সুখের হয়নি, অশান্তি লেগেই থাকত।
তাঁর গান গাওয়ার একটি পদ্ধতি ছিল। তিনি নিজেই নিয়ম বেঁধে নিয়েছিলেন—মদ্যপান করার পর কখনো গাইতেন না। যে দিন তাঁর আসর থাকত, সকাল থেকে খালি পেটে থাকতেন। বলতেন, পেট খালি থাকলে গলা চনচনে থাকে। রাতে আসর শেষ হলে খাওয়া-দাওয়ার পর মদ্যপান করতেন। তখন আর গান গাইতেন না।
ভারতের সংগীত জগতের এই কিংবদন্তি ওস্তাদ ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
ওস্তাদ আমির খাঁ ছিলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের কণ্ঠশিল্পী এবং ইন্দোর ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা। একসময় খেয়াল গান পরিবেশন করে তিনি ভারতবর্ষের অন্যতম ওস্তাদ হিসেবে পরিচিতি পান।
তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ইন্দোর রাজ্যে (বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ) অবস্থিত এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
১৯৩৪ সালে আমির খাঁ মুম্বাই আসেন এবং তাঁর একাধিক গানের রেকর্ড প্রকাশিত হয়। তবে তখন তেমন সাড়া পাননি। যুবক বয়সে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। কলকাতায় হোটেলে থাকার মতো সামর্থ্য ছিল না তাঁর। একটি বাড়িতে দারোয়ানের কাজ পান। রাতে পাহারাদারি শেষে দিনের বেলা সংগীতচর্চা করতেন। তাঁর সুর সৃষ্টির মধ্যে সুফি ভাবনা যেমন প্রতিফলিত হয়েছে, তেমনি সব ধর্মের মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে বিশ্বমানবতার কথা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।
তাঁর সংগীত পরিবেশনায় একটি বিশিষ্টতা হলো যন্ত্রানুষঙ্গের বাহুল্যহীনতা। আসল জাদু ছিল তাঁর সিদ্ধিলব্ধ কণ্ঠে এবং নিজস্ব গায়কিতে। সেই জাদুতেই তিনি আসরসুদ্ধ শ্রোতাদের নিমেষে মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলতেন।
পারিবারিক জীবনে শান্তি ছিল না তাঁর। প্রথম স্ত্রী ছিলেন ওস্তাদ এনায়েত খাঁর কন্যা এবং সেতারিয়া বিলায়েত খাঁর বোন। সেই স্ত্রীর সঙ্গে কিছুদিনের মধ্যেই ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কারণ তাঁর রোজগার তখন যৎসামান্য। এরপর সম্পর্ক হয় মুন্নিবাইয়ের সঙ্গে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মুন্নিবাইকে বিয়ে করেন তিনি। সেই বিয়েও সুখের হয়নি, অশান্তি লেগেই থাকত।
তাঁর গান গাওয়ার একটি পদ্ধতি ছিল। তিনি নিজেই নিয়ম বেঁধে নিয়েছিলেন—মদ্যপান করার পর কখনো গাইতেন না। যে দিন তাঁর আসর থাকত, সকাল থেকে খালি পেটে থাকতেন। বলতেন, পেট খালি থাকলে গলা চনচনে থাকে। রাতে আসর শেষ হলে খাওয়া-দাওয়ার পর মদ্যপান করতেন। তখন আর গান গাইতেন না।
ভারতের সংগীত জগতের এই কিংবদন্তি ওস্তাদ ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ২০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায়
২ দিন আগে১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
৯ দিন আগে...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
১০ দিন আগেযদি কেউ ভালোবাসা দিবসে তাঁর সঙ্গীর জন্য একটি কার্ড কিনে থাকেন, তাহলে সহজেই বলে দেওয়া যায়—কার্ড কেনা মানুষটি একজন পুরুষ। কারণ সাধারণত পুরুষেরাই নারীদের তুলনায় বেশি রোমান্টিক। এটি একটি সর্বজনবিদিত সত্য, তবে স্বীকৃতি খুবই কম।
২৩ দিন আগে