সম্পাদকীয়
প্রায় এক বছর পড়াশোনা করা হয়নি সলিল চৌধুরী ও তাঁর দাদার। বাড়িতে বসে ‘মুখ্যু’ হয়ে যাচ্ছিলেন। থাকতেন তখন হাতিখুলিতে। শেষ পর্যন্ত ঠিক হলো তাঁদের দুই ভাইকে কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটে মেজ জ্যাঠামশাইয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কলকাতার স্কুলে ভর্তি করে বাবা চলে আসবেন হাতিখুলিতে।
তখনো সলিল চৌধুরীর ছয় বছর বয়স পূর্ণ হয়নি। মাকে জড়িয়ে না শুলে তাঁর ঘুম আসত না। মা তো বেদনায় নীল। যে বাচ্চু (সলিল চৌধুরীর ডাক নাম) তাঁকে ছাড়া থাকতে পারে না, সে এখন দিনের পর দিন কলকাতায় থাকবে!
২১ নম্বর সুকিয়া স্ট্রিটে শুরু হলো সলিলের জীবনের দ্বিতীয় পর্ব। এই মেজ জ্যাঠা ছিলেন জাহাজের ডাক্তার। প্রায় সারা বছরই জাহাজে থাকতেন। জেঠিমা ছিলেন অসুস্থ। তাঁরই এক সুন্দরী বোন এসে একদা এই সংসারের ভার হাতে নিয়েছিলেন। দজ্জাল মহিলা। সলিল চৌধুরীরা দুই ভাই যখন এই বাড়িতে এলেন, তখন সেই মহিলা বুড়ি হয়ে গেছেন, কোমর বেঁকে গেছে, খ্যানখেনে গলা তাঁর। একেবারে ছুঁতমার্গী বুড়ি তিনি তখন। ‘ওটা ছুঁবি না’, ‘ওদিকে যাবি না’, ‘এবার গিলবে এসো’—এই ছিল তাঁর কথা।
প্রথম দিন সকালে দাদা বলল, ‘নিচে চল। জলখাবার দিচ্ছে।’ টেবিলের দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখলেন না সলিল। এরপর সেই বুড়ি খ্যানখেনে গলায় বললেন, ‘হাত পাত।’ হাত পাতলে তিনি শূন্য থেকে হাতের ওপর ছুড়ে দিলেন আখের গুড়মোড়া দুটি রুটি। আগে কখনো রুটি খাননি সলিল। তাই বলেছিলেন, ‘আমি রুটি খাই না।’ এরপর বাপ-মা তুলে গালিবর্ষণ শুরু হলে তা থেকে পালানোর পথ খুঁজে পেলেন না সলিল।
এর পর থেকে রোজ সকালে হাত পেতে রুটি নিয়ে বাইরে গিয়ে খেতেন সলিল। তাতে ডাস্টবিনের পাশে বসে থাকা নেড়ি-কুকুরটা দিন দিন গায়ে-গতরে ফুলে উঠতে লাগল আর সলিলের প্যান্টের বেল্টে নতুন নতুন ছিদ্র তৈরি হতে থাকল।
সূত্র: সলিল চৌধুরী, জীবন উজ্জীবন, পৃষ্ঠা ৪৪-৪৯
প্রায় এক বছর পড়াশোনা করা হয়নি সলিল চৌধুরী ও তাঁর দাদার। বাড়িতে বসে ‘মুখ্যু’ হয়ে যাচ্ছিলেন। থাকতেন তখন হাতিখুলিতে। শেষ পর্যন্ত ঠিক হলো তাঁদের দুই ভাইকে কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটে মেজ জ্যাঠামশাইয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কলকাতার স্কুলে ভর্তি করে বাবা চলে আসবেন হাতিখুলিতে।
তখনো সলিল চৌধুরীর ছয় বছর বয়স পূর্ণ হয়নি। মাকে জড়িয়ে না শুলে তাঁর ঘুম আসত না। মা তো বেদনায় নীল। যে বাচ্চু (সলিল চৌধুরীর ডাক নাম) তাঁকে ছাড়া থাকতে পারে না, সে এখন দিনের পর দিন কলকাতায় থাকবে!
২১ নম্বর সুকিয়া স্ট্রিটে শুরু হলো সলিলের জীবনের দ্বিতীয় পর্ব। এই মেজ জ্যাঠা ছিলেন জাহাজের ডাক্তার। প্রায় সারা বছরই জাহাজে থাকতেন। জেঠিমা ছিলেন অসুস্থ। তাঁরই এক সুন্দরী বোন এসে একদা এই সংসারের ভার হাতে নিয়েছিলেন। দজ্জাল মহিলা। সলিল চৌধুরীরা দুই ভাই যখন এই বাড়িতে এলেন, তখন সেই মহিলা বুড়ি হয়ে গেছেন, কোমর বেঁকে গেছে, খ্যানখেনে গলা তাঁর। একেবারে ছুঁতমার্গী বুড়ি তিনি তখন। ‘ওটা ছুঁবি না’, ‘ওদিকে যাবি না’, ‘এবার গিলবে এসো’—এই ছিল তাঁর কথা।
প্রথম দিন সকালে দাদা বলল, ‘নিচে চল। জলখাবার দিচ্ছে।’ টেবিলের দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখলেন না সলিল। এরপর সেই বুড়ি খ্যানখেনে গলায় বললেন, ‘হাত পাত।’ হাত পাতলে তিনি শূন্য থেকে হাতের ওপর ছুড়ে দিলেন আখের গুড়মোড়া দুটি রুটি। আগে কখনো রুটি খাননি সলিল। তাই বলেছিলেন, ‘আমি রুটি খাই না।’ এরপর বাপ-মা তুলে গালিবর্ষণ শুরু হলে তা থেকে পালানোর পথ খুঁজে পেলেন না সলিল।
এর পর থেকে রোজ সকালে হাত পেতে রুটি নিয়ে বাইরে গিয়ে খেতেন সলিল। তাতে ডাস্টবিনের পাশে বসে থাকা নেড়ি-কুকুরটা দিন দিন গায়ে-গতরে ফুলে উঠতে লাগল আর সলিলের প্যান্টের বেল্টে নতুন নতুন ছিদ্র তৈরি হতে থাকল।
সূত্র: সলিল চৌধুরী, জীবন উজ্জীবন, পৃষ্ঠা ৪৪-৪৯
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
২১ ঘণ্টা আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
৫ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
৯ দিন আগেগাইবান্ধা জেলার মীরের বাগান একসময় ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামের এক দরবেশ এদিকটায় এসে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি মসজিদ ও তিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদটির দেয়ালে খোদাই করা লিপি থেকে জানা যায়, এটি হাজার বছর আগে ১০১১ সালে নির্মিত।
১০ দিন আগে