সম্পাদকীয়
অঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
মালরোর জন্ম ১৯০১ সালের ৩ নভেম্বর ফ্রান্সের প্যারিস শহরে। তিনি প্যারিসের ‘একোল দে লঁগ ওরিয়াঁতাল’ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কাজে সস্ত্রীক কম্বোডিয়াতে যান। সেখানে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আন্নামীয়দের স্বাধীনতাসংগ্রামে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি যত দিন জীবিত ছিলেন, সারা বিশ্বের অধিকাংশ মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তিনি চীনের গৃহযুদ্ধে কুওমিন্তাংয়ের পক্ষে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও তিনি এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। সে সময় ফ্রান্স সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন, ‘আমাকে একটি যুদ্ধবিমান দাও, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য শেষ লড়াইটা করতে চাই।’
এ সময়ই পাকিস্তান সরকার প্রচার করল, অস্ত্র সাহায্যের জন্য বাংলাদেশের দূত ইসরায়েলে গেছে। ‘বাঙালিরা ইহুদিদের কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছে’—এই মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভ্রান্তিকর তথ্যটি ভুল প্রমাণ করে অঁদ্রে মালরোর শুধু একটি বিবৃতি। তিনি এ ঘটনার বিরুদ্ধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
১৯৭৩ সালের এপ্রিলে শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে সস্ত্রীক সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এসেছিলেন মালরো। সফরসঙ্গী ছিল ফরাসি টেলিভিশনের একটি দল। এই দলটি ‘বাংলাদেশ–ইয়ার ওয়ান ফ্রম ডিসপেয়ার টু হোপ’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে। পরবর্তী সময়ে বাংলায় ভাষান্তর করে এর নাম দেওয়া হয় ‘বাংলাদেশ: প্রত্যাশার পথে’।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো_ ‘লে কোঁকের’, ‘লা ভোঁয়া রইয়াল’, ‘লা কোঁদিসিও উমেন’, ‘লা তঁ দু মেপ্রি’, ‘সাইকোলজি দ্য লার’, তিন খণ্ডের ‘লা মেটামরফোজ দে দিও’, ‘লা ট্রায়াঙ্গল নোয়ার’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু এই মানুষটি ১৯৭৬ সালের ২৩ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
অঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
মালরোর জন্ম ১৯০১ সালের ৩ নভেম্বর ফ্রান্সের প্যারিস শহরে। তিনি প্যারিসের ‘একোল দে লঁগ ওরিয়াঁতাল’ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কাজে সস্ত্রীক কম্বোডিয়াতে যান। সেখানে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আন্নামীয়দের স্বাধীনতাসংগ্রামে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি যত দিন জীবিত ছিলেন, সারা বিশ্বের অধিকাংশ মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তিনি চীনের গৃহযুদ্ধে কুওমিন্তাংয়ের পক্ষে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও তিনি এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। সে সময় ফ্রান্স সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন, ‘আমাকে একটি যুদ্ধবিমান দাও, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য শেষ লড়াইটা করতে চাই।’
এ সময়ই পাকিস্তান সরকার প্রচার করল, অস্ত্র সাহায্যের জন্য বাংলাদেশের দূত ইসরায়েলে গেছে। ‘বাঙালিরা ইহুদিদের কাছ থেকে সাহায্য নিচ্ছে’—এই মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভ্রান্তিকর তথ্যটি ভুল প্রমাণ করে অঁদ্রে মালরোর শুধু একটি বিবৃতি। তিনি এ ঘটনার বিরুদ্ধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
১৯৭৩ সালের এপ্রিলে শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে সস্ত্রীক সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এসেছিলেন মালরো। সফরসঙ্গী ছিল ফরাসি টেলিভিশনের একটি দল। এই দলটি ‘বাংলাদেশ–ইয়ার ওয়ান ফ্রম ডিসপেয়ার টু হোপ’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে। পরবর্তী সময়ে বাংলায় ভাষান্তর করে এর নাম দেওয়া হয় ‘বাংলাদেশ: প্রত্যাশার পথে’।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো_ ‘লে কোঁকের’, ‘লা ভোঁয়া রইয়াল’, ‘লা কোঁদিসিও উমেন’, ‘লা তঁ দু মেপ্রি’, ‘সাইকোলজি দ্য লার’, তিন খণ্ডের ‘লা মেটামরফোজ দে দিও’, ‘লা ট্রায়াঙ্গল নোয়ার’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু এই মানুষটি ১৯৭৬ সালের ২৩ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
৪ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৮ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৯ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
১১ দিন আগে