কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় গত কয়েক মাসে পাড়ি জমিয়েছেন রাশিয়ার পাঁচ হাজারের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী। তাঁদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে পৌঁছানো একটি ফ্লাইটে এমন ৩৩ জন রুশ নারী ছিলেন। আর্জেন্টিনার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই নারীরা।
এদিকে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে নারীদের আবারও বাড়ির ভেতরে আটকে রাখার নানান উপায় অবলম্বন করা শুরু হয়। স্কুল, কলেজ, বিউটি পারলার—সব বন্ধ করে নারীদের আটকে রাখা হচ্ছে বাড়িতেই। ফলে অনেক নারী মুক্ত জীবনের আকাঙ্ক্ষায় পাড়ি জমাচ্ছেন ভিনদেশে। সীমান্ত পার হচ্ছেন জীবন বাজি রেখে। তবে শুধু তালেবান সরকারকে ভয় পান বলে নয়, বরং পাসপোর্ট ও ভিসা পেতে সময় এবং অর্থের প্রয়োজন হয় বলে অনেকে অবৈধ পথে দেশ ছেড়ে যান।
জীবন বাঁচাতে কিংবা জীবিকার প্রয়োজনে, যে কারণেই হোক, প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ নিজ ভূখণ্ড ছেড়ে যান। ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষকে কখনো আমরা অভিবাসী, শরণার্থী কিংবা প্রবাসী বলি। এর মধ্যে অভিবাসী সাধারণত এমন কাউকে বলা হয়, যিনি উন্নত জীবনযাত্রা বা কর্মসংস্থানের খোঁজে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যান। পৃথিবীতে প্রতি মাসে লাখ লাখ মানুষ অভিবাসী হয়ে থাকেন। এ জীবন কারও সুখের হয়, আবার কারও জন্য হয় অভিশাপ।
২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক অভিবাসীর সংখ্যা ৪১ শতাংশ বেড়ে ২৪৪ মিলিয়নে পৌঁছেছে। তাদের প্রায় অর্ধেকই নারী; বিশেষ করে নারী অভিবাসীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার অন্য অভিবাসীদের তুলনায় বেশি। আন্তর্জাতিক অভিবাসী গৃহকর্মীর প্রায় সাড়ে ৭৩ শতাংশই নারী। অভিবাসী নারীদের বড় সমস্যা হলো, তাঁরা জানেন না নিজেদের অধিকার কী? তাঁরা জানেন না, কোথায় গেলে তাদের কথাগুলো বলতে পারবেন। অভিবাসী নারীদের বেশির ভাগ যৌন নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকেন। যাঁরা অভিবাসী হিসেবে অবস্থানকালে যুদ্ধের কারণে আটকা পড়েন, তাঁদেরও ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদেশে মৃত্যু হয়েছে ৫২১ জন বাংলাদেশি নারী শ্রমিকের। তাঁদের মধ্যে ২৭০ জনের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি ২৫১ জনকে সমাহিত করা হয়েছে বিদেশে। বিওএমএসএর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, প্রশাসনিক জটিলতা, নথিগত সংকট, সংশ্লিষ্ট দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাসের অসহযোগিতাসহ নানা কারণে বিদেশে মৃত্যুবরণ করা নারী শ্রমিকদের বড় একটি অংশের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
১৯৯১ থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কাজ করতে গেছেন ১১ লাখ ৭০ হাজার নারী কর্মী। তাঁদের বেশির ভাগ গেছেন গৃহকর্মী হিসেবে। বিদেশে অতিরিক্ত কাজের চাপ, শারীরিক-মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে কেউ কেউ ফিরে আসেন। তবু প্রতিবছর কর্মীরা যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক অসহায়ত্ব থেকে ভাগ্য ফেরানোর আশায় বাধ্য হয়েই বিদেশে যান ৭৩ শতাংশ নারী কর্মী। গৃহকর্মী, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবিকা, তৈরি পোশাক খাত ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতে বিদেশে যান নারীরা। এ নারীদের ৪৪ শতাংশ গেছেন সৌদি আরবে মূলত গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে। ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সহিংসতাসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে মারা গেছেন ৭০৫ জন নারী কর্মী।
যাঁরা কাজ করতে অভিবাসী হয়ে ভিন্ন দেশে পাড়ি জমান, সেই নারীরা যখন লাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন, তখন তাঁদের পরিবারের অনেকে লাশও ফিরিয়ে নিতে চান না। তাঁরা সেখানে বিভিন্ন অসহযোগিতা ও নিপীড়নের শিকার হলেও কেউ তাঁদের গল্পটা শুনতে চান না। পরিবারকে একটু স্বস্তির জীবন দিতে গিয়ে এই নারীরা প্রতিনিয়ত নিপীড়ন, অপমান আর লাঞ্ছনার শিকার হয়ে অনেকে ধুঁকে ধুঁকে মারা যান। তাঁরা জানেন না, কোথায় গেলে ন্যায়বিচার পাবেন।
যাঁরা কাজের জন্য যান, তাঁদের যাওয়ার সময় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেও সেখানে ঘাটতি থেকে যায়। আর যাঁরা অনৈতিকভাবে যান, তাঁরা একবার দেশত্যাগের পর পড়ে যান অন্ধকারে। যেখান থেকে অনেকে নিজের জীবন বাঁচিয়ে ফিরে আসার ভাগ্যটাও রাখেন না। কারও কারও অঙ্গহানি ঘটে। অনেকে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য হন। সেই সন্তানের দায়িত্ব কেউ নেয় না। তাঁরা বাড়ির লোকদেরও এই সন্তান সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন না। অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে তাঁদের এই সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান আজও হয়নি। সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে অভিবাসী নারীদের সুরক্ষা আজও অনেকটা অন্তরালেই থেকে গেছে।
লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় গত কয়েক মাসে পাড়ি জমিয়েছেন রাশিয়ার পাঁচ হাজারের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী। তাঁদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে পৌঁছানো একটি ফ্লাইটে এমন ৩৩ জন রুশ নারী ছিলেন। আর্জেন্টিনার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই নারীরা।
এদিকে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে নারীদের আবারও বাড়ির ভেতরে আটকে রাখার নানান উপায় অবলম্বন করা শুরু হয়। স্কুল, কলেজ, বিউটি পারলার—সব বন্ধ করে নারীদের আটকে রাখা হচ্ছে বাড়িতেই। ফলে অনেক নারী মুক্ত জীবনের আকাঙ্ক্ষায় পাড়ি জমাচ্ছেন ভিনদেশে। সীমান্ত পার হচ্ছেন জীবন বাজি রেখে। তবে শুধু তালেবান সরকারকে ভয় পান বলে নয়, বরং পাসপোর্ট ও ভিসা পেতে সময় এবং অর্থের প্রয়োজন হয় বলে অনেকে অবৈধ পথে দেশ ছেড়ে যান।
জীবন বাঁচাতে কিংবা জীবিকার প্রয়োজনে, যে কারণেই হোক, প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ নিজ ভূখণ্ড ছেড়ে যান। ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষকে কখনো আমরা অভিবাসী, শরণার্থী কিংবা প্রবাসী বলি। এর মধ্যে অভিবাসী সাধারণত এমন কাউকে বলা হয়, যিনি উন্নত জীবনযাত্রা বা কর্মসংস্থানের খোঁজে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যান। পৃথিবীতে প্রতি মাসে লাখ লাখ মানুষ অভিবাসী হয়ে থাকেন। এ জীবন কারও সুখের হয়, আবার কারও জন্য হয় অভিশাপ।
২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক অভিবাসীর সংখ্যা ৪১ শতাংশ বেড়ে ২৪৪ মিলিয়নে পৌঁছেছে। তাদের প্রায় অর্ধেকই নারী; বিশেষ করে নারী অভিবাসীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার অন্য অভিবাসীদের তুলনায় বেশি। আন্তর্জাতিক অভিবাসী গৃহকর্মীর প্রায় সাড়ে ৭৩ শতাংশই নারী। অভিবাসী নারীদের বড় সমস্যা হলো, তাঁরা জানেন না নিজেদের অধিকার কী? তাঁরা জানেন না, কোথায় গেলে তাদের কথাগুলো বলতে পারবেন। অভিবাসী নারীদের বেশির ভাগ যৌন নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকেন। যাঁরা অভিবাসী হিসেবে অবস্থানকালে যুদ্ধের কারণে আটকা পড়েন, তাঁদেরও ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদেশে মৃত্যু হয়েছে ৫২১ জন বাংলাদেশি নারী শ্রমিকের। তাঁদের মধ্যে ২৭০ জনের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি ২৫১ জনকে সমাহিত করা হয়েছে বিদেশে। বিওএমএসএর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, প্রশাসনিক জটিলতা, নথিগত সংকট, সংশ্লিষ্ট দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাসের অসহযোগিতাসহ নানা কারণে বিদেশে মৃত্যুবরণ করা নারী শ্রমিকদের বড় একটি অংশের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
১৯৯১ থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কাজ করতে গেছেন ১১ লাখ ৭০ হাজার নারী কর্মী। তাঁদের বেশির ভাগ গেছেন গৃহকর্মী হিসেবে। বিদেশে অতিরিক্ত কাজের চাপ, শারীরিক-মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে কেউ কেউ ফিরে আসেন। তবু প্রতিবছর কর্মীরা যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক অসহায়ত্ব থেকে ভাগ্য ফেরানোর আশায় বাধ্য হয়েই বিদেশে যান ৭৩ শতাংশ নারী কর্মী। গৃহকর্মী, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবিকা, তৈরি পোশাক খাত ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতে বিদেশে যান নারীরা। এ নারীদের ৪৪ শতাংশ গেছেন সৌদি আরবে মূলত গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে। ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সহিংসতাসহ বিভিন্ন কারণে বিদেশে মারা গেছেন ৭০৫ জন নারী কর্মী।
যাঁরা কাজ করতে অভিবাসী হয়ে ভিন্ন দেশে পাড়ি জমান, সেই নারীরা যখন লাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন, তখন তাঁদের পরিবারের অনেকে লাশও ফিরিয়ে নিতে চান না। তাঁরা সেখানে বিভিন্ন অসহযোগিতা ও নিপীড়নের শিকার হলেও কেউ তাঁদের গল্পটা শুনতে চান না। পরিবারকে একটু স্বস্তির জীবন দিতে গিয়ে এই নারীরা প্রতিনিয়ত নিপীড়ন, অপমান আর লাঞ্ছনার শিকার হয়ে অনেকে ধুঁকে ধুঁকে মারা যান। তাঁরা জানেন না, কোথায় গেলে ন্যায়বিচার পাবেন।
যাঁরা কাজের জন্য যান, তাঁদের যাওয়ার সময় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেও সেখানে ঘাটতি থেকে যায়। আর যাঁরা অনৈতিকভাবে যান, তাঁরা একবার দেশত্যাগের পর পড়ে যান অন্ধকারে। যেখান থেকে অনেকে নিজের জীবন বাঁচিয়ে ফিরে আসার ভাগ্যটাও রাখেন না। কারও কারও অঙ্গহানি ঘটে। অনেকে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য হন। সেই সন্তানের দায়িত্ব কেউ নেয় না। তাঁরা বাড়ির লোকদেরও এই সন্তান সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন না। অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে তাঁদের এই সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান আজও হয়নি। সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে অভিবাসী নারীদের সুরক্ষা আজও অনেকটা অন্তরালেই থেকে গেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সর্বপ্রথম নারীদের নিয়ে সি রেঞ্জার বাহিনী গঠন করেছে সৌদি আরব। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিশ্ব রেঞ্জার দিবস উপলক্ষে এই রেঞ্জার বাহিনীর কথা জানান সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রয়্যাল রিজার্ভ। সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণ ও নারী ক্ষমতায়নের প্রতি দেশটির প্রতিশ্র
৫ দিন আগেচব্বিশের জুলাই। ৩১ দিনে নয়, শেষ হয়েছিল ৩৬ দিনে। সেই উত্তাল সময় তৈরি করেছে নানা আনন্দের স্মৃতি ও বেদনার ক্ষত। তৈরি হয়েছে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। কেউ কেউ জীবনের পরোয়া না করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন সে সময়। কেউ পানি দিয়েছিলেন, কেউ আহত ব্যক্তিদের নিজের রিকশায় নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে...
৬ দিন আগে৩০ বছর ধরে পাঁপড় বানিয়ে চলেছেন! সেই পাঁপড় বিক্রি করে চলছে সংসার, প্রতিবন্ধী মেয়ের চিকিৎসা ও ছেলের পড়াশোনা। বলছি মাদারীপুর শহরের পাকদি এলাকার হারুন-অর-রশীদ (৬৫) ও মজিদা বেগম (৫০) দম্পতির গল্প।
৬ দিন আগেসুতার নাম কেভলার। সুতি বা কটন, রেশম, রেয়ন ইত্যাদি সুতার কথা আমরা জানি। সেগুলো দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের পোশাক ব্যবহারও করি। কিন্তু কেভলার? না, সাধারণ মানুষ এই সুতায় তৈরি পোশাক ব্যবহার করে না। বিশেষ অবস্থার জন্য বিশেষ ধরনের পোশাক তৈরিতেই শুধু এই কেভলার ফাইবার ব্যবহার করা হয়।
৬ দিন আগে