মারিয়া ফেরদৌসি
কামরাঙ্গীরচরে অটোরিকশার লাইনে আপনার হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে ফিরোজা বেগমের সঙ্গে। তাঁর চোখের দিকে তাকালে প্রগাঢ় বিস্ময় কিংবা বিমূঢ়তা নয়, আত্মবিশ্বাস দেখতে পাবেন।
তবে ঢাকা শহরের সবখানের চিত্র এক নয়। যে নারীরা অটোরিকশা চালিয়ে স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন অল্প দিনেই। এমনকি তাঁদের কাউকে কাউকে সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে চলেও যেতে হয়েছে। সেসব কথার আগে ফিরোজা বেগমের গল্পটা শোনা যাক।
ফিরোজা বেগমের বয়স চল্লিশের কোঠায়। ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অটোরিকশা চালান। স্ট্রোকের কারণে তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজড। তিন সন্তানের কথা চিন্তা করে সংসারের উপার্জনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি।
ফিরোজা একসময় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু সেখানে সুপারভাইজারের কারণে তাঁকে চাকরি ছাড়তে হয়। এরপর তিনি প্রায় দুই বছর ধরে অটোরিকশা চালানো শেখেন। তাঁর ধারণা ছিল, তাঁকে আগের মতো আর শারীরিক বা মানসিক নিপীড়নের শিকার হতে হবে না। সবাই তাঁর কাজের জন্য বাহবা দেবে। কিন্তু এখানেও তিনি মানসিকভাবে হেরে যান। অটোরিকশা চালাতে গিয়ে প্রতিদিন তাঁকে শুনতে হয় কারও না কারও গালিগালাজ আর বিদ্রূপ মন্তব্য। কেন তিনি নারী হয়ে ঘরে না থেকে অটোরিকশা চালান, ঘরে না থেকে কেন তিনি বাইরে—এমন বহু অযাচিত প্রশ্ন হজম করতে হয় ফিরোজাকে।
ফিরোজার মতো আরও অনেক নারী কামরাঙ্গীরচর অঞ্চলে অটোরিকশা চালাতেন। কিন্তু একপর্যায়ে পরিস্থিতির কারণে তাঁদের বেশির ভাগই অটোরিকশা চালানো ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তবে এখনো বেশ কয়েকজন নারী আছেন, যাঁরা রাত ১২টার পরে দল বেঁধে অটোরিকশা চালান। যাতে দিনের মতো মানুষের অযাচিত প্রশ্নের মুখোমুখি না হতে হয়। যদিও রাতের বেলা সংঘবদ্ধ রিকশা ছিনতাই চক্রসহ আরও অনেক বিপদের আশঙ্কা থাকে। তবুও ফিরোজা বেগম কাজটা চালিয়ে যেতে চান। আর লড়ে যেতে চান যতক্ষণ সম্ভব হয়।
ফিরোজা বেগমের মতো ঢাকা শহরের বেশ কিছু এলাকার রাস্তায় নারীরা অটোরিকশা চালান। ঢাকার বাইরে এই সংখ্যাটা হয়তো কিছুটা কম। সাভারের আশুলিয়া অঞ্চলের দুই নারী অটোরিকশাচালক জানান, তাঁরা গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে অটোরিকশা চালানো শুরু করেছিলেন। কিন্তু মানুষের বাজে মন্তব্য এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে কাজটি বন্ধ করে দেন। এমনকি তাঁরা এলাকা ছেড়েও চলে যেতে বাধ্য হন।
দিনদুপুরে পুরুষদের কাছে বাজে মন্তব্য শুনতে হয়। কখনো কখনো হেনস্তা হতে হয়, নিপীড়নেরও শিকার হতে হয়। তারপরও পেটের দায়ে অটোরিকশা চালান—এমনটি বলেন ঢাকার মাদারটেকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী অটোরিকশাচালক।
কামরাঙ্গীরচরে অটোরিকশার লাইনে আপনার হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে ফিরোজা বেগমের সঙ্গে। তাঁর চোখের দিকে তাকালে প্রগাঢ় বিস্ময় কিংবা বিমূঢ়তা নয়, আত্মবিশ্বাস দেখতে পাবেন।
তবে ঢাকা শহরের সবখানের চিত্র এক নয়। যে নারীরা অটোরিকশা চালিয়ে স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন অল্প দিনেই। এমনকি তাঁদের কাউকে কাউকে সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে চলেও যেতে হয়েছে। সেসব কথার আগে ফিরোজা বেগমের গল্পটা শোনা যাক।
ফিরোজা বেগমের বয়স চল্লিশের কোঠায়। ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অটোরিকশা চালান। স্ট্রোকের কারণে তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজড। তিন সন্তানের কথা চিন্তা করে সংসারের উপার্জনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি।
ফিরোজা একসময় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু সেখানে সুপারভাইজারের কারণে তাঁকে চাকরি ছাড়তে হয়। এরপর তিনি প্রায় দুই বছর ধরে অটোরিকশা চালানো শেখেন। তাঁর ধারণা ছিল, তাঁকে আগের মতো আর শারীরিক বা মানসিক নিপীড়নের শিকার হতে হবে না। সবাই তাঁর কাজের জন্য বাহবা দেবে। কিন্তু এখানেও তিনি মানসিকভাবে হেরে যান। অটোরিকশা চালাতে গিয়ে প্রতিদিন তাঁকে শুনতে হয় কারও না কারও গালিগালাজ আর বিদ্রূপ মন্তব্য। কেন তিনি নারী হয়ে ঘরে না থেকে অটোরিকশা চালান, ঘরে না থেকে কেন তিনি বাইরে—এমন বহু অযাচিত প্রশ্ন হজম করতে হয় ফিরোজাকে।
ফিরোজার মতো আরও অনেক নারী কামরাঙ্গীরচর অঞ্চলে অটোরিকশা চালাতেন। কিন্তু একপর্যায়ে পরিস্থিতির কারণে তাঁদের বেশির ভাগই অটোরিকশা চালানো ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তবে এখনো বেশ কয়েকজন নারী আছেন, যাঁরা রাত ১২টার পরে দল বেঁধে অটোরিকশা চালান। যাতে দিনের মতো মানুষের অযাচিত প্রশ্নের মুখোমুখি না হতে হয়। যদিও রাতের বেলা সংঘবদ্ধ রিকশা ছিনতাই চক্রসহ আরও অনেক বিপদের আশঙ্কা থাকে। তবুও ফিরোজা বেগম কাজটা চালিয়ে যেতে চান। আর লড়ে যেতে চান যতক্ষণ সম্ভব হয়।
ফিরোজা বেগমের মতো ঢাকা শহরের বেশ কিছু এলাকার রাস্তায় নারীরা অটোরিকশা চালান। ঢাকার বাইরে এই সংখ্যাটা হয়তো কিছুটা কম। সাভারের আশুলিয়া অঞ্চলের দুই নারী অটোরিকশাচালক জানান, তাঁরা গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে অটোরিকশা চালানো শুরু করেছিলেন। কিন্তু মানুষের বাজে মন্তব্য এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে কাজটি বন্ধ করে দেন। এমনকি তাঁরা এলাকা ছেড়েও চলে যেতে বাধ্য হন।
দিনদুপুরে পুরুষদের কাছে বাজে মন্তব্য শুনতে হয়। কখনো কখনো হেনস্তা হতে হয়, নিপীড়নেরও শিকার হতে হয়। তারপরও পেটের দায়ে অটোরিকশা চালান—এমনটি বলেন ঢাকার মাদারটেকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী অটোরিকশাচালক।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। নতুন বাজেটে ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
৩ দিন আগেবাড়ি তাঁর খুলনায়। সুন্দরবন, নদীনালা, গাছপালা মিলিয়ে এক অনিন্দ্যসুন্দর জনপদ। সুন্দরবন মানে শুধু বাঘ, মৌয়াল আর মাছ নয়; সেখানে আছে বনবিবির বিশ্বাস, আছে স্থানীয় উপকরণে তৈরি স্থানীয় শিল্প। সবাই সেগুলোর তেমন কদর না করলেও কেউ কেউ তো কদর করেনই। তেমনই একজন ফৌজিয়া ডেইজী।
৩ দিন আগেপলিথিন ও প্লাস্টিক একই জিনিস নয়। তবে পলিথিন মূলত একধরনের প্লাস্টিক। বিশ্বজুড়ে সেই প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে চলছে আন্দোলন। আগামীকাল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। হ্যাশট্যাগ বিট প্লাস্টিক পলিউশন স্লোগান দিয়ে এবার প্লাস্টিকদূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে।
৩ দিন আগেআমার স্বামী দেশের বাইরে গেছে পড়াশোনার জন্য। আমাদের দুই বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। রান্নাবান্না, শ্বশুর-শাশুড়ি ও নিজের যত্ন, সন্তানের যত্ন নেওয়া আমার কাজ। বাকি কাজের জন্য লোক আছে। কিন্তু সন্তান সামাল দিতেই আমি নাজেহাল। সন্তানের অতিরিক্ত কান্না সহ্য করতে না পেরে মারধর করি।
৩ দিন আগে