নিজস্ব প্রতিবেদক
খালেদা একরাম (মরণোত্তর)
২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছিল প্রথম নারী উপাচার্য। স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক খালেদা একরাম সে পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে বগুড়ায় জন্ম নেওয়া খালেদা একরাম ১৯৭৪ সালে বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পরের বছর প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৫ সালে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করেন অধ্যাপক খালেদা একরাম। দুরারোগ্য নন-হজকিন লিমফোমাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ২০১৬ সালে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর)
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা ছিলেন নেত্রকোনার শিক্ষা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃস্থানীয় মানুষ। কৈশোরে তিনি জাতীয় পর্যায়ের ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য, প্যারা অলিম্পিকের নির্বাহী সদস্য, বিশেষ অলিম্পিকের কেন্দ্রীয় পরিচালক, শেখ রাসেল ক্রীড়া একাডেমির সহসভাপতি, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২২ উপলক্ষে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় অসাধারণ অবদান রাখায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পুরস্কারে ভূষিত হন কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা। এ বছরের ১ জুন কিডনির অসুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ড. হালিদা হানুম আখতার
ছোটবেলায় চিকিৎসক মায়ের ব্যস্ততা দেখে বেড়ে ওঠেন তিনি। সেটা দেখেই হয়তো তিনি চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে একদিন সত্যিই চিকিৎসক হিসেবে পড়াশোনা শেষ করলেন হালিদা হানুম। অল্পদিনেই উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে পাঠানো হলো বিদেশে। দেড় বছরের সন্তান রেখে পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার আগেই শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ! ১৯৭১ সালের অক্টোবরে দেশে ফিরে কাজ শুরু করেন সেবাসদন হাসপাতালে। তারপর ওবি বা জিওয়াইএন হিসেবে ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণের পর হালিদা হানুম আখতার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে জনস্বাস্থ্যে ডক্টরেট লাভ করেন। তিনি প্রজননস্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক। প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি গবেষণার কাজ করেন নিবিড়ভাবে। তাঁর গবেষণার বিষয় গর্ভনিরোধক কার্যকারিতা, প্রজননস্বাস্থ্য চাহিদা ও পরিষেবা, গর্ভপাত, মাতৃত্বকালীন অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার। নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা ও কাজের জন্য তিনি ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি নারী হিসেবে ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে বাংলা একাডেমি এ বছর সাম্মানিক ফেলোশিপ দেয়। এ ছাড়া তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ড. হালিদা হানুম আখতার মনে করেন, আগে থেকে পরিকল্পনা থাকলে মেয়েদের গর্ভকালীন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার হার কমে। তিনি মনে করেন, শুধু আইন করলেই হবে না, তার প্রয়োগ হতে হবে যথাযথ।
রনিতা বালা
বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণির বই আনার পর বাবার তাড়া খেয়ে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি রনিতা বালার। ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। যৌতুকের জন্য প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। স্বামীর পরিবার অতিদরিদ্র হওয়ার কারণে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। ২০১৪ সালে একটি এনজিও থেকে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ৪ মাস বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমে পড়াশোনা করে নিজেকে সাক্ষর করে তোলেন। এমনি লড়াইয়ের গল্প ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পরদেশিপাড়া গ্রামের রনিতা বালার।
১০ বছর আগে পরদেশিপাড়া, নাউরিয়াপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ৭৬ জন নারীকে নিয়ে গড়ে তোলেন নাউরিয়াপাড়া গ্রাম উন্নয়ন মহিলা সংগঠন। গত ১০ বছরে সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা থেকে ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ১২টি গ্রুপের মাধ্যমে শিশু ও কিশোরীদের উন্নয়নের জন্য একটি সংগঠনও তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর তৈরি কৃষক মাঠ স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন এলাকার প্রায় ৫০০ কৃষক। রনিতা বালার সংগঠনে এখন তিন শর বেশি নারী সদস্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। বাল্যবিবাহ, নারী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি আদায়, ধর্ষণ ও ইভ টিজিং প্রতিরোধ এবং মাদক নির্মূলে তাঁর ভূমিকায় নতুন জীবনে ফিরেছেন অনেকে। ২০১৯ সালে রনিতা বালার আন্দোলনের কারণে স্থানীয়ভাবে নারী শ্রমিকদের মজুরি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় উন্নীত হয়।
নিশাত মজুমদার
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে প্রথমবার বান্দরবান ঘুরতে গিয়ে প্রেমে পড়েন পাহাড়ের। তারপর নিজেকে তৈরি করতে থাকেন তিলে তিলে। ছোট-বড় নানা ধাপ পেরিয়ে চলে যান এভারেস্টের চূড়ায়। বনে যান এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করা প্রথম বাংলাদেশি নারী। সমতলের মেয়ের এই পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসা যেমন তাঁকে ইতিহাসের একজন করে তুলেছে, তেমনি এনে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত এবারের পাঁচ নারীর একজন নিশাত মজুমদার। পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এভারেস্টের চূড়া থেকে নেমে এসে মনে হয়েছিল, বেঁচে ফিরেছি! হয়তো লোকে কিছুটা চিনবে। কিন্তু যখন এয়ারপোর্টে পা রাখি, সেই দৃশ্যটা দেখে মনে হচ্ছিল, একটা দায়িত্ব আমার ওপরে দেওয়া হয়েছে। সেই ভারটা অনেক বেশি। এই পদকটা পেয়ে ঠিক তেমনই দায়িত্ব বোধ করছি। দায়িত্বটা এখন আরও বেড়ে গেল। মনে হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এটা আমার জন্য একটা মেসেজ।’ নিশাত আরও বলেন, নারীদের আগে সবকিছু দেখিয়ে দিতে হবে। তারপর তাঁকে বলতে হবে, এবার বেছে নাও, তুমি কী চাও। পৃথিবীটা না দেখিয়ে, দরজা বন্ধ করে পথ বেছে নিতে বলাটা অন্যায়।
খালেদা একরাম (মরণোত্তর)
২০১৪ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছিল প্রথম নারী উপাচার্য। স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক খালেদা একরাম সে পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে বগুড়ায় জন্ম নেওয়া খালেদা একরাম ১৯৭৪ সালে বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পরের বছর প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৫ সালে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করেন অধ্যাপক খালেদা একরাম। দুরারোগ্য নন-হজকিন লিমফোমাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ২০১৬ সালে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর)
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা ছিলেন নেত্রকোনার শিক্ষা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃস্থানীয় মানুষ। কৈশোরে তিনি জাতীয় পর্যায়ের ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য, প্যারা অলিম্পিকের নির্বাহী সদস্য, বিশেষ অলিম্পিকের কেন্দ্রীয় পরিচালক, শেখ রাসেল ক্রীড়া একাডেমির সহসভাপতি, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৫তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২২ উপলক্ষে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় অসাধারণ অবদান রাখায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পুরস্কারে ভূষিত হন কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা। এ বছরের ১ জুন কিডনির অসুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ড. হালিদা হানুম আখতার
ছোটবেলায় চিকিৎসক মায়ের ব্যস্ততা দেখে বেড়ে ওঠেন তিনি। সেটা দেখেই হয়তো তিনি চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে একদিন সত্যিই চিকিৎসক হিসেবে পড়াশোনা শেষ করলেন হালিদা হানুম। অল্পদিনেই উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে পাঠানো হলো বিদেশে। দেড় বছরের সন্তান রেখে পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার আগেই শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ! ১৯৭১ সালের অক্টোবরে দেশে ফিরে কাজ শুরু করেন সেবাসদন হাসপাতালে। তারপর ওবি বা জিওয়াইএন হিসেবে ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণের পর হালিদা হানুম আখতার জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে জনস্বাস্থ্যে ডক্টরেট লাভ করেন। তিনি প্রজননস্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক। প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি গবেষণার কাজ করেন নিবিড়ভাবে। তাঁর গবেষণার বিষয় গর্ভনিরোধক কার্যকারিতা, প্রজননস্বাস্থ্য চাহিদা ও পরিষেবা, গর্ভপাত, মাতৃত্বকালীন অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার। নারীর স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা ও কাজের জন্য তিনি ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি নারী হিসেবে ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে বাংলা একাডেমি এ বছর সাম্মানিক ফেলোশিপ দেয়। এ ছাড়া তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ড. হালিদা হানুম আখতার মনে করেন, আগে থেকে পরিকল্পনা থাকলে মেয়েদের গর্ভকালীন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার হার কমে। তিনি মনে করেন, শুধু আইন করলেই হবে না, তার প্রয়োগ হতে হবে যথাযথ।
রনিতা বালা
বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণির বই আনার পর বাবার তাড়া খেয়ে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি রনিতা বালার। ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। যৌতুকের জন্য প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। স্বামীর পরিবার অতিদরিদ্র হওয়ার কারণে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। ২০১৪ সালে একটি এনজিও থেকে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ৪ মাস বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমে পড়াশোনা করে নিজেকে সাক্ষর করে তোলেন। এমনি লড়াইয়ের গল্প ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পরদেশিপাড়া গ্রামের রনিতা বালার।
১০ বছর আগে পরদেশিপাড়া, নাউরিয়াপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ৭৬ জন নারীকে নিয়ে গড়ে তোলেন নাউরিয়াপাড়া গ্রাম উন্নয়ন মহিলা সংগঠন। গত ১০ বছরে সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা থেকে ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ১২টি গ্রুপের মাধ্যমে শিশু ও কিশোরীদের উন্নয়নের জন্য একটি সংগঠনও তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর তৈরি কৃষক মাঠ স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন এলাকার প্রায় ৫০০ কৃষক। রনিতা বালার সংগঠনে এখন তিন শর বেশি নারী সদস্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। বাল্যবিবাহ, নারী শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি আদায়, ধর্ষণ ও ইভ টিজিং প্রতিরোধ এবং মাদক নির্মূলে তাঁর ভূমিকায় নতুন জীবনে ফিরেছেন অনেকে। ২০১৯ সালে রনিতা বালার আন্দোলনের কারণে স্থানীয়ভাবে নারী শ্রমিকদের মজুরি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় উন্নীত হয়।
নিশাত মজুমদার
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে প্রথমবার বান্দরবান ঘুরতে গিয়ে প্রেমে পড়েন পাহাড়ের। তারপর নিজেকে তৈরি করতে থাকেন তিলে তিলে। ছোট-বড় নানা ধাপ পেরিয়ে চলে যান এভারেস্টের চূড়ায়। বনে যান এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করা প্রথম বাংলাদেশি নারী। সমতলের মেয়ের এই পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসা যেমন তাঁকে ইতিহাসের একজন করে তুলেছে, তেমনি এনে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত এবারের পাঁচ নারীর একজন নিশাত মজুমদার। পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এভারেস্টের চূড়া থেকে নেমে এসে মনে হয়েছিল, বেঁচে ফিরেছি! হয়তো লোকে কিছুটা চিনবে। কিন্তু যখন এয়ারপোর্টে পা রাখি, সেই দৃশ্যটা দেখে মনে হচ্ছিল, একটা দায়িত্ব আমার ওপরে দেওয়া হয়েছে। সেই ভারটা অনেক বেশি। এই পদকটা পেয়ে ঠিক তেমনই দায়িত্ব বোধ করছি। দায়িত্বটা এখন আরও বেড়ে গেল। মনে হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এটা আমার জন্য একটা মেসেজ।’ নিশাত আরও বলেন, নারীদের আগে সবকিছু দেখিয়ে দিতে হবে। তারপর তাঁকে বলতে হবে, এবার বেছে নাও, তুমি কী চাও। পৃথিবীটা না দেখিয়ে, দরজা বন্ধ করে পথ বেছে নিতে বলাটা অন্যায়।
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
২ দিন আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
৩ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
৩ দিন আগেআমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
৩ দিন আগে