ইমতিয়াজ মাহমুদ
দেশের দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর প্রতি নির্যাতন ও অবমাননা নিয়ে তোলপাড় চলছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইরুজ অবন্তিকা নামে আইন বিভাগের শেষ বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী দীর্ঘদিনের হয়রানি সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে নিজের ফেসবুকে তিনি জানিয়েছেন, একজন সহপাঠী তাঁকে ক্রমাগত হয়রানি করেছেন। প্রতিকার চাইতে প্রক্টরের অফিসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একজন সহকারী প্রক্টর তাঁকে উল্টো গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। মেয়েটির যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না, অনেক দিন ধরে হয়রানি সহ্য করতে করতে শেষ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ ঘটনার পরই জানা গেল ফারজানা মীম নামে আরেক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন শিক্ষকের হাতে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন পার হয়ে গেছে, কোনো প্রতিকার পাননি। এখন তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এর আগে গত মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল ছাত্র সেখানে ঘুরতে আসা এক তরুণীর স্বামীকে আটকে রেখে তাঁকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। সেই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর জড়িত ছাত্রদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন হলের প্রভোস্ট ও প্রক্টরের মতো দায়িত্বশীল মানুষেরা।
শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেছেন ঠিকই। তাতে তাৎক্ষণিক ফলও পাওয়া গেছে কিছু। জগন্নাথের সেই সহকারী প্রক্টরকে তাঁর পেয়ারা ছাত্রের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা এখন হাজতে আছেন। ইতিমধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনায় জড়িত ছাত্ররা সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এটুকু অর্জন তুচ্ছ নয়। আশা করা হচ্ছে যে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব ঘটনার বিচার হবে, অপরাধ প্রমাণিত হলে দোষীরা সাজা পাবে।
বিচার ও সাজা জরুরি। সেই সঙ্গে এটাও ভেবে দেখা জরুরি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং দেশের সর্বত্র নারীর প্রতি হয়রানি, সহিংসতা কেন বাড়ছে? কেন নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এ রকম অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের পক্ষ অবলম্বন করছে? সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কোথায় আমরা গলদ পুষে রাখছি, যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় নারী নির্যাতনের হিড়িক পড়েছে?
এটা তো আমাদের মেনে নিতেই হবে যে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীকে মূলত পুরুষের অধীন, পুরুষের মালিকানায় কেবল একটি ভোগের বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নারীর প্রতি সহিংসতা এসবই হচ্ছে সমাজের এই বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন মাত্র।
অন্যভাবে বললে, প্রতিটি ধর্ষণ, প্রতিটি যৌন হয়রানি এবং নারীর প্রতি প্রতিটি সহিংসতা একেকটি রাজনৈতিক ঘটনা—নারী ও পুরুষের যে শতাব্দীপ্রাচীন ক্ষমতার রাজনীতি, সেই রাজনৈতিক ঘটনা। তথাপি, আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজ বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান আইনেও ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ইত্যাদি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাতে নারীর মুক্তি হয়তো এখনো অনেক দূর। কিন্তু নারীর সুরক্ষা তো প্রতিটি আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশেই অগ্রাধিকার পাওয়া একটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। তাহলে আমাদের এখানে এসব অপরাধের প্রবণতা বেশি কেন?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাগুলো লক্ষ করলে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্যাতকদের পক্ষে নানাভাবে অবস্থান নিয়ে তাদের সহায়তা করেন। বিচারপ্রার্থী ছাত্রীরা অভিযোগ করার পর দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলে যায়, তদন্ত-প্রক্রিয়া চলতে থাকে, সুষ্ঠু বিচার প্রায় হয়ই না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে যে তদন্ত কমিটিগুলোয় বিচারপ্রার্থী মেয়েদের আক্রমণাত্মক, হয়রানিমূলক ও বিব্রতকর প্রশ্ন করা হয়, যাতে অভিযোগকারী মেয়েটি তদন্ত কমিটির সামনে স্বচ্ছন্দে কথা বলতে না পারেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
একটি রাষ্ট্রে বা সমাজে সব স্তরে গণতন্ত্র থাকলে কিছু সুবিধা থাকে। যেসব ব্যক্তির হাতে আমরা দায়িত্ব দিই, তাদের একটা জবাবদিহি থাকে। সেটা থাকলে মানুষ চট করে অন্যায়ের পক্ষ নেয় না। আর গণতন্ত্র যেখানে অনুপস্থিত, সেখানে জবাবদিহির বিপরীতে ক্ষমতার প্রতি আনুগত্য ও আনুগত্যের বিনিময়ে পৃষ্ঠপোষকতা হয়ে দাঁড়ায় একটি নিয়মিত প্রবণতা। আমাদের ভেবে দেখা দরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক গণতন্ত্রহীনতা, ছাত্র সংসদ না থাকা, স্বাভাবিক ছাত্ররাজনীতি না থাকা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে গণতন্ত্র না থাকা, এসবের ফলে প্রক্টর, প্রভোস্ট বা এ রকম নানা দায়িত্বে যাঁদের নিযুক্ত করা হয়, তাঁদের মধ্যেও সেই আনুগত্যের বিনিময়ে পৃষ্ঠপোষকতার প্রবণতা কাজ করে কি না। না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে এ রকম দায়িত্বশীল লোকজন, যাঁরা আবার অধ্যাপকও বটে, তাঁরা কেন নির্যাতকদের পক্ষে অবস্থান নেবেন?
লেখক: আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট
দেশের দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর প্রতি নির্যাতন ও অবমাননা নিয়ে তোলপাড় চলছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইরুজ অবন্তিকা নামে আইন বিভাগের শেষ বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী দীর্ঘদিনের হয়রানি সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে নিজের ফেসবুকে তিনি জানিয়েছেন, একজন সহপাঠী তাঁকে ক্রমাগত হয়রানি করেছেন। প্রতিকার চাইতে প্রক্টরের অফিসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একজন সহকারী প্রক্টর তাঁকে উল্টো গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। মেয়েটির যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না, অনেক দিন ধরে হয়রানি সহ্য করতে করতে শেষ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ ঘটনার পরই জানা গেল ফারজানা মীম নামে আরেক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন শিক্ষকের হাতে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন পার হয়ে গেছে, কোনো প্রতিকার পাননি। এখন তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এর আগে গত মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল ছাত্র সেখানে ঘুরতে আসা এক তরুণীর স্বামীকে আটকে রেখে তাঁকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। সেই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর জড়িত ছাত্রদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন হলের প্রভোস্ট ও প্রক্টরের মতো দায়িত্বশীল মানুষেরা।
শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেছেন ঠিকই। তাতে তাৎক্ষণিক ফলও পাওয়া গেছে কিছু। জগন্নাথের সেই সহকারী প্রক্টরকে তাঁর পেয়ারা ছাত্রের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা এখন হাজতে আছেন। ইতিমধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনায় জড়িত ছাত্ররা সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এটুকু অর্জন তুচ্ছ নয়। আশা করা হচ্ছে যে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব ঘটনার বিচার হবে, অপরাধ প্রমাণিত হলে দোষীরা সাজা পাবে।
বিচার ও সাজা জরুরি। সেই সঙ্গে এটাও ভেবে দেখা জরুরি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং দেশের সর্বত্র নারীর প্রতি হয়রানি, সহিংসতা কেন বাড়ছে? কেন নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা এ রকম অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের পক্ষ অবলম্বন করছে? সমাজ ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কোথায় আমরা গলদ পুষে রাখছি, যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় নারী নির্যাতনের হিড়িক পড়েছে?
এটা তো আমাদের মেনে নিতেই হবে যে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীকে মূলত পুরুষের অধীন, পুরুষের মালিকানায় কেবল একটি ভোগের বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নারীর প্রতি সহিংসতা এসবই হচ্ছে সমাজের এই বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন মাত্র।
অন্যভাবে বললে, প্রতিটি ধর্ষণ, প্রতিটি যৌন হয়রানি এবং নারীর প্রতি প্রতিটি সহিংসতা একেকটি রাজনৈতিক ঘটনা—নারী ও পুরুষের যে শতাব্দীপ্রাচীন ক্ষমতার রাজনীতি, সেই রাজনৈতিক ঘটনা। তথাপি, আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজ বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান আইনেও ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ইত্যাদি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাতে নারীর মুক্তি হয়তো এখনো অনেক দূর। কিন্তু নারীর সুরক্ষা তো প্রতিটি আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশেই অগ্রাধিকার পাওয়া একটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। তাহলে আমাদের এখানে এসব অপরাধের প্রবণতা বেশি কেন?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাগুলো লক্ষ করলে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্যাতকদের পক্ষে নানাভাবে অবস্থান নিয়ে তাদের সহায়তা করেন। বিচারপ্রার্থী ছাত্রীরা অভিযোগ করার পর দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলে যায়, তদন্ত-প্রক্রিয়া চলতে থাকে, সুষ্ঠু বিচার প্রায় হয়ই না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে যে তদন্ত কমিটিগুলোয় বিচারপ্রার্থী মেয়েদের আক্রমণাত্মক, হয়রানিমূলক ও বিব্রতকর প্রশ্ন করা হয়, যাতে অভিযোগকারী মেয়েটি তদন্ত কমিটির সামনে স্বচ্ছন্দে কথা বলতে না পারেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
একটি রাষ্ট্রে বা সমাজে সব স্তরে গণতন্ত্র থাকলে কিছু সুবিধা থাকে। যেসব ব্যক্তির হাতে আমরা দায়িত্ব দিই, তাদের একটা জবাবদিহি থাকে। সেটা থাকলে মানুষ চট করে অন্যায়ের পক্ষ নেয় না। আর গণতন্ত্র যেখানে অনুপস্থিত, সেখানে জবাবদিহির বিপরীতে ক্ষমতার প্রতি আনুগত্য ও আনুগত্যের বিনিময়ে পৃষ্ঠপোষকতা হয়ে দাঁড়ায় একটি নিয়মিত প্রবণতা। আমাদের ভেবে দেখা দরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক গণতন্ত্রহীনতা, ছাত্র সংসদ না থাকা, স্বাভাবিক ছাত্ররাজনীতি না থাকা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে গণতন্ত্র না থাকা, এসবের ফলে প্রক্টর, প্রভোস্ট বা এ রকম নানা দায়িত্বে যাঁদের নিযুক্ত করা হয়, তাঁদের মধ্যেও সেই আনুগত্যের বিনিময়ে পৃষ্ঠপোষকতার প্রবণতা কাজ করে কি না। না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে এ রকম দায়িত্বশীল লোকজন, যাঁরা আবার অধ্যাপকও বটে, তাঁরা কেন নির্যাতকদের পক্ষে অবস্থান নেবেন?
লেখক: আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
২ দিন আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
৩ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
৩ দিন আগেআমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
৩ দিন আগে