কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
পল্লবী হাউজিংয়ের পাঁচতলা ভবনের নিচতলার একটি অফিস। কলবেল চাপতেই দরজা খুলে দিলেন একজন। দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথমেই যে কক্ষ, সেখানেই বসে ছিলেন রাফিয়া। কুশল বিনিময় হলো। একটি ছোট ছিমছাম অফিস যেমন হয়, এ অফিসটিও তাই। চেয়ারে বসে মনে মনে খানিক তৈরি হয়ে নিলাম–কী বলব, কী লিখব–সেসব। এরপর কথা শুরু হলো রাফিয়ার সঙ্গে।
পুরো নাম রাফিয়া আক্তার। এককালে নিজেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ছিলেন। আর এখন ‘নারী উদ্যোক্তা ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন চালান তিনি। পুরো দেশে ছড়িয়ে থাকা উদ্যোক্তা নারীদের প্রশিক্ষণ, পণ্য প্রদর্শনীর সুবিধা, নেটওয়ার্কিং ও ব্র্যান্ডিংয়ে সহযোগিতা করে। প্রযুক্তিগত সহায়তা, ব্যবসায় পরামর্শ, যারা দেশীয় পণ্য নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের প্রচার ও প্রসারে সহায়তা, পণ্য বিক্রয়সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে অনলাইন এবং অফলাইনভিত্তিক এ সংগঠন।
এত অল্প গল্পে আমাদের মন ভরল না। প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিতে শুরু করলাম। জানার আগ্রহ হলো তাঁর জীবনের শুরুর দিকের গল্পগুলো। রাফিয়াও বলে গেলেন কোনো রকম জড়তা না করে। তাঁর বেড়ে ওঠা রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অল্প পরিসরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন, তাই নিজের খরচের জন্য বাবা-মায়ের কাছে টাকা নিতে চাইতেন না বলে টিউশনি করতেন। সেই টাকা থেকে কিছু কিছু করে জমানো শুরু করেন তিনি। সেই পুঁজি দিয়েই ১৯৯৮ সালে রাফিয়া শুরু করেছিলেন ব্যাগের ব্যবসা। পাড়ার এক কারিগরের কাছে নিজে নকশা দিয়ে লেদারের ব্যাগ বানিয়ে নিতেন। তৈরি ব্যাগগুলো বিক্রির জন্য দিতেন বিভিন্ন শোরুমে। তবে তখনই ব্যবসায় টিকে থাকার লড়াইয়ে নামতে চাননি তিনি। ধরে রেখে আগাতে হবে–এমন চিন্তাও মাথায় ছিল না।বিয়ের পর একটি এনজিওতে চাকরি শুরু করেন রাফিয়া। একটা সময় ছকে বাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেন। চাকরি ছেড়ে বিসিক থেকে কাপড়ে ব্লক-বাটিকের প্রিন্ট তৈরি করার ট্রেনিং নেন তিনি। এরপর একটানা প্রায় চার বছর কাজ করে আবারও কাজ বন্ধ করে দেন। এভাবে চলতে চলতে একপর্যায়ে তাঁর মনে হলো, কিছু একটা করতে হবে। ২০০৮ সালে ছোট একটি কারখানা নিয়ে আবার কাজ শুরু করেন। সাতজন কারিগর নিয়ে শুরু হয় রাফিয়ার নতুন যাত্রা। পণ্য হিসেবে থাকে সেই ব্লক-বাটিকের কাজ করা পোশাক। সেগুলো বিক্রি শুরু করেন আশপাশের শোরুমগুলোতে। এভাবে ভালোই চলতে থাকে। কিন্তু গোটা দুনিয়ার মতো রাফিয়াকেও থামিয়ে দেয় করোনা। তাঁর বেচাকেনা চলত অফলাইনে, বিভিন্ন শোরুমে। করোনার কারণে সেসব বন্ধ হয়ে যায়। কর্মীরাও একে একে কাজ ছেড়ে চলে যেতে থাকেন।
যেখানে অনেকেই থেমে গেছেন, রাফিয়া সেখান থেকেই শুরু করেছেন নতুন করে। করোনার সময় অনলাইনে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা শিখে নেন। পুরোনো কর্মীদের মধ্যে দুজন তখনো রাফিয়ার সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন নতুন উদ্যমে। তবে এবার অফলাইনে নয়, অনলাইনে। এ সময় অনেক উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। একপর্যায়ে মনে করেন, সবাই একসঙ্গে মিলে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব সহজে। নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে, দেশীয় পণ্য নিয়ে যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের উৎসাহ ও সহায়তা দিতে নারী উদ্যোক্তা ফোরামের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের ২৭ মার্চ, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। গ্রুপ খুললেই তো আর সবকিছু হয়ে যায় না। কীভাবে সেখানে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়, কীভাবে গ্রুপ চালাতে হয়, সেসব ধীরে ধীরে শিখতে শুরু করেন রাফিয়া। কাজ করতে করতে শিখতে থাকেন, ঠেকে ঠেকে শিখতে থাকেন।
এর পরের পদক্ষেপটি ছিল কিছুমাত্রায় কঠিন। ফোরামের সদস্য উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সরকারি কোর্সে অংশ নিতে সহায়তা শুরু করেন রাফিয়া। পাশাপাশি ফোরামের পক্ষ থেকেও সদস্যদের কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে থাকেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু ছোট ছোট পাইলট প্রকল্প চালু করেন তিনি। উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি পণ্যের মান উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজের উদ্যোগকে হারিয়ে ফেলেননি রাফিয়া। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের ‘নীলকণ্ঠ’ নামের বুটিক শপের পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন ‘ঐকতান’ নামে একটি বিক্রয় হাব। সেখান থেকে বিভিন্ন উদ্যোক্তার পণ্য সরাসরি বিক্রি হয়। তিন বছর পর নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সদস্যসংখ্যা এখন প্রায় ৪৪ হাজার।
এ ফোরামের যাত্রা শুরু হয় অনলাইনের মাধ্যমে, কিন্তু এখন এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। এ ফোরাম নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করে থাকে।করোনাকালে আমরা যেমন মৃত্যু দেখেছি, অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়তে দেখেছি, তেমনি দেখা পেয়েছি কিছু মানুষের, যাঁরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে চেয়েছেন। রাফিয়া আক্তার তেমনই একজন, যাঁর সহায়তায় আরও অনেক নারী পরিবারের হাল ধরার সাহস পেয়েছেন।
পল্লবী হাউজিংয়ের পাঁচতলা ভবনের নিচতলার একটি অফিস। কলবেল চাপতেই দরজা খুলে দিলেন একজন। দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথমেই যে কক্ষ, সেখানেই বসে ছিলেন রাফিয়া। কুশল বিনিময় হলো। একটি ছোট ছিমছাম অফিস যেমন হয়, এ অফিসটিও তাই। চেয়ারে বসে মনে মনে খানিক তৈরি হয়ে নিলাম–কী বলব, কী লিখব–সেসব। এরপর কথা শুরু হলো রাফিয়ার সঙ্গে।
পুরো নাম রাফিয়া আক্তার। এককালে নিজেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ছিলেন। আর এখন ‘নারী উদ্যোক্তা ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন চালান তিনি। পুরো দেশে ছড়িয়ে থাকা উদ্যোক্তা নারীদের প্রশিক্ষণ, পণ্য প্রদর্শনীর সুবিধা, নেটওয়ার্কিং ও ব্র্যান্ডিংয়ে সহযোগিতা করে। প্রযুক্তিগত সহায়তা, ব্যবসায় পরামর্শ, যারা দেশীয় পণ্য নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের প্রচার ও প্রসারে সহায়তা, পণ্য বিক্রয়সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে অনলাইন এবং অফলাইনভিত্তিক এ সংগঠন।
এত অল্প গল্পে আমাদের মন ভরল না। প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিতে শুরু করলাম। জানার আগ্রহ হলো তাঁর জীবনের শুরুর দিকের গল্পগুলো। রাফিয়াও বলে গেলেন কোনো রকম জড়তা না করে। তাঁর বেড়ে ওঠা রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অল্প পরিসরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন, তাই নিজের খরচের জন্য বাবা-মায়ের কাছে টাকা নিতে চাইতেন না বলে টিউশনি করতেন। সেই টাকা থেকে কিছু কিছু করে জমানো শুরু করেন তিনি। সেই পুঁজি দিয়েই ১৯৯৮ সালে রাফিয়া শুরু করেছিলেন ব্যাগের ব্যবসা। পাড়ার এক কারিগরের কাছে নিজে নকশা দিয়ে লেদারের ব্যাগ বানিয়ে নিতেন। তৈরি ব্যাগগুলো বিক্রির জন্য দিতেন বিভিন্ন শোরুমে। তবে তখনই ব্যবসায় টিকে থাকার লড়াইয়ে নামতে চাননি তিনি। ধরে রেখে আগাতে হবে–এমন চিন্তাও মাথায় ছিল না।বিয়ের পর একটি এনজিওতে চাকরি শুরু করেন রাফিয়া। একটা সময় ছকে বাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেন। চাকরি ছেড়ে বিসিক থেকে কাপড়ে ব্লক-বাটিকের প্রিন্ট তৈরি করার ট্রেনিং নেন তিনি। এরপর একটানা প্রায় চার বছর কাজ করে আবারও কাজ বন্ধ করে দেন। এভাবে চলতে চলতে একপর্যায়ে তাঁর মনে হলো, কিছু একটা করতে হবে। ২০০৮ সালে ছোট একটি কারখানা নিয়ে আবার কাজ শুরু করেন। সাতজন কারিগর নিয়ে শুরু হয় রাফিয়ার নতুন যাত্রা। পণ্য হিসেবে থাকে সেই ব্লক-বাটিকের কাজ করা পোশাক। সেগুলো বিক্রি শুরু করেন আশপাশের শোরুমগুলোতে। এভাবে ভালোই চলতে থাকে। কিন্তু গোটা দুনিয়ার মতো রাফিয়াকেও থামিয়ে দেয় করোনা। তাঁর বেচাকেনা চলত অফলাইনে, বিভিন্ন শোরুমে। করোনার কারণে সেসব বন্ধ হয়ে যায়। কর্মীরাও একে একে কাজ ছেড়ে চলে যেতে থাকেন।
যেখানে অনেকেই থেমে গেছেন, রাফিয়া সেখান থেকেই শুরু করেছেন নতুন করে। করোনার সময় অনলাইনে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা শিখে নেন। পুরোনো কর্মীদের মধ্যে দুজন তখনো রাফিয়ার সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন নতুন উদ্যমে। তবে এবার অফলাইনে নয়, অনলাইনে। এ সময় অনেক উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। একপর্যায়ে মনে করেন, সবাই একসঙ্গে মিলে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব সহজে। নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে, দেশীয় পণ্য নিয়ে যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের উৎসাহ ও সহায়তা দিতে নারী উদ্যোক্তা ফোরামের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের ২৭ মার্চ, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। গ্রুপ খুললেই তো আর সবকিছু হয়ে যায় না। কীভাবে সেখানে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়, কীভাবে গ্রুপ চালাতে হয়, সেসব ধীরে ধীরে শিখতে শুরু করেন রাফিয়া। কাজ করতে করতে শিখতে থাকেন, ঠেকে ঠেকে শিখতে থাকেন।
এর পরের পদক্ষেপটি ছিল কিছুমাত্রায় কঠিন। ফোরামের সদস্য উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সরকারি কোর্সে অংশ নিতে সহায়তা শুরু করেন রাফিয়া। পাশাপাশি ফোরামের পক্ষ থেকেও সদস্যদের কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে থাকেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু ছোট ছোট পাইলট প্রকল্প চালু করেন তিনি। উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি পণ্যের মান উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজের উদ্যোগকে হারিয়ে ফেলেননি রাফিয়া। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের ‘নীলকণ্ঠ’ নামের বুটিক শপের পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন ‘ঐকতান’ নামে একটি বিক্রয় হাব। সেখান থেকে বিভিন্ন উদ্যোক্তার পণ্য সরাসরি বিক্রি হয়। তিন বছর পর নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সদস্যসংখ্যা এখন প্রায় ৪৪ হাজার।
এ ফোরামের যাত্রা শুরু হয় অনলাইনের মাধ্যমে, কিন্তু এখন এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। এ ফোরাম নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করে থাকে।করোনাকালে আমরা যেমন মৃত্যু দেখেছি, অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়তে দেখেছি, তেমনি দেখা পেয়েছি কিছু মানুষের, যাঁরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে চেয়েছেন। রাফিয়া আক্তার তেমনই একজন, যাঁর সহায়তায় আরও অনেক নারী পরিবারের হাল ধরার সাহস পেয়েছেন।
কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
পল্লবী হাউজিংয়ের পাঁচতলা ভবনের নিচতলার একটি অফিস। কলবেল চাপতেই দরজা খুলে দিলেন একজন। দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথমেই যে কক্ষ, সেখানেই বসে ছিলেন রাফিয়া। কুশল বিনিময় হলো। একটি ছোট ছিমছাম অফিস যেমন হয়, এ অফিসটিও তাই। চেয়ারে বসে মনে মনে খানিক তৈরি হয়ে নিলাম–কী বলব, কী লিখব–সেসব। এরপর কথা শুরু হলো রাফিয়ার সঙ্গে।
পুরো নাম রাফিয়া আক্তার। এককালে নিজেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ছিলেন। আর এখন ‘নারী উদ্যোক্তা ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন চালান তিনি। পুরো দেশে ছড়িয়ে থাকা উদ্যোক্তা নারীদের প্রশিক্ষণ, পণ্য প্রদর্শনীর সুবিধা, নেটওয়ার্কিং ও ব্র্যান্ডিংয়ে সহযোগিতা করে। প্রযুক্তিগত সহায়তা, ব্যবসায় পরামর্শ, যারা দেশীয় পণ্য নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের প্রচার ও প্রসারে সহায়তা, পণ্য বিক্রয়সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে অনলাইন এবং অফলাইনভিত্তিক এ সংগঠন।
এত অল্প গল্পে আমাদের মন ভরল না। প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিতে শুরু করলাম। জানার আগ্রহ হলো তাঁর জীবনের শুরুর দিকের গল্পগুলো। রাফিয়াও বলে গেলেন কোনো রকম জড়তা না করে। তাঁর বেড়ে ওঠা রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অল্প পরিসরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন, তাই নিজের খরচের জন্য বাবা-মায়ের কাছে টাকা নিতে চাইতেন না বলে টিউশনি করতেন। সেই টাকা থেকে কিছু কিছু করে জমানো শুরু করেন তিনি। সেই পুঁজি দিয়েই ১৯৯৮ সালে রাফিয়া শুরু করেছিলেন ব্যাগের ব্যবসা। পাড়ার এক কারিগরের কাছে নিজে নকশা দিয়ে লেদারের ব্যাগ বানিয়ে নিতেন। তৈরি ব্যাগগুলো বিক্রির জন্য দিতেন বিভিন্ন শোরুমে। তবে তখনই ব্যবসায় টিকে থাকার লড়াইয়ে নামতে চাননি তিনি। ধরে রেখে আগাতে হবে–এমন চিন্তাও মাথায় ছিল না।বিয়ের পর একটি এনজিওতে চাকরি শুরু করেন রাফিয়া। একটা সময় ছকে বাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেন। চাকরি ছেড়ে বিসিক থেকে কাপড়ে ব্লক-বাটিকের প্রিন্ট তৈরি করার ট্রেনিং নেন তিনি। এরপর একটানা প্রায় চার বছর কাজ করে আবারও কাজ বন্ধ করে দেন। এভাবে চলতে চলতে একপর্যায়ে তাঁর মনে হলো, কিছু একটা করতে হবে। ২০০৮ সালে ছোট একটি কারখানা নিয়ে আবার কাজ শুরু করেন। সাতজন কারিগর নিয়ে শুরু হয় রাফিয়ার নতুন যাত্রা। পণ্য হিসেবে থাকে সেই ব্লক-বাটিকের কাজ করা পোশাক। সেগুলো বিক্রি শুরু করেন আশপাশের শোরুমগুলোতে। এভাবে ভালোই চলতে থাকে। কিন্তু গোটা দুনিয়ার মতো রাফিয়াকেও থামিয়ে দেয় করোনা। তাঁর বেচাকেনা চলত অফলাইনে, বিভিন্ন শোরুমে। করোনার কারণে সেসব বন্ধ হয়ে যায়। কর্মীরাও একে একে কাজ ছেড়ে চলে যেতে থাকেন।
যেখানে অনেকেই থেমে গেছেন, রাফিয়া সেখান থেকেই শুরু করেছেন নতুন করে। করোনার সময় অনলাইনে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা শিখে নেন। পুরোনো কর্মীদের মধ্যে দুজন তখনো রাফিয়ার সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন নতুন উদ্যমে। তবে এবার অফলাইনে নয়, অনলাইনে। এ সময় অনেক উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। একপর্যায়ে মনে করেন, সবাই একসঙ্গে মিলে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব সহজে। নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে, দেশীয় পণ্য নিয়ে যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের উৎসাহ ও সহায়তা দিতে নারী উদ্যোক্তা ফোরামের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের ২৭ মার্চ, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। গ্রুপ খুললেই তো আর সবকিছু হয়ে যায় না। কীভাবে সেখানে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়, কীভাবে গ্রুপ চালাতে হয়, সেসব ধীরে ধীরে শিখতে শুরু করেন রাফিয়া। কাজ করতে করতে শিখতে থাকেন, ঠেকে ঠেকে শিখতে থাকেন।
এর পরের পদক্ষেপটি ছিল কিছুমাত্রায় কঠিন। ফোরামের সদস্য উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সরকারি কোর্সে অংশ নিতে সহায়তা শুরু করেন রাফিয়া। পাশাপাশি ফোরামের পক্ষ থেকেও সদস্যদের কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে থাকেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু ছোট ছোট পাইলট প্রকল্প চালু করেন তিনি। উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি পণ্যের মান উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজের উদ্যোগকে হারিয়ে ফেলেননি রাফিয়া। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের ‘নীলকণ্ঠ’ নামের বুটিক শপের পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন ‘ঐকতান’ নামে একটি বিক্রয় হাব। সেখান থেকে বিভিন্ন উদ্যোক্তার পণ্য সরাসরি বিক্রি হয়। তিন বছর পর নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সদস্যসংখ্যা এখন প্রায় ৪৪ হাজার।
এ ফোরামের যাত্রা শুরু হয় অনলাইনের মাধ্যমে, কিন্তু এখন এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। এ ফোরাম নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করে থাকে।করোনাকালে আমরা যেমন মৃত্যু দেখেছি, অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়তে দেখেছি, তেমনি দেখা পেয়েছি কিছু মানুষের, যাঁরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে চেয়েছেন। রাফিয়া আক্তার তেমনই একজন, যাঁর সহায়তায় আরও অনেক নারী পরিবারের হাল ধরার সাহস পেয়েছেন।
পল্লবী হাউজিংয়ের পাঁচতলা ভবনের নিচতলার একটি অফিস। কলবেল চাপতেই দরজা খুলে দিলেন একজন। দরজা দিয়ে ঢুকে প্রথমেই যে কক্ষ, সেখানেই বসে ছিলেন রাফিয়া। কুশল বিনিময় হলো। একটি ছোট ছিমছাম অফিস যেমন হয়, এ অফিসটিও তাই। চেয়ারে বসে মনে মনে খানিক তৈরি হয়ে নিলাম–কী বলব, কী লিখব–সেসব। এরপর কথা শুরু হলো রাফিয়ার সঙ্গে।
পুরো নাম রাফিয়া আক্তার। এককালে নিজেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ছিলেন। আর এখন ‘নারী উদ্যোক্তা ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন চালান তিনি। পুরো দেশে ছড়িয়ে থাকা উদ্যোক্তা নারীদের প্রশিক্ষণ, পণ্য প্রদর্শনীর সুবিধা, নেটওয়ার্কিং ও ব্র্যান্ডিংয়ে সহযোগিতা করে। প্রযুক্তিগত সহায়তা, ব্যবসায় পরামর্শ, যারা দেশীয় পণ্য নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের প্রচার ও প্রসারে সহায়তা, পণ্য বিক্রয়সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে অনলাইন এবং অফলাইনভিত্তিক এ সংগঠন।
এত অল্প গল্পে আমাদের মন ভরল না। প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিতে শুরু করলাম। জানার আগ্রহ হলো তাঁর জীবনের শুরুর দিকের গল্পগুলো। রাফিয়াও বলে গেলেন কোনো রকম জড়তা না করে। তাঁর বেড়ে ওঠা রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অল্প পরিসরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন, তাই নিজের খরচের জন্য বাবা-মায়ের কাছে টাকা নিতে চাইতেন না বলে টিউশনি করতেন। সেই টাকা থেকে কিছু কিছু করে জমানো শুরু করেন তিনি। সেই পুঁজি দিয়েই ১৯৯৮ সালে রাফিয়া শুরু করেছিলেন ব্যাগের ব্যবসা। পাড়ার এক কারিগরের কাছে নিজে নকশা দিয়ে লেদারের ব্যাগ বানিয়ে নিতেন। তৈরি ব্যাগগুলো বিক্রির জন্য দিতেন বিভিন্ন শোরুমে। তবে তখনই ব্যবসায় টিকে থাকার লড়াইয়ে নামতে চাননি তিনি। ধরে রেখে আগাতে হবে–এমন চিন্তাও মাথায় ছিল না।বিয়ের পর একটি এনজিওতে চাকরি শুরু করেন রাফিয়া। একটা সময় ছকে বাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেন। চাকরি ছেড়ে বিসিক থেকে কাপড়ে ব্লক-বাটিকের প্রিন্ট তৈরি করার ট্রেনিং নেন তিনি। এরপর একটানা প্রায় চার বছর কাজ করে আবারও কাজ বন্ধ করে দেন। এভাবে চলতে চলতে একপর্যায়ে তাঁর মনে হলো, কিছু একটা করতে হবে। ২০০৮ সালে ছোট একটি কারখানা নিয়ে আবার কাজ শুরু করেন। সাতজন কারিগর নিয়ে শুরু হয় রাফিয়ার নতুন যাত্রা। পণ্য হিসেবে থাকে সেই ব্লক-বাটিকের কাজ করা পোশাক। সেগুলো বিক্রি শুরু করেন আশপাশের শোরুমগুলোতে। এভাবে ভালোই চলতে থাকে। কিন্তু গোটা দুনিয়ার মতো রাফিয়াকেও থামিয়ে দেয় করোনা। তাঁর বেচাকেনা চলত অফলাইনে, বিভিন্ন শোরুমে। করোনার কারণে সেসব বন্ধ হয়ে যায়। কর্মীরাও একে একে কাজ ছেড়ে চলে যেতে থাকেন।
যেখানে অনেকেই থেমে গেছেন, রাফিয়া সেখান থেকেই শুরু করেছেন নতুন করে। করোনার সময় অনলাইনে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা শিখে নেন। পুরোনো কর্মীদের মধ্যে দুজন তখনো রাফিয়ার সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন নতুন উদ্যমে। তবে এবার অফলাইনে নয়, অনলাইনে। এ সময় অনেক উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। একপর্যায়ে মনে করেন, সবাই একসঙ্গে মিলে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব সহজে। নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে, দেশীয় পণ্য নিয়ে যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের উৎসাহ ও সহায়তা দিতে নারী উদ্যোক্তা ফোরামের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের ২৭ মার্চ, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। গ্রুপ খুললেই তো আর সবকিছু হয়ে যায় না। কীভাবে সেখানে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়, কীভাবে গ্রুপ চালাতে হয়, সেসব ধীরে ধীরে শিখতে শুরু করেন রাফিয়া। কাজ করতে করতে শিখতে থাকেন, ঠেকে ঠেকে শিখতে থাকেন।
এর পরের পদক্ষেপটি ছিল কিছুমাত্রায় কঠিন। ফোরামের সদস্য উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সরকারি কোর্সে অংশ নিতে সহায়তা শুরু করেন রাফিয়া। পাশাপাশি ফোরামের পক্ষ থেকেও সদস্যদের কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে থাকেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু ছোট ছোট পাইলট প্রকল্প চালু করেন তিনি। উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি পণ্যের মান উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজের উদ্যোগকে হারিয়ে ফেলেননি রাফিয়া। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের ‘নীলকণ্ঠ’ নামের বুটিক শপের পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন ‘ঐকতান’ নামে একটি বিক্রয় হাব। সেখান থেকে বিভিন্ন উদ্যোক্তার পণ্য সরাসরি বিক্রি হয়। তিন বছর পর নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সদস্যসংখ্যা এখন প্রায় ৪৪ হাজার।
এ ফোরামের যাত্রা শুরু হয় অনলাইনের মাধ্যমে, কিন্তু এখন এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। এ ফোরাম নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করে থাকে।করোনাকালে আমরা যেমন মৃত্যু দেখেছি, অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়তে দেখেছি, তেমনি দেখা পেয়েছি কিছু মানুষের, যাঁরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে চেয়েছেন। রাফিয়া আক্তার তেমনই একজন, যাঁর সহায়তায় আরও অনেক নারী পরিবারের হাল ধরার সাহস পেয়েছেন।
সৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা।
১ দিন আগেজুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
৪ দিন আগেলাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল কমিটি তাঁকে নোবেল দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের
৬ দিন আগেজেসমিন পাথেইয়া শুধু একজন শিল্পী কিংবা উদ্যোক্তা নন; তিনি ভারতের রাস্তায় নারীদের প্রতি হয়রানি এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এক সাহসী কণ্ঠস্বর। কলেজজীবনে নিজে রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
৬ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক
সৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা। প্রথম কাজেই ভেনিস, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, তাইপে, সিডনিসহ অনেক শহরের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হন শাহাদ আমিন।
পরের বছর ৯৩তম অস্কারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য স্কেলস সিনেমাটি পাঠায় সৌদি আরব। ৯৮তম অস্কারেও সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করবে শাহাদ আমিনের সিনেমা। তাঁর নতুন সিনেমা ‘হিজরা’ এ বছর ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়। সেরা এশিয়ান সিনেমা হিসেবে নেটপ্যাক পুরস্কারও জেতে। গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবগুলোয় হিজরা সিনেমাকে ঘিরে দর্শক-সমালোচকদের আগ্রহ অনেক। তাই হিজরাকেই ৯৮তম অস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে সৌদি ফিল্ম কমিশন।
শুধু স্কেলস কিংবা হিজরা নয়, এর আগেও নারী নির্মাতার সিনেমা অস্কারে পাঠিয়েছে সৌদি আরব। এ পর্যন্ত অস্কারে ৮টি সিনেমা পাঠিয়েছে দেশটি, তার মধ্যে চারটিই নারী নির্মাতার। সৌদি সিনেমার অস্কারযাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকে। ওই বছর পাঠানো হয় নারী নির্মাতা হাইফা আল-মানসুরের ‘ওয়াজদা’। ২০১৯ সালেও এ নির্মাতার ‘দ্য পারফেক্ট ক্যান্ডিডেট’ অস্কারের জন্য নির্বাচিত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
আগের সিনেমাগুলো দিয়ে অস্কারে সৌদি সিনেমার তেমন সাফল্য না এলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন হবে বলে আশা করছে সৌদি ফিল্ম কমিশন। শাহাদ আমিনের হিজরা যেভাবে প্রশংসিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে, তাতে এ প্রত্যাশা একেবারেই অমূলক নয়। সৌদি সিনেমার টার্নিং পয়েন্ট বলা হচ্ছে এ সিনেমাকে।
হিজরা সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে তিন নারী চরিত্রকে ঘিরে। ১২ বছর বয়সী জান্নাত তার দাদির সঙ্গে হজ পালনের জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা হয়। জান্নাতের বড় বোন সারাহও সঙ্গী হয়। যাত্রাপথে নিখোঁজ হয় সারাহ। তাকে খুঁজতে থাকে দাদি ও জান্নাত। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে দাদির অতীতের গল্পগুলো।
হিজরা নির্মাতা শাহাদ আমিন বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমার সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় হচ্ছে, সমাজের কণ্ঠস্বরগুলোকে তুলে আনা। হিজরা সিনেমায়ও আমি চেষ্টা করেছি আমার সংস্কৃতি ও সমাজের গল্প তুলে আনতে, আন্তর্জাতিক সিনেমায় যা একেবারেই অজানা বিষয়। সৌদি আরবকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছি। বিভিন্ন প্রজন্মের নারীর কাছে স্বাধীনতার সংজ্ঞা কী রকম, সেটা দেখিয়েছি।’
সৌদি আরবের সমাজ বিশেষ করে নারীদের সম্পর্কে বহির্বিশ্বের যে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি, প্রতিটি সিনেমায় সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করেন শাহাদ আমিন। তিনি বলেন, ‘একজন আরব নির্মাতা হিসেবে, বিশেষ করে একজন নারী নির্মাতা হিসেবে অনেক প্রশংসা পেয়েছি। সে জন্য কৃতজ্ঞতা। তবে সেই সঙ্গে কিছু ভুল ধারণার মুখোমুখিও হতে হয় আমাকে। অনেকে মনে করেন, সৌদি নারীরা, বিশেষ করে আমার মায়ের প্রজন্ম কিংবা আমার দাদির প্রজন্ম বা তারও আগের প্রজন্মের সৌদি নারীরা যথেষ্ট স্বাধীন ছিলেন না। অথচ তাঁরা আমার চেয়েও প্রাণবন্ত ছিলেন, শক্তিশালী চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। আমার এই সিনেমা সৌদির সব প্রজন্মের নারীদের গল্প বলে। তাদের স্বাধীনতার দিকটি হাজির করে।’
জেদ্দায় জন্ম নেওয়া শাহাদ আমিন চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট লন্ডনে। নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকেও নিয়েছেন চিত্রনাট্যের পাঠ। এর আগে ‘আওয়ার ওন মিউজিক্যাল’, ‘লায়লাস উইন্ডো’, ‘আই অ্যান্ড মারমেইড’সহ বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত সৌদি সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করছেন শাহাদ আমিন।
সৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা। প্রথম কাজেই ভেনিস, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, তাইপে, সিডনিসহ অনেক শহরের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হন শাহাদ আমিন।
পরের বছর ৯৩তম অস্কারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য স্কেলস সিনেমাটি পাঠায় সৌদি আরব। ৯৮তম অস্কারেও সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করবে শাহাদ আমিনের সিনেমা। তাঁর নতুন সিনেমা ‘হিজরা’ এ বছর ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়। সেরা এশিয়ান সিনেমা হিসেবে নেটপ্যাক পুরস্কারও জেতে। গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবগুলোয় হিজরা সিনেমাকে ঘিরে দর্শক-সমালোচকদের আগ্রহ অনেক। তাই হিজরাকেই ৯৮তম অস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে সৌদি ফিল্ম কমিশন।
শুধু স্কেলস কিংবা হিজরা নয়, এর আগেও নারী নির্মাতার সিনেমা অস্কারে পাঠিয়েছে সৌদি আরব। এ পর্যন্ত অস্কারে ৮টি সিনেমা পাঠিয়েছে দেশটি, তার মধ্যে চারটিই নারী নির্মাতার। সৌদি সিনেমার অস্কারযাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকে। ওই বছর পাঠানো হয় নারী নির্মাতা হাইফা আল-মানসুরের ‘ওয়াজদা’। ২০১৯ সালেও এ নির্মাতার ‘দ্য পারফেক্ট ক্যান্ডিডেট’ অস্কারের জন্য নির্বাচিত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
আগের সিনেমাগুলো দিয়ে অস্কারে সৌদি সিনেমার তেমন সাফল্য না এলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন হবে বলে আশা করছে সৌদি ফিল্ম কমিশন। শাহাদ আমিনের হিজরা যেভাবে প্রশংসিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে, তাতে এ প্রত্যাশা একেবারেই অমূলক নয়। সৌদি সিনেমার টার্নিং পয়েন্ট বলা হচ্ছে এ সিনেমাকে।
হিজরা সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে তিন নারী চরিত্রকে ঘিরে। ১২ বছর বয়সী জান্নাত তার দাদির সঙ্গে হজ পালনের জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা হয়। জান্নাতের বড় বোন সারাহও সঙ্গী হয়। যাত্রাপথে নিখোঁজ হয় সারাহ। তাকে খুঁজতে থাকে দাদি ও জান্নাত। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে দাদির অতীতের গল্পগুলো।
হিজরা নির্মাতা শাহাদ আমিন বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমার সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় হচ্ছে, সমাজের কণ্ঠস্বরগুলোকে তুলে আনা। হিজরা সিনেমায়ও আমি চেষ্টা করেছি আমার সংস্কৃতি ও সমাজের গল্প তুলে আনতে, আন্তর্জাতিক সিনেমায় যা একেবারেই অজানা বিষয়। সৌদি আরবকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছি। বিভিন্ন প্রজন্মের নারীর কাছে স্বাধীনতার সংজ্ঞা কী রকম, সেটা দেখিয়েছি।’
সৌদি আরবের সমাজ বিশেষ করে নারীদের সম্পর্কে বহির্বিশ্বের যে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি, প্রতিটি সিনেমায় সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করেন শাহাদ আমিন। তিনি বলেন, ‘একজন আরব নির্মাতা হিসেবে, বিশেষ করে একজন নারী নির্মাতা হিসেবে অনেক প্রশংসা পেয়েছি। সে জন্য কৃতজ্ঞতা। তবে সেই সঙ্গে কিছু ভুল ধারণার মুখোমুখিও হতে হয় আমাকে। অনেকে মনে করেন, সৌদি নারীরা, বিশেষ করে আমার মায়ের প্রজন্ম কিংবা আমার দাদির প্রজন্ম বা তারও আগের প্রজন্মের সৌদি নারীরা যথেষ্ট স্বাধীন ছিলেন না। অথচ তাঁরা আমার চেয়েও প্রাণবন্ত ছিলেন, শক্তিশালী চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। আমার এই সিনেমা সৌদির সব প্রজন্মের নারীদের গল্প বলে। তাদের স্বাধীনতার দিকটি হাজির করে।’
জেদ্দায় জন্ম নেওয়া শাহাদ আমিন চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট লন্ডনে। নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকেও নিয়েছেন চিত্রনাট্যের পাঠ। এর আগে ‘আওয়ার ওন মিউজিক্যাল’, ‘লায়লাস উইন্ডো’, ‘আই অ্যান্ড মারমেইড’সহ বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত সৌদি সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করছেন শাহাদ আমিন।
যেখানে অনেকেই থেমে গেছেন, রাফিয়া সেখান থেকেই শুরু করেছেন নতুন করে। করোনার সময় অনলাইনে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা শিখে নেন। পুরোনো কর্মীদের মধ্যে দুজন তখনো রাফিয়ার সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন নতুন উদ্যমে। তবে এবার অফলাইনে নয়, অনলাইনে। এ সময় অনেক উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তাঁদের স
৩০ আগস্ট ২০২৩জুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
৪ দিন আগেলাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল কমিটি তাঁকে নোবেল দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের
৬ দিন আগেজেসমিন পাথেইয়া শুধু একজন শিল্পী কিংবা উদ্যোক্তা নন; তিনি ভারতের রাস্তায় নারীদের প্রতি হয়রানি এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এক সাহসী কণ্ঠস্বর। কলেজজীবনে নিজে রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
৬ দিন আগেনারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় জুলাই সনদ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সব গণতন্ত্রকামী নাগরিকের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। কিন্তু এই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে দেশের জনগোষ্ঠীর ৫১ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাধিকার না দেওয়া এবং একই সঙ্গে অন্যান্য সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করার অবধারিত পরিণাম যা হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তা-ই হয়েছে; জুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বাছাইয়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ, শ্রম, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা বা সুপারিশমালাকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি।
নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম মনে করে, সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকলে প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে এক-তৃতীয়াংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেত। নাগরিক পরিসর থেকে নানানভাবে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে অনেক যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অক্টোবর ২০২৫-এ প্রকাশিত জুলাই জাতীয় সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি।
বিবৃতিতে জুলাই সনদের বিষয়ে বলা হয়, ‘এই সনদে বাংলাদেশের নারীর আকাঙ্ক্ষা নিদারুণভাবে অনুপস্থিত। তাই আমরা এই সনদকে প্রত্যাখ্যান করছি এবং সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর এ ন্যক্কারজনক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো নারীর সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে, ভবিষ্যতের জন্য কোনো অঙ্গীকার রাখেনি এবং মাত্র ৫ শতাংশ দলীয় মনোনয়ন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সময়ক্ষেপণের পথ বেছে নিয়েছে। এটি কেবল হতাশাজনক নয়, এটি নারীর নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক সমতার দাবির প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা যা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে বাংলাদেশের নারী ভোটাররা এ বৈষম্যের জবাব দেবে।’
বিবৃতিতে তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো—রাজনৈতিক দলে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা, যা পর্যায়ক্রমে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। শুধু ২০২৬ সালের নির্বাচনেই সাময়িক বিশেষ বন্দোবস্ত হিসেবে সংরক্ষিত ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন নিশ্চিত করা, জুলাই সনদে এমন একটি ধারা যুক্ত করা, যাতে ২০২৫-এর পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নারীর অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় জুলাই সনদ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সব গণতন্ত্রকামী নাগরিকের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। কিন্তু এই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে দেশের জনগোষ্ঠীর ৫১ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাধিকার না দেওয়া এবং একই সঙ্গে অন্যান্য সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করার অবধারিত পরিণাম যা হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তা-ই হয়েছে; জুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বাছাইয়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ, শ্রম, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা বা সুপারিশমালাকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি।
নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম মনে করে, সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকলে প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে এক-তৃতীয়াংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেত। নাগরিক পরিসর থেকে নানানভাবে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে অনেক যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অক্টোবর ২০২৫-এ প্রকাশিত জুলাই জাতীয় সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি।
বিবৃতিতে জুলাই সনদের বিষয়ে বলা হয়, ‘এই সনদে বাংলাদেশের নারীর আকাঙ্ক্ষা নিদারুণভাবে অনুপস্থিত। তাই আমরা এই সনদকে প্রত্যাখ্যান করছি এবং সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর এ ন্যক্কারজনক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো নারীর সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে, ভবিষ্যতের জন্য কোনো অঙ্গীকার রাখেনি এবং মাত্র ৫ শতাংশ দলীয় মনোনয়ন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সময়ক্ষেপণের পথ বেছে নিয়েছে। এটি কেবল হতাশাজনক নয়, এটি নারীর নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক সমতার দাবির প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা যা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে বাংলাদেশের নারী ভোটাররা এ বৈষম্যের জবাব দেবে।’
বিবৃতিতে তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো—রাজনৈতিক দলে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা, যা পর্যায়ক্রমে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। শুধু ২০২৬ সালের নির্বাচনেই সাময়িক বিশেষ বন্দোবস্ত হিসেবে সংরক্ষিত ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন নিশ্চিত করা, জুলাই সনদে এমন একটি ধারা যুক্ত করা, যাতে ২০২৫-এর পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নারীর অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
যেখানে অনেকেই থেমে গেছেন, রাফিয়া সেখান থেকেই শুরু করেছেন নতুন করে। করোনার সময় অনলাইনে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা শিখে নেন। পুরোনো কর্মীদের মধ্যে দুজন তখনো রাফিয়ার সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন নতুন উদ্যমে। তবে এবার অফলাইনে নয়, অনলাইনে। এ সময় অনেক উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তাঁদের স
৩০ আগস্ট ২০২৩সৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা।
১ দিন আগেলাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল কমিটি তাঁকে নোবেল দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের
৬ দিন আগেজেসমিন পাথেইয়া শুধু একজন শিল্পী কিংবা উদ্যোক্তা নন; তিনি ভারতের রাস্তায় নারীদের প্রতি হয়রানি এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এক সাহসী কণ্ঠস্বর। কলেজজীবনে নিজে রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
৬ দিন আগেশান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া মাচাদো
আব্দুর রহমান
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল কমিটি তাঁকে নোবেল দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন।’
কিন্তু যে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কারণে তিনি নোবেল পেলেন, তাতে আসলে তাঁর অবদান কতটা, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। ২০০২ সালে ভেনেজুয়েলার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ দেশটির সম্পদ এবং ভূমি সংস্কার করে নতুন আইন জারি করেছিলেন। সেই আইন দেশটির কৃষক ও শ্রমিকশ্রেণিকে সুবিধা দিয়েছিল। সেই সময়ে শাভেজ নতুন পেট্রোলিয়াম আইন করেন। ফলে দেশটিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তেল-গ্যাস উত্তোলন কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, শাভেজের নতুন আইন অনুসারে এক্সন মবিল বা শেভরনের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৬ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত রয়্যালটি দিতে হতো দেশটির সরকারকে। শুধু তা-ই নয়, শাভেজের নতুন আইন অনুসারে যেকোনো তেল বা গ্যাসক্ষেত্রের বেলায় বিদেশি বিনিয়োগে সরকারের অংশীদারত্ব থাকত ন্যূনতম ৫১ শতাংশ।
পশ্চিমা দৃষ্টিতে হুগো শাভেজ খুব একটা গণতান্ত্রিক না হলেও তাঁর করা এসব সংস্কার দেশটির সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালে ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পর, ২০০২ সালে ভেনেজুয়েলায় একটি অভ্যুত্থান হয়। তাতে ক্ষমতাচ্যুত হন শাভেজ। নেতৃত্বে আসেন ব্যবসায়ী নেতা পেদ্রো কারমোনা। তিনি এসেই একটি ডিক্রি জারি করেন, যা ‘কারমোনা ডিক্রি’ নামে পরিচিত। সেই ডিক্রিতে স্বাক্ষরকারীদের অন্যতম ছিলেন মারিয়া মাচাদো। এই ডিক্রির ফলে দেশটিতে ১৯৯৯ সালে গৃহীত নতুন সংবিধান, দেশটির সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং শাভেজের করা যাবতীয় সংস্কার বাতিল হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হারানো সুযোগ ফিরে পায়।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং তৎকালীন বুশ প্রশাসন এই অভ্যুত্থানের বিষয়ে অবগত ছিল। কেবল তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ফেরি করা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এনডাওমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি ভেনেজুয়েলায় যারা হুগো শাভেজবিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিল, তাদের অর্থায়ন করত বলে জানা গেছে সিআইএর নথি থেকে। যাহোক, সেই অভ্যুত্থান খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ৪৭ ঘণ্টার মধ্যেই শাভেজ তাঁর হারানো ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করেন।
এরপরও যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে মাচাদো ও হুগো শাভেজবিরোধী শিবিরকে অর্থ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে গেছে বলে অভিযোগ আছে। কেবল তা-ই নয়, লাতিন আমেরিকার বেশির ভাগ দেশের মতো ভেনেজুয়েলাও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে এবং ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে ছিল। ২০০৮-০৯ সালে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর শাভেজ দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। কিন্তু মাচাদো দিনের পর দিন খোলামেলাভাবে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছেন।
কিছুদিন আগে মাচাদো ইসরায়েলি এক চ্যানেলকে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এবং বলি, আমাদের সরকার ইসরায়েলে অবস্থিত দূতাবাসটি জেরুজালেমে স্থানান্তর করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, একদিন ভেনেজুয়েলা ও ইসরায়েলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সেটি হবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের সমর্থনের অংশ।’ এখানেই শেষ নয়, মাচাদো ইসরায়েলের কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টির কট্টর সমর্থকও।
গত সেপ্টেম্বরে মারিয়া কোরিনা মাচাদো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যারিবীয় অঞ্চলে ভেনেজুয়েলার সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগের জোরালো সমর্থক হয়ে ওঠেন। তিনি ওই সময় দাবি করেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো
পুরো অঞ্চলের জন্য বড় ধরনের ‘নিরাপত্তা হুমকি।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে মাচাদো বলেন, ‘এটা জীবন-মরণের প্রশ্ন। ভেনেজুয়েলাবাসীর জীবন শুধু নয়, আমেরিকানদের জীবনও রক্ষা করা দরকার। কারণ, মাদুরো মাদক-সন্ত্রাসবাদের এক সহযোগী কাঠামোর প্রধান।’
ফলে নোবেল কমিটি যখন গাজায় ফিলিস্তিনিদের জীবনের অধিকার অস্বীকার করা এবং নিজ দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে শামিল থাকা ব্যক্তিকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব ডেমোক্রেসি’ আখ্যা দিয়ে পুরস্কারে ভূষিত করে,
তখন প্রশ্ন জাগতেই পারে, নোবেল আসলে কাদের দেওয়া হচ্ছে!
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল কমিটি তাঁকে নোবেল দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন।’
কিন্তু যে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কারণে তিনি নোবেল পেলেন, তাতে আসলে তাঁর অবদান কতটা, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। ২০০২ সালে ভেনেজুয়েলার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ দেশটির সম্পদ এবং ভূমি সংস্কার করে নতুন আইন জারি করেছিলেন। সেই আইন দেশটির কৃষক ও শ্রমিকশ্রেণিকে সুবিধা দিয়েছিল। সেই সময়ে শাভেজ নতুন পেট্রোলিয়াম আইন করেন। ফলে দেশটিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তেল-গ্যাস উত্তোলন কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, শাভেজের নতুন আইন অনুসারে এক্সন মবিল বা শেভরনের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৬ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত রয়্যালটি দিতে হতো দেশটির সরকারকে। শুধু তা-ই নয়, শাভেজের নতুন আইন অনুসারে যেকোনো তেল বা গ্যাসক্ষেত্রের বেলায় বিদেশি বিনিয়োগে সরকারের অংশীদারত্ব থাকত ন্যূনতম ৫১ শতাংশ।
পশ্চিমা দৃষ্টিতে হুগো শাভেজ খুব একটা গণতান্ত্রিক না হলেও তাঁর করা এসব সংস্কার দেশটির সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালে ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পর, ২০০২ সালে ভেনেজুয়েলায় একটি অভ্যুত্থান হয়। তাতে ক্ষমতাচ্যুত হন শাভেজ। নেতৃত্বে আসেন ব্যবসায়ী নেতা পেদ্রো কারমোনা। তিনি এসেই একটি ডিক্রি জারি করেন, যা ‘কারমোনা ডিক্রি’ নামে পরিচিত। সেই ডিক্রিতে স্বাক্ষরকারীদের অন্যতম ছিলেন মারিয়া মাচাদো। এই ডিক্রির ফলে দেশটিতে ১৯৯৯ সালে গৃহীত নতুন সংবিধান, দেশটির সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং শাভেজের করা যাবতীয় সংস্কার বাতিল হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হারানো সুযোগ ফিরে পায়।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং তৎকালীন বুশ প্রশাসন এই অভ্যুত্থানের বিষয়ে অবগত ছিল। কেবল তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ফেরি করা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এনডাওমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি ভেনেজুয়েলায় যারা হুগো শাভেজবিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিল, তাদের অর্থায়ন করত বলে জানা গেছে সিআইএর নথি থেকে। যাহোক, সেই অভ্যুত্থান খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ৪৭ ঘণ্টার মধ্যেই শাভেজ তাঁর হারানো ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করেন।
এরপরও যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে মাচাদো ও হুগো শাভেজবিরোধী শিবিরকে অর্থ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে গেছে বলে অভিযোগ আছে। কেবল তা-ই নয়, লাতিন আমেরিকার বেশির ভাগ দেশের মতো ভেনেজুয়েলাও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে এবং ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে ছিল। ২০০৮-০৯ সালে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর শাভেজ দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। কিন্তু মাচাদো দিনের পর দিন খোলামেলাভাবে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছেন।
কিছুদিন আগে মাচাদো ইসরায়েলি এক চ্যানেলকে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এবং বলি, আমাদের সরকার ইসরায়েলে অবস্থিত দূতাবাসটি জেরুজালেমে স্থানান্তর করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, একদিন ভেনেজুয়েলা ও ইসরায়েলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সেটি হবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের সমর্থনের অংশ।’ এখানেই শেষ নয়, মাচাদো ইসরায়েলের কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টির কট্টর সমর্থকও।
গত সেপ্টেম্বরে মারিয়া কোরিনা মাচাদো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যারিবীয় অঞ্চলে ভেনেজুয়েলার সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগের জোরালো সমর্থক হয়ে ওঠেন। তিনি ওই সময় দাবি করেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো
পুরো অঞ্চলের জন্য বড় ধরনের ‘নিরাপত্তা হুমকি।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে মাচাদো বলেন, ‘এটা জীবন-মরণের প্রশ্ন। ভেনেজুয়েলাবাসীর জীবন শুধু নয়, আমেরিকানদের জীবনও রক্ষা করা দরকার। কারণ, মাদুরো মাদক-সন্ত্রাসবাদের এক সহযোগী কাঠামোর প্রধান।’
ফলে নোবেল কমিটি যখন গাজায় ফিলিস্তিনিদের জীবনের অধিকার অস্বীকার করা এবং নিজ দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে শামিল থাকা ব্যক্তিকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব ডেমোক্রেসি’ আখ্যা দিয়ে পুরস্কারে ভূষিত করে,
তখন প্রশ্ন জাগতেই পারে, নোবেল আসলে কাদের দেওয়া হচ্ছে!
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
যেখানে অনেকেই থেমে গেছেন, রাফিয়া সেখান থেকেই শুরু করেছেন নতুন করে। করোনার সময় অনলাইনে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা শিখে নেন। পুরোনো কর্মীদের মধ্যে দুজন তখনো রাফিয়ার সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন নতুন উদ্যমে। তবে এবার অফলাইনে নয়, অনলাইনে। এ সময় অনেক উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তাঁদের স
৩০ আগস্ট ২০২৩সৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা।
১ দিন আগেজুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
৪ দিন আগেজেসমিন পাথেইয়া শুধু একজন শিল্পী কিংবা উদ্যোক্তা নন; তিনি ভারতের রাস্তায় নারীদের প্রতি হয়রানি এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এক সাহসী কণ্ঠস্বর। কলেজজীবনে নিজে রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
৬ দিন আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান
জেসমিন পাথেইয়া শুধু একজন শিল্পী কিংবা উদ্যোক্তা নন; তিনি ভারতের রাস্তায় নারীদের প্রতি হয়রানি এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এক সাহসী কণ্ঠস্বর। কলেজজীবনে নিজে রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, পরিবর্তন আনার জন্য শুধু ক্ষোভ বা অভিযোগ যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন সচেতনতা, সংগঠিত প্রচেষ্টা এবং সমাজের সমর্থন। ২০০৩ সালে তিনি এই উপলব্ধি থেকে শুরু করেন ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ নামের একটি সামাজিক আন্দোলন। এটি নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভুক্তভোগীদের সমর্থন দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৭৯ সালের ১১ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন জেসমিন পাথেইয়া। তিনি বেঙ্গালুরুর সৃষ্টি স্কুল অব আর্ট, ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ফাইন আর্টসে স্নাতক সম্পন্ন করেন। কলেজজীবনে রাস্তায় নারীদের প্রতি হয়রানির অভিজ্ঞতা তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ: উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম
ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ মূলত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। নারীদের প্রতি হয়রানি, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা এবং ভিকটিম ব্লেমিংয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে।
এই সংগঠন বিভিন্ন সৃজনশীল কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে সচল আছে ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ। মূলত এই সংগঠন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। ব্ল্যাঙ্ক নয়েজের কার্যক্রমের মাধ্যমে অনেক নারীর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
এ ছাড়া এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা কমানোর লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
জেসমিন পাথেইয়া ও ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছে। ২০১৫ সালে ‘টক টু মি’ প্রকল্পের জন্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড অব পাবলিক আর্ট লাভ করে। ২০১৭ সালে সোশ্যাল এন্ট্রাপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত জেসমিন। এ ছাড়া তিনি অশোক ফেল ও টিইডি ফেল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
জেসমিন পাথেইয়া ব্ল্যাঙ্ক নয়েজের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে চান। তিনি একটি নিরাপদ এবং সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো এই আন্দোলনকে আরও বিস্তৃত করা এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
সূত্র: ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ ডট ওআরজি, সিআইএস ইন্ডিয়া ডট ওআরজি
জেসমিন পাথেইয়া শুধু একজন শিল্পী কিংবা উদ্যোক্তা নন; তিনি ভারতের রাস্তায় নারীদের প্রতি হয়রানি এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এক সাহসী কণ্ঠস্বর। কলেজজীবনে নিজে রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, পরিবর্তন আনার জন্য শুধু ক্ষোভ বা অভিযোগ যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন সচেতনতা, সংগঠিত প্রচেষ্টা এবং সমাজের সমর্থন। ২০০৩ সালে তিনি এই উপলব্ধি থেকে শুরু করেন ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ নামের একটি সামাজিক আন্দোলন। এটি নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভুক্তভোগীদের সমর্থন দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৭৯ সালের ১১ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন জেসমিন পাথেইয়া। তিনি বেঙ্গালুরুর সৃষ্টি স্কুল অব আর্ট, ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ফাইন আর্টসে স্নাতক সম্পন্ন করেন। কলেজজীবনে রাস্তায় নারীদের প্রতি হয়রানির অভিজ্ঞতা তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ: উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম
ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ মূলত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। নারীদের প্রতি হয়রানি, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা এবং ভিকটিম ব্লেমিংয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে।
এই সংগঠন বিভিন্ন সৃজনশীল কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে সচল আছে ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ। মূলত এই সংগঠন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। ব্ল্যাঙ্ক নয়েজের কার্যক্রমের মাধ্যমে অনেক নারীর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
এ ছাড়া এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা কমানোর লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
জেসমিন পাথেইয়া ও ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছে। ২০১৫ সালে ‘টক টু মি’ প্রকল্পের জন্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড অব পাবলিক আর্ট লাভ করে। ২০১৭ সালে সোশ্যাল এন্ট্রাপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত জেসমিন। এ ছাড়া তিনি অশোক ফেল ও টিইডি ফেল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
জেসমিন পাথেইয়া ব্ল্যাঙ্ক নয়েজের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে চান। তিনি একটি নিরাপদ এবং সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো এই আন্দোলনকে আরও বিস্তৃত করা এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
সূত্র: ব্ল্যাঙ্ক নয়েজ ডট ওআরজি, সিআইএস ইন্ডিয়া ডট ওআরজি
যেখানে অনেকেই থেমে গেছেন, রাফিয়া সেখান থেকেই শুরু করেছেন নতুন করে। করোনার সময় অনলাইনে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা শিখে নেন। পুরোনো কর্মীদের মধ্যে দুজন তখনো রাফিয়ার সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন নতুন উদ্যমে। তবে এবার অফলাইনে নয়, অনলাইনে। এ সময় অনেক উদ্যোক্তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তাঁদের স
৩০ আগস্ট ২০২৩সৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা।
১ দিন আগেজুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
৪ দিন আগেলাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল কমিটি তাঁকে নোবেল দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের
৬ দিন আগে