এস এম রকি, খানসামা (দিনাজপুর)
হলুদ ওড়না আর হলুদ-সাদা স্ট্রাইপের কামিজ পরা আরিফা খাতুনকে দেখে ব্রাজিল ফুটবল দলের সমর্থক বলে ভ্রম হয়। কিন্তু তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে দেওয়া যায়, ফুটবল বিষয়ে তাঁর আগ্রহ শূন্যের কোঠায়। নিজের প্রতিষ্ঠান জয়িতা সেন্টার আর পরিবার সামলে রাত জেগে ব্রাজিলের ফুটবল খেলা দেখায় তাঁর যে তেমন আগ্রহ নেই, সেটা বোঝা যায় তাঁর কথাবার্তায়।
দিনাজপুরের আর দশটি সাধারণ মেয়ের মতোই এসএসসি পরীক্ষার ঠিক এক বছর আগে ২০০০ সালে আরিফা খাতুনের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর তিনি ২০০১ সালে এসএসসি এবং ২০০৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে গৃহিণী হিসেবে কাটিয়ে দেন অনেকটা সময়। কিন্তু ছোটবেলা থেকে ‘নিজেই কিছু একটা’ করার প্রবল ইচ্ছা ভেতরে-ভেতরে লালন করতেন আরিফা। বিয়ের পরেও সেটি ছাড়েননি। অপেক্ষায় ছিলেন ভালো সময়ের।
নিজের সেই ইচ্ছাকে বাস্তব করতে বিয়ের ৯ বছর পর ২০০৯ সালে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণকেন্দ্রে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নেন আরিফা। সেই প্রশিক্ষণের পর তাঁর দেবরের দেওয়া একটি সেলাই মেশিন দিয়ে তিনি বাড়িতেই পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বিভিন্ন ধরনের পোশাক সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। সময় যতই গড়াতে থাকে, ততই বাড়তে থাকে কাজের চাপ। সে জন্য ২০১৫ সালে বাড়ির পাশে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আরও কিছু সেলাই মেশিন কিনে কাজের পরিসর বাড়ান। জয়িতা সেন্টার নামে সে দোকানে এখন কাজ করেন তিনজন কর্মচারী। এখান থেকে খরচ বাদে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এতে সংসারে যেমন ফিরেছে সচ্ছলতা, তেমনি এলাকার সবার কাছে তিনি হয়েছেন প্রশংসিত।
সফল এই নারী উদ্যোক্তা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুর পানুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক পেশায় একজন খুচরা ইন্টারনেট ব্যবসায়ী।
সেলাইয়ের কাজের পরিসর বাড়িয়েই চুপ থাকেননি আরিফা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ব্লক-বাটিক, নকশিকাঁথা এবং আবারও কিছু সেলাইয়ে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। পরে বিভিন্ন সময়ে ৯০০ থেকে ১ হাজার নারীকে এসব প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে সহযোগিতা করেন তিনি। সেই নারীরাও সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন।
এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবে গত কয়েক বছর উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে পুরস্কৃত হন তিনি।
সেলাইয়ের কাজের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কাজে আরিফার রয়েছে সরব উপস্থিতি। ব্র্যাকের পল্লী সমাজ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তিনি এলাকার মানুষের বিপদ-আপদে এবং সামাজিক সমস্যায় এগিয়ে আসেন।
এক বিকেলে আরিফা খাতুনের সঙ্গে কথা হয় তাঁর দোকানে বসে। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা হয়ে না থেকে কিছু একটা করার ইচ্ছা থেকে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেছিলাম। সেখান থেকে নিজেও স্বাবলম্বী হয়েছি, অন্যদেরও উৎসাহিত করছি।’ যেকোনো স্তরের সহায়তা পেলে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ আরও ব্যাপক পরিসরে করবেন বলে জানান তিনি।
আরিফার এই সফলতার কথা জানেন খানসামা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন। তিনি বলেন, ‘আরিফা উপজেলার নারীদের মডেল। তাঁর এসব কাজ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অনেক নারীই সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবেন।’
হলুদ ওড়না আর হলুদ-সাদা স্ট্রাইপের কামিজ পরা আরিফা খাতুনকে দেখে ব্রাজিল ফুটবল দলের সমর্থক বলে ভ্রম হয়। কিন্তু তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে দেওয়া যায়, ফুটবল বিষয়ে তাঁর আগ্রহ শূন্যের কোঠায়। নিজের প্রতিষ্ঠান জয়িতা সেন্টার আর পরিবার সামলে রাত জেগে ব্রাজিলের ফুটবল খেলা দেখায় তাঁর যে তেমন আগ্রহ নেই, সেটা বোঝা যায় তাঁর কথাবার্তায়।
দিনাজপুরের আর দশটি সাধারণ মেয়ের মতোই এসএসসি পরীক্ষার ঠিক এক বছর আগে ২০০০ সালে আরিফা খাতুনের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর তিনি ২০০১ সালে এসএসসি এবং ২০০৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে গৃহিণী হিসেবে কাটিয়ে দেন অনেকটা সময়। কিন্তু ছোটবেলা থেকে ‘নিজেই কিছু একটা’ করার প্রবল ইচ্ছা ভেতরে-ভেতরে লালন করতেন আরিফা। বিয়ের পরেও সেটি ছাড়েননি। অপেক্ষায় ছিলেন ভালো সময়ের।
নিজের সেই ইচ্ছাকে বাস্তব করতে বিয়ের ৯ বছর পর ২০০৯ সালে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণকেন্দ্রে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ নেন আরিফা। সেই প্রশিক্ষণের পর তাঁর দেবরের দেওয়া একটি সেলাই মেশিন দিয়ে তিনি বাড়িতেই পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বিভিন্ন ধরনের পোশাক সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন। সময় যতই গড়াতে থাকে, ততই বাড়তে থাকে কাজের চাপ। সে জন্য ২০১৫ সালে বাড়ির পাশে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আরও কিছু সেলাই মেশিন কিনে কাজের পরিসর বাড়ান। জয়িতা সেন্টার নামে সে দোকানে এখন কাজ করেন তিনজন কর্মচারী। এখান থেকে খরচ বাদে প্রতি মাসে তাঁর আয় হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এতে সংসারে যেমন ফিরেছে সচ্ছলতা, তেমনি এলাকার সবার কাছে তিনি হয়েছেন প্রশংসিত।
সফল এই নারী উদ্যোক্তা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুর পানুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক পেশায় একজন খুচরা ইন্টারনেট ব্যবসায়ী।
সেলাইয়ের কাজের পরিসর বাড়িয়েই চুপ থাকেননি আরিফা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ব্লক-বাটিক, নকশিকাঁথা এবং আবারও কিছু সেলাইয়ে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। পরে বিভিন্ন সময়ে ৯০০ থেকে ১ হাজার নারীকে এসব প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে সহযোগিতা করেন তিনি। সেই নারীরাও সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন।
এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবে গত কয়েক বছর উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে পুরস্কৃত হন তিনি।
সেলাইয়ের কাজের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কাজে আরিফার রয়েছে সরব উপস্থিতি। ব্র্যাকের পল্লী সমাজ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তিনি এলাকার মানুষের বিপদ-আপদে এবং সামাজিক সমস্যায় এগিয়ে আসেন।
এক বিকেলে আরিফা খাতুনের সঙ্গে কথা হয় তাঁর দোকানে বসে। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা হয়ে না থেকে কিছু একটা করার ইচ্ছা থেকে সেলাইয়ের কাজ শুরু করেছিলাম। সেখান থেকে নিজেও স্বাবলম্বী হয়েছি, অন্যদেরও উৎসাহিত করছি।’ যেকোনো স্তরের সহায়তা পেলে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ আরও ব্যাপক পরিসরে করবেন বলে জানান তিনি।
আরিফার এই সফলতার কথা জানেন খানসামা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন। তিনি বলেন, ‘আরিফা উপজেলার নারীদের মডেল। তাঁর এসব কাজ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অনেক নারীই সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবেন।’
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
২ দিন আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
৩ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
৩ দিন আগেআমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
৩ দিন আগে