আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর, মানিকগঞ্জ

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হলেও বদল আনছেন মানিকগঞ্জের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে। এই উদ্যোক্তা নারীদের হাত ধরে বাড়ছে অন্য নারীদের কর্মসংস্থান। তাঁদের সংসারে আসছে অর্থ ও সচ্ছলতা। গত এক যুগে মানিকগঞ্জের নারী উদ্যোক্তাদের শ্রম, মেধা, ধৈর্য ও সাধনায় পরিসংখ্যানে যোগ হয়েছে এক জাদুকরি ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ।
পুরুষের তুলনায় মানিকগঞ্জে অনেক কম হলেও নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা গত এক যুগে বেড়েছে অনেকগুণ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প হিসেবে কৃষি ও মৎস্য খাত ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, ফ্যাশন ও সৌন্দর্য পণ্য, স্বাস্থ্যবিষয়ক পণ্য এবং অনলাইন ব্যবসায় তৈরি হয়েছে অনেক উদ্যোক্তা। পাশাপাশি গার্মেন্টস ও অ্যাকসেসরিজ, বিউটি পারলার, টেইলারিং, রিটেইল শপ, আইটি, ইলেকট্রনিকস, সফটওয়্যার, পাটজাত পণ্য ও হ্যান্ডিক্র্যাফটস খাতে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে।
তাঁহাদের কথা
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের শারমীন আক্তার এ্যানী। উইমেন অ্যান্ড ই কমার্স (উই)-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি হয়ে উঠেছেন বড় উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘শারনী’। এ নামে রয়েছে অনলাইন বিপণন পেজ। পরিবেশবান্ধব মাটির চুলা আর হ্যান্ডপেইন্ট পোশাক তাঁর আইকনিক পণ্য। নকশিকাঁথা, শাড়ি, ওড়না, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের সুনাম আর বাহারি নকশায় নজর কেড়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলায় পাশাপাশি আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যে। মাস শেষে এখন তাঁর হাতে আসছে দেড় লাখ টাকার মতো। সম্ভ্রান্ত ও ধনাঢ্য পরিবারের গৃহবধূ এ্যানী পরিবার ও সন্তান সামলিয়ে হয়ে উঠছেন সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা নিয়ে সফল হয়ে উঠেছেন আরও কমপক্ষে শখানেক নারী। ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের মানিকগঞ্জের কো-অর্ডিনেটর শারমীন এ্যানী বলেন, ‘নারীরা সব সময় ঘরবন্দী থাকবে কেন? আমি নিজে যতটুকু পারি, যতটুকু জানি, ততটুকু করব। সাফল্য আসবেই।’
দেশের আলোচিত উদ্যোক্তা লাবণীর জন্ম মানিকগঞ্জ সদরের বান্দুটিয়ায়। ব্যবসার শুরুটা হয়েছিল ৭০০ টাকা দিয়ে। কুশন কভারে হাতের কাজ এবং পরবর্তী সময়ে জামার ডিজাইন দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর পথচলা। অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়ে তাতে যুক্ত হয় হাতের কাজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, ওয়ালম্যাট। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে মানিকগঞ্জ সদর থেকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন। ‘ডিফারেন্ট বিউটি’র মালিক লাবণী ইউএনসিডিএফ থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন। ২ জন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেন, এখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ১০০ নারী।
অর্ডার করলেই মুখরোচক চিকেন মোমো, দেশীয় নানা খাবার, পিঠাপুলির সঙ্গে ফাস্ট ফুড আইটেমসহ হোম মেইড বিভিন্ন খাবার পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। মুন্নি আক্তার মানিকগঞ্জ জেলার প্রথম নারী উদ্যোক্তা, যিনি নিজে এসবের অর্ডার নেন, খাবার তৈরি করেন এবং মোটরবাইক চালিয়ে সরবরাহ করেন। জেলা শহরে জনপ্রিয় একটি লেডিস টেইলার্সও রয়েছে তাঁর। মুন্নি আক্তারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ‘মুন্নি’স ওয়ার্ল্ড’-এ এবং সরাসরি কল করে খাবারের অর্ডার দেওয়া যায়। প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন তিনি।
ঘিওরের নিভৃত জাবরা গ্রাম থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন মল্লিকা ইয়াসমিন। ২০২৩ সালে হয়েছেন মানিকগঞ্জের সেরা জয়িতা। ১৬ বছর আগে যখন মেয়েদের ব্যবসা করা ছিল এখনকার চেয়ে অনেক কঠিন, সে সময় তিনি দেড় লাখ টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ‘অ্যাটায়ার ফ্যাশন’ নামে পোশাক ব্যবসার পাশাপাশি বর্তমানে দুগ্ধ খামার ও দেশীয় আদি ঐতিহ্যের পিঠাপুলির ব্যবসা করছেন তিনি। মল্লিকা কর্মসংস্থান করেছেন এলাকার ২০ জন গৃহবধূর।
এক যুগে উদ্যোক্তা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার
এই উল্লেখযোগ্য নারীদের মতো মানিকগঞ্জের হাজারো নারী উদ্যোক্তা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কিংবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্বনির্ভরতার আলো ছড়াচ্ছেন। মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক), এসো উদ্যোক্তা হই, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার তথ্যমতে, ২০১২ সালে জেলায় নারী উদ্যোক্তা ছিলেন মাত্র ৩১৫ জন। তিন বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬৩ জনে। এরপর ক্রমান্বয়ে বাড়ে এই সংখ্যা। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৫০।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালেও সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করেছেন ২ হাজারের বেশি নারী উদ্যোক্তা। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায় নারীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায় এ সময় থেকেই। এ বছরের শুরুর দিকে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৬৫৮। তাঁদের মধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছেন ৪৯৭, মাঝারি ৬৪ এবং কুটিরশিল্পে রয়েছেন ৯ হাজার ৯৭ জন।
উদ্যোক্তা মারুফা আক্তার এক বছর ধরে ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বিবাহবিচ্ছেদের পরে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তাঁর তৈরি কুটিরশিল্পের বিভিন্ন পণ্য দুটি দেশে পাঠানো হয়েছে। আরও একটি দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
কর্মকর্তারা যা মনে করছেন
মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ, উপকরণ বিতরণ ও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে নেওয়া হয়েছে বহুমুখী উদ্যোগ, যা মানিকগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বেশ ভূমিকা রাখছে।’
জাতীয় মহিলা সংঘের মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি লক্ষ্মী চ্যাটার্জি জানান, দেশে নারী উদ্যোক্তার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘এটা ভালো দিক, বেকারত্ব কমছে। বর্তমানে নারীরা কাজ করে স্বস্তিবোধ করছেন। তাঁরা নিজেদের দক্ষতা কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজস্বতার সঙ্গে।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্যোক্তারা এখনো বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অভূতপূর্ব সাফল্য আসছে। মানিকগঞ্জ জেলায় নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ব্যবসায়িক পরামর্শ, আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি সহজ শর্তে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা, উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও বিপণনে সহায়তার জন্য বিসিক মানিকগঞ্জ জেলায় উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করে আসছে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নে এসএমই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে মানিকগঞ্জে চারজন নারী উদ্যোক্তা প্রায় ২২ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য অনুদান পেয়েছেন। জেলায় তিন বছরে নারী উদ্যোক্তাদের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ এবং ২৫০ জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং ই-মার্কেটের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে দেশের অর্থনৈতিক সূচকে ইতিবাচক দিক ফুটে উঠেছে।’

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হলেও বদল আনছেন মানিকগঞ্জের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে। এই উদ্যোক্তা নারীদের হাত ধরে বাড়ছে অন্য নারীদের কর্মসংস্থান। তাঁদের সংসারে আসছে অর্থ ও সচ্ছলতা। গত এক যুগে মানিকগঞ্জের নারী উদ্যোক্তাদের শ্রম, মেধা, ধৈর্য ও সাধনায় পরিসংখ্যানে যোগ হয়েছে এক জাদুকরি ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ।
পুরুষের তুলনায় মানিকগঞ্জে অনেক কম হলেও নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা গত এক যুগে বেড়েছে অনেকগুণ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প হিসেবে কৃষি ও মৎস্য খাত ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, ফ্যাশন ও সৌন্দর্য পণ্য, স্বাস্থ্যবিষয়ক পণ্য এবং অনলাইন ব্যবসায় তৈরি হয়েছে অনেক উদ্যোক্তা। পাশাপাশি গার্মেন্টস ও অ্যাকসেসরিজ, বিউটি পারলার, টেইলারিং, রিটেইল শপ, আইটি, ইলেকট্রনিকস, সফটওয়্যার, পাটজাত পণ্য ও হ্যান্ডিক্র্যাফটস খাতে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে।
তাঁহাদের কথা
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের শারমীন আক্তার এ্যানী। উইমেন অ্যান্ড ই কমার্স (উই)-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি হয়ে উঠেছেন বড় উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘শারনী’। এ নামে রয়েছে অনলাইন বিপণন পেজ। পরিবেশবান্ধব মাটির চুলা আর হ্যান্ডপেইন্ট পোশাক তাঁর আইকনিক পণ্য। নকশিকাঁথা, শাড়ি, ওড়না, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের সুনাম আর বাহারি নকশায় নজর কেড়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলায় পাশাপাশি আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যে। মাস শেষে এখন তাঁর হাতে আসছে দেড় লাখ টাকার মতো। সম্ভ্রান্ত ও ধনাঢ্য পরিবারের গৃহবধূ এ্যানী পরিবার ও সন্তান সামলিয়ে হয়ে উঠছেন সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা নিয়ে সফল হয়ে উঠেছেন আরও কমপক্ষে শখানেক নারী। ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের মানিকগঞ্জের কো-অর্ডিনেটর শারমীন এ্যানী বলেন, ‘নারীরা সব সময় ঘরবন্দী থাকবে কেন? আমি নিজে যতটুকু পারি, যতটুকু জানি, ততটুকু করব। সাফল্য আসবেই।’
দেশের আলোচিত উদ্যোক্তা লাবণীর জন্ম মানিকগঞ্জ সদরের বান্দুটিয়ায়। ব্যবসার শুরুটা হয়েছিল ৭০০ টাকা দিয়ে। কুশন কভারে হাতের কাজ এবং পরবর্তী সময়ে জামার ডিজাইন দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর পথচলা। অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়ে তাতে যুক্ত হয় হাতের কাজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, ওয়ালম্যাট। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে মানিকগঞ্জ সদর থেকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন। ‘ডিফারেন্ট বিউটি’র মালিক লাবণী ইউএনসিডিএফ থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন। ২ জন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেন, এখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ১০০ নারী।
অর্ডার করলেই মুখরোচক চিকেন মোমো, দেশীয় নানা খাবার, পিঠাপুলির সঙ্গে ফাস্ট ফুড আইটেমসহ হোম মেইড বিভিন্ন খাবার পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। মুন্নি আক্তার মানিকগঞ্জ জেলার প্রথম নারী উদ্যোক্তা, যিনি নিজে এসবের অর্ডার নেন, খাবার তৈরি করেন এবং মোটরবাইক চালিয়ে সরবরাহ করেন। জেলা শহরে জনপ্রিয় একটি লেডিস টেইলার্সও রয়েছে তাঁর। মুন্নি আক্তারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ‘মুন্নি’স ওয়ার্ল্ড’-এ এবং সরাসরি কল করে খাবারের অর্ডার দেওয়া যায়। প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন তিনি।
ঘিওরের নিভৃত জাবরা গ্রাম থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন মল্লিকা ইয়াসমিন। ২০২৩ সালে হয়েছেন মানিকগঞ্জের সেরা জয়িতা। ১৬ বছর আগে যখন মেয়েদের ব্যবসা করা ছিল এখনকার চেয়ে অনেক কঠিন, সে সময় তিনি দেড় লাখ টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ‘অ্যাটায়ার ফ্যাশন’ নামে পোশাক ব্যবসার পাশাপাশি বর্তমানে দুগ্ধ খামার ও দেশীয় আদি ঐতিহ্যের পিঠাপুলির ব্যবসা করছেন তিনি। মল্লিকা কর্মসংস্থান করেছেন এলাকার ২০ জন গৃহবধূর।
এক যুগে উদ্যোক্তা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার
এই উল্লেখযোগ্য নারীদের মতো মানিকগঞ্জের হাজারো নারী উদ্যোক্তা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কিংবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্বনির্ভরতার আলো ছড়াচ্ছেন। মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক), এসো উদ্যোক্তা হই, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার তথ্যমতে, ২০১২ সালে জেলায় নারী উদ্যোক্তা ছিলেন মাত্র ৩১৫ জন। তিন বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬৩ জনে। এরপর ক্রমান্বয়ে বাড়ে এই সংখ্যা। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৫০।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালেও সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করেছেন ২ হাজারের বেশি নারী উদ্যোক্তা। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায় নারীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায় এ সময় থেকেই। এ বছরের শুরুর দিকে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৬৫৮। তাঁদের মধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছেন ৪৯৭, মাঝারি ৬৪ এবং কুটিরশিল্পে রয়েছেন ৯ হাজার ৯৭ জন।
উদ্যোক্তা মারুফা আক্তার এক বছর ধরে ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বিবাহবিচ্ছেদের পরে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তাঁর তৈরি কুটিরশিল্পের বিভিন্ন পণ্য দুটি দেশে পাঠানো হয়েছে। আরও একটি দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
কর্মকর্তারা যা মনে করছেন
মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ, উপকরণ বিতরণ ও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে নেওয়া হয়েছে বহুমুখী উদ্যোগ, যা মানিকগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বেশ ভূমিকা রাখছে।’
জাতীয় মহিলা সংঘের মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি লক্ষ্মী চ্যাটার্জি জানান, দেশে নারী উদ্যোক্তার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘এটা ভালো দিক, বেকারত্ব কমছে। বর্তমানে নারীরা কাজ করে স্বস্তিবোধ করছেন। তাঁরা নিজেদের দক্ষতা কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজস্বতার সঙ্গে।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্যোক্তারা এখনো বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অভূতপূর্ব সাফল্য আসছে। মানিকগঞ্জ জেলায় নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ব্যবসায়িক পরামর্শ, আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি সহজ শর্তে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা, উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও বিপণনে সহায়তার জন্য বিসিক মানিকগঞ্জ জেলায় উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করে আসছে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নে এসএমই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে মানিকগঞ্জে চারজন নারী উদ্যোক্তা প্রায় ২২ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য অনুদান পেয়েছেন। জেলায় তিন বছরে নারী উদ্যোক্তাদের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ এবং ২৫০ জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং ই-মার্কেটের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে দেশের অর্থনৈতিক সূচকে ইতিবাচক দিক ফুটে উঠেছে।’

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
২ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৩ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৪ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৫ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হল
২৭ মার্চ ২০২৪
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৩ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৪ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৫ ঘণ্টা আগেব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হল
২৭ মার্চ ২০২৪
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
২ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৪ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৫ ঘণ্টা আগেকেনিয়ার ‘ইঙ্কড সিস্টারহুড’
ফিচার ডেস্ক

পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন, পরিবর্তনের ডাক দেওয়া একটি নীরব আন্দোলন এই বাইক যাত্রা। এই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা। এই দলের নাম ইঙ্কড সিস্টারহুড। দলটি পরিণত হয়েছে সংহতি ও নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গভীর সৌহার্দ্যের প্রতীকে।
২০১৭ সালে নাইরোবির একটি রাইডিং স্কুল থেকে তাদের যাত্রা শুরু। এর সদস্যরা একটি বিশেষ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু পুরুষেরাই মোটরসাইকেল চালানো উপভোগ করেন, এমন ধারণা তাঁরা ভেঙে দিতে চান। এই দলের সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী লুসি মোনিয়েন্যে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা শতাধিক সদস্যে উন্নীত হয়েছি। এই সংখ্যা বাড়ছে আবার কমছেও। কারণ, জীবনে নানা ঘটনা ঘটে।’ প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ইঙ্কড সিস্টারহুড নামের এই ক্লাব কেনিয়ার প্রচলিত আইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত। এই ক্লাবের মাধ্যমে নারীরা মোটরসাইকেল চালানোকে স্বাধীনতার প্রতীক এবং করপোরেট চাকরি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ইঙ্কড সিস্টারহুড শখের ক্লাব নয়, এটি কেনিয়ার নারীদের সামাজিক ও মানসিক সমর্থনেরও উৎস।
এর সদস্যরা সড়কের নিরাপত্তা প্রচার এবং দাতব্য রাইড, বৃক্ষরোপণ, স্মৃতি রাইড এবং লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রচারণার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহত্তর কমিউনিটিকে সহায়তা করছেন। তাঁদের মার্কেটিং পরামর্শক ও রাইডার আমান্ডা খামাতি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কারও সন্তান হলে বা কেউ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, আমরা তাঁর পরিবারে যাই। শুধু বাইকিং নয়, আমরা একসঙ্গে সামাজিকতা করি এবং সময় কাটাই।’
কেউ কেউ এই শখকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। সমাজবিজ্ঞানী কিসিয়ানান কেনানা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বসলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়। সবাই ভাবে, রাইডিং শুধু পুরুষদের জন্য। আর আমি সেই নারীদের একজন, যারা দেখাতে এসেছে, এটা সবাই করতে পারে।’
পুরুষতান্ত্রিক ধারণার পরিবর্তন
কেনিয়ার নারীরা শিক্ষা, রাজনীতি ও খেলাধুলায় এগিয়ে এলেও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখনো। কেনিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে এখনো এমন গ্রাম আছে, যেগুলোর তিন মিটার গভীর কংক্রিটের ট্যাংক থেকে পানি নিতে হয়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করে নারীরা। উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। এমন সামাজিক অবস্থায় এই নারী বাইকারদের যাত্রাকে উল্টো ধারারই বলতে হবে। এই বাইকারদের বড় বাধা কেনিয়ার সামাজিক পুরোনো স্টেরিওটাইপ ধারণা।
এ বিষয়ে কেনানা বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, একজন নারী বাইকার পুরুষদের চেয়ে ধীরে চালাবে, তারা লম্বা দূরত্বে যেতে পারবে না, তারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া তারা টমবয়, জেদি এবং শুধু অ্যাড্রেনালিন পছন্দ করে। হ্যাঁ, শেষ অংশটি হয়তো সত্যি হতে পারে, কিন্তু বাকিটা...।’
গত কয়েক বছরে ইঙ্কড সিস্টারহুডের সদস্যদের সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্যাক্স পরামর্শক এবং মোটরবাইকপ্রেমী মাইকেল ওথিয়েনো বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, নারীরা আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের সন্ধান করেন এবং এতে তাঁরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা হেলমেট খুললে তার নিচে ড্রেডলকস বা বিনুনি দেখা যাবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, তাঁরা বাইকিং মন থেকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা পুরুষের মতোই দক্ষ। কেউ কেউ তো আরও ভালো।’
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ

পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন, পরিবর্তনের ডাক দেওয়া একটি নীরব আন্দোলন এই বাইক যাত্রা। এই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা। এই দলের নাম ইঙ্কড সিস্টারহুড। দলটি পরিণত হয়েছে সংহতি ও নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গভীর সৌহার্দ্যের প্রতীকে।
২০১৭ সালে নাইরোবির একটি রাইডিং স্কুল থেকে তাদের যাত্রা শুরু। এর সদস্যরা একটি বিশেষ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু পুরুষেরাই মোটরসাইকেল চালানো উপভোগ করেন, এমন ধারণা তাঁরা ভেঙে দিতে চান। এই দলের সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী লুসি মোনিয়েন্যে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা শতাধিক সদস্যে উন্নীত হয়েছি। এই সংখ্যা বাড়ছে আবার কমছেও। কারণ, জীবনে নানা ঘটনা ঘটে।’ প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ইঙ্কড সিস্টারহুড নামের এই ক্লাব কেনিয়ার প্রচলিত আইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত। এই ক্লাবের মাধ্যমে নারীরা মোটরসাইকেল চালানোকে স্বাধীনতার প্রতীক এবং করপোরেট চাকরি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ইঙ্কড সিস্টারহুড শখের ক্লাব নয়, এটি কেনিয়ার নারীদের সামাজিক ও মানসিক সমর্থনেরও উৎস।
এর সদস্যরা সড়কের নিরাপত্তা প্রচার এবং দাতব্য রাইড, বৃক্ষরোপণ, স্মৃতি রাইড এবং লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রচারণার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহত্তর কমিউনিটিকে সহায়তা করছেন। তাঁদের মার্কেটিং পরামর্শক ও রাইডার আমান্ডা খামাতি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কারও সন্তান হলে বা কেউ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, আমরা তাঁর পরিবারে যাই। শুধু বাইকিং নয়, আমরা একসঙ্গে সামাজিকতা করি এবং সময় কাটাই।’
কেউ কেউ এই শখকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। সমাজবিজ্ঞানী কিসিয়ানান কেনানা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বসলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়। সবাই ভাবে, রাইডিং শুধু পুরুষদের জন্য। আর আমি সেই নারীদের একজন, যারা দেখাতে এসেছে, এটা সবাই করতে পারে।’
পুরুষতান্ত্রিক ধারণার পরিবর্তন
কেনিয়ার নারীরা শিক্ষা, রাজনীতি ও খেলাধুলায় এগিয়ে এলেও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখনো। কেনিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে এখনো এমন গ্রাম আছে, যেগুলোর তিন মিটার গভীর কংক্রিটের ট্যাংক থেকে পানি নিতে হয়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করে নারীরা। উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। এমন সামাজিক অবস্থায় এই নারী বাইকারদের যাত্রাকে উল্টো ধারারই বলতে হবে। এই বাইকারদের বড় বাধা কেনিয়ার সামাজিক পুরোনো স্টেরিওটাইপ ধারণা।
এ বিষয়ে কেনানা বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, একজন নারী বাইকার পুরুষদের চেয়ে ধীরে চালাবে, তারা লম্বা দূরত্বে যেতে পারবে না, তারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া তারা টমবয়, জেদি এবং শুধু অ্যাড্রেনালিন পছন্দ করে। হ্যাঁ, শেষ অংশটি হয়তো সত্যি হতে পারে, কিন্তু বাকিটা...।’
গত কয়েক বছরে ইঙ্কড সিস্টারহুডের সদস্যদের সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্যাক্স পরামর্শক এবং মোটরবাইকপ্রেমী মাইকেল ওথিয়েনো বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, নারীরা আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের সন্ধান করেন এবং এতে তাঁরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা হেলমেট খুললে তার নিচে ড্রেডলকস বা বিনুনি দেখা যাবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, তাঁরা বাইকিং মন থেকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা পুরুষের মতোই দক্ষ। কেউ কেউ তো আরও ভালো।’
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হল
২৭ মার্চ ২০২৪
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
২ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৩ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন-সম্পর্কিত একটি ফরাসি নিবন্ধ অনুবাদ করেছিলেন অ্যাডা লাভলেস। শুধু তা-ই নয়, এর সঙ্গে তিনি নিজস্ব নোটসও যুক্ত করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি বার্নোলি সংখ্যা গণনার জন্য একটি ধাপে ধাপে নির্দেশনা বা অ্যালগরিদম তৈরি করেন। তাঁর এই অ্যালগরিদম যেন মেশিন দিয়ে সম্পাদনা করা যায়, সেভাবে ডিজাইন হয়েছিল। এই অ্যালগরিদমকে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে গণ্য করা হয়। অ্যাডা লাভলেসই প্রথম উপলব্ধি করেন, অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনটি শুধু গাণিতিক হিসাব-নিকাশের বাইরেও বর্ণ, প্রতীক বা সাংকেতিক তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে। যেমন সংগীত। এই ধারণা ভিত্তি স্থাপন করে আধুনিক কম্পিউটিংয়ের।
অ্যাডার এই দূরদর্শী কাজের জন্য চার্লস ব্যাবেজ তাঁকে ‘দ্য এনসেনট্রেস অব নম্বরস’ বা সংখ্যার জাদুকর নামে আখ্যায়িত করেন।
তাঁর সম্মানে একটি প্রোগ্রামিং ভাষার নামকরণ করা হয় অ্যাডা বা আদা। এটি ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে তৈরি করা আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষার নাম। অ্যাডার জন্ম ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর।

বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন-সম্পর্কিত একটি ফরাসি নিবন্ধ অনুবাদ করেছিলেন অ্যাডা লাভলেস। শুধু তা-ই নয়, এর সঙ্গে তিনি নিজস্ব নোটসও যুক্ত করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি বার্নোলি সংখ্যা গণনার জন্য একটি ধাপে ধাপে নির্দেশনা বা অ্যালগরিদম তৈরি করেন। তাঁর এই অ্যালগরিদম যেন মেশিন দিয়ে সম্পাদনা করা যায়, সেভাবে ডিজাইন হয়েছিল। এই অ্যালগরিদমকে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে গণ্য করা হয়। অ্যাডা লাভলেসই প্রথম উপলব্ধি করেন, অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনটি শুধু গাণিতিক হিসাব-নিকাশের বাইরেও বর্ণ, প্রতীক বা সাংকেতিক তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে। যেমন সংগীত। এই ধারণা ভিত্তি স্থাপন করে আধুনিক কম্পিউটিংয়ের।
অ্যাডার এই দূরদর্শী কাজের জন্য চার্লস ব্যাবেজ তাঁকে ‘দ্য এনসেনট্রেস অব নম্বরস’ বা সংখ্যার জাদুকর নামে আখ্যায়িত করেন।
তাঁর সম্মানে একটি প্রোগ্রামিং ভাষার নামকরণ করা হয় অ্যাডা বা আদা। এটি ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে তৈরি করা আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষার নাম। অ্যাডার জন্ম ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হল
২৭ মার্চ ২০২৪
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
২ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৩ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৪ ঘণ্টা আগে