নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা ‘ঘরের কাজের চাপ’ বলে মনে করেন দেশের ৮১ শতাংশ নারী। অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ বলেছেন, কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে তাঁদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা শিক্ষা।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) ‘কেয়ার রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড উইমেন ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ’ আয়োজিত শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত গবেষণায় এই তথ্য উঠে আসে। শ্রম জরিপের তথ্য ব্যবহার করে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও বিআইডিএস যৌথ উদ্যোগে গবেষণাটি করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, নারীরা পুরুষদের তুলনায় গড়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি সময় দেন ঘরের কাজে। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণীরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২০ ঘণ্টা ঘরের কাজে দেন, যেখানে একই বয়সী পুরুষেরা দেন মাত্র ৫ ঘণ্টা। এমনকি ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব নারীরাও পুরুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ সময় ব্যয় করেন গৃহস্থালি কাজে। ঘরে বসে কাজ করা নারীদের ক্ষেত্রেও বেকার নারীদের সঙ্গে গৃহস্থালি কাজের চাপের কোনো পার্থক্য নেই। তাঁরা একদিকে উৎপাদনশীল কাজ করছেন অন্যদিকে ঘরের কাজও সমানতালে সামলাচ্ছেন। ফলে দ্বিগুণ বোঝা বহন করতে হচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাজেদা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক ডা. সাজেদা আমিন। তিনি বলেন, যৌথ পরিবার নারীদের জন্য কিছুটা সহায়ক কাঠামো তৈরি করে। যৌথ পরিবারের নারীরা একক পরিবারের তুলনায় গড়ে উৎপাদনশীল কাজে দুই ঘণ্টা বেশি সময় পান এবং ঘরের কাজে প্রায় তিন ঘণ্টা কম সময় দিতে হয়। এর ফলে তাঁদের বাইরে গিয়ে কাজ করার সুযোগ বাড়ে। তবে শহরে যৌথ পরিবারের সংখ্যা কমে যাওয়ায় নারীরা সহায়তা কাঠামো হারাচ্ছেন।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক এ কে এনামুল হক বলেন, পোশাক খাতের নারীরা প্রতিদিন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে কাজে যান। অনেকের প্রায় এক থেকে দুই কিলোমিটারের বেশি হাঁটতে হয়। এ কারণে তাঁরা সন্তানদের সঙ্গে নিতে পারেন না। ফলে শিল্পকারখানার শিশুযত্ন কেন্দ্রগুলো খালি পড়ে থাকে। বাসার কাছাকাছি হলে এসব কেন্দ্র বেশি কার্যকরভাবে কাজে লাগত।
এনামুল হক আরও বলেন, শহুরে (আরবান) এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় অনেক নারীরা কাজ করতে যায় না। এই বিষয়ে কাজ করা উচিত।
বিআইডিএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমান বলেন, নারীর কাজের জন্য বাজারে চাহিদা তৈরি করতে হবে। নতুন কর্মসংস্থান খুব বেশি তৈরি হচ্ছে না, আর যে সুযোগ তৈরি হচ্ছে তার বড় অংশ পুরুষেরা নিয়ে নিচ্ছেন। চাকরির ক্ষেত্রে দুদিকে সমান সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন।
রুশিদান ইসলাম আরও বলেন, প্রযুক্তি ও আধুনিক খাতে নারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে হবে।
গ্রামীণ ও শহুরে নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও বৈষম্যের চিত্র উঠে আসে গবেষণায়। ২০১৩ সাল থেকে গ্রামে নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ বেড়েছে, শহরে তা কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে বাইরে কাজ করা নারীর হার ২০১০ সালের ৬৪ শতাংশ থেকে ২০১৬ সালে নেমে এসেছে ২১ শতাংশে, অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ৩৯ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে গ্রামে ঘরে বসে কাজের প্রবণতা বেড়েছে, যা অনানুষ্ঠানিক খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে।
সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, শুধু আনুষ্ঠানিক নয়, অনানুষ্ঠানিক ও গিগ অর্থনীতিতেও নারীর জন্য সহায়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। শিশু ও বৃদ্ধদের যত্ন সেবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সম্প্রসারণ করলে নারীরা আরও বেশি করে কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারবেন।
এ কে এনামুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের নারী বিভাগের উপপ্রতিনিধি নবনীতা সিনহা। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক উম্মে বুশরা ফাতেমা সুলতানা, বিআইডিএসের গবেষক ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।
শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা ‘ঘরের কাজের চাপ’ বলে মনে করেন দেশের ৮১ শতাংশ নারী। অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ বলেছেন, কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে তাঁদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা শিক্ষা।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) ‘কেয়ার রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড উইমেন ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ’ আয়োজিত শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত গবেষণায় এই তথ্য উঠে আসে। শ্রম জরিপের তথ্য ব্যবহার করে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও বিআইডিএস যৌথ উদ্যোগে গবেষণাটি করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, নারীরা পুরুষদের তুলনায় গড়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি সময় দেন ঘরের কাজে। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণীরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২০ ঘণ্টা ঘরের কাজে দেন, যেখানে একই বয়সী পুরুষেরা দেন মাত্র ৫ ঘণ্টা। এমনকি ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব নারীরাও পুরুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ সময় ব্যয় করেন গৃহস্থালি কাজে। ঘরে বসে কাজ করা নারীদের ক্ষেত্রেও বেকার নারীদের সঙ্গে গৃহস্থালি কাজের চাপের কোনো পার্থক্য নেই। তাঁরা একদিকে উৎপাদনশীল কাজ করছেন অন্যদিকে ঘরের কাজও সমানতালে সামলাচ্ছেন। ফলে দ্বিগুণ বোঝা বহন করতে হচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাজেদা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক ডা. সাজেদা আমিন। তিনি বলেন, যৌথ পরিবার নারীদের জন্য কিছুটা সহায়ক কাঠামো তৈরি করে। যৌথ পরিবারের নারীরা একক পরিবারের তুলনায় গড়ে উৎপাদনশীল কাজে দুই ঘণ্টা বেশি সময় পান এবং ঘরের কাজে প্রায় তিন ঘণ্টা কম সময় দিতে হয়। এর ফলে তাঁদের বাইরে গিয়ে কাজ করার সুযোগ বাড়ে। তবে শহরে যৌথ পরিবারের সংখ্যা কমে যাওয়ায় নারীরা সহায়তা কাঠামো হারাচ্ছেন।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক এ কে এনামুল হক বলেন, পোশাক খাতের নারীরা প্রতিদিন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে কাজে যান। অনেকের প্রায় এক থেকে দুই কিলোমিটারের বেশি হাঁটতে হয়। এ কারণে তাঁরা সন্তানদের সঙ্গে নিতে পারেন না। ফলে শিল্পকারখানার শিশুযত্ন কেন্দ্রগুলো খালি পড়ে থাকে। বাসার কাছাকাছি হলে এসব কেন্দ্র বেশি কার্যকরভাবে কাজে লাগত।
এনামুল হক আরও বলেন, শহুরে (আরবান) এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় অনেক নারীরা কাজ করতে যায় না। এই বিষয়ে কাজ করা উচিত।
বিআইডিএসের সাবেক গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমান বলেন, নারীর কাজের জন্য বাজারে চাহিদা তৈরি করতে হবে। নতুন কর্মসংস্থান খুব বেশি তৈরি হচ্ছে না, আর যে সুযোগ তৈরি হচ্ছে তার বড় অংশ পুরুষেরা নিয়ে নিচ্ছেন। চাকরির ক্ষেত্রে দুদিকে সমান সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন।
রুশিদান ইসলাম আরও বলেন, প্রযুক্তি ও আধুনিক খাতে নারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে হবে।
গ্রামীণ ও শহুরে নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও বৈষম্যের চিত্র উঠে আসে গবেষণায়। ২০১৩ সাল থেকে গ্রামে নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ বেড়েছে, শহরে তা কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে বাইরে কাজ করা নারীর হার ২০১০ সালের ৬৪ শতাংশ থেকে ২০১৬ সালে নেমে এসেছে ২১ শতাংশে, অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ৩৯ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে গ্রামে ঘরে বসে কাজের প্রবণতা বেড়েছে, যা অনানুষ্ঠানিক খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে।
সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, শুধু আনুষ্ঠানিক নয়, অনানুষ্ঠানিক ও গিগ অর্থনীতিতেও নারীর জন্য সহায়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। শিশু ও বৃদ্ধদের যত্ন সেবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সম্প্রসারণ করলে নারীরা আরও বেশি করে কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারবেন।
এ কে এনামুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের নারী বিভাগের উপপ্রতিনিধি নবনীতা সিনহা। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক উম্মে বুশরা ফাতেমা সুলতানা, বিআইডিএসের গবেষক ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।
লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল কমিটি তাঁকে নোবেল দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, ‘ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের
১৪ ঘণ্টা আগেজেসমিন পাথেইয়া শুধু একজন শিল্পী কিংবা উদ্যোক্তা নন; তিনি ভারতের রাস্তায় নারীদের প্রতি হয়রানি এবং লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার এক সাহসী কণ্ঠস্বর। কলেজজীবনে নিজে রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআমি বাবার বাসায় থাকা অবস্থায় স্বামী আরেকটি বিয়ে করে। সে জানায়, আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু আমি আজ এক বছরেও কোনো নোটিশ পাইনি। তার বিয়ের পরপরই এক পারিবারিক আইনজীবীর সাহায্যে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। আইন ও মামলা বিষয়ে আমার ধারণা না থাকায় আইনজীবী যা বলেছেন, তা-ই করেছি।
১৪ ঘণ্টা আগেঅ্যাবিগেল স্কট ডুনিওয়ে ছিলেন একজন প্রখ্যাত আমেরিকান নারী অধিকারকর্মী, সম্পাদক ও লেখক। তিনি ওরেগনের মাল্টনোমাহ কাউন্টিতে প্রথম নারী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ২০টির বেশি উপন্যাস লিখেছিলেন।
১৪ ঘণ্টা আগে