আমিনুল ইসলাম নাবিল, ঢাকা
নেপালের পোখারায় গত রোববার বিধ্বস্ত হয় ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটির ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রুর কেউই হয়তো আর বেঁচে নেই। এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৭০টি মরদেহ। নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর উঠে আসছে একের পর এক হৃদয়স্পর্শী গল্প। কদিন আগেও যাঁরা ছিলেন প্রাণবন্ত, আজ তাঁরা সবাই অতীত!
একরাশ স্বপ্ন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে উড়োজাহাজ চালানোকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন অঞ্জু খাতিওয়াদা। ২০১০ সাল থেকে কো-পাইলট হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। মর্মান্তিক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় জীবনাবসান হয়েছে তাঁর। স্বপ্নের সেই ককপিটেই শেষ হয়েছে সংগ্রামী এই নারীর জীবন।
অঞ্জুর এই পেশায় আসার পেছনেও ছিল এক বেদনাদায়ক দুর্ঘটনার গল্প। অঞ্জুর স্বামী দীপক পোখরেল এমনই এক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১৬ বছর আগে প্রাণ হারিয়েছিলেন। ২০০৬ সালে একই এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তখন থেকেই স্বামীর মতো পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন অঞ্জু। সফলতাও এসে ধরা দেয়। অনেক বাধা অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে পাইলটিং কোর্স শেষ করে ২০১০ সালে নেপালে ফেরেন অঞ্জু। তখন থেকেই তাঁর আকাশে ডানা মেলে ওড়ার শুরু।
বিশ্ব মিডিয়ায়ও এই নারীর সংগ্রামী গল্প উঠে এসেছে। সবার কণ্ঠে এখন বিষাদের সুর। আর কয়েকটা দিন পেরোলেই ক্যাপ্টেন হওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যেতেন অঞ্জু। ইয়েতি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৬৯১ উড়োজাহাজটি সফলভাবে পোখারায় নামলেই মিলত এই প্রাপ্তি। কিন্তু ভাগ্যের কাছে হার মেনে তাঁকে চলে যেতে হলো এই পৃথিবীর মায়া ছেড়েই।
অঞ্জুর এক আত্মীয় আক্ষেপ করে নেপালি সংবাদমাধ্যম ‘লোকান্তর’কে বলেছেন, ‘এ এক বিরল কাকতালীয় ঘটনা, স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই ছিলেন পাইলট। দুজনের মৃত্যুই হলো বিমান দুর্ঘটনায়।’
অঞ্জুর পরিবারের এক সদস্য সন্তোষ শর্মা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি এক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নারী ছিলেন। নিজের ও স্বামীর স্বপ্নপূরণে তিনি অবিরাম কাজ করে গেছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কো-পাইলট অঞ্জুর ৬ হাজার ৪০০ ঘণ্টার বেশি উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা ছিল!
ইয়েতি এয়ারলাইনসের সুদর্শন বরতৌলা জানিয়েছেন, অঞ্জু এয়ারলাইনে একজন পূর্ণ অধিনায়ক ছিলেন। তিনি একক ফ্লাইটও পরিচালনা করেছিলেন। অঞ্জু একজন সাহসী নারী ছিলেন।
নেপালের পোখারায় গত রোববার বিধ্বস্ত হয় ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটির ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রুর কেউই হয়তো আর বেঁচে নেই। এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৭০টি মরদেহ। নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর উঠে আসছে একের পর এক হৃদয়স্পর্শী গল্প। কদিন আগেও যাঁরা ছিলেন প্রাণবন্ত, আজ তাঁরা সবাই অতীত!
একরাশ স্বপ্ন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে উড়োজাহাজ চালানোকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন অঞ্জু খাতিওয়াদা। ২০১০ সাল থেকে কো-পাইলট হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। মর্মান্তিক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় জীবনাবসান হয়েছে তাঁর। স্বপ্নের সেই ককপিটেই শেষ হয়েছে সংগ্রামী এই নারীর জীবন।
অঞ্জুর এই পেশায় আসার পেছনেও ছিল এক বেদনাদায়ক দুর্ঘটনার গল্প। অঞ্জুর স্বামী দীপক পোখরেল এমনই এক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১৬ বছর আগে প্রাণ হারিয়েছিলেন। ২০০৬ সালে একই এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তখন থেকেই স্বামীর মতো পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন অঞ্জু। সফলতাও এসে ধরা দেয়। অনেক বাধা অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে পাইলটিং কোর্স শেষ করে ২০১০ সালে নেপালে ফেরেন অঞ্জু। তখন থেকেই তাঁর আকাশে ডানা মেলে ওড়ার শুরু।
বিশ্ব মিডিয়ায়ও এই নারীর সংগ্রামী গল্প উঠে এসেছে। সবার কণ্ঠে এখন বিষাদের সুর। আর কয়েকটা দিন পেরোলেই ক্যাপ্টেন হওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যেতেন অঞ্জু। ইয়েতি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৬৯১ উড়োজাহাজটি সফলভাবে পোখারায় নামলেই মিলত এই প্রাপ্তি। কিন্তু ভাগ্যের কাছে হার মেনে তাঁকে চলে যেতে হলো এই পৃথিবীর মায়া ছেড়েই।
অঞ্জুর এক আত্মীয় আক্ষেপ করে নেপালি সংবাদমাধ্যম ‘লোকান্তর’কে বলেছেন, ‘এ এক বিরল কাকতালীয় ঘটনা, স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই ছিলেন পাইলট। দুজনের মৃত্যুই হলো বিমান দুর্ঘটনায়।’
অঞ্জুর পরিবারের এক সদস্য সন্তোষ শর্মা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি এক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নারী ছিলেন। নিজের ও স্বামীর স্বপ্নপূরণে তিনি অবিরাম কাজ করে গেছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কো-পাইলট অঞ্জুর ৬ হাজার ৪০০ ঘণ্টার বেশি উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা ছিল!
ইয়েতি এয়ারলাইনসের সুদর্শন বরতৌলা জানিয়েছেন, অঞ্জু এয়ারলাইনে একজন পূর্ণ অধিনায়ক ছিলেন। তিনি একক ফ্লাইটও পরিচালনা করেছিলেন। অঞ্জু একজন সাহসী নারী ছিলেন।
তখনো স্নাতক শেষ হয়নি তাঁর। ইচ্ছা হলো, ব্যবসায়ী বাবার প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন। গেলেন বাবার সঙ্গে কথা বলতে। বাবা বললেন, আগে অন্য কোথাও কাজ শিখে এসো। এরপর তিনি নামলেন চাকরির খোঁজে। সে যাত্রা শুরু ১৯৯৬ সালে। ওই বছরই কাজ পান একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে।
২ দিন আগেরাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা। এখানে প্রধান সড়কের পাশে একটি দালানের দ্বিতীয় তলার ছাদের দিকে চোখ গেলে একটু ঘোর লাগে সবার। গাছপালায় ঘেরা, সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল এই ছাদে আছে একটি ক্যাফে। এর নাম ওরেন্ডা অ্যান্ড বিনস।
২ দিন আগেস্কুল, কলেজ ও নারীদের উন্নয়নে উদার হাতে অর্থ দান করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন এক নারী। তাঁর নাম মেরি গ্যারেট। তিনি ১৮৯৩ সালে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলকে একটি শর্ত দিয়ে অর্থ দান করেছিলেন। মেরি গ্যারেটের শর্ত ছিল, এই প্রতিষ্ঠানকে নারী...
২ দিন আগেমৃত্যুদণ্ড দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায়, এমন প্রমাণাদি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিঙ্গভিত্তিক...
৭ দিন আগে