ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
২৫ নভেম্বর সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালন করা হবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। মানসিক নির্যাতন থেকেই শারীরিক নির্যাতনের শুরু। তাই চুপ না থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নির্যাতনের শিকার হলেই সরকারের জাতীয় টোল ফ্রি ১০৯ নম্বরে যোগাযোগ করা উচিত ভিকটিমদের।
নারী ও শিশু নির্যাতন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা দমনে ১৯৮৩ সালে আমাদের দেশে বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হয়। পরে ১৯৯৫ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন পাস করা হয়। তবে আইনটি বাতিল করে ২০০০ সালে নতুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন হয়। আইনটি আরও শক্তিশালী করতে ২০০৩ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন প্রণয়ন করা হয়।
এ ছাড়া নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আরও কিছু আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা ২০১৮, ডিএনএ আইন ২০১৪, ডিএনএ বিধিমালা ২০১৮, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮।
অ্যাসিড-সন্ত্রাস দমন আইন ২০০২, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০সহ বিভিন্ন আইন রয়েছে দেশে। নারী নীতিসহ আরও কিছু আইন আছে, যেখানে পরোক্ষভাবে নারীর অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। দেশে প্রথমবার নারীনীতি আইন প্রণয়ন করা হয় ১৯৯৭ সালে। এরপর ২০০৪ ও ২০০৮ সালে তা সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালে পুনরায় নারীনীতি প্রণয়ন হয়।
আবার পুরুষকে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে আইন না থাকলেও মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ মোতাবেক নারীদের বিবাহবিচ্ছেদেরও অধিকার দেওয়া হয়। পারিবারিক আইনে নারীর অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু সামাজিকভাবে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি না থাকায় নারী তাঁর প্রাপ্য অধিকার থেকে প্রায়ই বঞ্চিত হন।
কর্মক্ষেত্রে হেনস্তা, গার্হস্থ্য হিংসা, যৌন নিগ্রহ, মানসিক অত্যাচার—এসবই একজন সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের মনের ওপর অনেক প্রভাব ফেলে। এ ধরনের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে ঘটতে থাকলে ব্যক্তির শরীর ও মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করার প্রয়োজন তো রয়েছেই, তার থেকেও জরুরি হলো সঠিক সময়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। দেশের আইনে শারীরিক নির্যাতন তো বটেই, এমনকি মানসিক অত্যাচার বা বুলিংয়ের মতো আপাতসাধারণ ঘটনাও যে শাস্তিযোগ্য অপরাধ, অনেকেই তা জানেন না। জানলেও নানা কারণে আইনি ঝামেলায় যেতে চান না। এতে অপরাধীও আইনের হাত থেকে বেঁচে যায় এবং তার অপরাধপ্রবণতাও বেড়ে যায়। মূলত এখানেই সচেতনতার প্রয়োজন। আইনে কোন অপরাধের জন্য কী ধরনের শাস্তির পরিসর রয়েছে বা কোন ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানো যেতে পারে, সেই বিষয়ে প্রত্যেকেরই অন্তত প্রাথমিক ধারণা থাকা দরকার।
দেশে নারীদের জন্য আলাদা আইন ও নারীনীতি রয়েছে। তাই আক্রান্তের সচেতনতা যেমন দরকার, তেমনি প্রশাসন, পরিবার ও সমাজেরও দরকার তাঁদের পাশে দাঁড়ানো; অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তি প্রশাসন ও আইনের দ্বারস্থ হলে তাঁকে যেন হেনস্তা হতে না হয়, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। অনেক ঘটনায় ভিকটিম অভিযোগ করতেই ভয় পান। শুধু এ জন্য তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় অথবা তাঁকে আরও হেনস্তার মুখে পড়তে হয়।
যদি একজন নারীও আইনের সুবিধা না পান, তবে আইন থেকে যাবে কাগজে-কলমে। তাই জরুরি বিষয় হলো, প্রতিটি আক্রান্তের মন থেকে সব ভয় মুছে ফেলা। চাপের মুখে গুটিয়ে না গিয়ে অত্যাচারীকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে আইনের দ্বারস্থ হওয়া।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
২৫ নভেম্বর সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালন করা হবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। মানসিক নির্যাতন থেকেই শারীরিক নির্যাতনের শুরু। তাই চুপ না থেকে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নির্যাতনের শিকার হলেই সরকারের জাতীয় টোল ফ্রি ১০৯ নম্বরে যোগাযোগ করা উচিত ভিকটিমদের।
নারী ও শিশু নির্যাতন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় তা দমনে ১৯৮৩ সালে আমাদের দেশে বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হয়। পরে ১৯৯৫ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন পাস করা হয়। তবে আইনটি বাতিল করে ২০০০ সালে নতুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন হয়। আইনটি আরও শক্তিশালী করতে ২০০৩ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন প্রণয়ন করা হয়।
এ ছাড়া নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আরও কিছু আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা ২০১৮, ডিএনএ আইন ২০১৪, ডিএনএ বিধিমালা ২০১৮, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮।
অ্যাসিড-সন্ত্রাস দমন আইন ২০০২, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০সহ বিভিন্ন আইন রয়েছে দেশে। নারী নীতিসহ আরও কিছু আইন আছে, যেখানে পরোক্ষভাবে নারীর অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। দেশে প্রথমবার নারীনীতি আইন প্রণয়ন করা হয় ১৯৯৭ সালে। এরপর ২০০৪ ও ২০০৮ সালে তা সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালে পুনরায় নারীনীতি প্রণয়ন হয়।
আবার পুরুষকে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে আইন না থাকলেও মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ মোতাবেক নারীদের বিবাহবিচ্ছেদেরও অধিকার দেওয়া হয়। পারিবারিক আইনে নারীর অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু সামাজিকভাবে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি না থাকায় নারী তাঁর প্রাপ্য অধিকার থেকে প্রায়ই বঞ্চিত হন।
কর্মক্ষেত্রে হেনস্তা, গার্হস্থ্য হিংসা, যৌন নিগ্রহ, মানসিক অত্যাচার—এসবই একজন সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের মনের ওপর অনেক প্রভাব ফেলে। এ ধরনের ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে ঘটতে থাকলে ব্যক্তির শরীর ও মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করার প্রয়োজন তো রয়েছেই, তার থেকেও জরুরি হলো সঠিক সময়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। দেশের আইনে শারীরিক নির্যাতন তো বটেই, এমনকি মানসিক অত্যাচার বা বুলিংয়ের মতো আপাতসাধারণ ঘটনাও যে শাস্তিযোগ্য অপরাধ, অনেকেই তা জানেন না। জানলেও নানা কারণে আইনি ঝামেলায় যেতে চান না। এতে অপরাধীও আইনের হাত থেকে বেঁচে যায় এবং তার অপরাধপ্রবণতাও বেড়ে যায়। মূলত এখানেই সচেতনতার প্রয়োজন। আইনে কোন অপরাধের জন্য কী ধরনের শাস্তির পরিসর রয়েছে বা কোন ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানো যেতে পারে, সেই বিষয়ে প্রত্যেকেরই অন্তত প্রাথমিক ধারণা থাকা দরকার।
দেশে নারীদের জন্য আলাদা আইন ও নারীনীতি রয়েছে। তাই আক্রান্তের সচেতনতা যেমন দরকার, তেমনি প্রশাসন, পরিবার ও সমাজেরও দরকার তাঁদের পাশে দাঁড়ানো; অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তি প্রশাসন ও আইনের দ্বারস্থ হলে তাঁকে যেন হেনস্তা হতে না হয়, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। অনেক ঘটনায় ভিকটিম অভিযোগ করতেই ভয় পান। শুধু এ জন্য তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় অথবা তাঁকে আরও হেনস্তার মুখে পড়তে হয়।
যদি একজন নারীও আইনের সুবিধা না পান, তবে আইন থেকে যাবে কাগজে-কলমে। তাই জরুরি বিষয় হলো, প্রতিটি আক্রান্তের মন থেকে সব ভয় মুছে ফেলা। চাপের মুখে গুটিয়ে না গিয়ে অত্যাচারীকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে আইনের দ্বারস্থ হওয়া।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এবং ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। একই সঙ্গে অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
১ দিন আগেদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যে সুফল পাওয়া যায়, সেই জায়গায় তাঁরা পিছিয়ে আছেন এখনো। যেমন এখন অনলাইনে সরকারি বিভিন্ন কাজ, কেনাকাটা, আর্থিক লেনদেন করা যায়। কিন্তু সঠিক তথ্য ও ব্যবহারের অভাবে প্রান্তিক নারীরা এসব সুবিধা নিতে পারছ
৩ দিন আগেকোভিড ইফেক্ট তাঁকেও আক্রান্ত করেছিল। উচ্চশিক্ষিত খাদিজা ভালো বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কোভিডকালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। সে সময় খাদিজা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। নিয়মমাফিক অফিস থেকে ছুটি চাইলে অফিস জানিয়ে দিল, চাকরিটা ছেড়ে দিতে পারেন। খাদিজা চাকরিটা ছেড়ে দিলেন। খাদিজা জা
৩ দিন আগেবাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউএন উইমেন নতুন এক অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ঢাকার ইইউ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তির আওতায় ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ জনপরিসর, কর্মক্ষেত্র এবং উচ্চশিক্
৩ দিন আগে