নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চট্টগ্রামের সদরঘাটের পাহাড় আর নদীঘেরা এলাকায় জন্ম স্বস্তিকার। কর্ণফুলী নদীর পাশেই বাড়ি। তার পাশেই একুশে পদকে ভূষিত বরেণ্য চিত্রশিল্পী মনসুর উল করিমের আবাস। ছোটবেলায় তাঁর কাছেই কাগজ, পেনসিল নিয়ে আঁকিবুঁকি করতে বসে যেত ছোট্ট স্বস্তিকা। সবাই বলত, সে নাকি লিখতে শেখার আগেই আঁকতে শিখেছে। পুরো নাম স্বস্তিকা ঘোষ।
ছোট্ট স্বস্তিকা বড় হয়ে পড়তে গেলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে। সেখানে হাতখরচ জোগাড়ে বেছে নিলেন আঁকিবুঁকিকেই। মায়ের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ধার নিয়ে কেনা রং আর কাঠ দিয়েই শুরু হলো তাঁর প্রতিষ্ঠান অনূঢ়া। নকশা করা কাঠের গয়না ছিল স্বস্তিকার প্রথম পণ্য। তবে অল্প দিনেই অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে অনূঢ়াকে আলাদা করার বিষয়টি মাথায় আসে তাঁর। শুরু হলো চিরুনি অভিযান—খুঁজতে হবে পরিবেশবান্ধব কাঠ।
কিন্তু কী এই পরিবেশবান্ধব কাঠ? অল্প সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানে পড়ালেখা করা স্বস্তিকা উত্তরও পেয়ে গেলেন। আমরাও জানতে চাইলাম, পরিবেশবান্ধব কাঠ বিষয়টি কী? স্বস্তিকা জানালেন, হার্ডবোর্ডের সঙ্গে কাগজ, কাঠের গুঁড়ি, বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা কাঠের অবশিষ্টাংশের মিশ্রণে তৈরি হয় পরিবেশবান্ধব কাঠ। এটি যথেষ্ট ভালো ও টেকসই হয় বিভিন্ন মিশ্রণের জন্য। শুধু পরিবেশবান্ধব কাঠই নয়, স্বস্তিকার পণ্যের প্যাকেজিংও ইকো-ফ্রেন্ডলি। বাবল র্যাপ না করে পাটের কাপড়ে মোড়ানো হয় অনূঢ়ার বিভিন্ন পণ্য। আর যে বাক্সে ডেলিভারি করা হয়, সেটিও বায়োডিগ্রেডেবল।
কাঠের ব্যাগের ভেতরে পণ্য সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয় ফেল্ট নামের একধরনের উপকরণ। স্বস্তিকা জানান, পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে চান।
২০১৯ সাল থেকে গয়না দিয়ে শুরু করলেও এখন ঘর সাজানোর বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে তাঁর প্রতিষ্ঠান। সঙ্গে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন জুনিয়র আর্টিস্ট। স্বস্তিকা জানান, বর্তমান ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গে পুরোনো দিনের ফ্যাশনের ফিউশন করেন তিনি। কাজের অভিজ্ঞতা থেকে স্বস্তিকা জানান, নান্দনিক জিনিসের চাহিদা এতটুকু কমেনি। দেশের ক্রেতারা তো বটেই, প্রবাসী বাঙালিরাও অনূঢ়ার পণ্য কেনেন।
চট্টগ্রামের পোস্ট অফিস লেনে একটি আউটলেট রয়েছে অনূঢ়ার। সেখান থেকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি আরও বেড়েছে। দেশের ঐতিহ্য পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার একটা মাধ্যম হবে অনূঢ়া—এমন স্বপ্ন দেখেন স্বস্তিকা।
চট্টগ্রামের সদরঘাটের পাহাড় আর নদীঘেরা এলাকায় জন্ম স্বস্তিকার। কর্ণফুলী নদীর পাশেই বাড়ি। তার পাশেই একুশে পদকে ভূষিত বরেণ্য চিত্রশিল্পী মনসুর উল করিমের আবাস। ছোটবেলায় তাঁর কাছেই কাগজ, পেনসিল নিয়ে আঁকিবুঁকি করতে বসে যেত ছোট্ট স্বস্তিকা। সবাই বলত, সে নাকি লিখতে শেখার আগেই আঁকতে শিখেছে। পুরো নাম স্বস্তিকা ঘোষ।
ছোট্ট স্বস্তিকা বড় হয়ে পড়তে গেলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে। সেখানে হাতখরচ জোগাড়ে বেছে নিলেন আঁকিবুঁকিকেই। মায়ের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ধার নিয়ে কেনা রং আর কাঠ দিয়েই শুরু হলো তাঁর প্রতিষ্ঠান অনূঢ়া। নকশা করা কাঠের গয়না ছিল স্বস্তিকার প্রথম পণ্য। তবে অল্প দিনেই অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে অনূঢ়াকে আলাদা করার বিষয়টি মাথায় আসে তাঁর। শুরু হলো চিরুনি অভিযান—খুঁজতে হবে পরিবেশবান্ধব কাঠ।
কিন্তু কী এই পরিবেশবান্ধব কাঠ? অল্প সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানে পড়ালেখা করা স্বস্তিকা উত্তরও পেয়ে গেলেন। আমরাও জানতে চাইলাম, পরিবেশবান্ধব কাঠ বিষয়টি কী? স্বস্তিকা জানালেন, হার্ডবোর্ডের সঙ্গে কাগজ, কাঠের গুঁড়ি, বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা কাঠের অবশিষ্টাংশের মিশ্রণে তৈরি হয় পরিবেশবান্ধব কাঠ। এটি যথেষ্ট ভালো ও টেকসই হয় বিভিন্ন মিশ্রণের জন্য। শুধু পরিবেশবান্ধব কাঠই নয়, স্বস্তিকার পণ্যের প্যাকেজিংও ইকো-ফ্রেন্ডলি। বাবল র্যাপ না করে পাটের কাপড়ে মোড়ানো হয় অনূঢ়ার বিভিন্ন পণ্য। আর যে বাক্সে ডেলিভারি করা হয়, সেটিও বায়োডিগ্রেডেবল।
কাঠের ব্যাগের ভেতরে পণ্য সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয় ফেল্ট নামের একধরনের উপকরণ। স্বস্তিকা জানান, পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে চান।
২০১৯ সাল থেকে গয়না দিয়ে শুরু করলেও এখন ঘর সাজানোর বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে তাঁর প্রতিষ্ঠান। সঙ্গে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন জুনিয়র আর্টিস্ট। স্বস্তিকা জানান, বর্তমান ফ্যাশন ট্রেন্ডের সঙ্গে পুরোনো দিনের ফ্যাশনের ফিউশন করেন তিনি। কাজের অভিজ্ঞতা থেকে স্বস্তিকা জানান, নান্দনিক জিনিসের চাহিদা এতটুকু কমেনি। দেশের ক্রেতারা তো বটেই, প্রবাসী বাঙালিরাও অনূঢ়ার পণ্য কেনেন।
চট্টগ্রামের পোস্ট অফিস লেনে একটি আউটলেট রয়েছে অনূঢ়ার। সেখান থেকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি আরও বেড়েছে। দেশের ঐতিহ্য পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার একটা মাধ্যম হবে অনূঢ়া—এমন স্বপ্ন দেখেন স্বস্তিকা।
মৃত্যুদণ্ড দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায়, এমন প্রমাণাদি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিঙ্গভিত্তিক...
৫ দিন আগেশিশুদের সাইকোলজি আগে বুঝতে হবে—যতটা সরলীকরণ করা যায়। পরের পাতায় কী আছে, এ রকম একটা কৌতূহল রাখি। রংটা খুব উজ্জ্বল থাকে। সামাজিক সচেতনতা বাড়ায়, চিন্তার বিকাশ ঘটায়—এমন কাজ করি। চরিত্রদের এক্সপ্রেশনে ব্যাপক ফান থাকতে হবে।
৬ দিন আগে‘বাংলাদেশের মেয়েরা সুযোগ পেলে সকলেই হিমালয় জয় করতে পারে।’ নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এমন কথাই জানিয়েছেন পাঁচ নারী পর্বতারোহী। ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত: তরুণীর অগ্রযাত্রা’ বিষয়ে এক আলাপচারিতায় এ কথা বলেন তাঁরা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তাঁরা
৬ দিন আগেআমার লেখার ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ের প্রতি আগ্রহ কিংবা স্বতঃস্ফূর্ততাকে প্রাধান্য দিই। শব্দ আমার কাছে স্রোতস্বিনী নদীর মতো। আমি অনেকের লেখা পড়ি। তবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন ভাইয়ের থ্রিলার ভাবনার আড্ডাগুলো থ্রিলার লেখার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমি তাঁর লেখার ভক্ত।
১৩ দিন আগে