Ajker Patrika

উত্তরণ

হৃদয়ের কথা শুনুন, ভালো থাকুন

ডা. ফারজানা রহমান 
ডা. ফারজানা রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ডা. ফারজানা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আমার বয়স ৩২ বছর, গৃহিণী। আমি আগে শিক্ষকতা করতাম। হঠাৎ পারিবারিক চাপে সেই চাকরি ছেড়ে দিতে হয়েছে। আমার শ্বশুরবাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। তারা চায় না আমি চাকরি করি। আমার ননদ একজন সমাজকর্মী। তিনি চান, আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করি। এতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমার চাকরি ছাড়িয়ে দেওয়াটা মেনে নিতে পারছি না। তার আগে প্রতিদিন অশান্তিও মানতে পারতাম না বলে চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এখন বলেন, সংগঠন করো। আমার কোনো সন্তান নেই। কথা বলার মানুষ নেই, পরামর্শ দেওয়ারও মানুষ নেই। দিন দিন ঘরকুনো হয়ে যাচ্ছি। এভাবে আর নিজেকে মেনে নিতে পারছি না।

মোহনা, ঢাকা

আপনার মতো অনেকে এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়। শ্বশুরবাড়ির অর্থনৈতিক সামর্থ্য বা স্বামীর আর্থিক সংগতির সঙ্গে নারীর পেশাগত জীবনকে মিলিয়ে না ফেলাই ভালো। প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটা নিজস্ব ভালো লাগার জায়গা থাকা দরকার।

শিক্ষকতা অসাধারণ এক পেশা। শিশু-কিশোরদের সঙ্গে থাকলে হয়তো আপনার মন ও সময় সুন্দর কাটত। আমার মনে হয়, এবার আপনি আপনার সমাজকর্মী ননদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। তাঁকে জানান, একেকজনের কাছে কাজের অর্থ একেক রকম। আপনি পড়াতে ভালোবাসেন। সে কারণে কাজের রুটিনমাফিক ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কাজের চেয়ে আপনার বেশি ভালো লাগে।

আর এটিও তাঁকে এবং বিশেষ করে আপনার স্বামীকে বুঝতে দিন যে এভাবে চাপিয়ে দেওয়া কোনো কাজ আসলে কাজ তো নয়ই, ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপও বটে।

আপনার হৃদয়ের কথা শুনুন। আবার চাকরি শুরু করুন। আশা করি আপনি ভালো থাকবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত