সঙ্গীতা ইমাম
আজকের বাংলাদেশে অনেক নারী উদ্যোক্তাকে আমরা দেখি, যাঁরা দোর্দণ্ড প্রতাপে ব্যবসা করছেন। আবার ছোট ছোট, নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার জন্য বহু সংস্থাও পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমি যে সময়টার কথা বলছি, তখন নারী উদ্যোক্তা হবেন, সেভাবে তিনি নিজেও সম্ভবত খুব জোর দিয়ে ভাবতেন না। হাতে গোনা দুচারজনের কথা আলাদা। আমি সার্বিকভাবে সে সময়ের চিত্রটি তুলে ধরলাম। তখন নারী উদ্যোক্তা বলতে গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, রোকিয়া আফজাল রহমানের মতো দু-একটি নামই শোনা যেত, যাঁরা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন।
বলছি গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের কথা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতেও তখন নানা পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ব পটভূমিও বদলে যাচ্ছে খুব দ্রুত। হঠাৎ এক ব্যবসায়ী বন্ধু আমাকে বললেন, মাইডাস কিছু মিনি মার্ট করবে এবং সেখানে শুধু নারী উদ্যোক্তারাই দোকান করতে পারবেন। তিনি জানতে চাইলেন, আমি উৎসাহী কি না।
স্কুলে তখন খণ্ডকালীন চাকরি করি। জীবন চালাতে, ছেলেদের লেখাপড়া চালাতে তখন কিছু একটা করা খুব দরকার আমার। তাই খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই জানালাম, করব। কিন্তু ব্যবসার কিছুই আমি বুঝি না। পারিবারিকভাবেও ব্যবসার সঙ্গে তেমন কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। ফলে কারও কাছ থেকে পরামর্শ নেব, সে সুযোগও আমার নেই।
প্রথম দিন ধানমন্ডি মাইডাস অফিসে গেলাম। কাগজপত্র জমা নিলেন। বলা হলো, আমাদের সঙ্গে এই প্রজেক্টের স্বপ্নদ্রষ্টা কথা বলবেন। আমরা অপেক্ষা করছি। অপেক্ষার প্রহর খুব একটা দীর্ঘ না করে, হিলের শব্দ তুলে বয়কাট চুলের অসামান্য সুন্দরী একজন প্রবেশ করলেন। চোখমুখে হাসি ঝরছিল তাঁর। ঘরে ঢুকেই তাঁর হাসি আর সম্ভাষণে সবাইকে আপন করে নিলেন। নিজের নাম জানালেন–রোকিয়া আফজাল রহমান। তিনি মাইডাস ফিন্যান্সের চেয়ারপারসন। কেউ কেউ তাঁকে আগে থেকেই জানতেন। তাঁরা গিয়ে কথা বললেন। আমাকে দূরে বসে থাকতে দেখে নিজেই ডেকে জানতে চাইলেন, কী করি। তারপর সবার উদ্দেশে তিনি কথা বললেন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ার ভালো দিক, মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করলেন। সফল হওয়ার মন্ত্রটিও বাতলে দিলেন সহাস্যে। আমাদের দেখে তিনি যে কতটা উৎসাহিত হয়েছিলেন, তা-ও জানালেন। তিন দিনের একটি প্রশিক্ষণ নিতে হবে, সেটাও জানিয়ে দিলেন।
প্রশিক্ষণের কথা শুনেই আমি ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ, আমি তো স্কুলে চাকরি করি। স্কুল কামাই করে তো প্রশিক্ষণ নিতে পারব না। তখন রোকিয়া আপাই অভয় দিয়ে বললেন, শুক্রবারে হবে প্রশিক্ষণ। আশ্বস্ত হলাম। আমাদের সঙ্গে করে রোকিয়া আপা দোকানের স্থানটি দেখাতেও নিয়ে গেলেন। যাওয়ার পথে গাড়িতে গল্প হলো খুব। আমার পরিবারের কথা শুনে বললেন, এখন থেকে তাহলে আর ‘আপা’ ডাকা চলবে না, ‘আন্টি’ ডাকতে হবে। কিন্তু তাঁকে ‘আন্টি’ বলা হয়ে ওঠেনি কখনোই। সারা জীবন আপাই ডেকেছি। সে সময় তিনি কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। নারী উদ্যোক্তা ফেডারেশনের প্রধান।
রোকিয়া আফজাল রহমানের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬২ সালে ব্যাংকে চাকরির মাধ্যমে। মাত্র দুই বছরের মধ্যে তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম নারী ব্যাংক ম্যানেজার হয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে ঋণ নিয়ে তিনি মুন্সিগঞ্জে একটি কোল্ডস্টোরেজ কেনেন। এই কোল্ডস্টোরেজের ফলে দেড় শতাধিক আলুচাষী উপকৃত হন। তিনি একজন সফল অ্যাগ্রো ব্যবসায়ীও ছিলেন।
আজ বহু নারী তাঁর দেখানো পথে হেঁটে, তাঁর দেওয়া নিঃশর্ত ঋণে ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যে স্বপ্ন রোকিয়া আপা দেখেছিলেন। আজ উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নারীদের দেখলে মনে হয়, তাঁর সে স্বপ্ন যেন সফলতার পথে হাঁটছে। রোকিয়া আপার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা।
আজকের বাংলাদেশে অনেক নারী উদ্যোক্তাকে আমরা দেখি, যাঁরা দোর্দণ্ড প্রতাপে ব্যবসা করছেন। আবার ছোট ছোট, নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার জন্য বহু সংস্থাও পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমি যে সময়টার কথা বলছি, তখন নারী উদ্যোক্তা হবেন, সেভাবে তিনি নিজেও সম্ভবত খুব জোর দিয়ে ভাবতেন না। হাতে গোনা দুচারজনের কথা আলাদা। আমি সার্বিকভাবে সে সময়ের চিত্রটি তুলে ধরলাম। তখন নারী উদ্যোক্তা বলতে গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, রোকিয়া আফজাল রহমানের মতো দু-একটি নামই শোনা যেত, যাঁরা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন।
বলছি গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের কথা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতেও তখন নানা পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ব পটভূমিও বদলে যাচ্ছে খুব দ্রুত। হঠাৎ এক ব্যবসায়ী বন্ধু আমাকে বললেন, মাইডাস কিছু মিনি মার্ট করবে এবং সেখানে শুধু নারী উদ্যোক্তারাই দোকান করতে পারবেন। তিনি জানতে চাইলেন, আমি উৎসাহী কি না।
স্কুলে তখন খণ্ডকালীন চাকরি করি। জীবন চালাতে, ছেলেদের লেখাপড়া চালাতে তখন কিছু একটা করা খুব দরকার আমার। তাই খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই জানালাম, করব। কিন্তু ব্যবসার কিছুই আমি বুঝি না। পারিবারিকভাবেও ব্যবসার সঙ্গে তেমন কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। ফলে কারও কাছ থেকে পরামর্শ নেব, সে সুযোগও আমার নেই।
প্রথম দিন ধানমন্ডি মাইডাস অফিসে গেলাম। কাগজপত্র জমা নিলেন। বলা হলো, আমাদের সঙ্গে এই প্রজেক্টের স্বপ্নদ্রষ্টা কথা বলবেন। আমরা অপেক্ষা করছি। অপেক্ষার প্রহর খুব একটা দীর্ঘ না করে, হিলের শব্দ তুলে বয়কাট চুলের অসামান্য সুন্দরী একজন প্রবেশ করলেন। চোখমুখে হাসি ঝরছিল তাঁর। ঘরে ঢুকেই তাঁর হাসি আর সম্ভাষণে সবাইকে আপন করে নিলেন। নিজের নাম জানালেন–রোকিয়া আফজাল রহমান। তিনি মাইডাস ফিন্যান্সের চেয়ারপারসন। কেউ কেউ তাঁকে আগে থেকেই জানতেন। তাঁরা গিয়ে কথা বললেন। আমাকে দূরে বসে থাকতে দেখে নিজেই ডেকে জানতে চাইলেন, কী করি। তারপর সবার উদ্দেশে তিনি কথা বললেন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ার ভালো দিক, মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করলেন। সফল হওয়ার মন্ত্রটিও বাতলে দিলেন সহাস্যে। আমাদের দেখে তিনি যে কতটা উৎসাহিত হয়েছিলেন, তা-ও জানালেন। তিন দিনের একটি প্রশিক্ষণ নিতে হবে, সেটাও জানিয়ে দিলেন।
প্রশিক্ষণের কথা শুনেই আমি ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ, আমি তো স্কুলে চাকরি করি। স্কুল কামাই করে তো প্রশিক্ষণ নিতে পারব না। তখন রোকিয়া আপাই অভয় দিয়ে বললেন, শুক্রবারে হবে প্রশিক্ষণ। আশ্বস্ত হলাম। আমাদের সঙ্গে করে রোকিয়া আপা দোকানের স্থানটি দেখাতেও নিয়ে গেলেন। যাওয়ার পথে গাড়িতে গল্প হলো খুব। আমার পরিবারের কথা শুনে বললেন, এখন থেকে তাহলে আর ‘আপা’ ডাকা চলবে না, ‘আন্টি’ ডাকতে হবে। কিন্তু তাঁকে ‘আন্টি’ বলা হয়ে ওঠেনি কখনোই। সারা জীবন আপাই ডেকেছি। সে সময় তিনি কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। নারী উদ্যোক্তা ফেডারেশনের প্রধান।
রোকিয়া আফজাল রহমানের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬২ সালে ব্যাংকে চাকরির মাধ্যমে। মাত্র দুই বছরের মধ্যে তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম নারী ব্যাংক ম্যানেজার হয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে ঋণ নিয়ে তিনি মুন্সিগঞ্জে একটি কোল্ডস্টোরেজ কেনেন। এই কোল্ডস্টোরেজের ফলে দেড় শতাধিক আলুচাষী উপকৃত হন। তিনি একজন সফল অ্যাগ্রো ব্যবসায়ীও ছিলেন।
আজ বহু নারী তাঁর দেখানো পথে হেঁটে, তাঁর দেওয়া নিঃশর্ত ঋণে ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যে স্বপ্ন রোকিয়া আপা দেখেছিলেন। আজ উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নারীদের দেখলে মনে হয়, তাঁর সে স্বপ্ন যেন সফলতার পথে হাঁটছে। রোকিয়া আপার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা।
সঙ্গীতা ইমাম
আজকের বাংলাদেশে অনেক নারী উদ্যোক্তাকে আমরা দেখি, যাঁরা দোর্দণ্ড প্রতাপে ব্যবসা করছেন। আবার ছোট ছোট, নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার জন্য বহু সংস্থাও পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমি যে সময়টার কথা বলছি, তখন নারী উদ্যোক্তা হবেন, সেভাবে তিনি নিজেও সম্ভবত খুব জোর দিয়ে ভাবতেন না। হাতে গোনা দুচারজনের কথা আলাদা। আমি সার্বিকভাবে সে সময়ের চিত্রটি তুলে ধরলাম। তখন নারী উদ্যোক্তা বলতে গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, রোকিয়া আফজাল রহমানের মতো দু-একটি নামই শোনা যেত, যাঁরা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন।
বলছি গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের কথা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতেও তখন নানা পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ব পটভূমিও বদলে যাচ্ছে খুব দ্রুত। হঠাৎ এক ব্যবসায়ী বন্ধু আমাকে বললেন, মাইডাস কিছু মিনি মার্ট করবে এবং সেখানে শুধু নারী উদ্যোক্তারাই দোকান করতে পারবেন। তিনি জানতে চাইলেন, আমি উৎসাহী কি না।
স্কুলে তখন খণ্ডকালীন চাকরি করি। জীবন চালাতে, ছেলেদের লেখাপড়া চালাতে তখন কিছু একটা করা খুব দরকার আমার। তাই খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই জানালাম, করব। কিন্তু ব্যবসার কিছুই আমি বুঝি না। পারিবারিকভাবেও ব্যবসার সঙ্গে তেমন কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। ফলে কারও কাছ থেকে পরামর্শ নেব, সে সুযোগও আমার নেই।
প্রথম দিন ধানমন্ডি মাইডাস অফিসে গেলাম। কাগজপত্র জমা নিলেন। বলা হলো, আমাদের সঙ্গে এই প্রজেক্টের স্বপ্নদ্রষ্টা কথা বলবেন। আমরা অপেক্ষা করছি। অপেক্ষার প্রহর খুব একটা দীর্ঘ না করে, হিলের শব্দ তুলে বয়কাট চুলের অসামান্য সুন্দরী একজন প্রবেশ করলেন। চোখমুখে হাসি ঝরছিল তাঁর। ঘরে ঢুকেই তাঁর হাসি আর সম্ভাষণে সবাইকে আপন করে নিলেন। নিজের নাম জানালেন–রোকিয়া আফজাল রহমান। তিনি মাইডাস ফিন্যান্সের চেয়ারপারসন। কেউ কেউ তাঁকে আগে থেকেই জানতেন। তাঁরা গিয়ে কথা বললেন। আমাকে দূরে বসে থাকতে দেখে নিজেই ডেকে জানতে চাইলেন, কী করি। তারপর সবার উদ্দেশে তিনি কথা বললেন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ার ভালো দিক, মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করলেন। সফল হওয়ার মন্ত্রটিও বাতলে দিলেন সহাস্যে। আমাদের দেখে তিনি যে কতটা উৎসাহিত হয়েছিলেন, তা-ও জানালেন। তিন দিনের একটি প্রশিক্ষণ নিতে হবে, সেটাও জানিয়ে দিলেন।
প্রশিক্ষণের কথা শুনেই আমি ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ, আমি তো স্কুলে চাকরি করি। স্কুল কামাই করে তো প্রশিক্ষণ নিতে পারব না। তখন রোকিয়া আপাই অভয় দিয়ে বললেন, শুক্রবারে হবে প্রশিক্ষণ। আশ্বস্ত হলাম। আমাদের সঙ্গে করে রোকিয়া আপা দোকানের স্থানটি দেখাতেও নিয়ে গেলেন। যাওয়ার পথে গাড়িতে গল্প হলো খুব। আমার পরিবারের কথা শুনে বললেন, এখন থেকে তাহলে আর ‘আপা’ ডাকা চলবে না, ‘আন্টি’ ডাকতে হবে। কিন্তু তাঁকে ‘আন্টি’ বলা হয়ে ওঠেনি কখনোই। সারা জীবন আপাই ডেকেছি। সে সময় তিনি কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। নারী উদ্যোক্তা ফেডারেশনের প্রধান।
রোকিয়া আফজাল রহমানের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬২ সালে ব্যাংকে চাকরির মাধ্যমে। মাত্র দুই বছরের মধ্যে তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম নারী ব্যাংক ম্যানেজার হয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে ঋণ নিয়ে তিনি মুন্সিগঞ্জে একটি কোল্ডস্টোরেজ কেনেন। এই কোল্ডস্টোরেজের ফলে দেড় শতাধিক আলুচাষী উপকৃত হন। তিনি একজন সফল অ্যাগ্রো ব্যবসায়ীও ছিলেন।
আজ বহু নারী তাঁর দেখানো পথে হেঁটে, তাঁর দেওয়া নিঃশর্ত ঋণে ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যে স্বপ্ন রোকিয়া আপা দেখেছিলেন। আজ উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নারীদের দেখলে মনে হয়, তাঁর সে স্বপ্ন যেন সফলতার পথে হাঁটছে। রোকিয়া আপার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা।
আজকের বাংলাদেশে অনেক নারী উদ্যোক্তাকে আমরা দেখি, যাঁরা দোর্দণ্ড প্রতাপে ব্যবসা করছেন। আবার ছোট ছোট, নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার জন্য বহু সংস্থাও পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমি যে সময়টার কথা বলছি, তখন নারী উদ্যোক্তা হবেন, সেভাবে তিনি নিজেও সম্ভবত খুব জোর দিয়ে ভাবতেন না। হাতে গোনা দুচারজনের কথা আলাদা। আমি সার্বিকভাবে সে সময়ের চিত্রটি তুলে ধরলাম। তখন নারী উদ্যোক্তা বলতে গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, রোকিয়া আফজাল রহমানের মতো দু-একটি নামই শোনা যেত, যাঁরা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন।
বলছি গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের কথা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতেও তখন নানা পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ব পটভূমিও বদলে যাচ্ছে খুব দ্রুত। হঠাৎ এক ব্যবসায়ী বন্ধু আমাকে বললেন, মাইডাস কিছু মিনি মার্ট করবে এবং সেখানে শুধু নারী উদ্যোক্তারাই দোকান করতে পারবেন। তিনি জানতে চাইলেন, আমি উৎসাহী কি না।
স্কুলে তখন খণ্ডকালীন চাকরি করি। জীবন চালাতে, ছেলেদের লেখাপড়া চালাতে তখন কিছু একটা করা খুব দরকার আমার। তাই খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই জানালাম, করব। কিন্তু ব্যবসার কিছুই আমি বুঝি না। পারিবারিকভাবেও ব্যবসার সঙ্গে তেমন কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। ফলে কারও কাছ থেকে পরামর্শ নেব, সে সুযোগও আমার নেই।
প্রথম দিন ধানমন্ডি মাইডাস অফিসে গেলাম। কাগজপত্র জমা নিলেন। বলা হলো, আমাদের সঙ্গে এই প্রজেক্টের স্বপ্নদ্রষ্টা কথা বলবেন। আমরা অপেক্ষা করছি। অপেক্ষার প্রহর খুব একটা দীর্ঘ না করে, হিলের শব্দ তুলে বয়কাট চুলের অসামান্য সুন্দরী একজন প্রবেশ করলেন। চোখমুখে হাসি ঝরছিল তাঁর। ঘরে ঢুকেই তাঁর হাসি আর সম্ভাষণে সবাইকে আপন করে নিলেন। নিজের নাম জানালেন–রোকিয়া আফজাল রহমান। তিনি মাইডাস ফিন্যান্সের চেয়ারপারসন। কেউ কেউ তাঁকে আগে থেকেই জানতেন। তাঁরা গিয়ে কথা বললেন। আমাকে দূরে বসে থাকতে দেখে নিজেই ডেকে জানতে চাইলেন, কী করি। তারপর সবার উদ্দেশে তিনি কথা বললেন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ার ভালো দিক, মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করলেন। সফল হওয়ার মন্ত্রটিও বাতলে দিলেন সহাস্যে। আমাদের দেখে তিনি যে কতটা উৎসাহিত হয়েছিলেন, তা-ও জানালেন। তিন দিনের একটি প্রশিক্ষণ নিতে হবে, সেটাও জানিয়ে দিলেন।
প্রশিক্ষণের কথা শুনেই আমি ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ, আমি তো স্কুলে চাকরি করি। স্কুল কামাই করে তো প্রশিক্ষণ নিতে পারব না। তখন রোকিয়া আপাই অভয় দিয়ে বললেন, শুক্রবারে হবে প্রশিক্ষণ। আশ্বস্ত হলাম। আমাদের সঙ্গে করে রোকিয়া আপা দোকানের স্থানটি দেখাতেও নিয়ে গেলেন। যাওয়ার পথে গাড়িতে গল্প হলো খুব। আমার পরিবারের কথা শুনে বললেন, এখন থেকে তাহলে আর ‘আপা’ ডাকা চলবে না, ‘আন্টি’ ডাকতে হবে। কিন্তু তাঁকে ‘আন্টি’ বলা হয়ে ওঠেনি কখনোই। সারা জীবন আপাই ডেকেছি। সে সময় তিনি কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। নারী উদ্যোক্তা ফেডারেশনের প্রধান।
রোকিয়া আফজাল রহমানের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬২ সালে ব্যাংকে চাকরির মাধ্যমে। মাত্র দুই বছরের মধ্যে তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম নারী ব্যাংক ম্যানেজার হয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে ঋণ নিয়ে তিনি মুন্সিগঞ্জে একটি কোল্ডস্টোরেজ কেনেন। এই কোল্ডস্টোরেজের ফলে দেড় শতাধিক আলুচাষী উপকৃত হন। তিনি একজন সফল অ্যাগ্রো ব্যবসায়ীও ছিলেন।
আজ বহু নারী তাঁর দেখানো পথে হেঁটে, তাঁর দেওয়া নিঃশর্ত ঋণে ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যে স্বপ্ন রোকিয়া আপা দেখেছিলেন। আজ উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নারীদের দেখলে মনে হয়, তাঁর সে স্বপ্ন যেন সফলতার পথে হাঁটছে। রোকিয়া আপার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা।
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১৭ ঘণ্টা আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৮ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা।
২ দিন আগেজুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এই পিলের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল জানিয়েছে, দেশটির নারীরা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এই ওষুধটি ‘নির্দেশনা-প্রয়োজনীয় ওষুধ’ হিসেবে লেবেল করা হবে। অর্থাৎ নারীদের এটি অবশ্যই একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে গ্রহণ করতে হবে।
ওষুধ কোম্পানিটি মনে করে, এই পিলের সহজলভ্যতা ‘প্রজনন স্বাস্থ্যে জাপানি নারীদের ক্ষমতায়ন’ করবে। তবে এটি বাজারে আসার তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
জাপানের দৈনিক সংবাদপত্র মাইনইচি শিম্বুনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বয়সসীমা থাকবে না এবং অভিভাবকের সম্মতিও প্রয়োজন হবে না।
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত এই ‘মর্নিং-আফটার পিল’ বা জরুরি গর্ভনিরোধক ওষুধ ইতিমধ্যেই ৯০টিরও বেশি দেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়।
এই পিল নারীর ডিম্বাণুকে সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হওয়া বা জরায়ুর দেয়ালে সংযুক্ত হওয়া রোধ করে কাজ করে। সাধারণত এটি অরক্ষিত যৌন মিলনের তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিতে হয়। তবে যত দ্রুত এটি নেওয়া হয়, তত বেশি কার্যকর হয়।
পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা এবং নারীর ভূমিকা নিয়ে বহুকাল ধরে চলে আসা রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ওষুধ অনুমোদনে ধীরগতিতে এগিয়েছে জাপান।
এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘নরলেভো’ (Norlevo) ট্রেডমার্কের অধীনে বাজারজাত জরুরি গর্ভনিরোধক পিলের ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) অর্থাৎ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রির অনুমোদন পেয়েছে।
তারা আরও জানায়, প্রেসক্রিপশন ছাড়া পরীক্ষামূলক বিক্রির পর ২০২৪ সালে তারা নিয়মিত বিক্রির অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।
পরীক্ষামূলকভাবে জাপানের ১৪৫টি ফার্মেসিতে নরলেভো সহজলভ্য করা হয়েছিল। এর আগে পিলটি কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন নিয়ে ক্লিনিক বা নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকেই সরবরাহ করা হতো।
সে সময় মানবাধিকার সংগঠনগুলো ওই পরীক্ষামূলক বিক্রি খুবই সীমিত পরিসরে বলে সমালোচনা করেছিল এবং সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছিল যে প্রেসক্রিপশন বাধ্যতামূলক করার ফলে তরুণী ও ধর্ষণের শিকার নারীরা জরুরি গর্ভনিরোধক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।
২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষজ্ঞ কমিটিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ বিক্রির বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে। সে সময় জনমত জরিপে দেশজুড়ে ব্যাপক সমর্থন মেলে। কিন্তু তখন এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন না দিয়ে যুক্তি দেখানো হয় যে এটি সহজলভ্য করলে এর অপব্যবহার বাড়বে।
‘নরলেভো’ এবং এর জেনেরিক সংস্করণ লেভোনরজেস্ট্রেল (levonorgestrel) অরক্ষিত যৌন মিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোত্তম কাজ করে এবং এর কার্যকারিতার হার প্রায় ৮০ শতাংশ।
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এই পিলের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল জানিয়েছে, দেশটির নারীরা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এই ওষুধটি ‘নির্দেশনা-প্রয়োজনীয় ওষুধ’ হিসেবে লেবেল করা হবে। অর্থাৎ নারীদের এটি অবশ্যই একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে গ্রহণ করতে হবে।
ওষুধ কোম্পানিটি মনে করে, এই পিলের সহজলভ্যতা ‘প্রজনন স্বাস্থ্যে জাপানি নারীদের ক্ষমতায়ন’ করবে। তবে এটি বাজারে আসার তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
জাপানের দৈনিক সংবাদপত্র মাইনইচি শিম্বুনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বয়সসীমা থাকবে না এবং অভিভাবকের সম্মতিও প্রয়োজন হবে না।
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত এই ‘মর্নিং-আফটার পিল’ বা জরুরি গর্ভনিরোধক ওষুধ ইতিমধ্যেই ৯০টিরও বেশি দেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়।
এই পিল নারীর ডিম্বাণুকে সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হওয়া বা জরায়ুর দেয়ালে সংযুক্ত হওয়া রোধ করে কাজ করে। সাধারণত এটি অরক্ষিত যৌন মিলনের তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিতে হয়। তবে যত দ্রুত এটি নেওয়া হয়, তত বেশি কার্যকর হয়।
পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা এবং নারীর ভূমিকা নিয়ে বহুকাল ধরে চলে আসা রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ওষুধ অনুমোদনে ধীরগতিতে এগিয়েছে জাপান।
এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘নরলেভো’ (Norlevo) ট্রেডমার্কের অধীনে বাজারজাত জরুরি গর্ভনিরোধক পিলের ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) অর্থাৎ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রির অনুমোদন পেয়েছে।
তারা আরও জানায়, প্রেসক্রিপশন ছাড়া পরীক্ষামূলক বিক্রির পর ২০২৪ সালে তারা নিয়মিত বিক্রির অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।
পরীক্ষামূলকভাবে জাপানের ১৪৫টি ফার্মেসিতে নরলেভো সহজলভ্য করা হয়েছিল। এর আগে পিলটি কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন নিয়ে ক্লিনিক বা নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকেই সরবরাহ করা হতো।
সে সময় মানবাধিকার সংগঠনগুলো ওই পরীক্ষামূলক বিক্রি খুবই সীমিত পরিসরে বলে সমালোচনা করেছিল এবং সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছিল যে প্রেসক্রিপশন বাধ্যতামূলক করার ফলে তরুণী ও ধর্ষণের শিকার নারীরা জরুরি গর্ভনিরোধক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।
২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষজ্ঞ কমিটিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ বিক্রির বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে। সে সময় জনমত জরিপে দেশজুড়ে ব্যাপক সমর্থন মেলে। কিন্তু তখন এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন না দিয়ে যুক্তি দেখানো হয় যে এটি সহজলভ্য করলে এর অপব্যবহার বাড়বে।
‘নরলেভো’ এবং এর জেনেরিক সংস্করণ লেভোনরজেস্ট্রেল (levonorgestrel) অরক্ষিত যৌন মিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোত্তম কাজ করে এবং এর কার্যকারিতার হার প্রায় ৮০ শতাংশ।
আজকের বাংলাদেশে অনেক নারী উদ্যোক্তাকে আমরা দেখি, যাঁরা দোর্দণ্ড প্রতাপে ব্যবসা করছেন। আবার ছোট ছোট, নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার জন্য বহু সংস্থাও পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমি যে সময়টার কথা বলছি, তখন নারী উদ্যোক্তা হবেন, সেভাবে তিনি নিজেও সম্ভবত খুব জোর দিয়ে ভাবতেন না। হাতে গোনা দুচারজনের কথা
১২ এপ্রিল ২০২৩কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৮ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা।
২ দিন আগেজুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের গুণমুগ্ধ তাকাইচি আজ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৪৬৫টি আসনের মধ্যে ২৩৭টি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমতি দেয়।
তাকাইচির এই বিজয় জাপানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যেখানে এখনো দেশটির রাজনীতির সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের প্রভাব বেশি। তবে তাঁর নেতৃত্বে দেশটি অভিবাসন ও সামাজিক ইস্যুতে আরও কঠোর ডানপন্থী অবস্থানে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাঁর জয় নিশ্চিত হয় গতকাল সোমবার। কারণ, গতকালই দ্বিতীয় বৃহত্তম জোটসঙ্গী ডানপন্থী জাপান ইনোভেশন পার্টি বা ইশিনের সঙ্গে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জোট গড়ার চুক্তি সম্পন্ন করে। এলডিপি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপরবর্তী সময়ের বেশির ভাগ সময় দেশটি শাসন করেছে।
বছরের পর বছর আর্থিক বাজারে দরপতনের পর এখন জাপান ভুগছে মূল্যস্ফীতির চাপে। এতে জন-অসন্তোষ বেড়েছে, যা নতুন করে উসকে দিয়েছে ডানপন্থী ও চরম দক্ষিণপন্থী দলগুলোর প্রতি সমর্থন।
শিনজো আবের মতো তাকাইচিও অর্থনীতিকে চাঙা করতে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর পক্ষপাতী। এ নীতির জেরে শেয়ারবাজারে ‘তাকাইচি ট্রেড’ নামে নতুন প্রবণতা তৈরি হয়েছে। আজ নিক্কেই সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। কারণ, ঋণে জর্জরিত জাপান অতিরিক্ত সরকারি ব্যয়ের ভার বহন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আয়চি গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক তাদাশি মোরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো ভোট পেলেও কার্যকরভাবে সরকার চালাতে তাকাইচির আরও কিছু বিরোধী দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে। দুই দলই কোনো কক্ষেই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। স্থিতিশীল সরকার গঠনে ও গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ পেতে তাদের অর্ধেকের বেশি আসন নিশ্চিত করতে হবে।
তাদাশি মোরি আরও বলেন, আবের আমলে চালু হওয়া আবেনোমিক্স নীতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা এখন বিপাকে ফেলতে পারে। কারণ, সেই নীতি মূলত দরপতন ঠেকানোর জন্য তৈরি হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সময়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দিলে ইয়েনের মান আরও দুর্বল হতে পারে। একইভাবে ভোগ্যপণ্যে কর কমানো চাহিদা বাড়াতে পারে, কিন্তু তা মূল্যবৃদ্ধি রোধ করবে না।
জাপানের অপেক্ষাকৃত দুর্বল উচ্চকক্ষও তাকাইচির নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। আজ সন্ধ্যায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির ১০৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন। ইশিবা গত মাসে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের গুণমুগ্ধ তাকাইচি আজ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৪৬৫টি আসনের মধ্যে ২৩৭টি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমতি দেয়।
তাকাইচির এই বিজয় জাপানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যেখানে এখনো দেশটির রাজনীতির সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের প্রভাব বেশি। তবে তাঁর নেতৃত্বে দেশটি অভিবাসন ও সামাজিক ইস্যুতে আরও কঠোর ডানপন্থী অবস্থানে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাঁর জয় নিশ্চিত হয় গতকাল সোমবার। কারণ, গতকালই দ্বিতীয় বৃহত্তম জোটসঙ্গী ডানপন্থী জাপান ইনোভেশন পার্টি বা ইশিনের সঙ্গে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জোট গড়ার চুক্তি সম্পন্ন করে। এলডিপি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপরবর্তী সময়ের বেশির ভাগ সময় দেশটি শাসন করেছে।
বছরের পর বছর আর্থিক বাজারে দরপতনের পর এখন জাপান ভুগছে মূল্যস্ফীতির চাপে। এতে জন-অসন্তোষ বেড়েছে, যা নতুন করে উসকে দিয়েছে ডানপন্থী ও চরম দক্ষিণপন্থী দলগুলোর প্রতি সমর্থন।
শিনজো আবের মতো তাকাইচিও অর্থনীতিকে চাঙা করতে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর পক্ষপাতী। এ নীতির জেরে শেয়ারবাজারে ‘তাকাইচি ট্রেড’ নামে নতুন প্রবণতা তৈরি হয়েছে। আজ নিক্কেই সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। কারণ, ঋণে জর্জরিত জাপান অতিরিক্ত সরকারি ব্যয়ের ভার বহন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আয়চি গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক তাদাশি মোরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো ভোট পেলেও কার্যকরভাবে সরকার চালাতে তাকাইচির আরও কিছু বিরোধী দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে। দুই দলই কোনো কক্ষেই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। স্থিতিশীল সরকার গঠনে ও গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ পেতে তাদের অর্ধেকের বেশি আসন নিশ্চিত করতে হবে।
তাদাশি মোরি আরও বলেন, আবের আমলে চালু হওয়া আবেনোমিক্স নীতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা এখন বিপাকে ফেলতে পারে। কারণ, সেই নীতি মূলত দরপতন ঠেকানোর জন্য তৈরি হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সময়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দিলে ইয়েনের মান আরও দুর্বল হতে পারে। একইভাবে ভোগ্যপণ্যে কর কমানো চাহিদা বাড়াতে পারে, কিন্তু তা মূল্যবৃদ্ধি রোধ করবে না।
জাপানের অপেক্ষাকৃত দুর্বল উচ্চকক্ষও তাকাইচির নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। আজ সন্ধ্যায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির ১০৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন। ইশিবা গত মাসে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
আজকের বাংলাদেশে অনেক নারী উদ্যোক্তাকে আমরা দেখি, যাঁরা দোর্দণ্ড প্রতাপে ব্যবসা করছেন। আবার ছোট ছোট, নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার জন্য বহু সংস্থাও পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমি যে সময়টার কথা বলছি, তখন নারী উদ্যোক্তা হবেন, সেভাবে তিনি নিজেও সম্ভবত খুব জোর দিয়ে ভাবতেন না। হাতে গোনা দুচারজনের কথা
১২ এপ্রিল ২০২৩প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১৭ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা।
২ দিন আগেজুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
৫ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক
সৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা। প্রথম কাজেই ভেনিস, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, তাইপে, সিডনিসহ অনেক শহরের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হন শাহাদ আমিন।
পরের বছর ৯৩তম অস্কারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য স্কেলস সিনেমাটি পাঠায় সৌদি আরব। ৯৮তম অস্কারেও সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করবে শাহাদ আমিনের সিনেমা। তাঁর নতুন সিনেমা ‘হিজরা’ এ বছর ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়। সেরা এশিয়ান সিনেমা হিসেবে নেটপ্যাক পুরস্কারও জেতে। গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবগুলোয় হিজরা সিনেমাকে ঘিরে দর্শক-সমালোচকদের আগ্রহ অনেক। তাই হিজরাকেই ৯৮তম অস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে সৌদি ফিল্ম কমিশন।
শুধু স্কেলস কিংবা হিজরা নয়, এর আগেও নারী নির্মাতার সিনেমা অস্কারে পাঠিয়েছে সৌদি আরব। এ পর্যন্ত অস্কারে ৮টি সিনেমা পাঠিয়েছে দেশটি, তার মধ্যে চারটিই নারী নির্মাতার। সৌদি সিনেমার অস্কারযাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকে। ওই বছর পাঠানো হয় নারী নির্মাতা হাইফা আল-মানসুরের ‘ওয়াজদা’। ২০১৯ সালেও এ নির্মাতার ‘দ্য পারফেক্ট ক্যান্ডিডেট’ অস্কারের জন্য নির্বাচিত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
আগের সিনেমাগুলো দিয়ে অস্কারে সৌদি সিনেমার তেমন সাফল্য না এলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন হবে বলে আশা করছে সৌদি ফিল্ম কমিশন। শাহাদ আমিনের হিজরা যেভাবে প্রশংসিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে, তাতে এ প্রত্যাশা একেবারেই অমূলক নয়। সৌদি সিনেমার টার্নিং পয়েন্ট বলা হচ্ছে এ সিনেমাকে।
হিজরা সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে তিন নারী চরিত্রকে ঘিরে। ১২ বছর বয়সী জান্নাত তার দাদির সঙ্গে হজ পালনের জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা হয়। জান্নাতের বড় বোন সারাহও সঙ্গী হয়। যাত্রাপথে নিখোঁজ হয় সারাহ। তাকে খুঁজতে থাকে দাদি ও জান্নাত। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে দাদির অতীতের গল্পগুলো।
হিজরা নির্মাতা শাহাদ আমিন বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমার সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় হচ্ছে, সমাজের কণ্ঠস্বরগুলোকে তুলে আনা। হিজরা সিনেমায়ও আমি চেষ্টা করেছি আমার সংস্কৃতি ও সমাজের গল্প তুলে আনতে, আন্তর্জাতিক সিনেমায় যা একেবারেই অজানা বিষয়। সৌদি আরবকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছি। বিভিন্ন প্রজন্মের নারীর কাছে স্বাধীনতার সংজ্ঞা কী রকম, সেটা দেখিয়েছি।’
সৌদি আরবের সমাজ বিশেষ করে নারীদের সম্পর্কে বহির্বিশ্বের যে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি, প্রতিটি সিনেমায় সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করেন শাহাদ আমিন। তিনি বলেন, ‘একজন আরব নির্মাতা হিসেবে, বিশেষ করে একজন নারী নির্মাতা হিসেবে অনেক প্রশংসা পেয়েছি। সে জন্য কৃতজ্ঞতা। তবে সেই সঙ্গে কিছু ভুল ধারণার মুখোমুখিও হতে হয় আমাকে। অনেকে মনে করেন, সৌদি নারীরা, বিশেষ করে আমার মায়ের প্রজন্ম কিংবা আমার দাদির প্রজন্ম বা তারও আগের প্রজন্মের সৌদি নারীরা যথেষ্ট স্বাধীন ছিলেন না। অথচ তাঁরা আমার চেয়েও প্রাণবন্ত ছিলেন, শক্তিশালী চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। আমার এই সিনেমা সৌদির সব প্রজন্মের নারীদের গল্প বলে। তাদের স্বাধীনতার দিকটি হাজির করে।’
জেদ্দায় জন্ম নেওয়া শাহাদ আমিন চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট লন্ডনে। নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকেও নিয়েছেন চিত্রনাট্যের পাঠ। এর আগে ‘আওয়ার ওন মিউজিক্যাল’, ‘লায়লাস উইন্ডো’, ‘আই অ্যান্ড মারমেইড’সহ বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত সৌদি সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করছেন শাহাদ আমিন।
সৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা। প্রথম কাজেই ভেনিস, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, তাইপে, সিডনিসহ অনেক শহরের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হন শাহাদ আমিন।
পরের বছর ৯৩তম অস্কারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য স্কেলস সিনেমাটি পাঠায় সৌদি আরব। ৯৮তম অস্কারেও সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করবে শাহাদ আমিনের সিনেমা। তাঁর নতুন সিনেমা ‘হিজরা’ এ বছর ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়। সেরা এশিয়ান সিনেমা হিসেবে নেটপ্যাক পুরস্কারও জেতে। গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবগুলোয় হিজরা সিনেমাকে ঘিরে দর্শক-সমালোচকদের আগ্রহ অনেক। তাই হিজরাকেই ৯৮তম অস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে সৌদি ফিল্ম কমিশন।
শুধু স্কেলস কিংবা হিজরা নয়, এর আগেও নারী নির্মাতার সিনেমা অস্কারে পাঠিয়েছে সৌদি আরব। এ পর্যন্ত অস্কারে ৮টি সিনেমা পাঠিয়েছে দেশটি, তার মধ্যে চারটিই নারী নির্মাতার। সৌদি সিনেমার অস্কারযাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকে। ওই বছর পাঠানো হয় নারী নির্মাতা হাইফা আল-মানসুরের ‘ওয়াজদা’। ২০১৯ সালেও এ নির্মাতার ‘দ্য পারফেক্ট ক্যান্ডিডেট’ অস্কারের জন্য নির্বাচিত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
আগের সিনেমাগুলো দিয়ে অস্কারে সৌদি সিনেমার তেমন সাফল্য না এলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন হবে বলে আশা করছে সৌদি ফিল্ম কমিশন। শাহাদ আমিনের হিজরা যেভাবে প্রশংসিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে, তাতে এ প্রত্যাশা একেবারেই অমূলক নয়। সৌদি সিনেমার টার্নিং পয়েন্ট বলা হচ্ছে এ সিনেমাকে।
হিজরা সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে তিন নারী চরিত্রকে ঘিরে। ১২ বছর বয়সী জান্নাত তার দাদির সঙ্গে হজ পালনের জন্য মক্কার উদ্দেশে রওনা হয়। জান্নাতের বড় বোন সারাহও সঙ্গী হয়। যাত্রাপথে নিখোঁজ হয় সারাহ। তাকে খুঁজতে থাকে দাদি ও জান্নাত। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে দাদির অতীতের গল্পগুলো।
হিজরা নির্মাতা শাহাদ আমিন বলেন, ‘চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমার সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় হচ্ছে, সমাজের কণ্ঠস্বরগুলোকে তুলে আনা। হিজরা সিনেমায়ও আমি চেষ্টা করেছি আমার সংস্কৃতি ও সমাজের গল্প তুলে আনতে, আন্তর্জাতিক সিনেমায় যা একেবারেই অজানা বিষয়। সৌদি আরবকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছি। বিভিন্ন প্রজন্মের নারীর কাছে স্বাধীনতার সংজ্ঞা কী রকম, সেটা দেখিয়েছি।’
সৌদি আরবের সমাজ বিশেষ করে নারীদের সম্পর্কে বহির্বিশ্বের যে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি, প্রতিটি সিনেমায় সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করেন শাহাদ আমিন। তিনি বলেন, ‘একজন আরব নির্মাতা হিসেবে, বিশেষ করে একজন নারী নির্মাতা হিসেবে অনেক প্রশংসা পেয়েছি। সে জন্য কৃতজ্ঞতা। তবে সেই সঙ্গে কিছু ভুল ধারণার মুখোমুখিও হতে হয় আমাকে। অনেকে মনে করেন, সৌদি নারীরা, বিশেষ করে আমার মায়ের প্রজন্ম কিংবা আমার দাদির প্রজন্ম বা তারও আগের প্রজন্মের সৌদি নারীরা যথেষ্ট স্বাধীন ছিলেন না। অথচ তাঁরা আমার চেয়েও প্রাণবন্ত ছিলেন, শক্তিশালী চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। আমার এই সিনেমা সৌদির সব প্রজন্মের নারীদের গল্প বলে। তাদের স্বাধীনতার দিকটি হাজির করে।’
জেদ্দায় জন্ম নেওয়া শাহাদ আমিন চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট লন্ডনে। নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকেও নিয়েছেন চিত্রনাট্যের পাঠ। এর আগে ‘আওয়ার ওন মিউজিক্যাল’, ‘লায়লাস উইন্ডো’, ‘আই অ্যান্ড মারমেইড’সহ বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত সৌদি সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করছেন শাহাদ আমিন।
আজকের বাংলাদেশে অনেক নারী উদ্যোক্তাকে আমরা দেখি, যাঁরা দোর্দণ্ড প্রতাপে ব্যবসা করছেন। আবার ছোট ছোট, নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার জন্য বহু সংস্থাও পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমি যে সময়টার কথা বলছি, তখন নারী উদ্যোক্তা হবেন, সেভাবে তিনি নিজেও সম্ভবত খুব জোর দিয়ে ভাবতেন না। হাতে গোনা দুচারজনের কথা
১২ এপ্রিল ২০২৩প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১৭ ঘণ্টা আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
৫ দিন আগেনারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় জুলাই সনদ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সব গণতন্ত্রকামী নাগরিকের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। কিন্তু এই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে দেশের জনগোষ্ঠীর ৫১ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাধিকার না দেওয়া এবং একই সঙ্গে অন্যান্য সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করার অবধারিত পরিণাম যা হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তা-ই হয়েছে; জুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বাছাইয়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ, শ্রম, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা বা সুপারিশমালাকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি।
নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম মনে করে, সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকলে প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে এক-তৃতীয়াংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেত। নাগরিক পরিসর থেকে নানানভাবে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে অনেক যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অক্টোবর ২০২৫-এ প্রকাশিত জুলাই জাতীয় সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি।
বিবৃতিতে জুলাই সনদের বিষয়ে বলা হয়, ‘এই সনদে বাংলাদেশের নারীর আকাঙ্ক্ষা নিদারুণভাবে অনুপস্থিত। তাই আমরা এই সনদকে প্রত্যাখ্যান করছি এবং সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর এ ন্যক্কারজনক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো নারীর সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে, ভবিষ্যতের জন্য কোনো অঙ্গীকার রাখেনি এবং মাত্র ৫ শতাংশ দলীয় মনোনয়ন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সময়ক্ষেপণের পথ বেছে নিয়েছে। এটি কেবল হতাশাজনক নয়, এটি নারীর নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক সমতার দাবির প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা যা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে বাংলাদেশের নারী ভোটাররা এ বৈষম্যের জবাব দেবে।’
বিবৃতিতে তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো—রাজনৈতিক দলে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা, যা পর্যায়ক্রমে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। শুধু ২০২৬ সালের নির্বাচনেই সাময়িক বিশেষ বন্দোবস্ত হিসেবে সংরক্ষিত ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন নিশ্চিত করা, জুলাই সনদে এমন একটি ধারা যুক্ত করা, যাতে ২০২৫-এর পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নারীর অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নারী অধিকার সংগঠন ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় জুলাই সনদ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের সব গণতন্ত্রকামী নাগরিকের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। কিন্তু এই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগতভাবে দেশের জনগোষ্ঠীর ৫১ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাধিকার না দেওয়া এবং একই সঙ্গে অন্যান্য সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না করার অবধারিত পরিণাম যা হওয়ার কথা ছিল, ঠিক তা-ই হয়েছে; জুলাই সনদ সবার জন্য হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বাছাইয়ে নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনসহ, শ্রম, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা বা সুপারিশমালাকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি।
নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম মনে করে, সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকলে প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে এক-তৃতীয়াংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেত। নাগরিক পরিসর থেকে নানানভাবে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে অনেক যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অক্টোবর ২০২৫-এ প্রকাশিত জুলাই জাতীয় সনদে নারীর অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনা হয়নি।
বিবৃতিতে জুলাই সনদের বিষয়ে বলা হয়, ‘এই সনদে বাংলাদেশের নারীর আকাঙ্ক্ষা নিদারুণভাবে অনুপস্থিত। তাই আমরা এই সনদকে প্রত্যাখ্যান করছি এবং সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর এ ন্যক্কারজনক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলো নারীর সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে, ভবিষ্যতের জন্য কোনো অঙ্গীকার রাখেনি এবং মাত্র ৫ শতাংশ দলীয় মনোনয়ন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সময়ক্ষেপণের পথ বেছে নিয়েছে। এটি কেবল হতাশাজনক নয়, এটি নারীর নেতৃত্ব ও গণতান্ত্রিক সমতার দাবির প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা যা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে বাংলাদেশের নারী ভোটাররা এ বৈষম্যের জবাব দেবে।’
বিবৃতিতে তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো—রাজনৈতিক দলে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করা, যা পর্যায়ক্রমে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। শুধু ২০২৬ সালের নির্বাচনেই সাময়িক বিশেষ বন্দোবস্ত হিসেবে সংরক্ষিত ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন নিশ্চিত করা, জুলাই সনদে এমন একটি ধারা যুক্ত করা, যাতে ২০২৫-এর পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নারীর অর্থপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আজকের বাংলাদেশে অনেক নারী উদ্যোক্তাকে আমরা দেখি, যাঁরা দোর্দণ্ড প্রতাপে ব্যবসা করছেন। আবার ছোট ছোট, নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার জন্য বহু সংস্থাও পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমি যে সময়টার কথা বলছি, তখন নারী উদ্যোক্তা হবেন, সেভাবে তিনি নিজেও সম্ভবত খুব জোর দিয়ে ভাবতেন না। হাতে গোনা দুচারজনের কথা
১২ এপ্রিল ২০২৩প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১৭ ঘণ্টা আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৮ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম শাহাদ আমিন। এই নারী নির্মাতার হাত ধরে সৌদি সিনেমা পৌঁছে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৯ সালে প্রথম তাঁর নামটি ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয় ‘স্কেলস’ সিনেমার কল্যাণে। এর আগে বেশ কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য বানালেও স্কেলস ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা।
২ দিন আগে