অর্ণব সান্যাল

তেলের দামে আগে থেকেই সর্ষে ফুল দেখার ব্যবস্থা ছিল। দুই ধরনের তেলেই—খাওয়ার এবং চলার। এবার ডিমের দামেও উল্লম্ফন দেখা দিল। কিন্তু ডিমের দাম বাড়লে ‘অন্যান্য দেশের তুলনায়’ অত্যধিক ভালো থাকা বাংলাদেশিদের যে কীরূপ উপকার, তা কি আপনারা জানেন?
দেখুন, প্রত্যেকটি বিষয়েরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। তেলেরও যেমন ছিল, ডিমেরও আছে। এবার এসব নিয়েই আমরা বিস্তারিত আলোচনায় যাব। নিজেকে ইতিবাচক রাখতে হলে এমন আলোচনার গভীরে আমাদের যেতেই হবে। কোনো এক মনীষী হয়তো কোনো এক সময় বলেছিলেন, ‘মন ভালো তো সব ভালো’। নেতিবাচক অবস্থায় মন ভালো রাখা তাত্ত্বিকভাবে বেশ কঠিন। তাই আমাদের প্রথমে ইতিবাচকতার সড়কে হাঁটার অভ্যাস গড়ে, তারপর মন ভালো রাখার মহাসড়কে দৌড়াতে হবেই! নইলে যে আমাদের শারীরিক মূর্তির ভাব-ভালোবাসা নিয়ে সন্দেহ উঠে যাবে।
সে জন্য আমাদেরই সম্মিলিত প্রয়াসে নিজেদের ‘চিয়ার আপ’ করতে হবে। আর এই চিয়ার আপ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ইতিবাচকতার চর্চা বাঞ্ছনীয়। এসব করতে গিয়ে যুক্তিতে মুক্তি না পাওয়ার মতো করে মানসিকভাবে টালমাটাল হলেও ক্ষতি আর কতটুকু? কে না জানে, পাগলের সুখ মনে মনে…!
যাক গে। আসল কথায় আসা যাক। কিছুদিন আগেই জ্বালানি তেলের দামে বড় বড় বেলুন বেঁধে তাকে আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের এহেন পদোন্নতিতে নাকি আবার সয়াবিন গাল ফুলিয়েছে। তাই সয়াবিন তেলের রাগ ভাঙাতে দ্রুতই বেলুনে গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে তাকেও ঊর্ধ্বাকাশে পাঠিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
দামের বিষয়ে দুই প্রকারের তেলের এভাবে ঊর্ধ্বাকাশে গমনের কারণেও বাংলাদেশিদের অনেক লাভ হয়েছিল এবং এখনো হচ্ছে। কারণ উচ্চমূল্যের কারণে সব ধরনের তেলই এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এবং এতে বাঙালিরা নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করা তেল বুঝেশুনে খরচ করা শুরু করেছে। অনেক তেল বিশেষ-অজ্ঞ মনে করেন, এ দেশের লোকজন আগে সহজলভ্যতার কারণে যেখানে-সেখানে তেল প্রয়োগ করতেন। লাগলেও, না লাগলেও। এখন ট্রেন্ড অনুযায়ী এ অঞ্চলের মানুষেরা ফেসবুকে অবশ্যই তেলবিরোধী কথা লিখে সরবে নিজেদের সংযম প্রদর্শন করবে এবং উল্টো পিঠে নীরবে ‘যেখানে দরকার সেখানে তৈলমর্দন’ ও একই সঙ্গে তেল মজুতের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে। এতে করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে তেল বিদেশেও রপ্তানি করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তেল বিশেষ-অজ্ঞরা।
ঠিক একইভাবে সুবিধা আছে ডিমের মূল্যবৃদ্ধিতেও। তেল দেওয়া যেমন এ দেশের মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার, তেমনই পছন্দ হোক বা না হোক যে কাউকে সুযোগ বুঝে ‘ডিম দেওয়াও’ আমাদের প্রধানতম শখ! এ দেশে চাকরিক্ষেত্রে যেমন একে-অন্যকে ডিম দেওয়ার চর্চা আছে, তেমনি আছে ব্যবসাতে, আছে স্বীকারোক্তি আদায় থেকে শুরু করে নানা কিছুতে। কিন্তু ডিমের দাম নিন্দুকদের মতে ‘রেকর্ড’ গড়ায়, এখন কাউকে ইচ্ছে হলেই ডিম দেওয়া যাবে না। কারণ, ডিম দেওয়া এখন অন্যান্য দেশের তুলনায় ‘কম’ মূল্যস্ফীতির এই বাজারে বেশ ব্যয়বহুল। আর অন্যকে ডিম দেওয়ার চেয়ে উল্টো পথে মুখে পুরে ফেলা যে বেশি পুষ্টিকর এখন, তা দিব্যি ‘জামাকাপড়’ পরে হাহাহিহি করা দেশবাসীদের কে না বোঝে!
এ ব্যাপারে ‘যুক্তিতে মুক্তি মেলে না’ মতবাদে সীমাহীন আস্থা রাখা অবুঝ দেশবাসীর একাংশ মনে করছেন—এভাবে ডিম দেওয়া কমতে থাকলে কমে যেতে পারে হানাহানি ও বিদ্বেষ। নিঃশেষিত পকেটের অনিঃশেষ হাহাকারে সাধারণের মধ্যে আর কাউকে ডিম দেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি হওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কথায় তো আছে ‘চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা’। এই একই প্রবাদ চাচি ও ভাতিজা-ভাতিজিদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। এতে করে পরস্পরের প্রতি হিংসা কমে যেতে পারে। ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় যেসব অঞ্চল ‘বেস্ট’, সেসবে হিংসা-হানাহানি কম থাকাই উচিত। এ কারণেই হয়তো সৎ উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবেই ডিমের দামের পালে উজানের হাওয়া লেগেছে! যদিও এসব বক্তব্যের সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কেউ কেউ আবার বলছেন, অন্যকে ডিম দেওয়া কমিয়ে দিতে পারলেই এ দেশের মানুষের ডিম খাওয়ার গড় হার বেড়ে যেতে পারে। গড়ে অন্তত একটি ডিম তখন মানুষ হয়তো খেতেই পারবে। জানা যায়, একটা ডিম খেলে ১৪৩ ক্যালোরি পরিমাণ ‘এনার্জি’ পাওয়া যায়। এই বাড়তি এনার্জি পেলে টিসিবির বা যেকোনো কিছুর লাইনে দাঁড়ালেও কারও আর ক্লান্তিবোধ হবে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ডিম যত বেশি ভাজা হয়, এর পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হয়। তাই ভোগ করতে হবে সেদ্ধ ডিম, উপভোগ করতে হবে এর উত্তাপ!
তবে ডিমের এমন মূল্যোত্থানে মেজাজ খারাপ হয়েছে মুরগিদের। বাংলাদেশ মুরগি কল্যাণ সমিতি (বামুকস) তারিখ উল্লেখ না করা এক কাল্পনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একপক্ষীয়ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে আদতে তাদের ‘মুরগি’ বানানো হলো। ডিম পাড়ার ওপর সমিতির পক্ষ থেকে বহুমুখী কর আরোপের হুমকিও দিয়েছে বামুকস। সেই সঙ্গে এ দেশের মানুষকেও ‘মুরগি সম্প্রদায়ভুক্ত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আশা করি, এই নাতিদীর্ঘ ইতিবাচক আলোচনায় একটি ‘পজিটিভ ভাইব’ আপনাদের পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার সেই ইতিবাচক মনোভাবকে মাথায় নিয়ে নিতে হবে। একবার ‘ইতিবাচকতা’ মাথায় উঠে গেলেই কেল্লা ফতে, গোত্রভুক্ত হয়ে যাবেন। এর পর সেই কেল্লার দরজায় দাঁড়িয়ে ‘কুক্কুরু কু’ আওয়াজ দিলেও কোনো সমস্যা নাই!
সুতরাং, চলুন শুরু করা যাক ডিম বাঁচানোর পথে গুটি গুটি পায়ে হামাগুড়ি। সকলের প্রতি রইল শুভ কামনা।

তেলের দামে আগে থেকেই সর্ষে ফুল দেখার ব্যবস্থা ছিল। দুই ধরনের তেলেই—খাওয়ার এবং চলার। এবার ডিমের দামেও উল্লম্ফন দেখা দিল। কিন্তু ডিমের দাম বাড়লে ‘অন্যান্য দেশের তুলনায়’ অত্যধিক ভালো থাকা বাংলাদেশিদের যে কীরূপ উপকার, তা কি আপনারা জানেন?
দেখুন, প্রত্যেকটি বিষয়েরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। তেলেরও যেমন ছিল, ডিমেরও আছে। এবার এসব নিয়েই আমরা বিস্তারিত আলোচনায় যাব। নিজেকে ইতিবাচক রাখতে হলে এমন আলোচনার গভীরে আমাদের যেতেই হবে। কোনো এক মনীষী হয়তো কোনো এক সময় বলেছিলেন, ‘মন ভালো তো সব ভালো’। নেতিবাচক অবস্থায় মন ভালো রাখা তাত্ত্বিকভাবে বেশ কঠিন। তাই আমাদের প্রথমে ইতিবাচকতার সড়কে হাঁটার অভ্যাস গড়ে, তারপর মন ভালো রাখার মহাসড়কে দৌড়াতে হবেই! নইলে যে আমাদের শারীরিক মূর্তির ভাব-ভালোবাসা নিয়ে সন্দেহ উঠে যাবে।
সে জন্য আমাদেরই সম্মিলিত প্রয়াসে নিজেদের ‘চিয়ার আপ’ করতে হবে। আর এই চিয়ার আপ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ইতিবাচকতার চর্চা বাঞ্ছনীয়। এসব করতে গিয়ে যুক্তিতে মুক্তি না পাওয়ার মতো করে মানসিকভাবে টালমাটাল হলেও ক্ষতি আর কতটুকু? কে না জানে, পাগলের সুখ মনে মনে…!
যাক গে। আসল কথায় আসা যাক। কিছুদিন আগেই জ্বালানি তেলের দামে বড় বড় বেলুন বেঁধে তাকে আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের এহেন পদোন্নতিতে নাকি আবার সয়াবিন গাল ফুলিয়েছে। তাই সয়াবিন তেলের রাগ ভাঙাতে দ্রুতই বেলুনে গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে তাকেও ঊর্ধ্বাকাশে পাঠিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
দামের বিষয়ে দুই প্রকারের তেলের এভাবে ঊর্ধ্বাকাশে গমনের কারণেও বাংলাদেশিদের অনেক লাভ হয়েছিল এবং এখনো হচ্ছে। কারণ উচ্চমূল্যের কারণে সব ধরনের তেলই এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এবং এতে বাঙালিরা নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করা তেল বুঝেশুনে খরচ করা শুরু করেছে। অনেক তেল বিশেষ-অজ্ঞ মনে করেন, এ দেশের লোকজন আগে সহজলভ্যতার কারণে যেখানে-সেখানে তেল প্রয়োগ করতেন। লাগলেও, না লাগলেও। এখন ট্রেন্ড অনুযায়ী এ অঞ্চলের মানুষেরা ফেসবুকে অবশ্যই তেলবিরোধী কথা লিখে সরবে নিজেদের সংযম প্রদর্শন করবে এবং উল্টো পিঠে নীরবে ‘যেখানে দরকার সেখানে তৈলমর্দন’ ও একই সঙ্গে তেল মজুতের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে। এতে করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে তেল বিদেশেও রপ্তানি করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তেল বিশেষ-অজ্ঞরা।
ঠিক একইভাবে সুবিধা আছে ডিমের মূল্যবৃদ্ধিতেও। তেল দেওয়া যেমন এ দেশের মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার, তেমনই পছন্দ হোক বা না হোক যে কাউকে সুযোগ বুঝে ‘ডিম দেওয়াও’ আমাদের প্রধানতম শখ! এ দেশে চাকরিক্ষেত্রে যেমন একে-অন্যকে ডিম দেওয়ার চর্চা আছে, তেমনি আছে ব্যবসাতে, আছে স্বীকারোক্তি আদায় থেকে শুরু করে নানা কিছুতে। কিন্তু ডিমের দাম নিন্দুকদের মতে ‘রেকর্ড’ গড়ায়, এখন কাউকে ইচ্ছে হলেই ডিম দেওয়া যাবে না। কারণ, ডিম দেওয়া এখন অন্যান্য দেশের তুলনায় ‘কম’ মূল্যস্ফীতির এই বাজারে বেশ ব্যয়বহুল। আর অন্যকে ডিম দেওয়ার চেয়ে উল্টো পথে মুখে পুরে ফেলা যে বেশি পুষ্টিকর এখন, তা দিব্যি ‘জামাকাপড়’ পরে হাহাহিহি করা দেশবাসীদের কে না বোঝে!
এ ব্যাপারে ‘যুক্তিতে মুক্তি মেলে না’ মতবাদে সীমাহীন আস্থা রাখা অবুঝ দেশবাসীর একাংশ মনে করছেন—এভাবে ডিম দেওয়া কমতে থাকলে কমে যেতে পারে হানাহানি ও বিদ্বেষ। নিঃশেষিত পকেটের অনিঃশেষ হাহাকারে সাধারণের মধ্যে আর কাউকে ডিম দেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি হওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কথায় তো আছে ‘চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা’। এই একই প্রবাদ চাচি ও ভাতিজা-ভাতিজিদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। এতে করে পরস্পরের প্রতি হিংসা কমে যেতে পারে। ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় যেসব অঞ্চল ‘বেস্ট’, সেসবে হিংসা-হানাহানি কম থাকাই উচিত। এ কারণেই হয়তো সৎ উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবেই ডিমের দামের পালে উজানের হাওয়া লেগেছে! যদিও এসব বক্তব্যের সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কেউ কেউ আবার বলছেন, অন্যকে ডিম দেওয়া কমিয়ে দিতে পারলেই এ দেশের মানুষের ডিম খাওয়ার গড় হার বেড়ে যেতে পারে। গড়ে অন্তত একটি ডিম তখন মানুষ হয়তো খেতেই পারবে। জানা যায়, একটা ডিম খেলে ১৪৩ ক্যালোরি পরিমাণ ‘এনার্জি’ পাওয়া যায়। এই বাড়তি এনার্জি পেলে টিসিবির বা যেকোনো কিছুর লাইনে দাঁড়ালেও কারও আর ক্লান্তিবোধ হবে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ডিম যত বেশি ভাজা হয়, এর পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হয়। তাই ভোগ করতে হবে সেদ্ধ ডিম, উপভোগ করতে হবে এর উত্তাপ!
তবে ডিমের এমন মূল্যোত্থানে মেজাজ খারাপ হয়েছে মুরগিদের। বাংলাদেশ মুরগি কল্যাণ সমিতি (বামুকস) তারিখ উল্লেখ না করা এক কাল্পনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একপক্ষীয়ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে আদতে তাদের ‘মুরগি’ বানানো হলো। ডিম পাড়ার ওপর সমিতির পক্ষ থেকে বহুমুখী কর আরোপের হুমকিও দিয়েছে বামুকস। সেই সঙ্গে এ দেশের মানুষকেও ‘মুরগি সম্প্রদায়ভুক্ত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আশা করি, এই নাতিদীর্ঘ ইতিবাচক আলোচনায় একটি ‘পজিটিভ ভাইব’ আপনাদের পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার সেই ইতিবাচক মনোভাবকে মাথায় নিয়ে নিতে হবে। একবার ‘ইতিবাচকতা’ মাথায় উঠে গেলেই কেল্লা ফতে, গোত্রভুক্ত হয়ে যাবেন। এর পর সেই কেল্লার দরজায় দাঁড়িয়ে ‘কুক্কুরু কু’ আওয়াজ দিলেও কোনো সমস্যা নাই!
সুতরাং, চলুন শুরু করা যাক ডিম বাঁচানোর পথে গুটি গুটি পায়ে হামাগুড়ি। সকলের প্রতি রইল শুভ কামনা।
অর্ণব সান্যাল

তেলের দামে আগে থেকেই সর্ষে ফুল দেখার ব্যবস্থা ছিল। দুই ধরনের তেলেই—খাওয়ার এবং চলার। এবার ডিমের দামেও উল্লম্ফন দেখা দিল। কিন্তু ডিমের দাম বাড়লে ‘অন্যান্য দেশের তুলনায়’ অত্যধিক ভালো থাকা বাংলাদেশিদের যে কীরূপ উপকার, তা কি আপনারা জানেন?
দেখুন, প্রত্যেকটি বিষয়েরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। তেলেরও যেমন ছিল, ডিমেরও আছে। এবার এসব নিয়েই আমরা বিস্তারিত আলোচনায় যাব। নিজেকে ইতিবাচক রাখতে হলে এমন আলোচনার গভীরে আমাদের যেতেই হবে। কোনো এক মনীষী হয়তো কোনো এক সময় বলেছিলেন, ‘মন ভালো তো সব ভালো’। নেতিবাচক অবস্থায় মন ভালো রাখা তাত্ত্বিকভাবে বেশ কঠিন। তাই আমাদের প্রথমে ইতিবাচকতার সড়কে হাঁটার অভ্যাস গড়ে, তারপর মন ভালো রাখার মহাসড়কে দৌড়াতে হবেই! নইলে যে আমাদের শারীরিক মূর্তির ভাব-ভালোবাসা নিয়ে সন্দেহ উঠে যাবে।
সে জন্য আমাদেরই সম্মিলিত প্রয়াসে নিজেদের ‘চিয়ার আপ’ করতে হবে। আর এই চিয়ার আপ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ইতিবাচকতার চর্চা বাঞ্ছনীয়। এসব করতে গিয়ে যুক্তিতে মুক্তি না পাওয়ার মতো করে মানসিকভাবে টালমাটাল হলেও ক্ষতি আর কতটুকু? কে না জানে, পাগলের সুখ মনে মনে…!
যাক গে। আসল কথায় আসা যাক। কিছুদিন আগেই জ্বালানি তেলের দামে বড় বড় বেলুন বেঁধে তাকে আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের এহেন পদোন্নতিতে নাকি আবার সয়াবিন গাল ফুলিয়েছে। তাই সয়াবিন তেলের রাগ ভাঙাতে দ্রুতই বেলুনে গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে তাকেও ঊর্ধ্বাকাশে পাঠিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
দামের বিষয়ে দুই প্রকারের তেলের এভাবে ঊর্ধ্বাকাশে গমনের কারণেও বাংলাদেশিদের অনেক লাভ হয়েছিল এবং এখনো হচ্ছে। কারণ উচ্চমূল্যের কারণে সব ধরনের তেলই এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এবং এতে বাঙালিরা নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করা তেল বুঝেশুনে খরচ করা শুরু করেছে। অনেক তেল বিশেষ-অজ্ঞ মনে করেন, এ দেশের লোকজন আগে সহজলভ্যতার কারণে যেখানে-সেখানে তেল প্রয়োগ করতেন। লাগলেও, না লাগলেও। এখন ট্রেন্ড অনুযায়ী এ অঞ্চলের মানুষেরা ফেসবুকে অবশ্যই তেলবিরোধী কথা লিখে সরবে নিজেদের সংযম প্রদর্শন করবে এবং উল্টো পিঠে নীরবে ‘যেখানে দরকার সেখানে তৈলমর্দন’ ও একই সঙ্গে তেল মজুতের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে। এতে করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে তেল বিদেশেও রপ্তানি করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তেল বিশেষ-অজ্ঞরা।
ঠিক একইভাবে সুবিধা আছে ডিমের মূল্যবৃদ্ধিতেও। তেল দেওয়া যেমন এ দেশের মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার, তেমনই পছন্দ হোক বা না হোক যে কাউকে সুযোগ বুঝে ‘ডিম দেওয়াও’ আমাদের প্রধানতম শখ! এ দেশে চাকরিক্ষেত্রে যেমন একে-অন্যকে ডিম দেওয়ার চর্চা আছে, তেমনি আছে ব্যবসাতে, আছে স্বীকারোক্তি আদায় থেকে শুরু করে নানা কিছুতে। কিন্তু ডিমের দাম নিন্দুকদের মতে ‘রেকর্ড’ গড়ায়, এখন কাউকে ইচ্ছে হলেই ডিম দেওয়া যাবে না। কারণ, ডিম দেওয়া এখন অন্যান্য দেশের তুলনায় ‘কম’ মূল্যস্ফীতির এই বাজারে বেশ ব্যয়বহুল। আর অন্যকে ডিম দেওয়ার চেয়ে উল্টো পথে মুখে পুরে ফেলা যে বেশি পুষ্টিকর এখন, তা দিব্যি ‘জামাকাপড়’ পরে হাহাহিহি করা দেশবাসীদের কে না বোঝে!
এ ব্যাপারে ‘যুক্তিতে মুক্তি মেলে না’ মতবাদে সীমাহীন আস্থা রাখা অবুঝ দেশবাসীর একাংশ মনে করছেন—এভাবে ডিম দেওয়া কমতে থাকলে কমে যেতে পারে হানাহানি ও বিদ্বেষ। নিঃশেষিত পকেটের অনিঃশেষ হাহাকারে সাধারণের মধ্যে আর কাউকে ডিম দেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি হওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কথায় তো আছে ‘চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা’। এই একই প্রবাদ চাচি ও ভাতিজা-ভাতিজিদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। এতে করে পরস্পরের প্রতি হিংসা কমে যেতে পারে। ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় যেসব অঞ্চল ‘বেস্ট’, সেসবে হিংসা-হানাহানি কম থাকাই উচিত। এ কারণেই হয়তো সৎ উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবেই ডিমের দামের পালে উজানের হাওয়া লেগেছে! যদিও এসব বক্তব্যের সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কেউ কেউ আবার বলছেন, অন্যকে ডিম দেওয়া কমিয়ে দিতে পারলেই এ দেশের মানুষের ডিম খাওয়ার গড় হার বেড়ে যেতে পারে। গড়ে অন্তত একটি ডিম তখন মানুষ হয়তো খেতেই পারবে। জানা যায়, একটা ডিম খেলে ১৪৩ ক্যালোরি পরিমাণ ‘এনার্জি’ পাওয়া যায়। এই বাড়তি এনার্জি পেলে টিসিবির বা যেকোনো কিছুর লাইনে দাঁড়ালেও কারও আর ক্লান্তিবোধ হবে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ডিম যত বেশি ভাজা হয়, এর পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হয়। তাই ভোগ করতে হবে সেদ্ধ ডিম, উপভোগ করতে হবে এর উত্তাপ!
তবে ডিমের এমন মূল্যোত্থানে মেজাজ খারাপ হয়েছে মুরগিদের। বাংলাদেশ মুরগি কল্যাণ সমিতি (বামুকস) তারিখ উল্লেখ না করা এক কাল্পনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একপক্ষীয়ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে আদতে তাদের ‘মুরগি’ বানানো হলো। ডিম পাড়ার ওপর সমিতির পক্ষ থেকে বহুমুখী কর আরোপের হুমকিও দিয়েছে বামুকস। সেই সঙ্গে এ দেশের মানুষকেও ‘মুরগি সম্প্রদায়ভুক্ত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আশা করি, এই নাতিদীর্ঘ ইতিবাচক আলোচনায় একটি ‘পজিটিভ ভাইব’ আপনাদের পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার সেই ইতিবাচক মনোভাবকে মাথায় নিয়ে নিতে হবে। একবার ‘ইতিবাচকতা’ মাথায় উঠে গেলেই কেল্লা ফতে, গোত্রভুক্ত হয়ে যাবেন। এর পর সেই কেল্লার দরজায় দাঁড়িয়ে ‘কুক্কুরু কু’ আওয়াজ দিলেও কোনো সমস্যা নাই!
সুতরাং, চলুন শুরু করা যাক ডিম বাঁচানোর পথে গুটি গুটি পায়ে হামাগুড়ি। সকলের প্রতি রইল শুভ কামনা।

তেলের দামে আগে থেকেই সর্ষে ফুল দেখার ব্যবস্থা ছিল। দুই ধরনের তেলেই—খাওয়ার এবং চলার। এবার ডিমের দামেও উল্লম্ফন দেখা দিল। কিন্তু ডিমের দাম বাড়লে ‘অন্যান্য দেশের তুলনায়’ অত্যধিক ভালো থাকা বাংলাদেশিদের যে কীরূপ উপকার, তা কি আপনারা জানেন?
দেখুন, প্রত্যেকটি বিষয়েরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকে। তেলেরও যেমন ছিল, ডিমেরও আছে। এবার এসব নিয়েই আমরা বিস্তারিত আলোচনায় যাব। নিজেকে ইতিবাচক রাখতে হলে এমন আলোচনার গভীরে আমাদের যেতেই হবে। কোনো এক মনীষী হয়তো কোনো এক সময় বলেছিলেন, ‘মন ভালো তো সব ভালো’। নেতিবাচক অবস্থায় মন ভালো রাখা তাত্ত্বিকভাবে বেশ কঠিন। তাই আমাদের প্রথমে ইতিবাচকতার সড়কে হাঁটার অভ্যাস গড়ে, তারপর মন ভালো রাখার মহাসড়কে দৌড়াতে হবেই! নইলে যে আমাদের শারীরিক মূর্তির ভাব-ভালোবাসা নিয়ে সন্দেহ উঠে যাবে।
সে জন্য আমাদেরই সম্মিলিত প্রয়াসে নিজেদের ‘চিয়ার আপ’ করতে হবে। আর এই চিয়ার আপ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ইতিবাচকতার চর্চা বাঞ্ছনীয়। এসব করতে গিয়ে যুক্তিতে মুক্তি না পাওয়ার মতো করে মানসিকভাবে টালমাটাল হলেও ক্ষতি আর কতটুকু? কে না জানে, পাগলের সুখ মনে মনে…!
যাক গে। আসল কথায় আসা যাক। কিছুদিন আগেই জ্বালানি তেলের দামে বড় বড় বেলুন বেঁধে তাকে আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের এহেন পদোন্নতিতে নাকি আবার সয়াবিন গাল ফুলিয়েছে। তাই সয়াবিন তেলের রাগ ভাঙাতে দ্রুতই বেলুনে গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে তাকেও ঊর্ধ্বাকাশে পাঠিয়ে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
দামের বিষয়ে দুই প্রকারের তেলের এভাবে ঊর্ধ্বাকাশে গমনের কারণেও বাংলাদেশিদের অনেক লাভ হয়েছিল এবং এখনো হচ্ছে। কারণ উচ্চমূল্যের কারণে সব ধরনের তেলই এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এবং এতে বাঙালিরা নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করা তেল বুঝেশুনে খরচ করা শুরু করেছে। অনেক তেল বিশেষ-অজ্ঞ মনে করেন, এ দেশের লোকজন আগে সহজলভ্যতার কারণে যেখানে-সেখানে তেল প্রয়োগ করতেন। লাগলেও, না লাগলেও। এখন ট্রেন্ড অনুযায়ী এ অঞ্চলের মানুষেরা ফেসবুকে অবশ্যই তেলবিরোধী কথা লিখে সরবে নিজেদের সংযম প্রদর্শন করবে এবং উল্টো পিঠে নীরবে ‘যেখানে দরকার সেখানে তৈলমর্দন’ ও একই সঙ্গে তেল মজুতের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে। এতে করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে তেল বিদেশেও রপ্তানি করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তেল বিশেষ-অজ্ঞরা।
ঠিক একইভাবে সুবিধা আছে ডিমের মূল্যবৃদ্ধিতেও। তেল দেওয়া যেমন এ দেশের মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার, তেমনই পছন্দ হোক বা না হোক যে কাউকে সুযোগ বুঝে ‘ডিম দেওয়াও’ আমাদের প্রধানতম শখ! এ দেশে চাকরিক্ষেত্রে যেমন একে-অন্যকে ডিম দেওয়ার চর্চা আছে, তেমনি আছে ব্যবসাতে, আছে স্বীকারোক্তি আদায় থেকে শুরু করে নানা কিছুতে। কিন্তু ডিমের দাম নিন্দুকদের মতে ‘রেকর্ড’ গড়ায়, এখন কাউকে ইচ্ছে হলেই ডিম দেওয়া যাবে না। কারণ, ডিম দেওয়া এখন অন্যান্য দেশের তুলনায় ‘কম’ মূল্যস্ফীতির এই বাজারে বেশ ব্যয়বহুল। আর অন্যকে ডিম দেওয়ার চেয়ে উল্টো পথে মুখে পুরে ফেলা যে বেশি পুষ্টিকর এখন, তা দিব্যি ‘জামাকাপড়’ পরে হাহাহিহি করা দেশবাসীদের কে না বোঝে!
এ ব্যাপারে ‘যুক্তিতে মুক্তি মেলে না’ মতবাদে সীমাহীন আস্থা রাখা অবুঝ দেশবাসীর একাংশ মনে করছেন—এভাবে ডিম দেওয়া কমতে থাকলে কমে যেতে পারে হানাহানি ও বিদ্বেষ। নিঃশেষিত পকেটের অনিঃশেষ হাহাকারে সাধারণের মধ্যে আর কাউকে ডিম দেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি হওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কথায় তো আছে ‘চাচা, আপন প্রাণ বাঁচা’। এই একই প্রবাদ চাচি ও ভাতিজা-ভাতিজিদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। এতে করে পরস্পরের প্রতি হিংসা কমে যেতে পারে। ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় যেসব অঞ্চল ‘বেস্ট’, সেসবে হিংসা-হানাহানি কম থাকাই উচিত। এ কারণেই হয়তো সৎ উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবেই ডিমের দামের পালে উজানের হাওয়া লেগেছে! যদিও এসব বক্তব্যের সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কেউ কেউ আবার বলছেন, অন্যকে ডিম দেওয়া কমিয়ে দিতে পারলেই এ দেশের মানুষের ডিম খাওয়ার গড় হার বেড়ে যেতে পারে। গড়ে অন্তত একটি ডিম তখন মানুষ হয়তো খেতেই পারবে। জানা যায়, একটা ডিম খেলে ১৪৩ ক্যালোরি পরিমাণ ‘এনার্জি’ পাওয়া যায়। এই বাড়তি এনার্জি পেলে টিসিবির বা যেকোনো কিছুর লাইনে দাঁড়ালেও কারও আর ক্লান্তিবোধ হবে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ডিম যত বেশি ভাজা হয়, এর পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হয়। তাই ভোগ করতে হবে সেদ্ধ ডিম, উপভোগ করতে হবে এর উত্তাপ!
তবে ডিমের এমন মূল্যোত্থানে মেজাজ খারাপ হয়েছে মুরগিদের। বাংলাদেশ মুরগি কল্যাণ সমিতি (বামুকস) তারিখ উল্লেখ না করা এক কাল্পনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একপক্ষীয়ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে আদতে তাদের ‘মুরগি’ বানানো হলো। ডিম পাড়ার ওপর সমিতির পক্ষ থেকে বহুমুখী কর আরোপের হুমকিও দিয়েছে বামুকস। সেই সঙ্গে এ দেশের মানুষকেও ‘মুরগি সম্প্রদায়ভুক্ত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
আশা করি, এই নাতিদীর্ঘ ইতিবাচক আলোচনায় একটি ‘পজিটিভ ভাইব’ আপনাদের পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার সেই ইতিবাচক মনোভাবকে মাথায় নিয়ে নিতে হবে। একবার ‘ইতিবাচকতা’ মাথায় উঠে গেলেই কেল্লা ফতে, গোত্রভুক্ত হয়ে যাবেন। এর পর সেই কেল্লার দরজায় দাঁড়িয়ে ‘কুক্কুরু কু’ আওয়াজ দিলেও কোনো সমস্যা নাই!
সুতরাং, চলুন শুরু করা যাক ডিম বাঁচানোর পথে গুটি গুটি পায়ে হামাগুড়ি। সকলের প্রতি রইল শুভ কামনা।

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
২ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
২ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন। এমন আকস্মিক ঘটনায় হতভম্ব ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর বুঝে উঠতে পারছে না, কী তার ভুল। পুলিশের নির্দেশ মানার পর হাতে পড়ল হাতকড়া।
টাকি অ্যালেনকে কিশোর বয়সে এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। অ্যালেনের হাতে থাকা চিপসকে বন্দুক হিসেবে শনাক্ত করেছে এক এআই সিস্টেম!
স্থানীয় গণমাধ্যম ডব্লিউএমএআর-২ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাকি অ্যালেন বলে, ‘হঠাৎ দেখি প্রায় আটটা পুলিশ কার এসে গেল। তারপর সবাই বন্দুক তাক করে আমাকে মাটিতে শুতে বলছে।’
অ্যালেন বলতে থাকে, ‘ফুটবল অনুশীলনের পর এক প্যাকেট ডোরিটোস চিপস খেয়ে খালি প্যাকেটটি পকেটে রেখে দিই। এর ২০ মিনিট পরই এই ঘটনা। একজন অফিসার আমাকে হাঁটু গেড়ে বসতে বলেন, তারপর আমাকে আটক করে হাতকড়া পরান।
তবে বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ বিবিসি নিউজের কাছে দাবি করে, অ্যালেনকে হাতকড়া পরানো হয়েছিল, গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কোনো হুমকি নেই নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি নিরাপদে সমাধান করা হয়।
এই ঘটনার পর থেকে ফুটবল অনুশীলন শেষে স্কুলের ভেতরে চলে যায় অ্যালেন। সে জানায়, বাইরে যাওয়া নিরাপদ নয়, বিশেষ করে চিপস খাওয়া বা কিছু পান করা।
বাল্টিমোর কাউন্টি পুলিশ বিভাগ জানায়, সেই মুহূর্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত ও আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের কর্মকর্তারা।
বিভাগটি আরও জানায়, এআই সতর্কবার্তাটি মানব পর্যালোচকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা এতে কোনো হুমকি পাননি। এই বার্তা স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠানো হলেও তিনি এ তথ্যটি দেখেননি এবং স্কুলের নিরাপত্তা টিমকে জানান। তারা পুলিশকে ডাকে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল কেট স্মিথ বলেন, স্কুলের নিরাপত্তা দল দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং কোনো অস্ত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রাথমিক সতর্কতা বাতিল করে।
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের স্কুল রিসোর্স অফিসারকে (এসআরও) বিষয়টি জানানো হলে তিনি অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে তল্লাশি করেন এবং দ্রুত নিশ্চিত হন যে তার কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এআই টুল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওমনিলার্ট এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বিবিসি নিউজকে জানায়, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের উদ্বেগ জানাতে চাই।’
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সিস্টেম প্রথমে এমন কিছু শনাক্ত করে যা দেখতে আগ্নেয়াস্ত্রের মতো লাগছিল। ছবিটি পরে তাদের পর্যালোচনা দল যাচাই করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই তথ্য ও ছবি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুলের নিরাপত্তা দলের কাছে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তাদের সিস্টেমে ‘সমাধান হয়েছে’ বলে চিহ্নিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ হয়। তাদের সিস্টেম ‘যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেভাবেই কাজ করেছে।’
অ্যালেন মন্তব্য করেছে, ‘আমার মনে হয় না কোনো চিপসের প্যাকেটকে কখনো বন্দুক হিসেবে ভুল ধরা উচিত।’
এই ঘটনায় স্কুলগুলোতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে অনেকে। স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বাল্টিমোর কাউন্টির স্থানীয় কাউন্সিলর ইজি পাকোটা ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি তাদের এআই-চালিত অস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থার প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করতে।’

ডিমের এমন মূল্যোত্থানে মেজাজ খারাপ হয়েছে মুরগিদের। বাংলাদেশ মুরগি কল্যাণ সমিতি (বামুকস) তারিখ উল্লেখ না করা এক কাল্পনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একপক্ষীয়ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে আদতে তাদের ‘মুরগি’ বানানো হলো...
১৪ আগস্ট ২০২২
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
২ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
২ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান গেয়ে হাস্যরসাত্মক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে ল্যুভর মিউজিয়াম খোলার পরই চোরেরা একটি ট্রাক মিউজিয়ামের অ্যাপোলো গ্যালারির নিচে থামায়। এই ট্রাকে লাগানো ছিল বোকার কোম্পানির তৈরি একটি ভাঁজযোগ্য মই। দিনের আলোয় তারা সেই মই বেয়ে ওপরে উঠে যায়, জানালা কেটে ভেতরে ঢোকে এবং ডিসপ্লে কেস ভেঙে গয়না চুরি করে।
পুরো অপারেশনটি শেষ করতে চোরদের সময় লেগেছিল মাত্র সাত মিনিট। চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দেওয়া একটি পান্না ও হীরার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজিনির মুকুট। এই মুকুটে প্রায় ২ হাজার হীরা খচিত।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের কাছে অবস্থিত লিফটিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি বোকারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেক্সান্ডার বোক এবং তাঁর স্ত্রী রোববার খবরটি দেখার সময়ই ব্যবহৃত মইটি চিনতে পারেন।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলেক্সান্ডার বোক জানান, তাঁর স্ত্রী, যিনি কোম্পানির বিপণন প্রধানও, তিনিই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তিনি বলেন, ‘যখন পরিষ্কার হলো যে চুরির ঘটনায় কেউ আহত হয়নি, তখন আমরা বিষয়টিকে একটু হালকা চালে নিই।’
আলেক্সান্ডার স্বীকার করেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ! সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সর্বাধিক পরিদর্শন করা জাদুঘরটির খ্যাতি কাজে লাগিয়ে আমাদের কোম্পানির জন্য কিছুটা দৃষ্টি আকর্ষণ করার এ-ই সুযোগ।’ তবে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, ‘এই অপরাধ অবশ্যই নিন্দনীয়, এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
এই সুযোগে বোকার দ্রুতই একটি প্রচারণামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ল্যুভরের বাইরে লাগানো সেই মইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে: ‘যখন আপনার দ্রুত ফেরার তাড়া থাকে!’
বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তাদের তৈরি ‘Agilo’ নামের ডিভাইসটি ২৩০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক মোটর এবং ‘ফিসফিসানির মতো শান্ত’ শব্দের ইঞ্জিনের সাহায্যে ৪০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মালপত্র বহন করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চোরেরা মইটির ডেমোনস্ট্রেশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং প্রদর্শনের সময়ই এটি তারা চুরি করে নিয়ে যায়। তারা গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ও গ্রাহকের লেবেলিং পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোকারের পোস্টগুলো সাধারণত ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার বার দেখা হয়। তবে এই বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে ৪৩ লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। যদিও প্রচারণার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে এটিকে ‘স্মার্ট’ ও মজার বলে অভিহিত করেছেন, আবার অনেকে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আলেক্সান্ডার বোক বলেন, তিনি জানেন এটি ‘খুবই সূক্ষ্ম ভেদরেখা’, কিন্তু কেউ আহত না হওয়ায় তাঁরা এই পথে এগিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই প্রচারণার অর্থ অপরাধকে সমর্থন করা নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা নিঃসন্দেহে সিরিয়াস কোম্পানি। জার্মানিতে আমাদের ৬২০ জন কর্মচারী আছে। সবকিছু জার্মানিতেই তৈরি হয়। আমরা নিরাপত্তার পক্ষে।’

ডিমের এমন মূল্যোত্থানে মেজাজ খারাপ হয়েছে মুরগিদের। বাংলাদেশ মুরগি কল্যাণ সমিতি (বামুকস) তারিখ উল্লেখ না করা এক কাল্পনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একপক্ষীয়ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে আদতে তাদের ‘মুরগি’ বানানো হলো...
১৪ আগস্ট ২০২২
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
২ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
এই ঘটনা অনলাইন শপ থেকে কেনা শিশুদের পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চার দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে কিশোরটিকে নর্থ আইল্যান্ডের টরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরটি ভর্তির প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি (৫ x ২ মিলিমিটার আকারের) শক্তিশালী নিওডিমিয়াম চুম্বক গিলে ফেলেছিল। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, এই চুম্বকগুলো তার অন্ত্রের ভেতরে চারটি সরলরেখায় জড়ো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, চুম্বকীয় শক্তির কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন অংশ একসঙ্গে আটকে যাওয়ায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে টিস্যু মারা যায়।
সার্জনরা দ্রুত অপারেশন করে মৃত টিস্যু অপসারণ করেন এবং আটকে থাকা চুম্বকগুলো বের করে আনেন। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন, কিশোরটির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের অংশ ক্যাসেম-এর চারটি জায়গায় টিস্যু মারা গিয়েছিল। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর শিশুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনের লেখক ড. বিনুরা লেখামালেজ, লুসিন্ডা ডানক্যান-ওয়ার এবং নিকোলা ডেভিস সতর্ক করেছেন, এই ঘটনা কেবল চুম্বক গিলে ফেলার বিপদই নয়, বরং শিশুদের জন্য অনলাইন শপের বিপদকেও তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী চুম্বকগুলো নিউজিল্যান্ডে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ।
চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, চুম্বক গিলে ফেলার জন্য অস্ত্রোপচার ভবিষ্যতে অন্ত্রে বাধা, পেটে হার্নিয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এদিকে, চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট টেমু এই ঘটনা জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছে। একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছি এবং নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নালের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
টেমু আরও জানায়, তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে চুম্বকগুলো টেমু থেকেই কেনা হয়েছিল কি না। তবে তারা প্রাসঙ্গিক পণ্য তালিকা খতিয়ে দেখছে। অবৈধ পণ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাজারেও টেমু ইতিমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ডিমের এমন মূল্যোত্থানে মেজাজ খারাপ হয়েছে মুরগিদের। বাংলাদেশ মুরগি কল্যাণ সমিতি (বামুকস) তারিখ উল্লেখ না করা এক কাল্পনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একপক্ষীয়ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে আদতে তাদের ‘মুরগি’ বানানো হলো...
১৪ আগস্ট ২০২২
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
২ দিন আগে
তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ও ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

আপনি কি আপনার স্ত্রীকে ‘মোটু বা গুলুমুলু’ ডাকেন? তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। কারণ, তুরস্কের এক ব্যক্তি তাঁর ফোনে স্ত্রীর ফোন নম্বর সেভ করেছিলেন, ‘Chubby-চাবি’ দিয়ে। যার অর্থ প্রচলিত বাংলায় দাঁড়ায় ‘মোটু বা গুলুমুলু।’ অনেক সময় এই ডাকনাম আদুরে শোনালেও বিষয়টি মোটেও ভালো লাগেনি তুর্কি ওই ব্যক্তির স্ত্রীর। তিনি সোজা আদালতে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকি তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েও যায়।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের ওই ব্যক্তি তাঁর মোবাইল ফোনের কনট্যাক্টে স্ত্রীর নাম সেভ করেছিলেন ‘চাবি’ নাম দিয়ে। এই ঘটনাকে আদালত ‘অসম্মানজনক’ ও ‘বিবাহের জন্য ক্ষতিকর’ বলে রায় দিয়েছেন।
পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের ওই নারী এই ঘটনার পর স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। অন্যদিকে স্বামী পাল্টা মামলা করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে, তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, তাঁর স্বামী বারবার তাঁকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠাতেন। এক বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না।’ আরেকটিতে বলেছিলেন, ‘তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও গে।’ এ ছাড়া তিনি নিজের বাবার অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা দাবি করেন।
শুনানির সময় আদালতে সবচেয়ে আলোচিত হয় স্বামীর ফোনে স্ত্রীর নাম ‘তোম্বিক—তুর্কি ভাষার এই শব্দের অর্থ মোটা) নামে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি। ওই নারীর দাবি, এই ডাকনাম তাঁকে অপমান করেছে এবং তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে। আদালত তাঁর দাবিকে সমর্থন করে জানায়, ওই নাম ও বার্তাগুলো ‘মানসিক ও অর্থনৈতিক সহিংসতা’র শামিল।
অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অন্য এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে বলে, স্বামীর অপমানজনক ভাষা ও অর্থনৈতিক চাপ ছিল আরও গুরুতর। তাই মূল দায় তাঁরই।
তুর্কি আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মান আঘাত করে এমন ভাষা বা আচরণের জন্য, সেটা বার্তা মারফত হোক বা সরাসরি, দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা পরকীয়ার অভিযোগ খারিজ করা হয়। স্বামীকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একজন লিখেছেন, ‘মোটু বা গুলুমুলু ডাক আসলে বেশ মিষ্টি শোনায়। মোটা হওয়া কোনো অপরাধ না, আর মোটা বলে ডাকা সব সময় অপমানও নয়।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এটা ন্যায্য রায়। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে একের পর এক অপমানজনক বার্তা পাঠিয়েছে—সেখানেই সীমা অতিক্রম করেছে।’ তৃতীয় এক ব্যক্তি মজা করে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের নম্বরগুলো এখনই যাচাই করব, যেন কোনো আপত্তিকর কিছু না থাকে।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এক ব্যক্তি প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। কারণ, প্রেমিকার ফোনটি তাঁদের প্রথমবার একসঙ্গে যাওয়া এক হোটেলের কামরায় ওয়াইফাইয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়।
এর ফলে ওই পুরুষি মনে করেন, এর মানে ওই নারী আগে অন্য কারও সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে প্রতারণা করেছেন। অপমানিত হয়ে ওউ নারী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য।

ডিমের এমন মূল্যোত্থানে মেজাজ খারাপ হয়েছে মুরগিদের। বাংলাদেশ মুরগি কল্যাণ সমিতি (বামুকস) তারিখ উল্লেখ না করা এক কাল্পনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, একপক্ষীয়ভাবে ডিমের দাম বাড়িয়ে আদতে তাদের ‘মুরগি’ বানানো হলো...
১৪ আগস্ট ২০২২
চিপস খেতে খেতে রাস্তায় হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের স্কুলপড়ুয়া কিশোর টাকি অ্যালেন। হঠাৎ আটটি পুলিশের গাড়ি এসে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তাকে। গাড়ি থামিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা তার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসতে বললেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান অলংকার চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত বিশেষ একটি ফার্নিচারের প্রস্তুতকারক জার্মান কোম্পানি বোকার। এই চুরির ঘটনাকে এখন নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। তারা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের পণ্যের গুণগান...
২ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের পেট থেকে প্রায় ১০০টি শক্তিশালী চুম্বক অপসারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্রের কিছু টিস্যুও অপসারণ করতে হয়েছে। চিকিৎসকেরা গতকাল শুক্রবার এই অস্ত্রোপচারের কথা প্রকাশ করেন। চুম্বকগুলো কেনা হয়েছিল জনপ্রিয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম টেমু থেকে।
২ দিন আগে