জাহীদ রেজা নূর
টাকাপয়সার বিরুদ্ধে যত দার্শনিক কথাই হোক না কেন, টাকাপয়সা যে জীবনের জন্য খুব দরকারি, এ কথা না মেনে কি উপায় আছে? রাশিয়ার মানুষের অবস্থাও বাংলাদেশের মানুষের মতো। ওখানেও হাজার কোটি টাকা মেরে দিতে পারে কেউ, আর লাখ লাখ মানুষ শুধু টাকার অভাবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আমি কি লাখ লাখ বললাম? থুককু, আসলে আমি কোটি কোটি মানুষের কথাই বলতে চেয়েছিলাম। আসলে কথাটা এভাবেও বলা যায়: কয়েকজন মানুষের পকেটে থাকে কোটি কোটি টাকা, আর কোটি কোটি মানুষের পকেটে থাকে কয়েকটি টাকা।
যাক, একটু রাশিয়ার টাকার জগৎ থেকে ঘুরে আসা যাক।
১.
কথা হচ্ছে দুই বন্ধুর মধ্যে।
১ম বন্ধু: তুমি বলছ, বেঁচে থাকার জন্য টাকা গুরুত্বপূর্ণ নয়? সুখই গুরুত্বপূর্ণ?
২য় বন্ধু: না, আমি টাকা বা সুখ, কোনোটাকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না।
১ম বন্ধু: তাহলে গুরুত্বপূর্ণ কী?
২য় বন্ধু: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো লক্ষ্য। এইম ইন লাইফ!
১ম বন্ধু: তাহলে তো সব ঠিকই আছে। আমার জীবনের লক্ষ্য হলো, অনেক টাকা কামাব এবং সুখী হব!
২.
১ম বন্ধু: তুই টাকাগুলো কোনভাবে রাখিস? ডলার করে, নাকি ইউরো করে?
২য় বন্ধু: টাকাগুলো আছে আমার স্মৃতিতে। বাস্তবে নেই।
৩.
টাকা হাতে পেলে পুরুষ নিজেকে শুধু পুরুষই মনে করে, আর মেয়েরা মনে করে, সে মানুষ হয়েছে!
৪.
আমার কাছে এখন কত টাকা আছে জানেন? আমার কাছে যত টাকা আছে, তা দিয়ে আমি সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারব। তবে শর্ত একটাই—সে ক্ষেত্রে দুপুরে খাবার পর আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে।
৫.
এলিয়ানরা এসেছে পৃথিবীতে। মহাশূন্যে যতগুলো বুদ্ধিমান প্রাণী রয়েছে, তার তালিকা রয়েছে তাদের হাতে। মানুষও বুদ্ধিমান প্রাণী, তাই মানুষের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছে তারা।
—আপনাদের এই গ্রহে এত জমি, পানি এবং আলো, তারপরও কেন আপনাদের গ্রহে মানুষ খেতে পায় না?
—টাকা নাই।
—আপনাদের সবকিছু আছে, তারপরও পৃথিবীতে এত গৃহহীন মানুষ কেন?
—কারণ, টাকায় কুলায় না।
—আপনাদের গ্রহটাকে আপনারা গ্যাসে গ্যাসে ভরে ফেলছেন কেন?
—টাকা নেই যে, অন্য কোনো উপায়ে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করব।
—আপনাদের গ্রহে এত অসুস্থ মানুষ কেন? এদের তো ইচ্ছে করলেই সুস্থ করে তোলা যায়।
—কারণ আমাদের অত টাকা নেই।
—এই যে টাকা টাকা বলছেন, এটা আসলে কোন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ? কোথায় এর চাষবাস হয়? আমরা কি অন্য গ্রহ থেকে এই টাকা এনে আপনাদের অভাব মোচন করতে পারি?
—টাকা চাষবাস করে হয় না। ওটা আমরা নিজেরাই ছাপাই।
এই কথা শুনে লা–জওয়াব, হয়ে এই এলিয়েনের দল ‘বুদ্ধিমান’ প্রাণীর বাসস্থানের তালিকা থেকে পৃথিবীর নাম কেটে উড়ে গেল গ্রহান্তরে।
৬.
আমার হাতে টাকা নেই, এটা খুব যন্ত্রণাকর অবস্থা। কিন্তু তার চেয়ে বেশি যন্ত্রণাকর হলো, আমার পড়শির হাতে টাকা আছে!
৭.
—আপনি কি আপনার পুঁজি ডবল করতে চান?
—অবশ্যই চাই।
—তাহলে আপনার সব টাকা নিয়ে আয়নার সামনে রাখুন।
৮.
ভেবে দেখুন একবার, কী সুখই না হতো, যদি টাকায় টাকায় মিলন হতো আর তাদের ভালোবাসার ফলে জন্ম নিত শিশু টাকা! এদের বেড়ে ওঠার জন্য আমরা সবাই আমাদের মানিব্যাগগুলো সঁপে দিতাম। আমাদের মানিব্যাগেই একের পর এক টাকার বাচ্চার জন্ম হোক না!
৯.
টাকা যদি গাছে ধরত, তাহলে কোনো সন্দেহ নেই, মানুষের সবচেয়ে প্রিয় ঋতু হতো শরৎ! ঝরা পাতা গো, আমি তোমারই দলে...
১০.
যদি কোনো মানুষের কাছে অনেক দিন থাকার পরও টাকা মানুষটাকে নষ্ট করতে না পারে, তাহলে সে রাগে-দুঃখে অন্য মানুষকে নষ্ট করার জন্য তাকে ছেড়ে যায়।
১১.
বিনিয়োগকারী তার পরামর্শদাতাকে বলছেন: আমার টাকাগুলো কি তাহলে জলে গেল?
—না না, জলে যাবে কেন? তারা এখন অন্য মালিক খুঁজে পেয়েছে।
রিজার্ভ বেঞ্চ
ভেবে দেখেছেন? টাকা মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে, টাকা না থাকলে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়।
আরও পড়ুন
টাকাপয়সার বিরুদ্ধে যত দার্শনিক কথাই হোক না কেন, টাকাপয়সা যে জীবনের জন্য খুব দরকারি, এ কথা না মেনে কি উপায় আছে? রাশিয়ার মানুষের অবস্থাও বাংলাদেশের মানুষের মতো। ওখানেও হাজার কোটি টাকা মেরে দিতে পারে কেউ, আর লাখ লাখ মানুষ শুধু টাকার অভাবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আমি কি লাখ লাখ বললাম? থুককু, আসলে আমি কোটি কোটি মানুষের কথাই বলতে চেয়েছিলাম। আসলে কথাটা এভাবেও বলা যায়: কয়েকজন মানুষের পকেটে থাকে কোটি কোটি টাকা, আর কোটি কোটি মানুষের পকেটে থাকে কয়েকটি টাকা।
যাক, একটু রাশিয়ার টাকার জগৎ থেকে ঘুরে আসা যাক।
১.
কথা হচ্ছে দুই বন্ধুর মধ্যে।
১ম বন্ধু: তুমি বলছ, বেঁচে থাকার জন্য টাকা গুরুত্বপূর্ণ নয়? সুখই গুরুত্বপূর্ণ?
২য় বন্ধু: না, আমি টাকা বা সুখ, কোনোটাকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না।
১ম বন্ধু: তাহলে গুরুত্বপূর্ণ কী?
২য় বন্ধু: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো লক্ষ্য। এইম ইন লাইফ!
১ম বন্ধু: তাহলে তো সব ঠিকই আছে। আমার জীবনের লক্ষ্য হলো, অনেক টাকা কামাব এবং সুখী হব!
২.
১ম বন্ধু: তুই টাকাগুলো কোনভাবে রাখিস? ডলার করে, নাকি ইউরো করে?
২য় বন্ধু: টাকাগুলো আছে আমার স্মৃতিতে। বাস্তবে নেই।
৩.
টাকা হাতে পেলে পুরুষ নিজেকে শুধু পুরুষই মনে করে, আর মেয়েরা মনে করে, সে মানুষ হয়েছে!
৪.
আমার কাছে এখন কত টাকা আছে জানেন? আমার কাছে যত টাকা আছে, তা দিয়ে আমি সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারব। তবে শর্ত একটাই—সে ক্ষেত্রে দুপুরে খাবার পর আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে।
৫.
এলিয়ানরা এসেছে পৃথিবীতে। মহাশূন্যে যতগুলো বুদ্ধিমান প্রাণী রয়েছে, তার তালিকা রয়েছে তাদের হাতে। মানুষও বুদ্ধিমান প্রাণী, তাই মানুষের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছে তারা।
—আপনাদের এই গ্রহে এত জমি, পানি এবং আলো, তারপরও কেন আপনাদের গ্রহে মানুষ খেতে পায় না?
—টাকা নাই।
—আপনাদের সবকিছু আছে, তারপরও পৃথিবীতে এত গৃহহীন মানুষ কেন?
—কারণ, টাকায় কুলায় না।
—আপনাদের গ্রহটাকে আপনারা গ্যাসে গ্যাসে ভরে ফেলছেন কেন?
—টাকা নেই যে, অন্য কোনো উপায়ে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করব।
—আপনাদের গ্রহে এত অসুস্থ মানুষ কেন? এদের তো ইচ্ছে করলেই সুস্থ করে তোলা যায়।
—কারণ আমাদের অত টাকা নেই।
—এই যে টাকা টাকা বলছেন, এটা আসলে কোন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ? কোথায় এর চাষবাস হয়? আমরা কি অন্য গ্রহ থেকে এই টাকা এনে আপনাদের অভাব মোচন করতে পারি?
—টাকা চাষবাস করে হয় না। ওটা আমরা নিজেরাই ছাপাই।
এই কথা শুনে লা–জওয়াব, হয়ে এই এলিয়েনের দল ‘বুদ্ধিমান’ প্রাণীর বাসস্থানের তালিকা থেকে পৃথিবীর নাম কেটে উড়ে গেল গ্রহান্তরে।
৬.
আমার হাতে টাকা নেই, এটা খুব যন্ত্রণাকর অবস্থা। কিন্তু তার চেয়ে বেশি যন্ত্রণাকর হলো, আমার পড়শির হাতে টাকা আছে!
৭.
—আপনি কি আপনার পুঁজি ডবল করতে চান?
—অবশ্যই চাই।
—তাহলে আপনার সব টাকা নিয়ে আয়নার সামনে রাখুন।
৮.
ভেবে দেখুন একবার, কী সুখই না হতো, যদি টাকায় টাকায় মিলন হতো আর তাদের ভালোবাসার ফলে জন্ম নিত শিশু টাকা! এদের বেড়ে ওঠার জন্য আমরা সবাই আমাদের মানিব্যাগগুলো সঁপে দিতাম। আমাদের মানিব্যাগেই একের পর এক টাকার বাচ্চার জন্ম হোক না!
৯.
টাকা যদি গাছে ধরত, তাহলে কোনো সন্দেহ নেই, মানুষের সবচেয়ে প্রিয় ঋতু হতো শরৎ! ঝরা পাতা গো, আমি তোমারই দলে...
১০.
যদি কোনো মানুষের কাছে অনেক দিন থাকার পরও টাকা মানুষটাকে নষ্ট করতে না পারে, তাহলে সে রাগে-দুঃখে অন্য মানুষকে নষ্ট করার জন্য তাকে ছেড়ে যায়।
১১.
বিনিয়োগকারী তার পরামর্শদাতাকে বলছেন: আমার টাকাগুলো কি তাহলে জলে গেল?
—না না, জলে যাবে কেন? তারা এখন অন্য মালিক খুঁজে পেয়েছে।
রিজার্ভ বেঞ্চ
ভেবে দেখেছেন? টাকা মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে, টাকা না থাকলে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়।
আরও পড়ুন
‘নির্ভীক’ শব্দটা অনেকেই গর্বের সঙ্গে ব্যবহার করেন। কিন্তু মানুষ সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি নির্ভীক নয়। জন্মগতভাবে মানুষের ভয় খুব সীমিত—মাত্র দুটি। গবেষণা বলছে, মানুষ জন্মগতভাবে যেসব ভয় নিয়ে আসে, তার মধ্যে রয়েছে উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় এবং বিকট শব্দে চমকে ওঠা।
৮ ঘণ্টা আগেবেশির ভাগ বিড়ালপ্রেমীই আতঙ্কে থাকেন, কখন তাদের পোষা বিড়াল কোনো ইঁদুর বা পাখি শিকার করে বাসায় নিয়ে আসে। তবে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের এক পরিবারের বিড়ালের কর্মকাণ্ড এই সাধারণ দুশ্চিন্তার চেয়েও ভয়াবহ। কারণ, তাদের ১৫ মাস বয়সী বিড়ালটি একা পুরো এলাকায় চুরির রাজত্ব কায়েম করেছে। পুরো এলাকার অপরাধ জগতে
১৬ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। মাঝ রাস্তায় দুই ঘোড়ার লড়াইয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়। এই তাণ্ডবের মধ্যে একটি ঘোড়া একটি অটো রিকশার ওপর লাফিয়ে পড়ে। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। এরপর ঘোড়াটি প্রায় ২০ মিনিট রিকশার ভেতরে আটকে ছিল।
৩ দিন আগেহাঙ্গেরির মধ্যযুগে একটি মঠ প্যাননহালমা আর্চঅ্যাবি। এই মঠের কয়েক শ বছরের পুরোনো বই সাম্প্রতিক সময়ে এসে গুবরে পোকার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। আর বইগুলোকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষায় শুরু হয়েছে এক বড় আকারের উদ্ধার অভিযান। মঠটির লাইব্রেরি থেকে সরানো হচ্ছে হাতে বাঁধানো প্রায় এক লাখ বই।
৪ দিন আগে