উত্তরাধিকার, এখনও সময় আছে, দেশ—তিনটি লেখা আমার সবচেয়ে প্রিয়। ২০০৪ সালের কোনো এক দুপুরবেলা কলকাতার টালিগঞ্জে বসে এ কথা বলেছিলেন দুই বাংলায় জনপ্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার। প্রায় চার হাজার শব্দের সাক্ষাৎকারে অকপটে অনেক কথাই তিনি বলেছেন। সাপ্তাহিক মৃদুভাষণের পক্ষে সেই সময় সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন তাপস কুমার দ
তখন বয়স সতেরো কি আঠারো। কয়েক বছরের মধ্যে বড় ক্যানভাসের দুই ডজনের বেশি উপন্যাস পড়ে ফেলে নিজেকে বেশ তালেবর পাঠক বলে মনে করছি। একদিন বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডায় সমরেশকে নিয়ে কাটাছেঁড়া হচ্ছে। একজন আঁতেল বন্ধু বলল, ‘কোন সমরেশ?’ আরেকজন বলল, ‘সমরেশ আবার কজন?
সত্তরের দশক মুক্তির দশক বলে আন্দোলনের মন্ত্র গেঁথেছিল নকশালেরা। বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও তখন উত্তাল। পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যাঙ্গনে তখন তিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্ব শেষ। উঠে আসছেন তরুণ লেখকেরা।
তখন মাঝ কৈশোর। প্রায় সেই সময়ে দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক উপন্যাস প্রকাশ হতে শুরু করল। গর্ভধারিণী। শুরু থেকে একটা চুম্বকীয় আকর্ষণ বোধ হল। দেশ তখন সাপ্তাহিক। প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে হতো। গল্প এগোয়। জয়িতা আর তার সাঙ্গপাঙ্গরাও এগোও। তাদের পথ ধরে আমরাও এগোতে থাকি।