মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছে, চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর যে বিশাল শুল্ক আছে তা ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনা হবে’ তবে এটি আর ‘শূন্যের কোটায় আসবে না।’ স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ তথ্য জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের
যুক্তরাষ্ট্রের শতবর্ষের রেকর্ড উচ্চতার শুল্কের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বেশির ভাগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, বর্ধিত বাণিজ্য উত্তেজনা বিশ্ব প্রবৃদ্ধিকে আরও ধীর করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি ও ফেডারেল রিজার্ভকে (ফেড) লক্ষ্য করে তীব্র সমালোচনার জেরে বিশ্ববাজারে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর ফলে নিরাপদ বিনিয়োগের খোঁজে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছেন সোনার দিকে। ফলে গতকাল মঙ্গলবার সোনার দাম ইতিহাস গড়ে প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৫০০ ডলারে পৌঁছেছে।
বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও দেশের বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়ছে না; বরং পুরোনো সিন্ডিকেটের সক্রিয় কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ এক নতুন জাতীয় চেতনার জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাবে দেশপ্রেমিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেশের অর্থনীতি রক্ষায়। যুদ্ধ শব্দটি এখানে বারুদের বদলে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিনিয়োগ আর আত্মনির্ভরতার মন্ত্রে।
এই অবস্থায় বর্তমান তথ্যের ভিত্তিতে, আগামী এক বছরের জন্য মার্কিন মন্দার আশঙ্কা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত রাখা যেতে পারে এবং পরবর্তী চার বছরের জন্য এটি আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও কিছুই নিশ্চিত নয়, তবে আমরা যদি ‘ডাঙায় আটকে পড়ি’ অর্থাৎ মন্দার মধ্যে পড়েই যাই, তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের খগড়ের কারণে এখনো অস্থির হয়ে আছে বিশ্ববাজার। এর ফলে, আজ সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ডলারের মান পড়ে গেছে বেশ খানিকটা। ফলে, পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো বাণিজ্য চুক্তি হলে যা চীনের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে, সেই দেশের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তাপ যখন বিশ্বজুড়ে ছড়াচ্ছে, তখন চীনের এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন চাপ তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত
ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত বর্ধিত শুল্ক এড়াতে পণ্যের প্রকৃত উৎস গোপন করে দক্ষিণ কোরিয়ার নামে রপ্তানির চেষ্টা করছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো। এরই মধ্যে ২ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানিতে এ ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে ৯৭ শতাংশেরই গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাণিজ্য যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির বেশ কিছু নজির রয়েছে। উনিশ শতকের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা বলতে ছয় বা তার বেশি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত টানা অর্থনৈতিক সংকোচন বোঝানো হয়। যদিও এর কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই।
আমেরিকার বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৩৭ শতাংশ শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার না হলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাতকে প্রতি মাসে গড়ে ২৫০ মিলিয়ন ডলার শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। এতে প্রায় ১ হাজার কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই শুল্ক প্রত্যাহারের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনা
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করছে। এই অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ ক্রমশ বাড়ছে। তবে চীন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্ক চাপিয়েই চীনের প্রতিশোধ নেওয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। বেইজিং এখন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিরল মৃত্তিকা খনিজ ও চুম্বক রপ্তানির রাশ টেনেছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ এবং শুল্কনীতির ফলে বৈশ্বিক পণ্যবাণিজ্য সংকুচিত হতে পারে এবং এতে দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক জিডিপি ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংস্থাটি এ বছর বাণিজ্যে ০.২% হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে, যা করোনা পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বড় পতন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ধিত শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এই যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন। এ কারণে সোনার দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গতকাল বুধবার স্পট মার্কেট তথা তাৎক্ষণিক বাজারে সোনার দাম আউন্স প্রতি ৩ হাজার ৩৫৭ দশমিক ৪০
ভারতের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ৯৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। চলতি বছরের মার্চে শেষ হওয়া এই অর্থ বছরে ইলেকট্রনিক ও ভোগ্যপণ্য আমদানি বৃদ্ধির কারণে এই ঘাটতি বেড়েছে। ভারতের বাণিজ্য সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে বিষয়টি জানা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার এবং যুক্তরাষ্ট্রের একপেশে পাল্টা শুল্ক আরোপ—দুই দিক থেকেই বাণিজ্যিক চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। শুধু ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে অতিরিক্ত ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ...
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।