লকডাউন

সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ কালে সব ধরনের দোকানপাট ও শপিংমল বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া কেউ উঠতে পারবেন না।

মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলা, সভা-সমাবেশ না করা, ধর্মী ও রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ, গণপরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা, পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা সম্ভব হচ্ছে বিধিনিষেধ দেওয়ার কারণেই। ফলে শিথিল বিধিনিষেধগুলো ঢিলেঢালাভাবে মানা হলেও তাতে কিছুটা লাভ হচ্ছে। লক্ষ্য করুন, বিধিনিষেধ দেওয়ার

বিধিনিষেধ চলাকালীন সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। যেসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ সেসব এলাকার জেলা প্রশাসক পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আজ শনিবার ভোর ছয়টা থেকে লকডাউন শুরু হলেও তা চলছে ঢিলেঢালাভাবে। তবে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে।

লকডাউনের আওতার এলাকাগুলোতে ফার্মেসি ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার খোলা থাকবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শর্তসাপেক্ষে খোলা থাকবে খাবার হোটেল

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নিয়ামতপুর উপজেলায় সাত দিনব্যাপী বিশেষ লকডাউনের আজ বৃহস্পতিবার প্রথম দিন। আজ সকাল থেকেই উপজেলার প্রধান সড়কে সীমিত পরিসরে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকেই যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটছেন। বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, পুলিশি তৎপরতা। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সড়ক ও বাজারগুলো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে সাতক্ষীরায়। সেজন্য জেলায় এক সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসক। শনিবার (৫ জুন) থেকে জেলাব্যাপী সাত দিনের লকডাউন কার্যকর করা হবে

লকডাউনের শুরু থেকে শুটিং থেকে দূরে ছিলেন ফজলুর রহমান বাবু। ঈদের পর সম্প্রতি কাজে ফিরেছেন তিনি। জানালেন, ‘হাউস নং-৯৬’ ধারাবাহিকে একেকটি গল্প নিয়ে একেকটি পর্ব।

প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, দোকান বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধ, জরুরি প্রয়োজনীয় দ্রব্য, চিকিৎসা সেবা এবং দাফন ও সৎকারে প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান এর আওতাভুক্ত থাকবে না

ফরিদুর রহমান নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতিদিন মাতুয়াইল থেকে বাসে করে গুলিস্তানে তাঁর কর্মস্থলে আসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কিছু কিছু সিটিংস সার্ভিস বাস এখনো এক সিট ফাঁকা রেখে চলছে। এক সিট ফাঁকা রাখলেও ওই বাসেই ১০-১২ জন করে যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব মানা যাচ্ছে না, উল

দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় সীমান্তবর্তী জেলা ও অধিক সংক্রমিত এলাকাসমূহ সম্পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা এবং ৫টি রোহিঙ্গা শিবিরে লকডাউন আরও ৬ দিন বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাগেরহাটের মোংলা সদর উপজেলায় কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তবে ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না।

ইচ্ছা করলে স্থানীয় জেলা প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে, উনাদের আগেই বলে দেওয়া হয়েছে। যেমন-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, এটা কিন্তু ওখান থেকেই সাজেশন এসেছে। আমরা ডিস্ট্রিক্টগুলোকে বলে দিয়েছি, যদি মনে করে পুরো ডিস্ট্রিক্ট না করে ওই বর্ডার এলাকা লকডাউন করতে হবে, সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে

সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক হওয়ায় আবারও ১লা জুন থেকে ৭জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহের লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ এই লকডাউন ঘোষণা করেন

সাতটি জেলায় কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। জেলাগুলো হলো-রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া

চলমান বিধিনিষেধ ও লকডাউন বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আগের মতো সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংকগুলো। তবে বিধিনিষেধের আগামী সাতদিন অর্থাৎ ৬ জুন পর্যন্ত লেনদেন ও ব্যাংক খোলা রাখার সময় আরও আধা ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে