শহীদুল ইসলাম

ঢাকা: গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে চলছে বাস। খাবারের হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভিড়। হাট-বাজার, শপিংমলে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। বাড়ির বাইরে বের হয়ে মাস্ক ব্যবহার করেন না অনেকে। লকডাউনের মধ্যে এসব দেখারও যেন কেউ নেই।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও আগামী ৬ জুন পর্যন্ত মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ বা লকডাউন দিয়ে রেখেছে সরকার। লকডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। তবে বাস্তব চিত্রটা ভিন্ন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন লকডাউন আর কার্যকর নেই। এভাবে লকডাউন দিয়ে তেমন কোনো লাভও হচ্ছে না। সারা দেশে এভাবে লকডাউন না দিয়ে সীমান্তবর্তী নয় জেলায় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরের ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিনের লকডাউন দেওয়া হয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এবার গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন চলছে।
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা ও অধিক সংক্রমিত এলাকায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। উচ্চ সংক্রমিত এলাকা থেকে আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ রাখতেও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট এলাকায় করোনা সংক্রমণের উচ্চহার দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া আরও কিছু জেলায় উচ্চ সংক্রমণ হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে ভারতীয় ধরনের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এদের পাশাপাশি পুলিশও লকডাউন কার্যকরে কাজ করছে।
লকডাউনের শুরুতে মানুষকে মাস্ক পরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও এখন তা হচ্ছে না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনে যে কোনো সময় মোবাইল কোর্ট চালাতে পারবে স্থানীয় প্রশাসন। আমাদের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশনা দেওয়া আছে।
মিরপুর এক নম্বর সেক্টর থেকে প্রতিদিন মতিঝিল গিয়ে অফিস করেন আব্দুল মালেক খান। বুধবার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সকালে অফিসে আসার সময় বাসের সব সিটেই যাত্রী নেওয়া হয়। অনেক সময় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হচ্ছে, প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয় না।
ফরিদুর রহমান নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতিদিন মাতুয়াইল থেকে বাসে করে গুলিস্তানে তাঁর কর্মস্থলে আসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কিছু কিছু সিটিংস সার্ভিস বাস এখনো এক সিট ফাঁকা রেখে চলছে। এক সিট ফাঁকা রাখলেও ওই বাসেই ১০-১২ জন করে যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব মানা যাচ্ছে না, উল্টো দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক বে-নজির আহমদ আজ বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এভাবে লকডাউন / বিধিনিষেধ দিয়ে কোনো লাভ নেই। বিধিনিষেধ আর কার্যকর নেই। লকডাউন নেই বলতে পারেন। কিছু অফিস আদালত বন্ধ রাখা হলেও সেখানেও এখন অনেকেই যাচ্ছেন।
‘এখন সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার। স্থানীয়ভাবে এসব এলাকার লকডাউন করতে হবে। সেখান থেকে যেন সংক্রমণ আর না ছড়ায়।’
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার তাগাদা দিয়ে বে-নজির বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সেসব এলাকায় গিয়ে মনিটর করা দরকার। মহাপরিচালক নিজে গেলে এসব কাজে গতি আসবে। সেখানকার সকল রোগী শনাক্ত করে তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। নিজ নিজ জেলায় তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে চিকিৎসক সেখানে পাঠানো যেতে পারে, চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে।
‘সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ কমাতে পারলে অন্য এলাকায় তা আর ছড়াবে না। এখনই এটাই করতে হবে। নয়টি জেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কার্যক্রম দরকার।’
মহামারির মধ্যে মানুষ বিধিনিষেধগুলো ঠিকমতো না মানলেও এর মধ্য দিয়েও কিছুটা লাভ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনা সংক্রমণ কমাতে বিধিনিষেধ চলছে। যত দিন করোনা থাকবে তত দিন বিধিনিষেধও রাখতে হবে। মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলা-এসব তো বিধিনিষেধের মধ্যেই পরে।
‘এটা ঠিক সবকিছুই চলছে। কোনো না কোনো সময়তো সবকিছু ছাড়তেই হবে। তবে বিধিনিষেধ থাকবে। এই বিধিনিষেধের কারণেই এখনো কমিউনিটি সেন্টার, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ আছে। পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ আছে।’
মুশতাক হোসেন বলেন, লকডাউন দিলে সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে। এখন লকডাউন নেই। ১৪ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহ লকডাউন ছিল। মানুষকে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্বেচ্ছায় ঘরে থাকতে হবে। লকডাউন ঘোষণা করা হলে আইন মানাতে সহজ হয়। আদর্শ অবস্থা হলো যতক্ষণ পর্যন্ত সংক্রমণ কমে না আসে সবকিছু বন্ধ করে রাখা। কিন্তু সেটা তো আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। কারণ ঘরে বসে থাকলে যারা না খেয়ে মারা যাবেন তাদের কি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সাপোর্ট দেওয়া যাবে? তাই বাধ্য হয়েই অনেক কিছু শিথিল করতে হচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচানোর কথা বলে না খেয়ে মানুষকে মারতে পারেন না। সরকার যদি সবাইকে খাবার দিতে না পারে ঘরে বসে থাকতে বলতে পারে না। যতটুকু না করলেই না এখন ততটুকু করা হচ্ছে। চীনের উহানে যেটা করা হয়েছে আমাদের পক্ষে তা সম্ভব না।
ঢিলেঢালা এই বিধিনিষেধের মধ্যেও ফল পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে মুশতাক বলেন, সংক্রমণ কমে গেছে, লাভ হচ্ছে। সংক্রমণের মাত্রা দেখে কখনো বিধিনিষেধ ব্যাপক করতে হবে, কখনো কমাতে হবে। কারণ জীবন চালাতে হবে। সংক্রমণ বাড়ার পরেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে সেটা সবার জন্য বিপজ্জনক হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে এখন সংক্রমণ বেশি। তাই ওই সব জেলায় বিধিনিষেধ আরও ব্যাপক করতে হবে। কারণ সংক্রমণ বাড়লে তীব্র গতিতে তা ছড়াতে থাকবে, মৃত্যুর হার বাড়বে। যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ঢাকা: গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে চলছে বাস। খাবারের হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভিড়। হাট-বাজার, শপিংমলে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। বাড়ির বাইরে বের হয়ে মাস্ক ব্যবহার করেন না অনেকে। লকডাউনের মধ্যে এসব দেখারও যেন কেউ নেই।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও আগামী ৬ জুন পর্যন্ত মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ বা লকডাউন দিয়ে রেখেছে সরকার। লকডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। তবে বাস্তব চিত্রটা ভিন্ন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন লকডাউন আর কার্যকর নেই। এভাবে লকডাউন দিয়ে তেমন কোনো লাভও হচ্ছে না। সারা দেশে এভাবে লকডাউন না দিয়ে সীমান্তবর্তী নয় জেলায় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরের ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিনের লকডাউন দেওয়া হয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এবার গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন চলছে।
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা ও অধিক সংক্রমিত এলাকায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। উচ্চ সংক্রমিত এলাকা থেকে আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ রাখতেও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট এলাকায় করোনা সংক্রমণের উচ্চহার দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া আরও কিছু জেলায় উচ্চ সংক্রমণ হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে ভারতীয় ধরনের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এদের পাশাপাশি পুলিশও লকডাউন কার্যকরে কাজ করছে।
লকডাউনের শুরুতে মানুষকে মাস্ক পরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও এখন তা হচ্ছে না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনে যে কোনো সময় মোবাইল কোর্ট চালাতে পারবে স্থানীয় প্রশাসন। আমাদের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশনা দেওয়া আছে।
মিরপুর এক নম্বর সেক্টর থেকে প্রতিদিন মতিঝিল গিয়ে অফিস করেন আব্দুল মালেক খান। বুধবার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সকালে অফিসে আসার সময় বাসের সব সিটেই যাত্রী নেওয়া হয়। অনেক সময় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হচ্ছে, প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয় না।
ফরিদুর রহমান নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতিদিন মাতুয়াইল থেকে বাসে করে গুলিস্তানে তাঁর কর্মস্থলে আসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কিছু কিছু সিটিংস সার্ভিস বাস এখনো এক সিট ফাঁকা রেখে চলছে। এক সিট ফাঁকা রাখলেও ওই বাসেই ১০-১২ জন করে যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব মানা যাচ্ছে না, উল্টো দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক বে-নজির আহমদ আজ বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এভাবে লকডাউন / বিধিনিষেধ দিয়ে কোনো লাভ নেই। বিধিনিষেধ আর কার্যকর নেই। লকডাউন নেই বলতে পারেন। কিছু অফিস আদালত বন্ধ রাখা হলেও সেখানেও এখন অনেকেই যাচ্ছেন।
‘এখন সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার। স্থানীয়ভাবে এসব এলাকার লকডাউন করতে হবে। সেখান থেকে যেন সংক্রমণ আর না ছড়ায়।’
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার তাগাদা দিয়ে বে-নজির বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সেসব এলাকায় গিয়ে মনিটর করা দরকার। মহাপরিচালক নিজে গেলে এসব কাজে গতি আসবে। সেখানকার সকল রোগী শনাক্ত করে তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। নিজ নিজ জেলায় তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে ঢাকা থেকে চিকিৎসক সেখানে পাঠানো যেতে পারে, চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে।
‘সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ কমাতে পারলে অন্য এলাকায় তা আর ছড়াবে না। এখনই এটাই করতে হবে। নয়টি জেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কার্যক্রম দরকার।’
মহামারির মধ্যে মানুষ বিধিনিষেধগুলো ঠিকমতো না মানলেও এর মধ্য দিয়েও কিছুটা লাভ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন। আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনা সংক্রমণ কমাতে বিধিনিষেধ চলছে। যত দিন করোনা থাকবে তত দিন বিধিনিষেধও রাখতে হবে। মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলা-এসব তো বিধিনিষেধের মধ্যেই পরে।
‘এটা ঠিক সবকিছুই চলছে। কোনো না কোনো সময়তো সবকিছু ছাড়তেই হবে। তবে বিধিনিষেধ থাকবে। এই বিধিনিষেধের কারণেই এখনো কমিউনিটি সেন্টার, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ আছে। পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ আছে।’
মুশতাক হোসেন বলেন, লকডাউন দিলে সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে। এখন লকডাউন নেই। ১৪ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহ লকডাউন ছিল। মানুষকে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্বেচ্ছায় ঘরে থাকতে হবে। লকডাউন ঘোষণা করা হলে আইন মানাতে সহজ হয়। আদর্শ অবস্থা হলো যতক্ষণ পর্যন্ত সংক্রমণ কমে না আসে সবকিছু বন্ধ করে রাখা। কিন্তু সেটা তো আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। কারণ ঘরে বসে থাকলে যারা না খেয়ে মারা যাবেন তাদের কি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সাপোর্ট দেওয়া যাবে? তাই বাধ্য হয়েই অনেক কিছু শিথিল করতে হচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচানোর কথা বলে না খেয়ে মানুষকে মারতে পারেন না। সরকার যদি সবাইকে খাবার দিতে না পারে ঘরে বসে থাকতে বলতে পারে না। যতটুকু না করলেই না এখন ততটুকু করা হচ্ছে। চীনের উহানে যেটা করা হয়েছে আমাদের পক্ষে তা সম্ভব না।
ঢিলেঢালা এই বিধিনিষেধের মধ্যেও ফল পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে মুশতাক বলেন, সংক্রমণ কমে গেছে, লাভ হচ্ছে। সংক্রমণের মাত্রা দেখে কখনো বিধিনিষেধ ব্যাপক করতে হবে, কখনো কমাতে হবে। কারণ জীবন চালাতে হবে। সংক্রমণ বাড়ার পরেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে সেটা সবার জন্য বিপজ্জনক হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে এখন সংক্রমণ বেশি। তাই ওই সব জেলায় বিধিনিষেধ আরও ব্যাপক করতে হবে। কারণ সংক্রমণ বাড়লে তীব্র গতিতে তা ছড়াতে থাকবে, মৃত্যুর হার বাড়বে। যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মামলার বিষয়টি জানান কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধান শেষে গত বৃহস্পতিবার মামলা করার আবেদন করলে কমিশন তা অনুমোদন করে।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মামলাগুলো করা হয়।
এই পাঁচ মামলার বাদী হলেন দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন রহমান ও সাজ্জাদ হোসেন, উপসহকারী পরিচালক রোমান উদ্দিন ও এলমান আহম্মদ অনি।
মামলাগুলোতে সালমান এফ রহমান ছাড়াও তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, সালমানের ভাই এ এস এফ রহমান, তাঁর ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানসহ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৮ জন ও রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ১২ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালক ইকবাল আহমেদ, এ বি সিদ্দিকুর রহমান, মাসুদ ইকরামুল্লাহ খান, শাহ মঞ্জুরুল হক, রীম এইচ শামসুদ্দোহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওসমান কাওসার চৌধুরী, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি আনোয়ারুল বাশার, পরিচালক নাসরিন আহমেদ, ক্রিসেন্ট অ্যাকসেসরিজ লিমিটেডের এমডি আবু নাঈম মাহমুদ সালেহিন, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তানভীর, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ আলিফ ইবনে জুলফিকার, মোসা. নুসরাত হায়দার, নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান মজলিস, পরিচালক আব্দুর রউফ, কাঁচপুর অ্যাপারেলসের এমডি মাহফুজুর রহমান খান, পরিচালক সৈয়দ তানভীর এলাহী, পিয়ারলেস গার্মেন্টসের এমডি ওয়াসীউর রহমান, পরিচালক রিজিয়া আক্তার।
জনতা ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ব্যাংকটির সাবেক এমডি ও সিইও আবদুস ছালাম আজাদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (অব.) মো. আব্দুর রহিম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম, ডিজিএম (অব.) মো. মমতাজুল ইসলাম, সিনিয়র অফিসার রফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক মো. সালেহ আহমেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অব.) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক এজিএম মোহাম্মদ শাজাহান, ব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবির ঢালী ও ব্যবস্থাপক শ ম মাহাতাব হোসাইন বাদশা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পিয়ারলেস গার্মেন্টস ৫ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার, প্লাটিনাম গার্মেন্টস ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৯ ডলার, কাঁচপুর অ্যাপারেলস ৮ কোটি ৪০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৭ দশমিক ৪৪ ডলার, স্কাইনেট অ্যাপারেলস ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৪০ ডলার এবং নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ ৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪৬ ডলারসহ মোট ২১ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৮০১ ডলার বা (প্রতি ডলার ৯০ টাকা হারে) ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৪ টাকা জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস থেকে ঋণের নামে আত্মসাৎ করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
সালমানের বিরুদ্ধে আরও ২০ মামলা হচ্ছে
জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সালমান এফ রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আরও ২০টি মামলা করা হবে বলে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন।
দুদকের ওই কর্মকর্তা জানান, এসব মামলায় জনতা ব্যাংক থেকে এলসি সুবিধা নেওয়ার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হবে।
মামলাগুলোতে সায়ান ফজলুর রহমান, সোহেল ফশিউর রহমানের (এ এস এফ রহমান), আহমেদ শাহরিয়ার রহমান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক এমডি আবদুস ছালামসহ প্রায় ৬০০ জনকে আসামি করা হতে পারে।

প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মামলার বিষয়টি জানান কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধান শেষে গত বৃহস্পতিবার মামলা করার আবেদন করলে কমিশন তা অনুমোদন করে।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মামলাগুলো করা হয়।
এই পাঁচ মামলার বাদী হলেন দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন রহমান ও সাজ্জাদ হোসেন, উপসহকারী পরিচালক রোমান উদ্দিন ও এলমান আহম্মদ অনি।
মামলাগুলোতে সালমান এফ রহমান ছাড়াও তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, সালমানের ভাই এ এস এফ রহমান, তাঁর ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানসহ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৮ জন ও রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ১২ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালক ইকবাল আহমেদ, এ বি সিদ্দিকুর রহমান, মাসুদ ইকরামুল্লাহ খান, শাহ মঞ্জুরুল হক, রীম এইচ শামসুদ্দোহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওসমান কাওসার চৌধুরী, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি আনোয়ারুল বাশার, পরিচালক নাসরিন আহমেদ, ক্রিসেন্ট অ্যাকসেসরিজ লিমিটেডের এমডি আবু নাঈম মাহমুদ সালেহিন, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তানভীর, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ আলিফ ইবনে জুলফিকার, মোসা. নুসরাত হায়দার, নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান মজলিস, পরিচালক আব্দুর রউফ, কাঁচপুর অ্যাপারেলসের এমডি মাহফুজুর রহমান খান, পরিচালক সৈয়দ তানভীর এলাহী, পিয়ারলেস গার্মেন্টসের এমডি ওয়াসীউর রহমান, পরিচালক রিজিয়া আক্তার।
জনতা ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ব্যাংকটির সাবেক এমডি ও সিইও আবদুস ছালাম আজাদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (অব.) মো. আব্দুর রহিম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম, ডিজিএম (অব.) মো. মমতাজুল ইসলাম, সিনিয়র অফিসার রফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক মো. সালেহ আহমেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অব.) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক এজিএম মোহাম্মদ শাজাহান, ব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবির ঢালী ও ব্যবস্থাপক শ ম মাহাতাব হোসাইন বাদশা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পিয়ারলেস গার্মেন্টস ৫ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার, প্লাটিনাম গার্মেন্টস ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৯ ডলার, কাঁচপুর অ্যাপারেলস ৮ কোটি ৪০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৭ দশমিক ৪৪ ডলার, স্কাইনেট অ্যাপারেলস ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৪০ ডলার এবং নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ ৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪৬ ডলারসহ মোট ২১ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৮০১ ডলার বা (প্রতি ডলার ৯০ টাকা হারে) ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৪ টাকা জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস থেকে ঋণের নামে আত্মসাৎ করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
সালমানের বিরুদ্ধে আরও ২০ মামলা হচ্ছে
জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সালমান এফ রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আরও ২০টি মামলা করা হবে বলে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন।
দুদকের ওই কর্মকর্তা জানান, এসব মামলায় জনতা ব্যাংক থেকে এলসি সুবিধা নেওয়ার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হবে।
মামলাগুলোতে সায়ান ফজলুর রহমান, সোহেল ফশিউর রহমানের (এ এস এফ রহমান), আহমেদ শাহরিয়ার রহমান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক এমডি আবদুস ছালামসহ প্রায় ৬০০ জনকে আসামি করা হতে পারে।

ফরিদুর রহমান নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতিদিন মাতুয়াইল থেকে বাসে করে গুলিস্তানে তাঁর কর্মস্থলে আসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কিছু কিছু সিটিংস সার্ভিস বাস এখনো এক সিট ফাঁকা রেখে চলছে। এক সিট ফাঁকা রাখলেও ওই বাসেই ১০-১২ জন করে যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব মানা যাচ্ছে না, উল
০২ জুন ২০২১
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রাক-প্রস্তুতি সভা আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ইসির সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এর মধ্যে এ নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে প্রাক-প্রস্তুতি সভা করেছে ইসি।
এর ধারাবাহিকতায় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভোটের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা জানাতে তাঁদের সঙ্গেও নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক সভায় বসবে ইসি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রাক-প্রস্তুতি সভা আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ইসির সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এর মধ্যে এ নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে প্রাক-প্রস্তুতি সভা করেছে ইসি।
এর ধারাবাহিকতায় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভোটের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা জানাতে তাঁদের সঙ্গেও নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক সভায় বসবে ইসি।

ফরিদুর রহমান নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতিদিন মাতুয়াইল থেকে বাসে করে গুলিস্তানে তাঁর কর্মস্থলে আসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কিছু কিছু সিটিংস সার্ভিস বাস এখনো এক সিট ফাঁকা রেখে চলছে। এক সিট ফাঁকা রাখলেও ওই বাসেই ১০-১২ জন করে যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব মানা যাচ্ছে না, উল
০২ জুন ২০২১
প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব।
আব্দুল ওয়াহাব বলেন, রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন লিয়াকত আলী নামের এক ব্যক্তি।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব।
আব্দুল ওয়াহাব বলেন, রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন লিয়াকত আলী নামের এক ব্যক্তি।

ফরিদুর রহমান নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতিদিন মাতুয়াইল থেকে বাসে করে গুলিস্তানে তাঁর কর্মস্থলে আসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কিছু কিছু সিটিংস সার্ভিস বাস এখনো এক সিট ফাঁকা রেখে চলছে। এক সিট ফাঁকা রাখলেও ওই বাসেই ১০-১২ জন করে যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব মানা যাচ্ছে না, উল
০২ জুন ২০২১
প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারার আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সিইসি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে এক ‘সংকটময় অবস্থায়’ দাঁড়িয়ে আছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ ও গণতন্ত্রের পথচলা নির্ধারণ করবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তিনি তাঁর দায়িত্বকে গতানুগতিক ‘রুটিন কাজ’ বা ‘চাকরি’ হিসেবে না দেখে এটিকে ‘মিশন’ এবং ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন।
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে চলবে না, বরং ‘দায়িত্বসীমার বাইরে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করে সিইসি বলেন, ‘ভোটার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সবাই মিলে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব।’
সিইসি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রায় ১০ লাখ লোক যুক্ত থাকবে। তাঁদের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন এবার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সাধারণত যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না। কিন্তু এবার সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যেন সবাই ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আইনি হেফাজতে যাঁরা কারাগারে রয়েছেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ ছাড়া প্রবাসীরা এবার ভোট দিতে পারবেন।’
ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি তাঁদের ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ওপর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব এসে পড়েছে।’
আনসার প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণকে ‘স্বস্তির’ উল্লেখ করে সিইসি দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশাল নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এআইসহ যেকোনো অপপ্রচার রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব জানান, নির্বাচনে প্রায় পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে গত এক বছরে বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ১ লাখ ৪৫ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারার আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সিইসি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে এক ‘সংকটময় অবস্থায়’ দাঁড়িয়ে আছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ ও গণতন্ত্রের পথচলা নির্ধারণ করবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তিনি তাঁর দায়িত্বকে গতানুগতিক ‘রুটিন কাজ’ বা ‘চাকরি’ হিসেবে না দেখে এটিকে ‘মিশন’ এবং ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন।
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে চলবে না, বরং ‘দায়িত্বসীমার বাইরে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করে সিইসি বলেন, ‘ভোটার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সবাই মিলে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব।’
সিইসি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রায় ১০ লাখ লোক যুক্ত থাকবে। তাঁদের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন এবার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সাধারণত যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না। কিন্তু এবার সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যেন সবাই ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আইনি হেফাজতে যাঁরা কারাগারে রয়েছেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ ছাড়া প্রবাসীরা এবার ভোট দিতে পারবেন।’
ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি তাঁদের ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ওপর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব এসে পড়েছে।’
আনসার প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণকে ‘স্বস্তির’ উল্লেখ করে সিইসি দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশাল নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এআইসহ যেকোনো অপপ্রচার রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব জানান, নির্বাচনে প্রায় পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে গত এক বছরে বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ১ লাখ ৪৫ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ফরিদুর রহমান নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতিদিন মাতুয়াইল থেকে বাসে করে গুলিস্তানে তাঁর কর্মস্থলে আসেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কিছু কিছু সিটিংস সার্ভিস বাস এখনো এক সিট ফাঁকা রেখে চলছে। এক সিট ফাঁকা রাখলেও ওই বাসেই ১০-১২ জন করে যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে সামাজিক দূরত্ব মানা যাচ্ছে না, উল
০২ জুন ২০২১
প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে